জাতীয়

জেলায় জেলায় ভোজ্য তেলের মজুদ, এক দিনে জব্দ ৩ লাখ লিটার

দেশে ভোজ্য তেল সরবরাহ ও মূল্যে অস্থিতিশীলতার মধ্যে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তিন লাখ লিটারের বেশি তেল উদ্ধার করা হয়েছে।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও ভ্রাম্যমাণ আদালত বৃহস্পতিবার এসব অভিযান পরিচালনা করে। পরে উদ্ধার করা সয়াবিন তেল ন্যায্য মূল্যে বিক্রিসহ কয়েক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

প্রতিনিধিদের পাঠানো সংবাদ:

খুলনা

নগরীতে অবৈধভাবে মজুদ করা ৭৩ হাজার ৩২ লিটার সয়াবিন তেল উদ্ধার করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

বৃহস্পতিবার নগরীর বড়বাজারে জেলা প্রশাসন ও র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত তিনটি গুদামে এ অভিযান চালায়। এ সময় তিন প্রতিষ্ঠানকে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা জ‌রিমানা করা হয়।

জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দেবাশীষ বসাক জানান, ওই তিন প্রতিষ্ঠানের গোডাউনে অবৈধভাবে মজুদ করা ৭৩ হাজার ৩২ লিটার সয়া‌বিন ও ১ লাখ ৬৩ হাজার ৬০৮ লিটার পাম অয়েল জব্দ করা হয়।

এ সময় সোনালী এন্টারপ্রাইজের মালিক প্রদীপ সাহাকে ৩০ হাজার, সাহা ট্রেডিং এর মালিক দিলীপ সাহাকে ৯০ হাজার টাকা ও রনজিত বিশ্বাস অ্যান্ড সন্স এর মালিক অসিত বিশ্বাসকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

দেবাশীষ বলেন, সরকরি নিয়মনীতি উপেক্ষা করে খুলনার ব্যবসায়ীরা তেল মজুদ করে বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করছে।

সিরাজগঞ্জ

উল্লাপাড়ায় ৩৭ হাজার লিটার ভোজ্যতেল জব্দ করা হয়েছে। পরে দোকানিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

সলঙ্গা বাজারের রাজলক্ষ্মী বাণিজ্য ভাণ্ডার ও দুলাল চন্দ কুণ্ডু স্টোরে এ অভিযান চালানো হয় বলে সিরাজগঞ্জ ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মাহমুদুল হাসান রনি জানান।

তিনি বলেন, অতিরিক্ত মুনাফার লোভে একই মালিকের দুটি দোকান ও গুদামে ৩৭ হাজার লিটার খোলা সয়াবিন, পাম ও সুপার তেল এবং ২০০ লিটার বোতলজাত সয়াবিন মজুদ থাকা সত্ত্বেও ক্রেতাদের ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছিল। অবৈধভাবে মজুদ করার অভিযোগে দোকান মালিক পরিতোষ সাহাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

জব্দ করা তেল বাজারে ন্যায্যমূল্যে বিক্রির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান মাহমুদুল।

ঝিনাইদহ

কালীগঞ্জে ২০ হাজার ৬০০ লিটার পাম অয়েল জব্দ করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর; এ সময় ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

উপজেলা সদরের বিহারী মোড়ে আরএস অয়েল মিলসে অভিযান চালিয়ে তেল জব্দ করা হয়েছে বলে জেলা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ জিয়াউল হক জানান।

তিনি বলেন, আরএস অয়েল মিলসে ৪১ হাজার লিটার সয়াবিন ও পাম অয়েলের মজুদ পাওয়া যায়। এর মধ্যে ২১ হাজার ৪২০ লিটার সয়াবিন তেলের কাগজপত্র দেখাতে পারলেও বাকি ২০ হাজার ৬০০ লিটার পাম অয়েলের কাগজপত্র দেখাতে পারেননি ওই মিলসের মালিক আব্দুল মতলেব।

তাছাড়া বিক্রয়মূল্য না টানানোয় তাকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। সেই সঙ্গে জব্দ করা পাম অয়েল আগের ১৩০ টাকা মূল্যে বিক্রির নির্দেশ দেওয়া হয়।

কুমিল্লা

নগরীতে দুটি প্রতিষ্ঠানের গুদাম থেকে ৮ হাজার ৩৬৪ লিটার সয়াবিন তেল জব্দ করেছে ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর। মূল্যতালিকা না টানানোয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

কুমিল্লার সহকারী পরিচালক মো. আছাদুল ইসলাম বলেন, চকবাজারের মেসার্স রাধাবল্লভ সাহা স্টোরের গুদামে ২ হাজার ৬৫২ লিটার ও প্রশান্ত এন্টারপ্রাইজের গুদামে ৫ হাজার ৭১২ লিটার সয়াবিন তেলের মজুদ পাওয়া যায়।

পরে কুমিল্লার দোকান মালিক সমিতির সহায়তায় এসব তেল খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করা হয় বলে জানান আছাদুল।

তিনি বলেন, “সয়াবিন তেলের মূল্য তালিকায় না লিখে বেশি দামে বিক্রি করায় দুই দোকানিকে পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়।”

গাজীপুর

নগরীর কোনাবাড়ীতে ৫ হাজার লিটার সয়াবিন তেল উদ্ধার করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট থান্দার কামরুজ্জামান এর নেতৃত্বে বৃহস্পতিবার বিকালে অভিযান চালিয়ে তেল উদ্ধার করা হয়।

পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, রেখা রানী ট্রেডার্সের গুদাম থেকে ওই তেল উদ্ধার করা হয়। প্রতিষ্ঠানের মালিক পূর্ন সাহাকে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।

জব্দ করা তেল ন্যায্যমূল্যে বিক্রি করা হয়েছে বলেও জানান কামরুজ্জামান

বাগেরহাট

মজুদ রাখা সাড়ে ৫ হাজার লিটার ভোজ্যতেল উদ্ধার করেছে ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর। এ সময় কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

বাগেরহাট শহর ও কচুয়া উপজেলায় ৪৮ ঘণ্টার অভিযানে চারটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে এ জরিমানা করা হয়। উদ্ধার করা তেল ১৬০ টাকা দরে ক্রেতাদের মধ্যে বিক্রি করেন অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।

অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল ইমরান বলেন, অসাধু ব্যবসায়ীরা তেল মজুদ করে কৃত্রিম সংকট তৈরির চেষ্টা করছে। ঈদের আগে কেনা তেল দাম বাড়িয়ে বিক্রির প্রত্যাশায় তারা তেল মজুদ করে রাখে।

তাছাড়া ব্যবসায়ীরা বোতলজাত তেল ড্রামে রেখে বেশি দরে বিক্রি করছিল বলেও জানান তিনি।

তিনি বলেন, “গোপন সংবাদ পেয়ে তেল উদ্ধার করে প্রতিষ্ঠানগুলোকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। উদ্ধার হওয়া তেল ১৬০ টাকা দরে সাতশ’র বেশি ক্রেতাদের মধ্যে বিক্রি করা হয়।”

চাঁপাইনবাবগঞ্জ

চাঁপাইনবাবগঞ্জে সাড়ে চার হাজার লিটার ভোজ্য তেল উদ্ধার করা হয়েছে।

পৌর এলাকায় বটতলাহাটের একটি দোকানের গুদামে অভিযান চালিয়ে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে এ তেল উদ্ধার করা হয়।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর রাজশাহীর সহকারী পরিচালক ওসমান গণি বলেন, গোপন সংবাদ পেয়ে মেসার্স কাজল স্টোরে অভিযান চালালে সাড়ে ৪ হাজার লিটার তেলের মজুদ পাওয়া যায়। এগুলো অবৈধভাবে মজুদ করা হচ্ছিল।

তিনি বলেন, দোকানের মালিক মোহাম্মদ কাজলকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পরে উদ্ধার করা তেল অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে ন্যায্যমূল্যে বিক্রি করা হয়।

নীলফামারী

কিশোরগঞ্জ উপজেলায় ৪ হাজার ২৪ লিটার সয়াবিন তেল জব্দ করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

জেলা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক শামসুল আলম বলেন, অবৈধভাবে তেল মজুদ রাখার দায়ে মের্সাস হারুন স্টোর নামে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক বাবুল আহমেদকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। দাম বৃদ্ধির আগে কেনা তেল বেশি মুনাফার আশায় মজুদ রাখা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে বাবুল আহমদকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পরে জব্দ করা তেল আগের ১৫৯ টাকা লিটার দরে বিক্রয় হয়।

খাগড়াছড়ি

জেলা শহরে অবৈধভাবে মজুদ করা ৩ হাজার ৭০০ লিটার সয়াবিন তেল জব্দ করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

নিজাম স্টোরে অভিযান চালিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই তেল উদ্ধার করে দোকানীকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইয়াসির আরাফাত বলেন, ট্রেড লাইন্সেস ছাড়াই তিন হাজার ৭০০ লিটার তেল গুদামজাত করে নিজাম স্টোর। এসব তেল তিন মাস আগে থেকে গুদামজাত করা ছিল। অবৈধভাবে মজুদ করে তারা তেলের কৃত্রিম সংকট তৈরি করতে চেয়েছিল।

স্টোরের মালিক নিজাম উদ্দিনকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করার পাশাপাশি জব্দ করা তেল ন্যায্যমূল্যে বিক্রির আদেশ দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।

মৌলভীবাজার

বড়লেখা উপজেলায় সাড়ে ৩ হাজার লিটার ভোজ্যতেল মজুদ রাখার দায়ে একটি প্রতিষ্ঠানকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। পরে জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও র‌্যাব-৯ এর একটি দল প্রতিষ্ঠানটিকে সিলগালা করে দেয়।

অধিদপ্তরের জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আল-আমিন বলেন, সকালে হাজীগঞ্জ বাজারের মেসার্স সামছু ভেরাইটিজ স্টোরে সাড়ে ৩ হাজার লিটার ভোজ্যতেল মজুদ পাওয়া যায়।

“অবৈধভাবে তেল মজুদ রাখায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটিকে সাময়িকভাবে সিলগালা করা হয়। তাছাড়া নিয়মভঙ্গের দায়ে আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।”

মাদারীপুর

বেশি দামে সয়াবিন তেল বিক্রির অভিযোগে এক দোকানিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

সদর উপজেলার মস্তফাপুর ইউনিয়নের তাঁতিবাড়ি বাজারে বৃহস্পতিবার দুপুরে এ জরিমানা করা হয়।

মাদারীপুরের সহকারী পরিচালক জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, পৌরসভার শিফাত এন্টারপ্রাইজের ডিলার মফিজুল ইসলামের বিক্রয় ব্যবস্থাপক বিল্লাল সরদার মাদারীপুর সদর উপজেলার মস্তফাপুর ইউনিয়নের তাঁতিবাড়ি এলাকার খুচরা বাজারের দোকানদারদের কাছে সয়াবিন তেল পাইকারী বিক্রি করতে যান। এ সময় ৭৬০ টাকার পাঁচ লিটারের সয়াবিন তেল ৯৩০ টাকায় বিক্রি করেন।

“এতে দোকানির সঙ্গে ওই ব্যবস্থাপকের বাকবিতণ্ডা হয়। বিষয়টি বুঝতে পেরে স্থানীয়রা তাকে আটক করে অধিদপ্তরকে খবর দেয়। এ সময় ৯৭২ লিটার তেল জব্দ করা হয়। বিল্লালকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করে জব্দ করা তেল খুচরা বাজারে নায্যমূল্যে বিক্রি করা হয়েছে।”

ফেনী

শহরে অবৈধভাবে মজুদ করা ৯২৮ লিটার সয়াবিন তেল জব্দ করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর; এ সময় কয়েকটি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানকে ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

জেলা সদরের বড়বাজার ও পৌর হকার্স মার্কেটে বৃহস্পতিবার দুপুরে এসব অভিযান পরিচালিত হয়।

অধিদপ্তরের জেলার সহকারী পরিচালক সোহেল চাকমা বলেন, বড়বাজারের ইসলামপুর রোডের ‘ভুইয়া ব্রাদার্স’ এর গুদামে মজুদ রাখা ৭৬৮ লিটার সয়াবিন তেল পাওয়া যায়। পরে প্রতিষ্ঠানের মালিক ফখরুল ইসলামকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করে জব্দ তেল ন্যায্য মূল্যে বিক্রি করা হয়।

এদিকে পৌর হকার্স মার্কেটের অভিযানে ’আলম ব্রাদার্স’ এর গুদাম অবৈধভাবে মজুদ রাখা আটটি কার্টন থেকে ১৬০ লিটার সয়াবিন তেল জব্দ করে প্রতিষ্ঠানের মালিক সাইফুল ইসলামকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পরে তা ন্যায্য মূল্যে বিক্রি করা হয়।

বেশি মূল্যে ভোজ্যতেল বিক্রি ও মজুদ রাখার অভিযোগে তিনটি প্রতিষ্ঠানকে ৬৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ সময় গুদামে মজুদ করা ৭৫৩ লিটার তেল জব্দ করা হয়।

জেলা সদরের গোস্তহাটির মোড়ে অভিযান চালিয়ে বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টার এ জরিমানা করে ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর।

জেলার সহকারী পরিচালক শামীম হোসেন বলেন, তিনটি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করে গুদামে থাকা তেল জব্দ করা হয়েছে।

তাছাড়া আগে কেনা তেল মজুদ রেখে বেশি দামে বিক্রি করায় রঞ্জিত ট্রেডার্সের মালিক রঞ্জিত পাল এবং কিরণ ট্রেডার্সের মালিক সৈকত পালকে ৫৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় বলে জানান শামীম।

জব্দ করা তেল আগের ১৬০ টাকা দরে ক্রেতাদের মধ্যে বিক্রি করা হয় বলেও জানান ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের ওই কর্মকর্তা।

টেকনাফ

টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অবৈধভাবে সয়াবিন তেল ও চিনি নেওয়ার সময় এক যুবককে আটক করেছে আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়ন।

উপজেলার হৃীলা ইউনিয়নের জাদিমুড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের প্রবেশমুখে অভিযান চালিয়ে বৃহস্পতিবার ভোরে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এ বিষয়ে ১৬ এপিবিএনের অধিনায়ক পুলিশ সুপার মো. তারিকুল ইসলাম বৃহস্পতিবার দুপুরে সাংবাদিকদের বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মজুদের উদ্দেশে সয়াবিন তেল ও চিনি নেওয়ার পথে প্রবেশ মুখে তাকে আটক করা হয়।

কাগজপত্র দেখাতে না পারায় ২৪০ লিটার সয়াবিন তেল ও ২০০ কেজি চিনি জব্দ করা হয় বলে জানান তিনি।

চুয়াডাঙ্গা

চুয়াডাঙ্গা সদরে অভিযান চালিয়ে সয়াবিন তেলের খালি বোতল উদ্ধার করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসব বোতলের তেল খোলা হিসেবে বেশি দামে বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে ওই দোকানির বিরুদ্ধে।

চুয়াডাঙ্গা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সজল আহমেদের নেতৃত্ব বৃহস্পতিবার বিকালে এ অভিযান চালানো হয়।

সজল আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, শহরের কুদ্দুস স্টোরের মালিক মাসুদ রানা বোতলজাত তেল খোলা তেল হিসেবে বেশি দামে বিক্রি করার কথা স্বীকার করেছেন।

তিনি আরও বলেন, পাঁচ লিটারের জব্দ করা খালি বোতলের গায়ে ৭৬০ টাকা মূল্য থাকলেও খোলা তেল হিসেবে বেশি দামে বিক্রি করা দায়ে তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

নরসিংদী

অবৈধভাবে মজুদ করা ১১৮ লিটার সয়াবিন তেল উদ্ধার করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

জেলা প্রশাসন ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু নইম মোহাম্মদ মারুফ খান বৃহস্পতিবার বিকালে নরসিংদী সদরের পাঁচদোনা ও মাধবদী বাজারে অভিযান পরিচালনা করেন।

জব্দ করা তেল আগের দামে কেনা হলেও বেশি দামে বিক্রির উদ্দেশে তা মজুদ করা হয়েছিল বলে আবু নইমের ভাষ্য।

তেল উদ্ধারের পর একতা স্টোরের মালিককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে বলে জানান আবু নইম।

অভিযানে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট শ্যামল চন্দ্র বসাক, নরসিংদী জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আবদুস সালাম ও জেলা কৃষি বিপনন কর্মকর্তা নাজমুল হক উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *