আন্তর্জাতিক

গাজায় ইসরায়েলের চলমান আগ্রাসনকে ‘গণহত্যা’ বলে অভিহিত করেছে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। গাজায় হামলার পর থেকে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সৌদি আরবের সবচেয়ে কঠোর সমালোচনা এটি এখন পর্যন্ত।

সোমবার (১২ নভেম্বর) আরব লিগ ও অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশনের (ওআইসি) শীর্ষ সম্মেলনের আগে দেওয়া এক ভাষণে তিনি একথা বলেন।

তিনি বলেন, ভ্রাতৃপ্রতিম ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে ইসরায়েল যে গণহত্যা চালাচ্ছে, সৌদি আরব তা তীব্রভাবে নিন্দা জানায় এবং এ হামলাকে সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাখ্যান করে।

লেবানন ও ইরানে ইসরায়েলের হামলার সমালোচনা করে সৌদি যুবরাজ বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত ইসরায়েলকে ইরানের সার্বভৌমত্বের প্রতি সম্মান জানাতে বাধ্য করা। তেহরানের সঙ্গে রিয়াদের সম্পর্ক উন্নতির ইঙ্গিত দিয়ে তিনি ইসরায়েলকে ইরানে হামলা না চালাতে সাবধান করেন।

সম্মেলনে উপস্থিত অন্যান্য নেতারা ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে এবং গাজা থেকে ইসরায়েলের পূর্ণাঙ্গ সৈন্য প্রত্যাহারের আহ্বান জানান।

এদিকে ইসরায়েলকে গাজায় দুর্ভিক্ষ সৃষ্টি করার দায়ে অভিযুক্ত করে সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান আল সৌদ বলেন, গাজায় যুদ্ধ বন্ধ করতে না পারা ‘আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ব্যর্থতা’।

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের আক্রমণের মধ্য দিয়ে গাজায় যুদ্ধ শুরু হয়। হামাসের হামলায় দক্ষিণ ইসরায়েলের প্রায় ১ হাজার ২০০ জন নিহত হয় এবং ২৫১ জনকে জিম্মি করা হয়। এর জবাবে, হামাসকে ধ্বংস করতে গাজায় একটি সামরিক অভিযান শুরু করে ইসরায়েল। এখন পর্যন্ত চলমান এই অভিযানে গাজায় ৪৩ হাজার ৪০০ জনের বেশি নিহত হয়েছেন।

জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের এক প্রতিবেদনে জানায়, গাজায় বিগত ছয় মাসের সময়কালে নিহতদের প্রায় ৭০ শতাংশ নারী ও শিশু।

গাজায় অবস্থানরত জাতিসংঘের কর্মী এবং ত্রাণ সহায়তার ওপর ইসরায়েলের অনবরত আক্রমণের তীব্র নিন্দা জানান সম্মেলনে উপস্থিত নেতারা।

সম্মেলনে ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস, জর্ডানের রাজা দ্বিতীয় আবদুল্লাহ, মিসরের প্রেসিডেন্ট আব্দেল ফাত্তাহ আল-সিসি সহ ইসলামি বিশ্ব নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

আন্তর্জাতিক

গাজা এবং লেবাননে ইসরাইলের চলমান আগ্রাসনের প্রেক্ষাপটে আরব এবং মুসলিম দেশগুলোর নেতারা সোমবার সৌদি আরবে একটি সম্মেলনে মিলিত হবেন।

সৌদি প্রেস এজেন্সি (এসপিএ) রোববার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

এসপিএ-র বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনি এবং লেবাননি ভূখণ্ডে বাড়তে থাকা সহিংসতা, বিশেষ করে ইসরাইলের নৃশংস আগ্রাসন আরব ও ইসলামিক নেতাদের জরুরি পদক্ষেপ নিতে বাধ্য করেছে।

সম্মেলনটি গত বছরের নভেম্বরের আরব-ইসলামিক সম্মেলনের পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। সেই সম্মেলনে রিয়াদে গাজাসহ পুরো ফিলিস্তিন অঞ্চলের বিপজ্জনক ও অভূতপূর্ব পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছিল।

এসপিএ জানিয়েছে, ‘এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় আরব এবং ইসলামিক দেশগুলোর ঐক্যের প্রয়োজন’।

সোমবারের এই সম্মেলনে সৌদি আরব, জর্ডান, মিশর, কাতার, তুরস্ক, ইন্দোনেশিয়া, নাইজেরিয়া, এবং ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা উপস্থিত থাকবেন। এছাড়াও যোগ দেবেন আরব লিগ এবং ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) মহাসচিবরাও।

তারা গাজায় যুদ্ধ বন্ধ এবং স্থায়ী ও ব্যাপক শান্তি প্রতিষ্ঠায় অবিলম্বে আন্তর্জাতিক পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য কাজ করার উদ্যোগ গ্রহণ করবেন।

এ উপলক্ষ্যে রোববার সৌদি রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদ মাধ্যম আল-আখবারিয়া নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট বোলা তিনুবু এবং লেবাননের প্রধানমন্ত্রী নাজিব মিকাতির রিয়াদে পৌঁছানোর দৃশ্য সম্প্রচার করেছে। সূত্র: আরব নিউজ

আন্তর্জাতিক

বিশাল ব্যবধানে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী কমলা হ্যারিসকে হারিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। নিরঙ্কুশ জয়ের পর ট্রাম্প যেমন অসংখ্য শুভেচ্ছা বার্তায় ভেসেছেন, ঠিক তেমনি তার জয় হতাশার কারণও হয়ে উঠেছে অনেকের মাঝে। যার জেরে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে পথে নামেন হাজার হাজার মানুষ।

নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্টের ঘোষিত নীতির প্রতিবাদেই শুরু হয় এ বিক্ষোভ। রোববার দ্য গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়েছে, মূলত নারীদের গর্ভপাতের বিরোধিতা ও অভিবাসীদের দেশ ছাড়া করার প্রতিশ্রুতিকে কেন্দ্র করেই শনিবার ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন বিক্ষোভকারীরা। ফলে বেশ বিপাকেই পড়েছেন ট্রাম্প। বিক্ষোভের আগুন ছড়িয়ে পড়ে ওয়াশিংটন ডিসি ও নিউইয়র্কেও।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নারীদের গর্ভপাতে অধিকার নিয়ে হুমকি, ক্ষমতা গ্রহণের পরপরই যুক্তরাষ্ট্র থেকে গণহারে অভিবাসীদের বের করে দেওয়ার ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতিশ্রুতির প্রেক্ষাপটে এ বিক্ষোভ হয়। বিক্ষোভে অংশ নিতে নিউইয়র্ক, সিয়াটল ও ওয়াশিংটন ডিসিসহ অন্যান্য শহরের রাস্তায় নেমে আসেন শত শত মানুষ।

বিক্ষোভে বিক্ষোভকারীদের ‘আমরা আমাদের রক্ষা করব, আমরা পিছিয়ে যাব না, নিউইয়র্কবাসীরা একসঙ্গে দাঁড়াও এবং আমরা এই ঘৃণার বিরুদ্ধে লড়াই করব’ লেখা বিভিন্ন স্লোগান সংবলিত প্ল্যাকার্ড বহন করতে দেখা যায়। নিউইয়র্কে অংশ নেওয়া বিক্ষোভকারীদের মধ্যে ছিলেন বিভিন্ন পরামর্শক গ্রুপের কর্মীরাও। তারা কর্মীদের অধিকার ও অভিবাসীদের বিষয়ে ন্যায়বিচারের আশ্রয় নেওয়ার দাবি জানান।

এছাড়া ওয়াশিংটন ডিসিতে হেরিটেজ ফাউন্ডেশনের বাইরে বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন সংগঠন ‘উইমেন্স মার্চ’র কর্মীরা। এছাড়া নারীদের পদযাত্রার মাধ্যমে বিক্ষোভ শুরু হয় এবং অনেক নারী বিক্ষোভ যোগ দেন।

এ সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত কিছু ছবিতে দেখা যায় বিক্ষোভকারীদের হাতে ‘ভালো আচরণের নারীরা ইতিহাস তৈরি করেন না’, ‘আপনারা কখনোই নিঃসঙ্গ নন’, ‘যেখানে আমার পছন্দের অধিকার নেই, সেখানে কোথায় আমার স্বাধীনতা’ ইত্যাদি স্লোগান সংবলিত প্ল্যাকার্ড।

এছাড়া বিক্ষোভকারীরা স্লোগান দেন, ‘আমাদের বিশ্বাস, আমরা জিতব!’ বিক্ষোভকারীরা সমবেত হন সিয়াটলের স্পেস নিডলের বাইরেও। সেখানে প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল, ‘গণ-আন্দোলন গড়ে তুলুন এবং যুদ্ধ, নিপীড়ন ও গণহত্যার বিরুদ্ধে লড়াই করুন’। সিয়াটলে বিক্ষোভকারীদের কারও কারও শরীরে ছিল ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে এমন পোশাক। এছাড়া ওরেগনের পোর্টল্যান্ড শহর, পেনসিলভানিয়ার পিটাসবার্গেও বিক্ষোভ করেন অনেকে।

এদিকে দেশটির প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে হোয়াইট হাউজে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। তার আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে বুধবার হোয়াইট হাউজে যাচ্ছেন ট্রাম্প।

শনিবার হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র প্রেস সেক্রেটারি কারিন জন পিয়ের এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট বাইডেনের আমন্ত্রণে হোয়াইট হাউজে আসছেন নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। বুধবার তারা ওভাল দপ্তরে সাক্ষাৎ করবেন।

যুক্তরাষ্ট্রের ৫ নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী কমলা হ্যারিসকে হারিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন ট্রাম্প। শনিবার পূর্ণাঙ্গ ফল প্রকাশ হলেও আগেই জয় নিশ্চিত করেছেন ট্রাম্প। পূর্ণাঙ্গ ফল অনুসারে, দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যের সব কটিতেই জয় পেয়েছেন ট্রাম্প। সাতটির মধ্যে ছয়টিতে আগেই জিতে গিয়েছিলেন তিনি। অবশিষ্ট অ্যারিজোনার আসনটিতেও বিজয়ী হলেন ট্রাম্প।

শনিবার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্যটির ফল প্রকাশের মধ্য দিয়ে ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর্ব শেষ হলো। এ অঙ্গরাজ্যে রয়েছে ১১টি ইলেকটোরাল ভোট। এখানকার নির্বাচনি ফলাফলই ঘোষণা বাকি ছিল। এটিতে জেতায় ট্রাম্পের ইলেকটোরাল কলেজ ভোটের সংখ্যা দাঁড়ায় ৩১২ যা প্রেসিডেন্ট হতে প্রয়োজনীয় ২৭০ ভোটের থেকে অনেক বেশি। ট্রাম্পের প্রতিদ্বন্দ্বী কমলা হ্যারিসের ঝুলিতে গেছে ২২৬ ইলেকটোরাল কলেজ ভোট।

মার্কিন রাজনীতিতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বরাবরই নির্ণায়কের ভূমিকা পালন করে এই সাত অঙ্গরাজ্য। সেগুলো হলো- পেনসিলভেনিয়া, উইসকনসিন, মিশিগান, জর্জিয়া, নেভাদা, অ্যারিজোনা ও নর্থ ক্যারোলিনা।

বলা হয়, এই ৭ অঙ্গরাজ্য যার দিকে ঝোঁকে আমেরিকার মসনদ যায় তার দখলেই। এই ৭ অঙ্গরাজ্যই এবার রিপাবলিকান প্রার্থীকে দুহাত উজাড় করে আশীর্বাদ দিয়েছে।

নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের আগেই অবশ্য রিপাবলিকানরা দাবি করেছিলেন, দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যগুলো পুরোপুরি তাদের দখলেই থাকবে। সেটাই সত্যি হলো। একটিতেও জিততে পারেনি ডেমোক্রেটরা। ২০ জানুয়ারি বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর দেশটির ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসাবে শপথ নেবেন ট্রাম্প।

২০২০ সালে জো বাইডেন অল্প ব্যবধানে জিতেছিলেন অ্যারিজোনায়। ১৯৯৬ সালে বিল ক্লিন্টনের পর কোনো ডেমোক্রেট সেই প্রথম জিতেছিলেন এখানে। কিন্তু এবার ট্রাম্পের জয়ে এই প্রদেশ ফের রিপাবলিকানদের দখলে চলে গেল।

এখানে প্রচারে এসে ট্রাম্প বারবার সীমান্ত সুরক্ষা, অভিবাসন ও অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের কারণে ঘটে চলা অপরাধের প্রসঙ্গ তুলেছিলেন। ২০২৩ সালে রেকর্ডসংখ্যক অনুপ্রবেশকারীর প্রবেশ ঘিরে অ্যারিজোনার বহু মানুষই বিরক্ত হয়ে পড়েছিলেন।

আন্তর্জাতিক

বাংলাদেশের মেয়েরা সাইবার বুলিংয়ের শিকার হচ্ছে জানিয়ে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম বলেছেন, এটি বন্ধে অন্তর্বর্তী সরকার আলাদা ফ্রেমওয়ার্ক তৈরি করছে।

রোববার (১০ নভেম্বর) আগারগাঁওয়ের আইসিটি টাওয়ারে উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অলাভজনক প্রতিষ্ঠান কার্টার সেন্টারের এক প্রতিনিধি দল।তখন তিনি এসব কথা বলেন।

কার্টার সেন্টারের সিনিয়র অ্যাডভাইজর ল্যরা নিউম্যান বলেন, তথ্য অধিকার আইন প্রয়োগের মাধ্যমে বাংলাদেশের নারীরা কীভাবে তাদের জীবনমান উন্নয়ন ঘটাতে পারে সে বিষয়ে তারা কাজ করছেন।

নাহিদ ইসলাম বলেন, জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান ছাত্রদের মাধ্যমে সৃষ্টি হয়েছে। এ আন্দোলনে মাঝপথে ইন্টারনেট বন্ধ করে গুম ও খুনের তথ্য গোপন করে জনগণের তথ্য প্রাপ্তির অধিকার ক্ষুণ্ন করা হয়েছে। বাংলাদেশে আর কেউ যেন এভাবে ইন্টারনেট বন্ধ করে মানুষের তথ্য প্রাপ্তির অধিকার ক্ষুণ্ন করতে না পারে সে বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকার কাজ করছে।

ডিজিটালাইজেশনের নামে বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার ব্যাপক অনিয়ম দুর্নীতি করেছে ফলে মানুষ কাঙ্ক্ষিত সুফল পায়নি। সে ক্ষেত্রে এক ধরনের ডিজিটাল ডিসক্রিমিনেশন তৈরি হয়েছে আমরা তা দূর করতে চাই। বাংলাদেশের মানুষের ডিজিটাল লিটারেসি দরকার। এজন্য প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ এবং জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য অন্তর্বর্তী সরকার কাজ করছে।

জনগণ তথ্য পাওয়ার জন্য উদগ্রীব, এই সময় তারা সঠিক তথ্য না পেলে ভুল এবং বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে জানান কার্টার সেন্টারের সিনিয়র অ্যাডভাইজার। কীভাবে দেশব্যাপী বিভিন্ন তথ্য ছড়িয়ে দেওয়া যায় সে ব্যাপারে কার্টার সেন্টারের প্রতিনিধি জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, প্রত্যেকটি মন্ত্রণালয়ে জনসংযোগ কর্মকর্তারা দেশব্যাপী তথ্য প্রচারের দায়িত্ব পালন করেন যারা তথ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা। দেশব্যাপী তথ্য প্রচারের এ কার্যক্রম প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকেও মনিটর করা হয়।

উপদেষ্টা আরও বলেন, সংস্কারের জন্য ইতিমধ্যে যেসব কমিশন গঠন করা হয়েছে তারা নিজস্ব ওয়েবসাইট চালু করে জনগণের মতামত সংগ্রহ করছে। এসব বিষয়ে কার্টার সেন্টারের কোনো মতামত থাকলে তা প্রদানের জন্য উপদেষ্টা প্রতিনিধি দলকে আহ্বান জানান।

কার্টার সেন্টারের প্রতিনিধি জানান, জনগণের তথ্য প্রাপ্তির অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এবং তথ্য অধিকার আইনের ব্যবহার সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করার মাধ্যমে তথ্য প্রাপ্তিতে নারীদের অধিকতর সক্ষম করে তোলার পাশাপাশি, জাতীয় ও কর্ম এলাকার স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান সমূহকে কার্যকর এবং শক্তিশালী করার পাশাপাশি সামাজিক দায়বদ্ধতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ভূমিকা রাখবে।

এ সময় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী, কার্টার সেন্টার বাংলাদেশের চিফ অব পার্টি সুমনা সুলতানা মাহমুদসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আন্তর্জাতিক

গাজায় যুদ্ধবিরতির ব্যবস্থা করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও মিশরের পাশাপাশি বড় ধরনের ভূমিকা পালন করছিল কাতার।

হামাস ও ইসরায়েল ‘আলোচনার টেবিলে ফিরে আসার আন্তরিক ইচ্ছা না দেখানো’ পর্যন্ত গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তির মধ্যস্থতার চেষ্টা থেকে কাতার বিরত থাকবে, বিষয়টি সম্পর্কে জ্ঞাত এক কর্মকর্তা রয়টার্সকে এমনটি জানিয়েছেন।

শনিবার তিনি আরও জানান, পারস্য উপসাগরীয় ক্ষুদ্র আরব দেশটি আরও সিদ্ধান্তে এসেছে যে দোহায় হামাসের রাজনৈতিক দপ্তর ‘আর তাদের উদ্দেশ্য সাধন করছে না’।

এ বিষয়ে কাতার হামাসকে সতর্ক করেছে বলে আল আরাবিয়া নিউজ জানিয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা বলেন, “কাতার একইসঙ্গে ইসরায়েল ও হামাসকে জানিয়ে দিয়েছে, যে পর্যন্ত না তারা শুভ বিশ্বাসের সঙ্গে একটি চুক্তি নিয়ে আলোচনা করতে রাজি হবে, তারা (দোহা) মধ্যস্থতা আর চালিয়ে যেতে পারবে না। আর এর ফলে হামাসের রাজনৈতিক দপ্তরও আর এর উদ্দেশ্য সাধন করতে পারবে না।”

যুক্তরাষ্ট্র ও মিশরের পাশাপাশি কাতার গাজায় এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধে বিরতির ব্যবস্থা করার জন্য চলমান আলোচনায় বড় ধরনের ভূমিকা পালন করছিল। অক্টোবরের মাঝামাঝি শুরু হওয়া এ আলোচনা ব্যর্থ হয়েছে, হামাস স্বল্প মেয়াদি যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে।

ওই কর্মকর্তা জানিয়েছেন, কাতার ইতোমধ্যে তাদের সিদ্ধান্ত ‘ইসরায়েল ও হামাসের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রকেও জানিয়ে দিয়েছে’।

তিনি বলেন, “কাতার মার্কিন প্রশাসনকে জানিয়েছে, যখন হামাস ও ইসরায়েল আন্তরিক ইচ্ছার সঙ্গে আলোচনার টেবিলে ফিরে আসতে চাইবে তখন তারও মধ্যস্থতায় ফের যুক্ত হওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকবে।”

এই পরিস্থিতিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা কাতারের কাছে ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাসকে আর নিরাপদ আশ্রয় না দেওয়ার দাবি জানিয়েছে।

ঊর্ধ্বতন কূটনৈতিক সূত্রগুলো আল আরাবিয়াকে নিশ্চিত করে জানিয়েছে, ১০ দিন আগে দোহা হামাসকে দেশটি ছেড়ে যেতে বলেছে কারণ তারা গাজায় কোনো যুদ্ধবিরতি চুক্তি গ্রহণ করতে অস্বীকার করেছে। কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানিয়েছে, হামাসকে কাতার যে অনুরোধ জানিয়েছে তা যুক্তরাষ্ট্রের দাবি বা অনুরোধের কারণে নয়।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ঊর্ধ্বতন মার্কিন কর্মকর্তা শুক্রবার রয়টার্সকে বলেছেন, “জিম্মিদের মুক্তি দেওয়ার জন্য প্রস্তাবগুলো বারবার প্রত্যাখ্যান করার পর এর (হামাসের) নেতাদের যুক্তরাষ্ট্রের কোনো অংশীদার (দেশের) রাজধানীতে আর স্বাগত জানানো উচিত নয়। কয়েক সপ্তাহ আগে হামাস আরেকটি জিম্মি মুক্তির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করার পর আমরা এটি কাতারকে পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিয়েছি।”

শুক্রবার একদল রিপাবলিকান সেনেটর বাইডেন প্রশাসনকে দোহায় বসবাস করা হামাস কর্মকর্তাদের সম্পদ জব্দ করার জন্য এবং হামাসের জ্যেষ্ঠ নেতা খালেদ মেশাল ও খলিল আল হায়াকে প্রত্যর্পণ করার জন্য কাতারকে চাপ দিতে বলেছে। পাশাপাশি জ্যেষ্ঠ হামাস নেতাদের আতিথেয়তা দেওয়াও বন্ধ করতে বলেছে।

ওই সেনেটররা লিখেছেন, “হামাসের পরাজয় আওতার মধ্যে এসে গেছে আর বিদেশে এর নেতাদের নিরাপদে বসবাসের ইতি ঘটানো একে পরাজিত করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।”

২০১২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কাতারের একটি চুক্তির অংশ হিসেবে দেশটি হামাসের রাজনৈতিক নেতাদের আশ্রয় দিয়েছিল। হামাস গাজা থেকে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষকে উচ্ছেদ করার পর গোষ্ঠীটির সঙ্গে যোগাযোগের একটি পথ খোলা রাখার জন্য এর রাজনৈতিক নেতাদের আশ্রয় দিতে দোহাকে অনুরোধ করেছিল ওয়াশিংটন।

আন্তর্জাতিক

ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট কার্যালয় জানিয়েছে, ফোনালাপে গাজায় ‘সামগ্রিক শান্তি’ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ট্রাম্প কাজ করার জন্য প্রস্তুত বলে আব্বাসকে জানিয়েছেন তিনি।

ট্রাম্প আব্বাসকে আশ্বস্ত করেছেন, তিনি যুদ্ধ বন্ধ করতে কাজ করবেন। গাজায় শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য প্রেসিডেন্ট আব্বাস এবং সংশ্লিষ্ট আঞ্চলিক পক্ষগুলোর সঙ্গে কাজ করার জন্য তিনি প্রস্তুত।
জবাবে নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ায় ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানিয়েছেন ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট। অভিনন্দনবার্তায় তিনি বলেছেন, গাজা এবং আল আকসা অঞ্চলে আন্তর্জাতিক আইনের ভিত্তিতে শান্তি স্থাপনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তিনি কাজ করতে আগ্রহী।

ট্রাম্প তার নির্বাচনী প্রচারে তিনি হোয়াইট হাউজে ফিরলে গাজায় ইসরাইল-হামাস এবং লেবাননে ইসরাইল-হিজবুল্লাহ যুদ্ধ বন্ধ করবেন বলে জোর দাবি করেছিলেন। কিন্তু কীভাবে এ যুদ্ধ বন্ধ করবেন, সে বিষয়ে কোনো কিছু বলেননি। আরব নিউজ

তবে নির্বাচনী প্রচারণায় ট্রাম্প নিজেকে ইসরায়েলের সবচেয়ে শক্তিশালী মিত্র হিসেবেও দাবি করেন, এমনকি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে তিনি গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে বাদবাকি ‘কাজ শেষ করবেন’।

আন্তর্জাতিক

জ্যোতিষশাস্ত্র সম্ভাবনার কথা বলে। কোনো কিছু নিশ্চিতভাবে হবে কিংবা ঘটবে তা বলে না।

রাশি অনুযায়ী এই সপ্তাহ কেমন যেতে পারে জেনে নিন।

পাশ্চাত্য রাশিচক্রমতে চন্দ্র ও অন্যান্য গ্রহগত অবস্থানের ওপর ভিত্তি করে চলতি সপ্তাহের বিভিন্ন রাশির জাতক জাতিকাদের নানান বিষয়ের শুভাশুভ পূর্বাভাস ও সতর্কতা জানাচ্ছেন জ্যোতিষশাস্ত্র বিশেষজ্ঞ ড. গোলাম মাওলা।

মেষ রাশি (২১ মার্চ – ১৯ এপ্রিল) সপ্তাহের শুরুতে পরোপকার ও সামাজিক কাজের দিকে আকৃষ্ট হবেন। ভালো কাজে সময় দিয়ে জীবনের অভূতপূর্ব পরিবর্তন আনতে পারবেন। খরচ নিয়ন্ত্রণ করতে চেষ্টা করুন। সপ্তাহের মাঝদিকে প্রত্যয় বাড়বে আর উন্নতি নিশ্চিত। প্রাণোচ্ছল হাসিপূর্ণ একটি সময়, যখন বেশিরভাগ জিনিসই আপনার ইচ্ছানুসারে এগোবে। সপ্তাহের শেষদিকে অতীতের বিনিয়োগ থেকে উপার্জন বৃদ্ধি দেখতে পাওয়া যাচ্ছে।

বৃষ রাশি (২০ এপ্রিল – ২০ মে) সপ্তাহের শুরুতে পেশা সংক্রান্ত সেইসব গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন করার সময়, যা আপনি বেশি কিছু সময় ধরে ভাছিলেন। আশীর্বাদ ও সৌভাগ্য পথে আসায় এবং অতীতের পরিশ্রমগুলো ফল আনায় ইচ্ছগুলো পূর্ণ হবে। সপ্তাহের মাঝদিকে কাউকে প্রভাবিত করার জন্য বেশি খরচ করবেন না। খরচ বৃদ্ধি মনকে ভাবিত করে তুলবে। সপ্তাহের শেষদিকে কামদেব জীবনে প্রেমের ঝরনা বইয়ে দেবে। লক্ষ্যের প্রতি নীরবে কাজ করে যান। আর সাফল্যে পৌঁছানোর আগে উদ্দেশ্যগুলো প্রকাশ করবেন না।

মিথুন রাশি (২১ মে – ২০ জুন) সপ্তাহের শুরুতে আরও ভালো পেশার সম্ভাবনাময় গৃহীত সফর বাস্তবায়িত হতে পারে। সফর ও ভ্রমণ আনন্দ আনবে। উপলব্ধি করতে পারবেন যে, ভালো করার পেছনে পরিবারের সহযোগিতা রয়েছে। সপ্তাহের মাঝদিকে ভালোবাসার উচ্ছাসে স্বপ্ন ও বাস্তবতা মিশে যাবে। মানসিক শান্তির জন্য কিছু দান ও দাতব্য কাজে নিজেকে নিয়োজিত করুন। সপ্তাহের শেষদিকে আকস্মিক অপ্রত্যাশিত খরচ আর্থিক চাপ প্রয়োগ করতে পারে। মিথ্যা অভিযোগ বা বিশ্বাসঘাতকতার বিরূদ্ধে সাবধান।

কর্কট রাশি (২১ জুন – ২২ জুলাই) সপ্তাহের শুরুতে রাস্তায় থাকার সময় বেপরোয়া গাড়ি চালানো ও ঝুঁকি নেওয়া উচিত নয়। একটি আনন্দ সফরে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে যা শক্তি ও আবেগকে নতুন করে তুলবে। সপ্তাহের মাঝদিকে মানুষ আপনার প্রচেষ্টার জন্য কর্মক্ষেত্রে আপনাকে চিনতে পারবে। যদি কর্মক্ষেত্র থেকে মোবাইল ফোন সরিয়ে না রাখেন তবে খুব ভুল করবেন। সপ্তাহের শেষের দিকে আপনার শিশু সুলভ স্বভাব জেগে উঠবে। একটি কৌতুকপূর্ণ মেজাজের মধ্যে থাকবেন। প্রেমের জীবন গতিশীল হবে। সঙ্গী বিচলিত হতে পারে যদি তার প্রতি মনোযোগ না দেন।

সিংহ রাশি (২৩ জুলাই – ২২ অগাস্ট) সপ্তাহের শুরুতে সঙ্গী প্রথম দিকের মতো প্রেম ও রোমান্সের ‘রিওয়াইন্ড বাটন’ টিপবেন। ব্যবসায়ীদের জন্য ভালো সময়, কারণ তারা আকস্মিক অপ্রত্যাশিত লাভ দেখতে পারেন। সপ্তাহের মাঝদিকে রক্তচাপের রোগীরা ভিড় বাসে ওঠানামা বা রাস্তায় চলাচলের সময় সতর্কত অবলম্বন করুন। নয়তো কোনো বিপদ বা দর্ঘটনার সম্মুখীন হতে পারেন। সপ্তাহের শেষদিকে দূরদেশে আমদানী রপ্তানি পেশাদারী যোগাযোগ বাড়ানোর পক্ষে উৎকৃষ্ট সময়। কর্মক্ষেত্রে সব কিছুতে ওপরের দিকে থাকতে পারেন।

কন্যা রাশি (২৩ অগাস্ট – ২২ সেপ্টেম্বর) সপ্তাহের শুরুতে যদি আচমকা সিদ্ধান্তে উপনীত হন আর অপ্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেন, তবে খারাপ সময় অবশ্যই। বিয়ের পর প্রেম কঠিন শোনায়, তবে এটা আপনার সঙ্গে ঘটতে পারে। ব্যবসায়ীদের জন্য মুনাফার হার বৃদ্ধি পেতে পারে। এমন কি ব্যবসায়ের পরিধি বিস্তার লাভ করতে পারে। সপ্তাহের মাঝদিকে উত্তেজনা পূর্ণ সময়, যখন ঘনিষ্ট সহকারীদের সঙ্গে বেশ কিছু বিরোধ মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে পারে। কাজ করার সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার সমস্যায় ফেলতে পারে। সপ্তাহের শেষদিকে দূরের জায়গার আত্মীয়রা যোগাযোগ করতে পারেন। সফর করা তাৎক্ষণিক ফলাফল না দিলেও ভবিষ্যতে লাভের জন্য ভালো ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবে। দর্শন বা আধিভৌতিক ব্যাপারে আগ্রহ জাগবে।

তুলা রাশি (২৩ সেপ্টেম্বর – ২২ অক্টোবর) সপ্তাহের শুরুতে উৎসাহময় সময় যেহেতু ভালোবাসার মানুষের কাছ থেকে ডাক পাবেন। বহু বিষয় মতভেদ হওয়াতে খুব একটা ভালো হবে না সময়। এটি সম্পর্কও দুর্বল করতে পারে। সপ্তাহের মাঝদিকে খুচরা ও পাইকারী বিক্রেতাদের জন্য সময়টি ভালো। সঙ্গী তার জীবনে আপনার মূল্য বুঝতে পারবে। সপ্তাহের শেষদিকে কিছু আঘাতের সম্মুখীন হতে পারেন। শক্তি প্রদর্শন করা উচিত।

বৃশ্চিক রাশি (২৩ অক্টোবর – ২১ নভেম্বর) সপ্তাহের শুরুতে পরিবারের সঙ্গে সামাজিক ক্রিয়াতে অংশ নেওয়াতে আনন্দপূর্ণ সময় হবে। প্রেমের বেদনা ঘুমাতে দেবে না। গভীরভাব পূর্ণ ভালোবাসার উচ্ছাস অনুভূত হবে। সপ্তাহের মাঝদিকে ব্যক্তিগত সমস্যা মানসিক সুখ নষ্ট করতে পারে। তাই এই চাপ সামলাতে আকর্ষণীয় কিছু করার মাধ্যমে মানসিক ব্যায়ামে নিজেকে জড়ান। সপ্তাহের শেষদিকে বিবাহিত জীবনে অনেক ভালোমন্দের পর, সময়টা রোমান্টিক হয়ে উঠবে। ব্যবসায়ীদের ব্যবসায় প্রচুর লাভ নিশ্চিত হতে পারে।

ধনু রাশি (২২ নভেম্বর – ২১ ডিসেম্বর) সপ্তাহের শুরুতে আত্মীয়রা দুঃখ ভাগ করে নেবে। আপনার সমস্যা তাদের সাথে খোলামনে ভাগ করে নিন। এ সময় জমি ভূ-সম্পত্তি বা সাংস্কৃতিক প্রকল্প সংক্রান্ত সমস্যাগুলোর ওপর নজর কেন্দ্রীভূত করা। সপ্তাহের মাঝদিকে গোলাপ আরও লাল হবে আর বেগুণি হবে নীল, কারণ ভালোবাসার নেশা একটি উচ্চ আসন প্রদান করবে। ভালোবাসার ক্ষেত্রে বিবেচনা করার শক্তি ব্যবহার করুন। সপ্তাহের শেষদিকে গোপন শক্রুরা আপনার সম্পর্কে গুজব রটাতে ব্যর্থ হবে। তবে এর পরিবর্তে নিরুৎসাহিত হওয়ার পরিবর্তে শিক্ষা নেওয়া উচিত।

মকর রাশি (২২ ডিসেম্বর – ১৯ জানুয়ারি) সপ্তাহের শুরুতে আকস্মিক টাকা-কড়ির আগমন তাৎক্ষণিক খরচের খেয়াল রাখবে। দীর্ঘ সময় ধরে কথা বলতে চেয়েছিলেন এমন কারও কাছ থেকে ফোন পেতে পারেন। সপ্তাহের মাঝদিকে পুরানো যোগাযোগ ও বন্ধুরা সহায়ক হবে। প্রাণের বন্ধু এ সময় আপনার জন্য চিন্তা করবে। জমি ও আর্থিক লেনদেনের জন্য ভালো সময়। সপ্তাহের শেষদিকে প্রেমের স্মৃতি সময়টি দখল করে রাখবে। এ সময় যদি প্রেম করার সুযোগ না হারান তবে সমগ্র জীবনে ভুলবেন না।

কুম্ভ রাশি (২০ জানুয়ারি – ১৮ ফেব্রুয়ারি) সপ্তাহের শুরুতে অসাধারণ প্রচেষ্টা ও পরিবারের সদস্যদের সমর্থনের ফলে কাঙ্ক্ষিত ফলাফল পেতে পারেন। ভালো ধারণায় পূর্ণ থাকবেন। পছন্দের ক্রিয়াকলাপ প্রত্যাশার বাইরে অর্থনৈতিক লাভ এনে দেবে। সপ্তাহের মাঝদিকে আত্মীয়রা প্রত্যাশিত উপহার এনে দিতে পারে। তবে তারাও আপনার কাছ থেকে কোনো সাহায্যের প্রত্যাশা করতে পারে। সপ্তাহের শেষদিকে কর্মক্ষেত্রে নিজের উন্নতিতে ও পরিবারের হিত সাধনে কঠোর পরিশ্রম করুন।

মীন রাশি (১৯ ফেব্রুয়ারি – ২০ মার্চ) সপ্তাহের শুরুতে সেচ্ছায় খরচ করার জন্য এগিয়ে যাবেন না। না হলে খালি পকেটে বাড়ি ফিরতে হবে। যারা শিল্প ও নাটকের সাথে জড়িত তাদের সৃষ্টিশীলতা সেরা স্তরে নিয়ে যাওয়ার জন্য বেশ কিছু সুযোগ পাবেন। সপ্তাহের মাঝদিকে বিচক্ষণ বিনিয়োগই পরিশোধ আনবে। তাই কষ্টার্জিত টাকা কোথায় লাগাচ্ছেন সে ব্যাপারে নিশ্চিত হন। প্রেমের যাত্রা ক্ষণজীবী হলেও মধুর হবে। সপ্তাহের শেষদিকে নতুন মক্কেলদের সঙ্গে আপোষ আলোচনা করা জন্য সময়টি চমৎকার। আত্মীয়রা কিছু উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারে। পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে মাথা ঠাণ্ডা রাখুন।

আন্তর্জাতিক

গত জুলাইয়ে পেনসিলভেইনিয়ার নির্বাচনী সমাবেশে আততায়ীর গুলির মুখে সত্যিকারের সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন ট্রাম্প, বললেন রুশ প্রেসিডেন্ট ।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী রিপাবালিকান প্রার্থী ডনাল্ড ট্রাম্পকে বিশ্বের প্রায় সব দেশের নেতারা অনেক আগেই অভিনন্দন জানালেও চুপ ছিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। শেষ পর্যন্ত তিনিও অভিনন্দন জানালেন ট্রাম্পকে।

আততায়ীর গুলিতে হত্যাচেষ্টার শিকার হওয়ার সময় ট্রাম্পের সাহসিকতার প্রশংসা করেছেন পুতিন। নির্বাচিত নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সংলাপে বসার জন্য মস্কো প্রস্তুত বলেও তিনি জানিয়েছেন।

ট্রাম্পের জয়ের পর বৃহস্পতিবার প্রথম প্রকাশ্য বক্তব্যে পুতিন বলেন, “গত জুলাইয়ে পেনসিলভেইনিয়ায় এক নির্বাচনী সমাবেশে ট্রাম্পকে হত্যাচেষ্টার সময় সত্যিকারের সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন তিনি (ট্রাম্প)। আমার মতে, তিনি অত্যন্ত সঠিকভাবে, সাহসীভাবে, একজন সত্যিকারের মানুষের পরিচয় দিয়েছেন।”

রাশিয়ার কৃষ্ণ সাগর তীরবর্তী সোচি রিসোর্টের ভালদাই ডিসকাশন ক্লাবে পুতিন এই প্রশংসা করেন ট্রাম্পের।

পুতিন আরও বলেন, “নির্বাচনি প্রচারণায় ট্রাম্প ইউক্রেইন সংকটের অবসান ঘটাতে রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক পুনরুদ্ধারের আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করেছেন, আমার মতে তার এ পরিকল্পনা অন্তত মনোযোগ পাওয়ার দাবি রাখে।”

নির্বাচনী প্রচারণার সময় ট্রাম্প প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেছিলেন, নির্বাচিত হলে আলোচনার মাধ্যমে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তিনি ইউক্রেইনে শান্তি ফিরিয়ে আনবেন।

তবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপে সবচেয়ে বড় এই স্থলযুদ্ধের অবসান করার প্রতিশ্রুতি ঠিক কীভাবে পূরণ করবেন সে বিষয়ে ট্রাম্প বিস্তারিত কিছু জানাননি।

এর আগে, বিজয়ী ভাষণে ট্রাম্প বলেছিলেন, “আমি একটি সাধারণ নীতি অনুসরণ করে দেশ পরিচালনা করব: প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে, প্রতিশ্রুতি রক্ষা করা হয়েছে।

আগামীতেও আমরা আমাদের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করব।”

রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে ইউক্রেইনকে সমর্থন করতে যুক্তরাষ্ট্র যে হাজার হাজার কোটি ডলার ব্যয় করেছে তার সমালোচনা করেছেন ট্রাম্প। ওদিকে, ৭২ বছর বয়সী ক্রেমলিন প্রধান পুতিন সতর্ক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেছেন, “আমি জানি না এখন কী ঘটতে চলেছে। আমার কোনও ক্লু নেই।”

এক প্রশ্নকর্তার প্রশ্নের জবাবে পুতিন বলেন, ট্রাম্প প্রশাসন চাইলে তিনি যোগাযোগ পুনরায় শুরু করতে প্রস্তুত এবং ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনার জন্য প্রস্তুত আছেন।

পশ্চিমা গণমাধ্যমে ট্রাম্পকে রাশিয়ার প্রভাব বিস্তারের এজেন্ট বলে যে দাবি করা হয়, তা বারবার অর্থহীন বলে প্রত্যাখ্যান করে এসেছেন ট্রাম্প এবং রাশিয়াও।

২০২৪ সাল ও অন্যান্য প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়া হস্তক্ষেপ করেছে এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টায় ভুল তথ্য ছড়িয়েছে- যুক্তরাষ্ট্রের এমন দাবিও বারবারই অস্বীকার করে আসছে মস্কো।

রুশ কর্মকর্তারা বলছেন, ২০১৭ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ট্রাম্প তার প্রথম মেয়াদে রাশিয়ার প্রতি কঠোর ছিলেন।

পুতিন বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক পুনঃস্থাপনে রাশিয়া প্রস্তুত থাকলেও সিদ্ধান্ত এখন ওয়াশিংটনের হাতে। এমনকি, চীনকে রাশিয়ার ‘মিত্র’ বলেও পুতিন মন্তব্য করেন।

পুতিন সহজেই ট্রাম্পকে দুপুরের খাবার হিসেবে খেয়ে ফেলবেন বলে কমলা হ্যারিসের হুঁশিয়ারির বিষয়ে জানতে চাইলে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ

হাসতে হাসতে বলেন, “পুতিন মানুষ খান না।”

আন্তর্জাতিক

ডনাল্ড ট্রাম্পের জয়ে ‘সংকট ও অশান্তি’ থেকে মুক্তি আসবে বলে প্রত্যাশা প্রবাসীদের।

যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে রিপাবলিকান ডনাল্ড ট্রাম্পের জয়-জয়কারের মধ্যে চার বাংলাদেশি আমেরিকানেরও বিজয় ঘটেছে।

তারা হলেন- শেখ রহমান, আবুল বি খান, নাবিলা ইসলাম এবং মো. মাসুদুর রহমান।

তারা সবাই যুক্তরাষ্ট্রে স্টেট পর্যায়ে সর্বোচ্চ পদমর্যাদায় নির্বাচিত প্রতিনিধি। তবে এখন পর্যন্ত কোনো বাংলাদেশি-আমেরিকান ফেডারেল পর্যায়ে (নেনেট অথবা কংগ্রেস) নির্বাচিত হতে পারেননি।

এর মধ্যে নিউ হ্যাম্পশায়ার স্টেটের রিপ্রেজেনটেটিভ হিসেবে সপ্তম মেয়াদের জন্য জয়ী হয়েছেন আবুল বি খান (রিপাবলিকান)। এছাড়া ডেমোক্র্যাটিক পার্টি থেকে চতুর্থ মেয়াদের জন্য জয়ী হয়েছেন জর্জিয়া স্টেটের সেনেটর শেখ রহমান।

একই স্টেটে সেনেটর হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য বিজয়ী হয়েছেন ডেমোক্র্যাট নাবিলা ইসলাম। কানেকটিকাট স্টেট সেনেট ডিস্ট্রিক্ট-৪ থেকে দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য জয়ী হয়েছেন ডেমোক্র্যাট মো. মাসুদুর রহমান।

পিরোজপুরের সন্তান আবুল খান রকিংহাম মোট ভোটের ৬৭% পেয়েছেন। অপরদিকে, জর্জিয়া স্টেট সেনেট ডিস্ট্রিক্ট-৫ থেকে কিশোরগঞ্জের সন্তান শেখ রহমান ৬৭.৬% ভোট পেয়েছেন।

একই স্টেটের সেনেট ডিস্ট্রিক্ট-৭ থেকে ৫৫% ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন নোয়াখালীর সন্তান নাবিলা ইসলাম। কানেকটিকাট সেনেট ডিস্ট্রিক্ট-৪ থেকে ৬৪.৮% ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন চাঁদপুরের সন্তান মো. মাসুদুর রহমান।

৪ বাংলাদেশি-আমেরিকানের জয়ে প্রবাসীরা তাদের উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। নির্বাচনে বাংলাদেশি-আমেরিকান ভোটারের উপস্থিতি বেড়েছে বলে অভিমত তাদের।

প্রবাসীরা জানান, গাজা-লিবিয়ায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে তারা ডনাল্ড ট্রাম্পকে বিজয়ী দেখতে চেয়েছিলেন। রিপাবলিকান পার্টির বিজয়ে ‘অর্থনৈতিক সংকট ও অশান্তি’ থেকে মুক্তি আসবে বলে প্রত্যাশা তাদের।

আন্তর্জাতিক

বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী কমলা হ্যারিসের পর ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নির্বাচনে জয়ের জন্য অভিনন্দন জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও। খবর এপি’র।

ফোনকলের মাধ্যমে ট্রাম্পকে ক্ষমতা হস্তান্তরের বিষয়ে আলাপের জন্য হোয়াইট হাউজে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট।

হোয়াইট হাউজের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শিগগিরই হোয়াইট হাউজে ট্রাম্প-বাইডেন বৈঠকের দিনক্ষণ জানানো হবে।

এদিকে নির্বাচনের পর বৃহস্পতিবার জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার কথা রয়েছে বাইডেনের।

২০২০ সালের নির্বাচনে ট্রাম্পকে হারিয়েই হোয়াইট হাউজে জায়গা করে নিয়েছিলেন বাইডেন। এবারের নির্বাচনেও ট্রাম্পের বিরুদ্ধে তার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কথা ছিল, তবে ট্রাম্পের সঙ্গে বিতর্কে হতাশাজনক পারফরম্যান্সের পর দলের পরামর্শে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান তিনি।

নির্বাচনে বাইডেনের বদলে ডেমোক্রেটদের প্রার্থী হন বর্তমান সরকারে তার ডেপুটি কমলা হ্যারিস। তবে ট্রাম্পের সঙ্গে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পেরে উঠলেন না তিনি। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৫৩৮টি ইলেক্টোরাল কলেজ ভোটের মধ্যে ২৯২টিই গিয়েছে ট্রাম্পের পকেটে, ২২৪ ভোট পেয়েছেন কমলা। প্রেসিডেন্ট হতে অবশ্য ২৭০ ভোটই যথেষ্ট।