খেলাধুলা

বাংলাদেশের প্রথম ক্লাব হিসেবে এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্রিলিমিনারি রাউন্ডে খেলতে যাচ্ছে বসুন্ধরা কিংস। তাদের প্রতিপক্ষ আমিরাতের শক্তিশালি ক্লাব শারজাহ এএফসি।

চ্যাম্পিয়ন্স লিগে চমক দেখাতে চায় বসুন্ধরা কিংস। শারজা এফসির বিপক্ষে ম্যাচের আগে সেরা প্রস্তুতিটাই নিয়েছে দল, এমনটাই জানিয়েছেন কোচ অস্কার ব্রুজন।

আজ (১০ আগস্ট) ঝুম বৃষ্টিও আটকাতে পারেনি কিংসকে। বৃষ্টির বাধা উপেক্ষা করেই দল বেধে মাঠে হাজির তারা। বৃষ্টিতে ভিজেই শুরু করে অনুশীলন। এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচটি যে কিংসের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ তার প্রমাণ মেলে অনুশীলনে সিরিয়াসনেস দেখেই।

ঘরোয়া ফুটবল লিগে একের পর এক ইতিহাস সৃষ্টি করা কিংসের চোখ এবার আন্তর্জাতিক শিরোপায়। দেশের ফুটবল ইতিহাসে যা ঘটেনি তাই ঘটবে কিংসের হাত ধরে। সেই কারনেই ১৫ আগস্ট শারজার সাথে লড়াইটা মাঠে জমাতে চান কোচ ব্রুজন। তিনি বলেন, ‘শারজাহ এফসি কঠিন প্রতিপক্ষ। তাদের বিপক্ষে লড়াইটা সহজ হবে না। তবে আমরা নিজেদের সেরা প্রস্তুতি নিচ্ছি। ভালো কিছুর লক্ষ্যেই আমরা খেলতে নামবো। ’

দলের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর বায়েজিদ আলম জুবায়ের নিপু বলছেন, শক্তির বিচারে কিংস কিছুটা পিছিয়ে থাকলেও মাঠে ছেড়ে কথা বলবে না। বাংলাদেশের জায়ান্টদের লক্ষ্য শারজার বিপক্ষে চমক দেখানো।

দক্ষিণ এশিয়ার সেরা গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকোর প্রত্যাশা ম্যাচের দিন দল হয়ে খেলতে পারলে কিংস গড়তে পারে নতুন ইতিহাস। তিনি বলেন, ‘ম্যাচে আমরা দলগত ভাবে ভালো পারফরম্যান্স করতে পারলে দিনটা আমাদের হতে পারে। আমরা বিশ্বাস করি আমাদের পক্ষে ভালো কিছু করা সম্ভব। ’

আগামী ১২ আগস্ট এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচ খেলতে আরব আমিরাতের উদ্দেশে দেশ ছাড়বে বসুন্ধরা কিংস। শারজাহর বিপক্ষে ১৫ আগস্ট মাঠে নামবে ক্লাবটি।

খেলাধুলা

ওয়ানডে বিশ্বকাপের বাকি নেই দুই মাসও। এমন সময় বিশ্বকাপের সূচিতে পরিবর্তন এনেছে আইসিসি।

বাংলাদেশের ৩ ম্যাচসহ মোট ৯টি ম্যাচের সূচিতে পরিবর্তন এনেছে ক্রিকেটের শীর্ষ নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

আজ বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সূচি পরিবর্তনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে আইসিসি। চিরপ্রতিন্দ্বন্দ্বী ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের সূচিও বদলে গেছে। এছাড়া ইংল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, নিউজিল্যান্ড, আফগানিস্তান ও নেদারল্যান্ডসের ম্যাচের সূচিও বদলে গেছে।

ধর্মশালায় ১০ অক্টোবর দিবারাত্রির ম্যাচে মুখোমুখি হওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশ ও ইংল্যান্ডের। কিন্তু দিবারাত্রির পরিবর্তে ম্যাচটি স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১০টায় শুরু হবে। এছাড়া ১৪ অক্টোবর চেন্নাইয়ে ছিল নিউজিল্যান্ড ও বাংলাদেশের ম্যাচ। ম্যাচটা একদিন এগিয়ে আনা হয়েছে।

আগের সূচিতে ম্যাচটা দিনের ছিল। এখন হবে দিবা-রাত্রির। ১২ নভেম্বরে পুনেতে অস্ট্রেলিয়া ও বাংলাদেশের মুখোমুখি হওয়ার কথা ছিল। সেই ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে ১১ নভেম্বর, ম্যাচ হবে দিনের আলোতেই।

খেলাধুলা

বিরল এক রেকর্ডের সামনে দাঁড়িয়ে আছেন লিওনেল মেসি। আর্জেন্টিনার সুপারস্টার পিএসজি ছেড়ে যোগ দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাব ইন্টার মিয়ামিতে।

ইউরোপ ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রে এসে ইতোমধ্যে তিনটি ম্যাচে মাঠে নেমে করেছেন ৫টি গোল। দুই ম্যাচে জোড়া গোল এসেছে তার পা থেকে।

আর্জেন্টাইন বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক খুব দ্রুতই ক্লাবের হয়ে ঘরোয়া ফুটবলে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড ভেঙে ফেলবেন।

ইন্টার মিয়ামির হয়ে তিন মৌসুমে ৭০ ম্যাচ খেলে সর্বোচ্চ ২৯টি গোল করেছেন আর্জেন্টাই তারকা গঞ্জালো হিগুয়াইন।

লিওনেল মেসি হিগুয়াইনের চেয়ে মাত্র ২৪ গোল পিছিয়ে রয়েছেন। পুরো মৌসুম ঠিকভাবে খেলতে পারলে মেসি দ্রুতই হিগুয়াইনকে ছাড়িয়ে যাবেন।

বার্সেলোনার হয়ে মোট ৬৭২টি গোল করেছেন মেসি। এর মধ্যে লা লিগায় করেছেন সর্বোচ্চ ৪৪৭ গোল। পিএসজির হয়ে করেছেন সর্বমোট ৩২ গোল।

খেলাধুলা

ধীরগতির শুরুর পর আক্রমণাত্মক হয়ে গেলেন সাকিব আল হাসান। তিন বলে দুইটি ছক্কা ও একটি চার হাকিয়ে ইনিংস যখন বড় করতে গেলেন তখন আর পেরে ওঠেননি।

বোলিংয়েও অবশ্য ভালো করেছেন তিনি। খরুচে বোলিংয়ে নিয়েছেন একটি উইকেটও।
লঙ্কান প্রিমিয়ার লিগের (এলপিএল) এবারের আসরে সাকিবের অভিষেক ম্যাচে ডাম্বুলা অরাকে সুপার ওভারে হারিয়েছে তার দল গল টাইটান্স। আগে ব্যাট করতে নেমে ৫ উইকেটে ১৮০ রানের সংগ্রহ পায় দলটি। জবাব দিতে নেমে ৭ উইকেট হারিয়ে একই স্কোর করে ডাম্বুলা। পরে সুপার ওভারে তাদের করা ৯ রানের জবাবে ৩ বলেই জয় তুলে নেয় গল।

নিজের প্রথম ম্যাচে খেলতে নেমে ব্যাট হাতে ১৪ বলে ২৩ রানের ইনিংসের পর বোলিংয়ে ৪ ওভারে ২৫ রান খরচায় সাকিবের শিকার ১ উইকেট। তবে ম্যান অব দ্য ম্যাচ হওয়া দাসুন শানাকা ছাপিয়ে গেছেন সাকিবকেও। প্রথমে ব্যাটিংয়ে ২১ বলে ৪২ রানের ইনিংস খেলার পর বল হাতে ৪ ওভারে ২৭ রান দিয়ে তিনি নেন ৩ উইকেট। হন ম্যাচসেরাও।

খেলাধুলা

এশিয়া কাপ, নিউজিল্যান্ড সিরিজ ও বিশ্বকাপের মতো টুর্নামেন্ট সামনে। কিন্তু খেলাগুলো ঘনিয়ে এলেও বাংলাদেশ দল আছে একটা অনিশ্চয়তার মধ্যে। কারণ চোটে ভোগা ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল টুর্নামেন্টে থাকবেন কিনা, তা নিয়েই শঙ্কা।

বিসিবি সূত্র জানিয়েছে, আজ ইংল্যান্ডে ডাক্তার দেখানোর কথা রয়েছে তামিমের। সেখানে তার পরীক্ষা-নিরীক্ষার রিপোর্টের ওপর নির্ভর করছে আসন্ন টুর্নামেন্টে খেলা না-খেলা। তবে এখানে সব কিছুর ওপরে তামিমের নিজের সিদ্ধান্তই গুরুত্বপূর্ণ। এটা বিসিবির সিদ্ধান্ত নয় বলেও জানায় সূত্র।

যদি চোটের কারণে তামিম শেষ পর্যন্ত না-ই খেলেন। তা হলে বাংলাদেশ দলকে ওয়ানডেতে নেতৃত্ব দেবেন কে? এ ব্যাপারেও অনেক আলোচনা হচ্ছে।

বাংলাদেশ দলের সাবেক ক্রিকেটার খালেদ মাসুদ পাইলট মনে করছেন, তামিমের অনুপস্থিতিতে সাকিব আল হাসান নেতৃত্বের জন্য সেরা অপশন।

আফগানিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের উদাহরণ টেনে আজ মিরপুরে সংবাদমাধ্যমকে খালেদ মাসুদ বলেন, ‘তামিম যদি চোটের কারণে নেতৃত্ব না দিতে পারে, তা হলে আমার কাছে মনে হয় সর্বোচ্চ ৯০ ভাগ মানুষই বলবে সাকিব আল হাসান অধিনায়কত্ব করুক। আমরা কয়েক দিন আগে আফগানিস্তানের বিপক্ষে দেখলাম, যে সিরিজটা আমরা আশা করছিলাম না যে–ফিফটি-ফিফটিও খেলা হবে, টি-টোয়েন্টিতে সেখানে তার নেতৃত্ব দুটো ম্যাচেই বাংলাদেশ দেখিয়েছে (জয় পেয়েছে)।’

খালেদ মাসুদ মনে করেন, অনেক খেলোয়াড়ের কাছেই সাকিবের গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। এই উইকেটরক্ষক-ব্যাটার বলেন, ‘তার (সাকিবের) নেতৃত্ব এবং তাকে সবাই পছন্দ করে ড্রেসিংরুমে, এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু আমি কাউকেই ছোট করব না, তাদের অনেক সময় আছে। কিন্তু সাকিব যে একটা ব্র্যান্ড, সে যখন আম্পায়ারের সঙ্গে কথা বলবে, ড্রেসিংরুমে থাকবে (একটা প্রভাব থাকবে), নেতৃত্ব খুবই গুরুত্বপূর্ণ…। সাকিব এই জায়গাটা তৈরি করেছে। কোনো সন্দেহ নেই, তামিম যদি কোনো কারণে মিস করে তা হলে সাকিবকে (অধিনায়ক হিসেবে) চিন্তা করা উচিত।’

খেলাধুলা

কোস্টা রিকাকে ৩-০ গোলে বিধ্বস্ত করে নারী বিশ্বকাপে শুভ সুচনা করেছে স্পেন। দুইবারের ব্যালন ডি’অর বিজয়ী অ্যালেক্সিয়া পুটেলাস বদলি হিসেবে শেষদিকে মাঠে নামলেও স্প্যানিশ দাপটের কোনরকম হেরফের হতে দেখা যায়নি আজকের ম্যাচে।

ওয়েলিংটনে অনুষ্ঠিত ‘সি’ গ্রুপের ম্যাচে স্প্যানিশরা প্রমান করেছে কেন তাদেরকে গ্রুপের ফেভারিট দল হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। ম্যাচে তারা প্রতিপক্ষের পোস্ট লক্ষ্য করে অন্তত ৪৬টি শট নিয়েছে। পুরো ম্যাচেই তারা কোস্টা রিকার রক্ষনকে চাপে রেখেছে। বলতে গেলে প্রতিপক্ষ দলটি পুরোটা সময় জুড়ে ব্যস্ত ছিল নিজেদের রক্ষণ সামলানোর কাজে। তারপরও ৩-০ গোলের জয়ে সন্তুস্ট থাকতে হয়েছে স্প্যানিশদের।

চটকদার পাসিংয়ের মাধ্যমে ম্যাচে নিজেদের আধিপত্য ধরে রাখা লা রোজারা প্রথমার্ধের মধ্যভাগেই মাত্র ছয় মিনিটের ব্যবধানে তিন গোল করেছে। অবশ্য কোস্টা রিকার আত্মঘাতি গোলে প্রথমে এগিয়ে যায় স্পেন।

ম্যাচের ২১ মিনিটে ইস্তার গঞ্জালেজের নিচু ক্রসের বল প্রতিহত করতে গিয়ে নিজেদের জালেই জড়িয়ে দেন কোস্টা রিকার ডিফেন্ডার ভ্যালেরিয়া ডেল ক্যাম্পো (১-০)। দুই মিনিট পর ওনা বাতলের যোগান থেকে লক্ষ্যভেদ করে স্পেনকে দ্বিগুন ব্যবধানে পৌঁছে দেন আইতানা বনমতি (২-০)। ২৭ মিনিটে দারুন দক্ষতায় তৃতীয় গোল করেন ইস্তার গঞ্জালেজ (৩-০)।

এদিন অবশ্য মুল একাদশে না থাকলেও ৭৭তম মিনিটে মাঠে নেমেছিলেন স্প্যানিশ সুপার স্টার অ্যালেক্সিয়া পুটেলাস। ফিটনেস ঘাটতির কারণে সেমবার অনুশীলনেও পুরোটা সময় দিতে পারেননি দুই বারের এই বিশ্বসেরা খেতাবধারী।

অবশ্য ম্যাচের শেষ ভাগে বেশ কয়েকটি সুযোগ সৃষ্টি করেছিলেন পুটেলাস। তবে সফল সমাপ্তি টানতে পারেননি। ম্যাচে দারুন ফুটবল শৈলি দেখিয়ে প্লে মেকারের ভুমিকা পালন করেছেন তার বার্সোলানা সতীর্থ আইতানা বনমতি। তিনি দলকে বেশ কয়েকটি সুযোগ তৈরি করে দেয়ার পাশাপাশি নিজেও করেছেন এক গোল।

বিশ্ব মঞ্চে কখনো জয়ের দেখা পায়নি কোস্টা রিকা। আট বছর আগে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পাওয়া দলটি ওই আসরে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই স্পেনের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করেছিল। তবে গ্রুপ পর্ব অতিক্রম করতে পারেনি।

খেলাধুলা

ইমার্জিং এশিয়া কাপের সেমিফাইনালে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ভারত। আগামীকার শুক্রবার কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে ভারতের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। দিবারাত্রির ম্যাচ শুরু হবে বাংলাদেশ সময় বেলা ২টা ৩০ মিনিটে।

দিন আরেক সেমিফাইনালে কলম্বোর পি সারা ওভালে স্বাগতিক শ্রীলংকার প্রতিপক্ষ পাকিস্তান।

এই টুর্নামেন্টে যারা ভালো করেছেন তাদের এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপের জন্য ক্যাম্পে রাখা হবে। নির্বাচক হাবিবুল বাশার ছেলেদের পারফরম্যান্সে খুশি।

তিনি বলেন, যখন যার দরকার পারফর্ম করেছে, কেউ খারাপ করলে অন্যজন পুষিয়ে দিয়েছে। সেমিফাইনালে একটু চাপ থাকেই। ভারত ভালো দল। তারা ভালো খেলছে। আমরাও প্রস্তুত। আশা করি, ভালো একটি ম্যাচ হবে। আমাদের প্রত্যাশা ফাইনাল খেলা।

আফগানিস্তানকে ২১ রানে হারিয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে সাইফ হাসানের দল।

হাবিবুল বাশার বলেন, আফগানিস্তানের সঙ্গে ম্যাচ অবশ্যই সাহস বাড়িয়েছে ছেলেদের। হাইস্কোরিং ম্যাচ ছিল। সবমিলিয়ে টুর্নামেন্টে আমরা ভালো খেলছি। সেমিফাইনালে ভালো খেলতে পারলে সাহস আরও বাড়বে।

খেলাধুলা

নারী ফুটবল বিশ্বকাপের নবম আসর মাঠে নামা আর মাত্র কয়েক ঘণ্টার অপেক্ষা। আজ থেকে শুরু হয়ে টুর্নামেন্টটি চলবে ২০ আগস্ট পর্যন্ত। নিউজল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ায় যৌথ আয়োজনে এবারের বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো অংশ নিচ্ছে ৩২ দেশ। অকল্যান্ডের ইডেন পার্কে নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে নরওয়ের ম্যাচ দিয়ে মাঠে গড়াচ্ছে নারী ফুটবলের সর্বোচ্চ এই আসরটি। বাংলাদেশ সময় দুপুর ১ টায় শুরু হবে ম্যাচটি।

১৯৯১ সালে চীনে অনুষ্ঠিত প্রথম আসরে ১২টি দল অংশ নিয়েছিল। ২০১১ সালে তা বেড়ে হয়েছিল ১৬টি দলে। চার বছর আগে ২০১৯ সালে ফ্রান্সে অনুষ্ঠিত আসরে খেলেছিল ২৪টি দল। এবার তা আরও বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩২টিতে।

এবারের টুর্নামেন্টে ৩২টি দল আটটি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে অংশ নেবে। প্রতিটি দল গ্রুপ পর্বে অন্তত তিনটি ম্যাচ খেলবে। গ্রুপের শীর্ষ আট দল নকআউট পর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করবে। এরপর সিডনিতে ২০ আগস্ট অনুষ্ঠিত হবে ফাইনাল।

নারী ফুটবলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে এবারের বিশ্বকাপকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিচ্ছে ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা। নারী বিশ্বকাপে এত দলের অংশগ্রহণ একটি বিরাট পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়। এবার টানা তৃতীয়বারের মতো শিরোপা জয়ের ফেভারিট হিসেবে মাঠে নামছে যুক্তরাষ্ট্র।

অংশগ্রহণকারী দলগুলো হলো:

গ্রুপ এ : নিউজিল্যান্ড, নরওয়ে, ফিলিপাইন, সুইজারল্যান্ড

গ্রুপ বি : অস্ট্রেলিয়া, আয়ালল্যান্ড, নাইজেরিয়া, কানাডা

গ্রুপ সি : স্পেন, কোস্টা রিকা, জাম্বিয়া, জাপান

গ্রুপ ডি : ডেনমার্ক, ইংল্যান্ড, চায়না, হাইতি

গ্রুপ ই : যুক্তরাষ্ট্র, ভিয়েতনাম, নেদারল্যান্ড, পর্তুগাল

গ্রুপ এফ : ফ্রান্স, জ্যামাইকা, ব্রাজিল, পানামা

গ্রুপ জি : সুইডেন, দক্ষিণ আফ্রিকা, ইতালি, আর্জেন্টিনা

গ্রুপ এইচ : জার্মানি, মরক্কো, কলম্বিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া

খেলাধুলা

ইমার্জিং এশিয়া কাপে ওমানের বিপক্ষে প্রত্যাশিত জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। শনিবার কলম্বোয় নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ওমানকে আট উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ।

এর আগে নিজেদের প্রথম ম্যাচে শ্রীলংকার বিপক্ষে হেরে যায় বাংলাদেশ।

শনিবার তানজিম হাসান সাকিবের তোপের মুখে পড়ে মাত্র ১২৬ রানে গুটিয়ে যায় ওমান। ডান-হাতি পেসার তানজিম হাসান মাত্র ১৮ রান দিয়ে নেন চার উইকেট। দুটি করে উইকেট পান রকিবুল হাসান ও মাহমুদুল হাসান জয়।

টার্গেট তাড়া করতে নেমে তানজিদ হাসানের ৬৮ এবং মোহাম্মদ নাঈমের ৪৭* রানে ২০১ বল বাকি থাকতে জয় পায় বাংলাদেশ।

খেলাধুলা

রোমাঞ্চকর জয় দিয়ে আফগানিস্তানের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু করলো বাংলাদেশ। আজ সিরিজের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ ২ উইকেটে হারিয়েছে আফগানিস্তানকে।

টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে মোহাম্মদ নবির হাফ-সেঞ্চুরিতে ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৫৪ রান করে আফগানিস্তান। ৪০ বলে

অপরাজিত ৫৪ রান করেন নবি। জবাবে শুরুতে চাপে পড়লেও পঞ্চম উইকেটে তাওহিদ হৃদয় ও শামিম হোসেনের ৪৩ বলে ৭৩ রানের জুটিতে জয়ের পথ সহজ করে ফেলে বাংলাদেশ। এক পর্যায়ে শেষ ৫ বলে ২ রান দরকার পড়ে টাইগারদের। কিন্তু শেষ ওভারের হ্যাট্টিক করে ম্যাচে উত্তেজনা তৈরি করেন আফগানিস্তানের পেসার করিম জানাত। শেষ পর্যন্ত ১ বল বাকী থাকতে জয়ের স্বাদ নেয় বাংলাদেশ। এই জয়ে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল সাকিবের দল।

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্বান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।

দ্বিতীয় ওভারেই উইকেট শিকারের আনন্দে মাততে পারতো বাংলাদেশ। পেসার তাসকিন আহমেদের বলে আফগানিস্তানের ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজের কঠিন ক্যাচ তালুবন্দি করতে পারেননি রনি তালুকদার। ১ রানে জীবন পান গুরবাজ।

পরের ওভারে স্পিনার নাসুম আহমেদের প্রথম বলে ছক্কা মারেন আরেক ওপেনার হজরতুল্লাহ জাজাই। পরের ডেলিভারিতে আবারও বড় শট মারতে গিয়ে স্কয়ার লেগে তাওহিদ হৃদয়কে ক্যাচ দেন ৮ রান করা জাজাই।

দ্বিতীয় ওভারে জীবন পেলেও চতুর্থ ওভারে তাসকিনের বলেই আউট হন গুরবাজ। ডিপ স্কয়ার লেগে মিরাজকে ক্যাচ দিয়ে আউট হন ১১ বলে ১৬ রান করা গুরবাজ।

পঞ্চম ওভারে আক্রমনে এসেই উইকেট তুলে নেন ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচের হিরো পেসার শরিফুল ইসলাম। ওভারের তৃতীয় বলে ছক্কা হজম করলেও পরের ডেলিভারিতে তিন নম্বরে নামা ইব্রাহিম জাদরানকে ৮ রানে থামান শরিফুল। পাওয়ার প্লেতে ৩ উইকেটে ৪০ রান তুলতে পারে আফগানিস্তান।

অষ্টম ওভারে প্রথমবারের মত আক্রমনে এসে আফগানিস্তানের উপর চাপ বাড়ান সাকিব। চার নম্বরে নামা করিম জানাতকে ৩ রানে থামিয়ে দেন সাকিব।

পঞ্চম উইকেটে নাজিবুল্লাহ জাদরানকে নিয়ে জুটির চেষ্টা করেন নবি। সাবধানে খেলে বড় জুটি গড়ার চেষ্টা করছিলেন তারা।

কিন্তু এই জুটির পথে বাঁধা হয়ে দাঁড়ান মেহেদি হাসান মিরাজ। উইকেটের পেছনে লিটন দাসের দারুন ক্যাচে আউট হন নাজিবুল্লাহ। ২৩ বলে ৩টি চারে ২৩ রান করেন নাজিবুল্লাহ। ১৪তম ওভারে ৮৭ রানেই ৫ উইকেট হারায় আফগানিস্তান।

রানের গতি কম থাকায় ষষ্ঠ উইকেটে মারমুখী হয়ে উঠেন নবি ও আজমতুল্লাহ ওমরজাই। তাসকিন-মুস্তাফিজ ও সাকিবের করা ১৭ থেকে ১৯তম ওভারের প্রত্যকটিতে ১৪ রান করে তুলেন নবি ও ওমারজাই। এসময় ৫টি ছক্কা ও ১টি চার মারেন তারা।

সাকিবের করা ১৯তম ওভারের প্রথম দুই বলে ছক্কা মারার পর শেষ ডেলিভারিতে তাসকিনের দারুন ক্যাচে বিদায় নেন ওমরজাই। ৪টি ছক্কায় ১৮ বলে ৩৩ রান করেন তিনি।

২০তম ওভারে মুস্তাফিজের তৃতীয় ডেলিভারিতে বাউন্ডারি দিয়ে ১০৮তম টি-টোয়েন্টিতে ৩৯ বল খেলে পঞ্চম হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন নবি। ঐ ওভারের পঞ্চম বলে নাজমুল হোসেন শান্তর দারুন ক্যাচে ৩ রানে আউট হন আফগান অধিনায়ক রশিদ খান। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৫৪ রান করে আফগানিস্তান। ৬টি চার ও ১টি ছক্কায় ৪০ বলে অপরাজিত ৫৪ রান করেন নবি। বাংলাদেশের সাকিব ২৭ রানে ২টি, নাসুম-তাসকিন-শরিফুল-মুস্তাফিজ ও মিরাজ ১টি করে উইকেট নেন।

১৫৫ রানের টার্গেটে প্রথম ওভারেই উইকেট হারায় বাংলাদেশ। আফগানিস্তান পেসার ফজলহক ফারুকির বলে বোল্ড হন ওপেনার রনি তালুকদার। দ্বিতীয় উইকেটে নাজমুল হোসেন শান্তকে নিয়ে রানের চাকা ঘুড়াতে শুরু করেন আরেক ওপেনার লিটন দাস। ৫ ওভার শেষে ৩০ রান পেয়ে যায় বাংলাদেশ।

পাওয়ার প্লে’র শেষ ওভারের প্রথম বলে লিটন-শান্তর জুটি ভাঙ্গেন আফগান স্পিনার মুজিব। সুইপ করতে গিয়ে মিস টাইমিং করলে বল শান্তর বাঁ-হাতে কনুইতে লেগে স্টাম্পে আঘাত হানে। ১টি ছক্কায় ১২ বলে ১৪ রান করেন শান্ত।

পরের ওভারে ওমরজাইর বলে উইকেট ছেড়ে খেলে পুল শটে আকাশে বল তুলে রশিদকে ক্যাচ দেন লিটন। ২টি চারে ১৯ বলে ১৮ রান করে লিটন আউট হলে দলীয় ৩৯ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ।

এ অবস্থায় জুটি বাঁধেন অধিনায়ক সাকিব ও তাওহিদ হৃদয়। জুটির শুরুতে বৃষ্টিতে কিছুক্ষণ খেলা বন্ধ থাকে। খেলার শুরুর পর ব্যাট হাতে চড়াও হবার চেষ্টা করেন সাকিব। দুই ওভার মিলিয়ে ৩টি চারও মারেন তিনি। কিন্তু ১১তম ওভারে পেসার ফরিদের প্রথম বলে ডিপ পয়েন্টে করিমকে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন ৩টি চারে ১৯ রান করা সাকিব।

৬৪ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ। নতুন ব্যাটার শামিম হোসেনকে নিয়ে পাল্টা আক্রমন করেন হৃদয়।

ওমরজাইর করা ১৩তম ওভারে ২১ রান তুলেন হৃদয়-শামিম। ঐ ওভারেই তিন অংকে পা রাখে বাংলাদেশ। ১৬তম ওভারে মুজিবের বলে নাজিবুল্লাহর হাতে ব্যক্তিগত ২৪ রানে জীবন পান শামিম।

ফারুকির করা ১৭তম ওভারে ১৬ রান তুলে টাইগারদের জয়ের পথে নিয়ে আসেন হৃদয়-শামিম জুটি। শেষ ৩ ওভারে ১৯ রানের সমীকরণে নামিয়ে আনেন তারা।

১৮তম ওভারে শামিমকে শিকার করে আফগানিস্তানকে ব্রেক-থ্রু এনে দেন রশিদ। ৪টি চারে ২৫ বলে ৩৩ রান করেন শামিম। জুটিতে ৪৩ বলে ৭৩ রান যোগ করেন হৃদয় ও শামিম।

শামিম যখন ফিরেন তখন জয় থেকে ১৮ রান দূরে বাংলাদেশ। ষষ্ঠ উইকেটে ১২ বলে ১৬ রান তুলে ম্যাচ হাতে মুঠোয় আনেন হৃদয় ও মিরাজ। শেষ ওভারে ৬ রানের প্রয়োজনে প্রথম বলে চার মারেন মিরাজ। জয়ের সমীকরন ২ রানে নেমে আসে। পরের তিন বলে মিরাজ-তাসকিন ও নাসুমকে শিকার করে হ্যাট্টিক করেন করেন জানাত। টি-টোয়েন্টি ৫০তম হ্যাট্টিক এটি।

পঞ্চম ডেলিভারিতে চার মেরে বাংলাদেশকে জয়ের স্বাদ দেন শরিফুল। ৩টি চার ও ২টি ছক্কায় ৩২ বলে ৪৭ রানে অপরাজিত থাকেন ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হওয়া হৃদয়। ৪ রানে অপরাজিত থাকেন শরিফুল। ৬ বলে ৮ রান করেন মিরাজ। আফগানিস্তানের জানাত ১৫ রানে ৩ উইকেট নেন।

আগামী ১৬ জুুলাই সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান।

স্কোর কার্ড :

আফগানিস্তান ইনিংস :

জাজাই ক হৃদয় ব নাসুম ৮
গুরবাজ ক মিরাজ ব তাসকিন ১৬
ইব্রাহিম ক লিটন ব শরিফুল ৮
জানাত ক শান্ত ব সাকিব ৩
নবি অপরাজিত ৫৪
নাজিবুল্লাহ ক লিটন ব মিরাজ ২৩
ওমারজাই ক তাসকিন ব সাকিব ৩৩
রশিদ ক শান্ত ব মুস্তাফিজ ৩
মুজিব অপরাজিত ০
অতিরিক্ত (বা-২, লে বা-২, ও-২) ৬
মোট (৭ উইকেট, ২০ ওভার) ১৫৪
উইকেট পতন : ১/১৬ (জাজাই), ২/২৬ (গুরবাজ), ৩/৩২ (ইব্রাহিম), ৪/৫২ (জানাত), ৫/৮৭ (নাজিবুল্লাহ), ৬/১৪৩ (ওমারজাই), ৭/১৫২ (রশিদ)।

বাংলাদেশ বোলিং :

নাসুম : ৩-০-২০-১,
তাসকিন : ৪-০-২৯-১,
শরিফুল : ৩-০-৩০-১ (ও-১),
সাকিব : ৪-০-২৭-২,
মুস্তাফিজ : ৪-০-৩১-১ (ও-১),
মিরাজ : ২-০-১৩-১।

বাংলাদেশ ইনিংস :

লিটন দাস ক রশিদ ব ওমারজাই ১৮
রনি বোল্ড ফারুকি ৪
নাজমুল হোসেন বোল্ড ব মুজিব ১৪
সাকিব ক করিম ব ফরিদ ১৯
তাওহিদ হৃদয় অপরাজিত ৪৭
শামিম হোসেন ক গুরবাজ ব রশিদ ৩৩
মিরাজ ক নবি ব জানাত ৮
তাসকিন ক গুরবাজ ব জানাত ০
নাসুম ক ফরিদ ব জানাত ০
শরিফুল অপরাজিত ৪
অতিরিক্ত (লে বা-১, ও-৯) ১০
মোট (৮ উইকেট, ১৯.৫ ওভার) ১৫৭
উইকেট পতন : ১/৫ (রনি), ২/৩০ (শান্ত), ৩/৩৯ (লিটন), ৪/৬৪ (সাকিব), ৫/১৩৭ (শামিম), ৬/১৫৩ (মিরাজ) ৭/১৫৩ (তাসকিন) ৮/১৫৩ (নাসুম)।

আফগানিস্তান বোলিং :

ফারুকি : ৪-০-৩৬-১ (ও-১),
মুজিব : ৪-০-২২-১ (ও-১),
ওমারজাই : ৩-০-৩৪-১ (ও-২),
রশিদ : ৪-০-২৪-১,
ফরিদ : ২-০-১৭-১,
নবি : ১-০-৮-০,
করিম : ১.৫-০-১৫-৩ (ও-১)।

ফল : বাংলাদেশ ২ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচ সেরা: তাওহিদ হৃদয়(বাংলাদেশ)।
সিরিজ : দুই ম্যাচের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ।