খেলাধুলা

তারিক কাজীর গোলে বাংলাদেশের জয়

বাংলাদেশ থেকে র‌্যাংকিংয়ে সাত ধাপ পিছিয়ে সিশেলস। ম্যাচের আগে সবচেয়ে বেশি আলোচনায় ছিল এই বিষয়টি।

র‌্যাংকিংয়ে পিছিয়ে থাকা দলের বিপক্ষে খেলে ঠিক কতটা উপকৃত হবে বাংলাদেশ?
সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে খেলতে যাওয়ার আগে র‌্যাংকিয়ে বাংলাদেশের চাইতে এগিয়ে থাকা কোনো দলের বিপক্ষে খেলার কথা বলা হচ্ছিল। তবে আজ (২৫ মার্চ) সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের বিপক্ষে সমানতালে লড়াই করলো সিশেলস। র‌্যাংকিংয়ের পার্থক্য খুব এটা চোখে পড়লো না। ম্যাচে তারিক কাজীর একমাত্র গোলে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ।

ম্যাচের শুরু থেকেই সুন্দর ফুটবল প্রদর্শন করে সিশেলস। প্রথমার্ধে তাদের সঙ্গে সমান তালে লড়াই করেছে বাংলাদেশ। যদিও গোল পেতে অপেক্ষা করতে হয়েছে ৪২ মিনিট পর্যন্ত। ম্যাচের তৃতীয় মিনিটে দারুন এক সুযোগ তৈরি করেছিল লাল-সবুজ জার্সিধারীরা। ডান প্রান্ত থেকে বক্সের ভেতরে থাকা সজীবের উদ্দেশ্যে লম্বা ক্রস বাড়িয়েছিলেন সাদ উদ্দিন। তবে সজীব বল পাওয়ার আগেই ক্লিয়ার করে দলকে বিপদ মুক্ত করেন সিশেলস ডিফেন্ডার।

আক্রমনের ধারা বজায় রাখে বাংলাদেশ। নবম মিনিটে গোলের সুযোগ এসেছিল বাংলাদেশের সামনে। জামাল ভূইয়ার শট প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডারের পায়ে লেগে ফিরে যায়। ম্যাচের ১৫ মিনিটে প্রথম অন টার্গেট শট নেয় সিশেলস। দলের অধিনায়ক স্টেনিও মারির পাস থেকে শট নেন আসাদ রায়ান আবদু। তবে সহজেই বল মুঠোবন্দি করে নেন জিকো।

১৯ মিনিটে বাংলাদেশের রক্ষণে একাই ভীতি ছড়িয়েছিলেন ব্রান্ডন রশিদ ডেন লাবোরসে। মাঝ মাঠ থেকে বল টেনে নিয়ে দারুণ এক শট নেন তিনি। সাইডবার ঘেঁষে বল বেরিয়ে যাওয়ায় অল্পের জন্য গোলবঞ্চিত হন সিশেলসের নাম্বার টেন। ৩৩ মিনিটে শর্ট কর্ণার থেকে জামলকে পাস দেন সাদ উদ্দীন। বাংলাদেশ অধিনায়কের ক্রসে হেড করেন তপু বর্মণ। তবে সিশেলস গোলরক্ষক আলভিন রডি মিশেল সেটি সহজেই মুঠোবন্দী করেন।

পরক্ষণেই কাউন্টারে বিপজ্জনক হয়ে ওঠে সিশেলস। গোলরক্ষকের পাস থেকে বল নিয়ে এগিয়ে যান ব্রান্ডন রশিদ। তবে শেষ মুহুর্তে তাকে রুখে দেন তারিক। ম্যাচের আগেই বাংলাদেশের অধিনায়ক জামাল ভূইয়া বলেছিলেন কাউন্টার অ্যাটাকে সিশেলস বেশ শক্তিশালি। তেমনটাই দেখা গেল মাঠেও।

৪২ মিনিটে কাঙ্ক্ষিত গোল পায় বাংলাদেশ। জামাল ভূঁইয়ার ফ্রি কিক হেডনিয়ে নিয়ন্ত্রণে নিতে পারেননি ব্রেন্ডন মোল। ফিরতি বল হেড করে লক্ষ্যভেদ করেন তারিক। জাতীয় দলের হয়ে এটাই তার প্রথম গোল।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে আমিনুর রহমান সজীবের বদলি হিসেবে মাঠে নামেন এলিটা কিংসলে। দীর্ঘদিন জাতীয় দলে অভিষেকের অপেক্ষায় থাকা এই ফরোয়ার্ডের আক্ষেপ এবার পূরণ হলো। ৫৪ মিনিটে জামাল ভূঁইয়ার বদলি হিসেবে মাঠে নামেন মতিন মিয়া।

৬০ মিনিটে নিজের অভিষেক ম্যাচকে রাঙিয়ে তোলার সুযোগ পেয়েছিলেন কিংসলে। সিশেলসের দুই ডিফেন্ডারকে ফাঁকি দিয়ে বক্সে কিংসলেকে বল বাড়িয়ে দেন মতিন মিয়া। তার বাঁ পায়ের শট ক্রসবারের উপর দিয়ে চলে যায়। অল্পেরর জন্য গোল বঞ্চিত হন কিংসলে।

ম্যাচের ৮৭ মিনিটে সিশেলসের ডন ম্যাক্সিমের ফ্রি-কিক ক্রস বারে লেগে ফিরে আসে। ৮৯ মিনিটে দারুন এক গোলের সুযোগ ছিল এলিটা কিংসলের সামনে। ডি বক্সের বাইর থেকে এই ফরোয়ার্ডের জোরালো শট ঝাঁপিয়ে রক্ষা করেন সিশেলস গোলরক্ষক।

ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ে পেরি আর্নেস্টা ফ্রি কিক থেকে বক্সে বল পেয়ে যান সতীর্থ ওয়ারেন। তার হেড সহজেই তালুবন্দী করেন আনিসুর রহমান জিকো। পরবর্তীতে আর কোনো গোল না হলে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে কাবরেরার শিষ্যরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *