জাতীয়

আগের বছর দেশ হিসেবে বায়ুদূষণে বাংলাদেশ ছিল শীর্ষে। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের ‘বৈশ্বিক বায়ু মান প্রতিবেদন ২০২৩’–এ এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

বায়ুদূষণের অন্যতম উপাদান পিএম ২.৫ বা অতিক্ষুদ্র বস্তুকণার উপাদান ধরেই বায়ুর মান নির্ণয় করা হয়েছে এ প্রতিবেদনে। সেখানে দেখা গেছে, ২০২৩ সালে বাংলাদেশের প্রতি ঘনমিটার বায়ুতে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণার (পিএম ২.৫) উপস্থিতি ছিল ৭৯ দশমিক ৯ মাইক্রোগ্রাম, যা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) বেঁধে দেওয়া মানদণ্ডের চেয়ে অন্তত ১৫ গুণ বেশি।

বৈশ্বিক বায়ু মানের ষষ্ঠ বার্ষিক এ প্রতিবেদনে বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত দেশ, অঞ্চল এবং অঞ্চলগুলোর সমস্যা তুলে ধরা হয়েছে। প্রতিবেদনটি তৈরিতে ১৩৪টি দেশ, অঞ্চলের সাত হাজার ৮১২টি স্থানের ৩০ হাজারেরও বেশি পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের তথ্য বিশ্লেষণ করেছেন বিজ্ঞানীরা।

বায়ুদূষণে বাংলাদেশের পরই ছিল পাকিস্তানের অবস্থান। দেশটিতে প্রতি ঘনমিটার বায়ুতে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণার (পিএম ২.৫) উপস্থিতি ছিল ৭৩ দশমিক ৭ মাইক্রোগ্রাম, যা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) বেঁধে দেওয়া মানদণ্ডের চেয়ে অন্তত ১৪ গুণ বেশি। এরপর যথাক্রমে তাজিকিস্তান ও বুরকিনা ফাসোর অবস্থান।

২০২৩ সালে সবচেয়ে দূষিত আঞ্চলিক রাজধানী শহরের তালিকায় শীর্ষে ছিল নয়াদিল্লি। সেখানে প্রতি ঘনমিটার বায়ুতে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণার (পিএম ২.৫) উপস্থিতি ছিল ৯২ দশমিক ৭ মাইক্রোগ্রাম। এরপরই ঢাকার অবস্থান। ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণার (পিএম ২.৫) উপস্থিতি ছিল ৮০ দশমিক ২ মাইক্রোগ্রাম।

১২৪টি দেশ ও অঞ্চলের মধ্যে মোট ১২৪টিই (৯২ দশমিক ৫) ডব্লিউএইচওর বেঁধে দেওয়া মানদণ্ড অতিক্রম করেছে বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৩ সালে উত্তর ভারতের বিহার রাজ্যের পাঁচ লাখ লোকের শহর বেগুসরাই ছিল বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহর। এ শহরে প্রতি ঘনমিটার বায়ুতে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণার (পিএম ২.৫) উপস্থিতি ছিল ১১৮ দশমিক ৯ শতাংশ, ডব্লিউএইচও) বেঁধে দেওয়া মানদণ্ডের চেয়ে অন্তত ২৩ গুণ বেশি। এরপর রয়েছে আসামের গুয়াহাটি, দিল্লি ও পাঞ্জাবের মুল্লানপুর।

২০২২ সালে বাংলাদেশ বিশ্বের দূষিত বাতাসের দেশের তালিকায় পঞ্চম অবস্থানে ছিল। আর বাতাসে পিএম ২.৫–এর উপস্থিতি ছিল ৬৫ দশমিক ৮।

জাতীয়

সড়ক-মহাসড়কে লক্কর-ঝক্কর বাস, পণ্যবাহি গাড়িতে যাত্রী চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে। এ ধরনের যানবাহন রাস্তায় দেখামাত্র কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সতর্ক করেছেন হাইওয়ে পুলিশ প্রধান শাহাবুদ্দিন খান।

মঙ্গলবার রাজধানীর রাজারবাগে ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে পরিবহণ মালিক শ্রমিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ হুঁশিয়ার দেন। হাইওয়ে পুলিশের ডিআইজি (অপারেশনস) শ্যামল কুমার মুখার্জীর সঞ্চালনায় এতে সড়ক পরিবহণের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব সংস্থা অংশ নেয়।

সভায় গুরুত্বপূর্ণ ৫টি মহাসড়ক ও আঞ্চলিক সড়কে কোথায়, কেমন যানজট ও দুর্ঘটনার ঝুঁকি রয়েছে, তা তুলে ধরেন যাত্রী কল্যাণ সংশ্লিষ্টরা। নিরাপদ সড়ক চাইয়ের চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, ‘ছোট গাড়িগুলো হাইওয়েতে চলে আসা একটা বড় সমস্যা। এটাই যানজট ও দুর্ঘটনার প্রধান কারণ।’ এদিকে ঈদ যাত্রায় ফিটনেসবিহীন গাড়ি যাতে চলতে না পারে, সে বিষয়ে আশ্বস্ত করেছে পরিবহণ মালিক সমিতি। তারা জানায়, নেওয়া হবে না বাড়তি ভাড়া। পরিবহণ মালিক সমিতির সভাপতি মশিউর রহমান রাঙা বলেন, ‘আমি জানি। আমি একেবারেই ওয়াকিবহাল। কোনো কোনো জায়গায় নেওয়া হয়। যাতে না নেওয়া হয় সে ব্যবস্থাই আমরা করব এবার।’

হাইওয়ে পুলিশপ্রধান বলেন, বডি ওর্ন ক্যামেরা ছাড়া হাইওয়ে পুলিশের কোনো সদস্য মহাসড়কে ডিউটি করতে পারবে না। তিনি বলেন, পণ্য পরিবহণে মালিক-শ্রমিক পক্ষ যেন কোনোভাবেই হয়রানির শিকার না হয়, এ বিষয়ে সবাইকে সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে।

সভায় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ শ্রমিক ফেডারেশনের সহ-সভাপতি মো. তাজুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলী, বাংলাদেশ ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান মালিক সমিতির পরিচালক এফবিসিসিআই কার্যকরী সভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ বখতিয়ার যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

জাতীয়

ভোজ্যতেল, আটা-ময়দা, পেঁয়াজ ও রসুনসহ ১০ পণ্যের দাম কমেছে। এক মাসের ব্যবধানে পণ্যমূল্য হ্রাসে ভোক্তারা কিছুটা স্বস্তিও পাচ্ছেন। তবে রমজানে অধিক ব্যবহৃত ছোলা, বেসন, খেজুর, সব ধরনের মাংস ও ফল এখনো বাড়তি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারসংশ্লিষ্টরা বলছেন, কিছু পণ্যের দাম কমলেও একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী দুই মাস আগে থেকে এসব পণ্য বাড়তি দামে বিক্রি করে আসছিল। এখন দাম কমিয়ে সরকারসংশ্লিষ্টরা ক্রেডিট নিচ্ছে। মঙ্গলবার সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

রাজধানীর খুচরা বাজার ঘুরে জানা যায়, এদিন প্রতিকেজি প্যাকেট আটা ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা এক মাস আগে ৬৫ টাকা ছিল। খোলা ময়দা বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকা, যা আগে ৭০ টাকা ছিল। প্রতিলিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৬৩-১৬৫ টাকায়। যা আগে ১৭৩-১৭৫ টাকা ছিল। প্রতিকেজি মুগডাল বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকায়। যা আগে ১৮০ টাকা ছিল। প্রতিকেজি দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৫০-১৮০ টাকায়, যা এক মাস আগে ২৫০ টাকা ছিল। প্রতিকেজি হলুদ ২৫০-২৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা আগে ৩০০-৩৫০ টাকা ছিল। প্রতিকেজি জিরা বিক্রি হচ্ছে ৯০০ টাকায়। যা আগে ৯৫০-১০০০ টাকা ছিল। রুই মাছের কেজি ৩৫০ টাকা, যা ৪৫০ টাকা ছিল।

এদিকে ভারত থেকে আমদানির খবরে অবৈধভাবে মজুত পেঁয়াজ বাজারে ছাড়তে শুরু করেছে একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ীরা। খুচরা বাজারে প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫৫-৭০ টাকায়। যা এক মাস আগে ১২০ টাকা ছিল।

কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, সরকারের একাধিক তদারকি সংস্থা বাজারে কাজ করছে। এতে করে কিছু পণ্যের দাম রোজায় কমাতে শুরু করেছে। তবে দেখা গেছে, যেসব পণ্যের দাম কমছে-তা রোজার আগেই দাম বাড়ানো হয়েছিল। তখন বেশি দামে বিক্রি করে বাড়তি মুনাফা করে এখন দাম কমানো হচ্ছে। এছাড়া বাজারে এখনো অনেক পণ্য অযৌক্তিক দামে বিক্রি হচ্ছে। তদারকির মাধ্যমে সেগুলোর দামও নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। এতে ক্রেতার স্বস্তি ফিরবে।

খুচরা বাজারের বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বাজারে মান ও দামভেদে সাদা মুড়ি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। যা রোজার আগে ৭০ টাকা ছিল। মান ও বাজারভেদে প্রতিকেজি বেসন বিক্রি হচ্ছে ৭০-১০০ টাকায়। যা আগে ৬০-৮০ টাকায় বিক্রি হতো। এছাড়া ইফতারে শরবত তৈরিতে ব্যবহৃত ইসবগুলের ভুসি, ট্যাং, রুহ-আফজা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। প্রতিকেজি ইসবগুলের ভুসি রোজার আগে ১ হাজার ৬০০ টাকা বিক্রি হলেও এখন ২ হাজার ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতিকেজি প্যাকেটজাত ট্যাং বিক্রি হয়েছে ৮৫০ টাকা, যা আগে ছিল ৮০০ টাকা। বড় সাইজের রুহ-আফজা বিক্রি হচ্ছে ৫০০-৫৫০ টাকায়। যা আগে ৩৫০ টাকা ছিল। ছোট সাইজের রুহ-আফজা বিক্রি হচ্ছে ২৮০-৩০০ টাকায়। যা আগে ২০০ টাকা ছিল। সোমবার প্রতিলিটার খোলা সরিষার তেল বিক্রি হয়েছে ২৬০-২৭০ টাকায়। যা আগে ২৫০-২৬০ টাকা ছিল।

খুচরা বাজারে প্রতিকেজি লাল আপেল ৩২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা আগে ২৬০-২৭০ টাকা ছিল। কমলা বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ টাকা কেজি। যা আগে ২৮০-৩০০ টাকা ছিল। প্রতিকেজি আনার বিক্রি হচ্ছে ৩৬০ টাকা। যা আগে ৩১০ টাকা ছিল। প্রতিকেজি বরই বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা। যা আগে ৭০-৮০ টাকা ছিল। পেয়ারার কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা। যা আগে ৬০-৭০ টাকা ছিল।

এদিকে কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের নতুন নির্ধারিত মূল্য অনুযায়ী খুচরা পর্যায়ে গরুর মাংস কেজিতে সর্বোচ্চ ৬৬৪ টাকা ৩৯ পয়সা এবং খাসির মাংস ১০০৩ টাকা ৫৬ পয়সায় বিক্রি করতে হবে। কিন্তু খুচরা বাজারে প্রতিকেজি গরুর মাংস ৭৫০-৭৮০ ও খাসির মাংস ১১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে রাজধানীর দু-একটি দোকানে ৫৯৫ টাকা কেজিদরে গরুর মাংস বিক্রি করা হচ্ছে। তবে গরুর সব স্থানের হাড় ও মাংস মিলিয়ে বিক্রেতারা বিক্রি করছেন। তাই ক্রেতার লাভের তুলনায় লোকসানই গুনতে হচ্ছে। এছাড়া ব্রয়লার মুরগির কেজি ১৭৫ টাকা ৩০ পয়সা ও সোনালি মুরগি ২৬২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ২৩০ ও ৩৫০ টাকা। দেশি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫৫০-৬০০ টাকা।

জাতীয়

পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা ইহসানুল করিম হেলালের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। আজ বাদ জোহর বনানী কবরস্থানে তৃতীয় নামাজে জানাজা শেষে তাকে দাফন করা হয়।

এর আগে সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে ঢাকা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধা ইহসানুল করিমকে রাষ্ট্রীয় সম্মান গার্ড অব অনার জানানো হয়। পরে সেখানে নামাজে জানাজা শেষে তার দীর্ঘদিনের সহকর্মী সাংবাদিকরা ফুল দিয়ে তার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানান। এ সময় জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতিসহ বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং পরিবারের সদস্যরা সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন।

রোববার সন্ধ্যা ৮টার দিকে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। বেশ কিছুদিন ধরে তিনি অসুস্থ ছিলেন।

ইহসানুল করিম বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক এবং রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তার বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর। তিনি ১৯৪৯ সালে কুষ্টিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি স্ত্রী, এক মেয়ে ও এক ছেলেসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন, সহকর্মী ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

শিক্ষাজীবনে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি সাংবাদিকতায় ¯œাতকোত্তর ডিপ্লোমা ডিগ্রী লাভ করেন। ১৯৭১ সালে তিনি বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে মুক্তি বাহিনীর হয়ে পশ্চিম রণাঙ্গনে যুদ্ধে অংশ নেন।

ইহসানুল করিম ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থায় (বাসস) নিজস্ব প্রতিবেদক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। তিনি সংবাদ সংস্থার বিভিন্ন পদে কর্মরত ছিলেন। ১৯৯৭ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত তিনি ভারতের নয়া দিল্লিতে বাসস’র ব্যুরো প্রধানের দায়িত্ব পালন করেন। বাসসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক হিসেবে চার বছর দায়িত্ব পালনের পর তিনি ২০১৩ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি অবসর গ্রহণ করেন।

তিনি বাসস থেকে অবসর গ্রহণের পর, একই বছরের ২০ মে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের প্রেস সচিব হিসেবে নিয়োগ পান এবং ২০১৫ সালের জুন পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৫ সালের ১৫ জুন তাকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রেস সচিব হিসেবে প্রথমে এক বছরের জন্য নিয়োগ প্রদান করা হয়। পরবর্তীতে তার চুক্তির মেয়াদ দুই বার-তিন বছর করে বৃদ্ধি করা হয়।

জাতীয়

বাংলাদেশের আকাশে পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখা গেছে। ফলে আজ মঙ্গলবার থেকে রমজান মাস গণনা শুরু হবে।

১১ মার্চ সন্ধ্যায় জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভা শেষে এ কথা জানান ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খান।

সে হিসেবে আজ রাতেই এশার নামাজের পর ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা তারাবির নামাজ আদায় শুরু করবেন এবং শেষরাতে সাহরি খাবেন।

এর আগে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে বৈঠক করে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি।

এতে সভাপতিত্ব করেন ধর্মবিষয়ক মন্ত্রী ও কমিটির সভাপতি মো. ফরিদুল হক খান।

সভায় ১৪৪৫ হিজরি সনের পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখা সম্পর্কে সব জেলা প্রশাসন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয়, বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর এবং মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠান থেকে পাওয়া তথ্য পর্যালোচনা করে চাঁদ দেখার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।

সভা শেষে ঘোষণা দেয়া হয়, শাবান মাস শেষ হচ্ছে আজ। সে অনুযায়ী দেশে সোমবার তারাবি এবং মঙ্গলবার রোজা শুরু হবে।

জাতীয়

ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) একাংশের নির্বাচনে সভাপতি পদে সমান ৮১২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন সোহেল হায়দার চৌধুরী ও সাজ্জাদ আলম তপু।

দুজন সমান ভোট পাওয়ায় নির্বাচন কমিশন দুই বছরের কমিটি পরিচালনার জন্য টসের উদ্যোগ নেয়। টস অনুযায়ী প্রথম বছর দায়িত্ব পালন করবেন সোহেল হায়দার চৌধুরী ও পরের বছর দায়িত্ব পালন করবেন সাজ্জাদ আলম খান তপু।

নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করা ফরিদ হোসেন সোমবার রাতে এ ফল ঘোষণা করেন। সকাল ৯টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে বিরতিহীনভাবে চলে বিকাল ৫টা পর্যন্ত।

সাধারণ সম্পাদক পদে আকতার হোসেন ৬৩৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এ জিহাদুর রহমান জিহাদ পেয়েছেন ৫৯২ ভোট। এ ছাড়া সাংগঠনিক সম্পাদক পদে গোলাম মুজতবা ধ্রুব সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৯৪৭ ভোট।

অন্য পদে বিজয়ীরা হলেন- সিনিয়র সহ-সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠু, সহ-সভাপতি ইব্রাহিম খলিল খোকন, যুগ্ম সম্পাদক মো. শাহজাহান মিঞা, কোষাধ্যক্ষ সোহেলী চৌধুরী, আইনবিষয়ক সম্পাদকে আসাদুর রহমান, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মুহাম্মদ মামুন শেখ, দপ্তর সম্পাদক জান্নাতুল ফেরদৌস চৌধুরী, কল্যাণ সম্পাদক শাহজাহান স্বপন, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক দুলাল খান, নারী বিষয়ক সম্পাদক সুমি খান।

নির্বাহী পরিষদ সদস্য পদে বিজয়ীরা হলেন- জি এম মাসুদ ঢালী, নাসরিন বেগম গীতি, এ এম শাহজাহান মিয়া, আনোয়ার সাদাত সবুজ, সাজেদা হক, আহমেদ মুশফিকা নাজনীন, রারজানা সুলতানা ও অনজন রহমান।

জাতীয়

দাগী অপরাধী, অ-বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গাদের অবৈধভাবে জন্ম সনদ, জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) ও পাসপোর্ট বানিয়ে দেওয়া একটি চক্রের ২৩ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) কে. এন. রায় নিয়তি জানান, অপরাধী, অ-বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গাদের অবৈধভাবে জন্ম সনদ, জাতীয় পরিচয়পত্র ও পাসপোর্ট বানিয়ে দেওয়া একটি চক্র শনাক্ত করেছে ডিবি।

বিপুল পরিমাণ ডকুমেন্টস, আনসার সদস্য, রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ ও দালালসহ এ চক্রের ২৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে বলেও জানান তিনি।

জাতীয়

মহিমান্বিত রাত লাইলাতুল বরাত সারা দেশে যথাযোগ্য ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পালিত হচ্ছে। প্রতিটি মসজিদ দৃষ্টিনন্দন আলোকসজ্জায় সাজানো হয়েছে।

এশার নামাজে ছিল মুসল্লিদের উপচে পড়া ভিড়। বাবা, চাচা, মামার সঙ্গে জামাতে নামাজ আদায় করতে আসে ছোটরাও।

তাদের কেউ কেউ নিয়ে আসে নিজের জায়নামাজও। বড় বড় মসজিদ, মাজার, দরগা, খানকাহকে ঘিরে বসেছে আতর, টুপি, মেসওয়াক, তসবিহ, পাঞ্জাবি, নামাজ শিক্ষা, দোয়া দরুদসহ ইসলামি বই, আগরবাতি, মুখরোচক খাবার, চা, পিঠা, খেজুর ও শরবতের স্টল।

কিছু মসজিদে বাড়তি মুসল্লিদের নামাজ আদায়ের সুবিধার্থে মসজিদের ছাদ, বারান্দা ও সড়কের একপাশে জায়গা করে দেওয়া হয়েছে। এশার নামাজের পর মসজিদে মসজিদে ছিল পবিত্র শবে বরাতের তাৎপর্য ও ফজিলত নিয়ে আলোচনা। এরপর মিলাদ মাহফিল, দরুদ, জিকির, কিয়াম, দেশ ও জাতির সমৃদ্ধি কামনায় মোনাজাত।

সরেজমিন ফটিকছড়ি, হাটহাজারী ও নগরের বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা গেছে, সড়কের দুই পাশের বেশিরভাগ মসজিদ সাজানো হয়েছে বর্ণিল বাতি দিয়ে। বেশি মানুষ যাতে মাগরিব ও এশার জামাতে অংশ নিতে পারেন তার জন্য বাড়তি ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। হাটহাজারীর হজরত শেরে বাংলা (র.) মাজার ও মসজিদের আলোকসজ্জা অনেক দূর থেকে দৃষ্টি আকর্ষণ করছিল পথচারীদের। চশমা হিলের মসজিদের দৃষ্টিনন্দন সাজও দূর থেকে নজর কাড়ছিল নগরবাসীর। আলোকসজ্জা করা হয়েছে  বিশ্ব মসজিদ খ্যাত দামপাড়ার জমিয়তুল ফালাহ মসজিদেও। এ মসজিদের উত্তর-পশ্চিম পাশের সড়ক ও ফুটপাতে অর্ধশতাধিক অস্থায়ী স্টল বসেছে।

শবে বরাতকে ঘিরে বিকেল থেকে চাঙা হয়ে ওঠে ইফতারির দোকানগুলো। সারা দিন যারা নফল রোজা রেখেছিলেন তাদের জন্য ইফতার কিনছিলেন স্বজনরা। চট্টগ্রামের রেওয়াজ হিসেবে, অনেকে আত্মীয় স্বজন, পাড়া প্রতিবেশী বিশেষ করে মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে শবে বরাত উপলক্ষে হালুয়া রুটি, মাংস, পরোটা, উন্নতমানের খাবার বিলি করেছেন। এর জন্য কয়েকদিন ধরে বাজার সওদা করেছেন তারা। তাই চাঙা ছিল মুরগি, গরু, ছাগল, মহিষের মাংসের বাজারও। সওয়াবের আশায় অনেকে গরিব, মিসকিনদের দান-সদকা দিতে দেখা গেছে। নামাজ ও মোনাজাতের পর মুসল্লিরা ছুটে যান স্বজনদের কবর জেয়ারতে। অনেকে বিভিন্ন আউলিয়ার মাজার জেয়ারত করেন এ সময়।

জমিয়তুল ফালাহ মসজিদে নামাজ শেষে চৈতন্য গলি বাইশ মহল্লা কবরস্থানে যাচ্ছিলেন রহমত উল্লাহ। তিনি বলেন, ছোট বেলা থেকে দেখে আসছি শবে বরাতে বাবা-মা, মুরুব্বিরা সারা রাত নফল এবাদত করতেন, স্বজনদের কবর জেয়ারত করতেন, কোরআন তেলাওয়াত করতেন। গরিব ও স্বজনদের খাওয়াতেন। এখন বাবা-মা কবরের বাসিন্দা। জেয়ারতের জন্য ছেলেকে নিয়ে কবরস্থানে যাচ্ছি। এ রাত গুনাহ মাফ চাওয়ার রাত। এ রাত ভাগ্য বণ্টনের রাত। এ রাত ভালো কাজ করার রাত।

জাতীয়
দ্বাদশ জাতীয় সংসদের ৫০টি সংরক্ষিত মহিলা আসনের মধ্যে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ পাচ্ছে ৪৮টি। এসব আসনে দলটির মনোনয়ন পেতে ফরম কিনেছেন ১ হাজার ৫৪৯ জন। এতে প্রতিটি আসনের বিপরীতে মনোনয়নপ্রত্যাশীর সংখ্যা দাঁড়ায় ৩২ জনে।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনে আওয়ামী লীগের ৪৮ জন প্রার্থীকে চূড়ান্ত করা হয়েছে। আগামী রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা নির্বাচন কমিশনের রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে জমা দেবে দলটি। বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এ তথ্য জানিয়েছেন।

এদিন সংসদের সংরক্ষিত আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সঙ্গে দলটির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মতবিনিময় করেন। পরে তাঁর সভাপতিত্বে গণভবনে দলটির সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভায় প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়।
সভা শেষে ওবায়দুল কাদের জানান, সংরক্ষিত নারী আসনে ১ হাজার ৫৫৩ জনের মনোনয়ন ফরম যাচাই-বাছাই শেষে ৪৮ জনকে বেছে নিতে হয়েছে। দলের সভাপতি শেখ হাসিনার অনুমতি ও সর্বসম্মতিক্রমে ৪৮টি আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীর নাম প্রকাশ করছি।

তালিকা অনুযায়ী, রেজিয়া ইসলাম (পঞ্চগড়), দ্রোপদী দেবি আগরওয়াল (ঠাকুরগাঁও), আশিকা সুলতানা (নীলফামারী), আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য সম্পাদক রোকেয়া সুলতানা (জয়পুরহাট), কোহেলী কুদ্দুস মুক্তি (নাটোর), জারা জেবিন মাহবুব (চাপাইনবাবগঞ্জ), রুনু রেজা (খুলনা), ফরিদা আক্তার বানু (বাগেরহাট), ফরজানা সুমি (বরগুনা), খালেদা বাহার বিউটি (ভোলা), নাজনীন নাহার রশীদ (পটুয়াখালী) ফরিদা ইয়াসমিন (নরসিংদী), উম্মি ফারজানা ছাত্তার (ময়মনসিংহ), নাদিয়া বিনতে আমিন (নেত্রকোনা), মাহফুজা সুলতানা মলি (জয়পুরহাট), আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য পারভীন জামান কল্পনা (ঝিনাইদহ), আরমা দত্ত (কুমিল্লা), লায়লা পারভীন (সাতক্ষীরা), সদ্য সাবেক শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুন্নুজান সুফিয়ান (খুলনা), বেদৌড়া আহমেদ সালাম (গোপালগঞ্জ), শবনম জাহান (ঢাকা), পারুল আক্তার (ঢাকা), সাবেরা বেগম (ঢাকা), আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক সম্পাদক শাম্মী আহমেদ (বরিশাল), নাহিদ ইজাহার খান (ঢাকা), ঝর্ণা হাসান (ফরিদপুর), সদ্য সাবেক মহিলা ও শিশু প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেছা (মুন্সীগঞ্জ), শাহেদা তারেখ দীপ্তি (ঢাকা), অনিমা মুক্তি গোমেজ (ঢাকা), শেখ আনার কলি পুতুল (ঢাকা), মাসুদা সিদ্দিক রোজি (নরসিংদী), আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য তারানা হালিম (টাঙ্গাইল), আওয়ামী লীগের শিক্ষা সম্পাদক শামসুন নাহার (টাঙ্গাইল), মেহের আফরোজ চুমকি (গাজীপুর), অপরাজিতা হক (টাঙ্গাইল), হাছিনা বারী চৌধুরী (ঢাকা), নাজমা আক্তার (গোপালগঞ্জ), রুমা চক্রবর্তী (সিলেট), আওয়ামী লীগের কৃষি সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী (লক্ষ্মীপুর), আশ্রাফুননেছা (লক্ষ্মীপুর), কানন আরা বেগম (নোয়াখালী), শামীমা হারুন লুবনা (চট্টগ্রাম), ফরিদা খানম (নোয়াখালী), দিলোয়ারা ইউসুফ (চট্টগ্রাম), আওয়ামী লীগের অর্থ সম্পাদক ওয়াসিকা আয়শা খান (চট্টগ্রাম), ডরথি তঞ্চঙ্গা (রাঙামাটি), আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য সানজিদা খানম (ঢাকা), নাছিমা জামান ববি (রংপুর)। এদের মধ্যে কানন আরা বেগমকে নাম ১৪ দলীয় জোটের শরিক দলের বিবেচনায় মনোনীত করা হয়।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের ৫০টি সংরক্ষিত মহিলা আসনের মধ্যে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ পাচ্ছে ৪৮টি। এসব আসনে দলটির মনোনয়ন পেতে ফরম কিনেছেন ১ হাজার ৫৪৯ জন। এতে প্রতিটি আসনের বিপরীতে মনোনয়নপ্রত্যাশীর সংখ্যা দাঁড়ায় ৩২ জনে।

গত ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে সংরক্ষিত মহিলা আসনে দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু করে আওয়ামী লীগ, যা শেষ হয়েছে বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৪টায়। পরে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জানান, সংসদের সংরক্ষিত মহিলা আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম বিক্রি করে দলের আয় হয়েছে ৭ কোটি ৭৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা।

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, দ্বাদশ সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনের নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার তারিখ আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি রবিবার সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। মনোনয়নপত্র বাছাই করা হবে ১৯ ও ২০ ফেব্রুয়ারি। আপিল দায়ের ২২ ফেব্রুয়ারি এবং আপিল নিষ্পত্তি হবে ২৪ ফেব্রুয়ারি। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২৫ ফেব্রুয়ারি, প্রতীক বরাদ্দ ২৭ ফেব্রুয়ারি এবং ভোটগ্রহণ হবে ১৪ মার্চ।

জাতীয়

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে এবার পবিত্র রমজান মাস শুরু হবে আগামী ১২ বা ১৩ মার্চ। তবে রমজান শুরুর সময় ১২ মার্চ ধরে ঢাকার সাহরি ও ইফতারের সময়সূচি নির্ধারণ করেছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।

সময়সূচি অনুযায়ী, ১২ মার্চ প্রথম রমজানে ঢাকায় সাহরির শেষ সময় ভোর ৪টা ৫১ মিনিট ও ইফতারির সময় ৬টা ১০ মিনিট।

তবে দূরত্ব অনুযায়ী ঢাকার সময়ের সঙ্গে সর্বোচ্চ ৯ মিনিট পর্যন্ত যোগ করে ও ৯ মিনিট পর্যন্ত বিয়োগ করে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ সাহরি ও ইফতার করবেন বলে ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে জানা গেছে।