আন্তর্জাতিক

ইসরায়েল-ফিলিস্তিন দ্বন্দ্বের সমাধান সংক্রান্ত ইস্যুগুলো এড়িয়ে যাওয়া উচিত নয় বলে জোর দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। গতকাল শুক্রবার সেন্ট পিটার্সবার্গে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় নিউজ এজেন্সিগুলোর সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আয়োজিত আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক ফোরামে (এসপিআইইএফ) তিনি এ কথা বলেন। খবর প্রকাশ করেছে বার্তা সংস্থা আনাদোলু।

এক প্রশ্নের জবাবে রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে ফিলিস্তিনিদের অধিকার সংক্রান্ত ইস্যুগুলোকে পেছনে সরানো উচিত নয় এবং তা এড়ানোও যাবে না। আর এই সমস্যাটির সমাধানে কেবল মধ্যপ্রাচ্য নয়, বরং পুরো বিশ্বকেই গুরুত্ব দেওয়া উচিত।

ফিলিস্তিন এবং ইসরায়েল উভয় দেশের সঙ্গেই রাশিয়ার ভালো ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরেই এই সমস্যা সমাধানে যুক্ত আছি।

এ সময় ইসরায়েলের সঙ্গে আরব রাষ্ট্রগুলোর সাম্প্রতিক সম্পর্ক স্বাভাবিককরণ চুক্তির বিষয়টিকে স্বাগত জানান ভ্লাদিমির পুতিন। বলেন, দুটি দেশের মধ্যে সম্পর্ক পুনরায় প্রতিষ্ঠিত হওয়া মানে ওই দেশগুলোর জনগণ ও সংশ্লিষ্ট সবার জন্যই লাভবান। একইভাবে কিছু ইস্যু রয়েছে যেগুলোর দিকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নজর দিতে হবে।

ইসরায়েল-ফিলিস্তিন দ্বন্দ্বের সমাধান ছাড়া অত্র অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। ফিলিস্তিনের অভ্যন্তরীণ সমস্যা কাটিয়ে উঠাও জরুরি, যোগ করেন তিনি। ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনি জনগণের চাহিদার ভিত্তিতে দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানসহ বর্তমান সমস্যা সমাধানের ব্যাপারেও আশা প্রকাশ করেন বিশ্বের অন্যতম ক্ষমতাধর এই প্রেসিডেন্ট।

আন্তর্জাতিক

বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর ওপর কর আরোপ নিয়ে এক ঐতিহাসিক চুক্তিতে পৌঁছেছেন বিশ্বের শীর্ষ অর্থনীতির দেশগুলোর জোট জি-৭-এর অর্থমন্ত্রীরা। গত কয়েকদিন ধরে বৈঠক চলার পর জোটভুক্ত সাত দেশের অর্থমন্ত্রীরা অবশেষে এই মতৈক্যে পৌঁছেছেন।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাতে জানা যায়, এখন থেকে গুগল, অনেক দেশে ব্যবসা করলেও বহুজাতিক কোম্পানিগুলো কর দেয় না। অ্যাপল এবং অ্যামাজনের মতো বহুজাতিক কোম্পানিগুলোকে এখন থেকে ন্যূনতম১৫ শতাংশ কর দিতে হবে। এতে করে অ্যামাজন ও গুগলের মতো বড় বড় টেকা জায়ান্টগুলোর ওপর সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়বে।

No description available.জি–৭ গ্রুপের সদস্য হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, জাপান ও যুক্তরাজ্য এমন একটি ‘ঐতিহাসিক’ সিদ্ধান্ত নেওয়ায় অন্যান্য দেশগুলোর ওপরও এমন পদক্ষেপ নেওয়ার চাপ তৈরি হবে।যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি সেক্রেটারি জেনেট ইয়েলেন বলেন, জি-৭ এর এই চুক্তি অবিস্মরণীয়। এর ফলে কর ব্যবস্থায় সাম্যতা আসবে।

বিশ্ব অর্থনীতিতে নেতৃত্বদানকারী এই জোটের এমন সিদ্ধান্তের কারণে সরকারগুলো কর হিসেবে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার পাবে, যা দিয়ে তারা করোনা মহামারি মোকাবিলায় ব্যয় সংকুলানের নতুন পথ পাবে।

আন্তর্জাতিক

বাংলাদেশসহ কোনো দেশই আপাতত ভারতে উৎপাদিত টিকা পাচ্ছে না বলে জানিয়ে দিয়েছে দেশটি। উল্টো টিকা কোন দেশ থেকে আমদানি করা যায় সেটা নিয়ে ভাবছে তারা।

শুক্রবার (৪ জুন) সাংবাদিক বৈঠকে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী এ তথ্য জানান।

বাংলাদেশে প্রায় ১৫ লাখ মানুষ ভারতের কাছ থেকে পাওয়া প্রথম দফার টিকা নিয়ে বসে রয়েছেন পরবর্তী ডোজের জন্য। দ্বিতীয় ডোজের সময় পেরিয়েছে আড়াই-তিন মাস।

সাংবাদিক বৈঠকে অরিন্দম বাগচীকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আপনারা জানেন, প্রতিষেধক ও অন্যান্য সরঞ্জাম বাইরের দেশগুলিতে রপ্তানির ক্ষেত্রে ভারতই সবার আগে ছিল। কিন্তু আমরা এখন বাইরে থেকে সরবরাহ (প্রতিষেধক) আমদানিই নিশ্চিত করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছি। সেই প্রেক্ষাপটে প্রতিষেধক রপ্তানি করার প্রশ্ন ওঠাটাই ঠিক নয়। আমরা এখন ঘরোয়া প্রতিষেধক তৈরির কর্মসূচিকেই মূল লক্ষ্যবস্তু করছি।

কূটনৈতিক মহল বলছে, খুবই প্রাঞ্জল করে মুখপাত্র জানিয়ে দিয়েছেন প্রতিষেধক রপ্তানির প্রশ্নই উঠছে না। তার কারণ দেশে যেভাবে টিকাকরণ করা সম্ভব হবে বলে ধরে নেওয়া হয়েছিল তার ধারেকাছে দিয়েও যেতে পারেনি মোদী সরকার। কিন্তু সেই সঙ্গে এই বিতর্কও উঠছে যে, কেন্দ্র নিজে থেকেই বারবার বাংলাদেশসহ গোটা বিশ্বকে আশ্বস্ত করেছিল ‘বসুধৈব কুটুম্বকম’-এর নীতির কথা বলে। এপ্রিলের গোড়ায়, অর্থাৎ ভারতে কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার ঠিক আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রাইসিনা সংলাপে জানিয়েছিলেন, স্বাস্থ্যক্ষেত্রে ভারতের যে-টুকু সম্পদ তা গোটা বিশ্বের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়াতেই বিশ্বাস করে তার সরকার।

বাংলাদেশের বক্তব্য, ভারতের এহেন আশ্বাসেই অন্য কোনো দেশের দিকে তাকানো হয়নি। এমনকী প্রাথমিকভাবে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছিল চীনকেও। উপায়ান্তর না দেখে এখন সেই চীনেরই দ্বারস্থ হতে হচ্ছে। যদিও আমরা এখনও জানি না, যারা ভারতের কাছ থেকে প্রথম ডোজ় নিয়ে বসে রয়েছেন তাঁদের এখন প্রোটোকল কী হবে?’

বাংলাদেশ সূত্রের বরাতে আনন্দবাজার পত্রিকা আরো বলছে, অবশ্য এ কথাও জানা যাচ্ছে, পররাষ্ট্র সচিব ও বাংলাদেশে নিযুক্ত সাবেক ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা বেশ কিছুদিন আগেই ঘরোয়াভাবে ঢাকাকে সতর্ক করেছিলেন। জানিয়েছিলেন, বাংলাদেশ যেন তাদের নাগরিকদের জন্য প্রতিষেধকের বিকল্প ব্যবস্থা করতে শুরু করে। কারণ, অন্য দেশকে দেওয়ার মতো বাড়তি টিকা ভারতের হাতে নেই।

আন্তর্জাতিক

ইহুদিদের সংগঠন জিউশ অ্যাজেন্সির চেয়ারম্যান আইজ্যাক হারজগ হচ্ছেন ইসরায়েলের ১১তম প্রেসিডেন্ট।

বুধবার (০২ জুন) জেরুজালেম পোস্ট এ তথ্য জানায়।

দেশটির আইনসভা নেসেটে এক গোপন ভোটাভুটিতে আইজ্যাক পেয়েছেন ৮৭ ভোট। তার প্রতিদ্বন্দ্বী শিক্ষাবিদ মিরিয়াম পেরেজ পেয়েছেন ২৭ ভোট। পেরেজ জয়ী হতে পারলে তিনি হতেন ইসরায়েলের ইতিহাসের প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট।

নতুন নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট আইজ্যাকের বাবা চেইম হারজগ ছিলেন ইসরায়েলের ৬ষ্ঠ প্রেসিডেন্ট।

ইসরায়েলের ইতিহাসে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোটের হিসাবে এটিই সবচেয়ে বড় ব্যবধানে জয়।

আইজ্যাক ৯ জুলাই বর্তমান প্রেসিডেন্ট রিউভেন রিভলিনের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর দায়িত্ব গ্রহণ করবে।

আন্তর্জাতিক

ইহুদিবাদী ইসরায়েল অধিকৃত পশ্চিম তীর এবং পবিত্র জেরুজালেম বা আল-কুদস শহরে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে উচ্ছেদ অভিযান শতকরা ৯০ ভাগ বাড়িয়েছে। ইসরায়েল কর্তৃপক্ষের অনুমতি না নিয়ে এসব ভবন নির্মাণ করার অভিযোগে উচ্ছেদ কিংবা দখল করা হয়েছে বলে জানা যায়।

জাতিসংঘের এক পরিসংখ্যানে জানানো হয়েছে, চলতি বছরের এপ্রিল মাসে ইসরাইল যে পরিমাণে উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে, গত বছরের এপ্রিল মাসের তুলনায় তা শতকরা ৯০ ভাগ বেশি।

Peace in Palestine cannot be achieved amid unlawful demolitions | Middle East | Al Jazeera

ইহুদিবাদী কর্তৃপক্ষ ফিলিস্তিনিদের ঘরবাড়ি উচ্ছেদ করেছে, সে সব জায়গা থেকে ফিলিস্তিনিদেরকে জোর করে চলে যেতে বাধ্য করেছে অথবা পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের মালিকানাধীন ২৩টি ভবন দখল করে নিয়েছে। জাতিসংঘের মানবিক ত্রাণ বিষয়ক দপ্তর থেকে এই পরিসংখ্যান প্রকাশ করা হয়েছে।

গত ১০ মে থেকে ইসরায়েলি বাহিনী ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে সংঘাত শুরু হয়। যেটি গত বৃহস্পতিবার রাতে যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে শেষ হয়েছে। পরদিন শুক্রবার থেকে এটি কার্যকর হয়েছে।

টানা ১১ দিনের সহিংস সংঘাতে কেবল ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় নিহত হয়েছে ৬৬ শিশু ও ৩৯ নারীসহ অন্তত ২৪৮ জন। এ ছাড়া আহত হয়েছেন প্রায় ২ হাজার জন ফিলিস্তিনি নাগরিক।

আন্তর্জাতিক

উত্তর কোরিয়ায় নেতা কিম জং-উনের অধীনে ‘সেকেন্ড ইন কমান্ড’ এর একটি নতুন পদ তৈরি করা হয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার গণমাধ্যম এ খবর জানিয়েছে।

পদটি তৈরি করতে উত্তর কোরিয়ার ক্ষমতাসীন দল তাদের বিধি সংশোধন করেছে বলে মঙ্গলবার জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়োনহাপ বার্তা সংস্থা।

উত্তর কোরিয়ার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে ইয়োনহাপ জানায়, কিম জং-উনের সেকেন্ড ইন কমান্ড পদের নামকরণ করা হয়েছে ‘ফার্স্ট সেক্রেটারি’।

এই পদে আসীন ব্যক্তি কিমের পক্ষ থেকে বিভিন্ন বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন। কিম জং-উন নিজেও ২০১২ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত ‘ফার্স্ট সেক্রেটারি’ পদবী ব্যবহার করেছিলেন।

গত জানুয়ারিতে ক্ষমতাসীন ওয়ার্কার্স পার্টি অব কোরিয়া’র সম্মেলনে নেতা কিম জং-উন দলের জেনারেল সেক্রেটারি বা সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।

কিমের আগে সবশেষ তার বাবা ক্ষমতাসীন দলটির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। এই পদে আসীন হয়ে কিম জং-উন তার ক্ষমতা আরও সুদৃঢ় করেছেন।

ইয়োনহাপ জানায়, বাবার সামরিক বাহিনী কেন্দ্রিক প্রশাসনের তুলনায় কিম জং-উন সরকারে তার রাজনৈতিক দলের আরও বড় ভূমিকা চান।

উত্তর কোরিয়ার ওয়ার্কার্স পার্টিতে যে সাতটি ‘সেক্রেটারি’ বা মহাসচিব পদ আছে, নতুন পদটি তার মধ্যে সবচেয়ে উধ্র্বতন।

দলের পলিটব্যুরোর প্রেসিডিয়াম সদস্য জো ইয়ং ওনকে ‘ফার্স্ট সেক্রেটারি’ পদটি দেওয়া হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ, তিনি কিম জং-উনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসাবে বিবেচিত।

কিম জং-উন বাবা কিম জং-ইলের মৃত্যুর পর ২০১১ সালে উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতার দায়িত্ব নেন ।

গত বছর দক্ষিণ কোরিয়ার এক আইনপ্রণেতা জানিয়েছিলেন, তার দেশের গোয়েন্দাদের ধারণা, কিম জং-উনের বোন কিম ইয়ো জং কার্যত সেকেন্ড ইন কমান্ডের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তবে তাকে কিমের উত্তরসূরির মর্যাদা দেওয়া হয়নি।

আন্তর্জাতিক

আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস আজ। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আর্তমানবতার সেবা দিয়ে বিশ্বের ৪০টি দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠা করেছে বাংলাদেশ। ৪০টি দেশে জাতিসংঘের ৫৪টি শান্তিরক্ষা মিশন সম্পন্ন হয়েছে। এতে ১ লাখ ৭৬ হাজার ৬৬৯ জন বাংলাদেশি অংশ নিয়েছিলেন। এর মধ্যে সশস্ত্র বাহিনীর ১ লাখ ৫৬ হাজার ৩৫৩ জন এবং পুলিশের ২০ হাজার ৩১৬ জন সদস্য ছিলেন। সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে সেনাবাহিনীর ১ লাখ ৪২ হাজার ৭৯০ জন, নৌবাহিনীর ৬ হাজার ১২ জন এবং বিমানবাহিনীর ৭ হাজার ৫৫১ জন ছিলেন। এদের মধ্যে মহিলা শান্তি রক্ষী ছিলেন ২ হাজার ১৮৪ জন। তাদের মধ্যে সেনাবাহিনীর ৪২৯ জন, নৌবাহিনীর ২২ জন, বিমান বাহিনীর ১১০ ও পুলিশ বাহিনীর ১ হাজার ৬২৩ জন নারী সদস্য। বর্তমানে জাতিসংঘের ৯টি শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের ৬ হাজার ৭৪২ জন শান্তিরক্ষী কর্মরত রয়েছেন। এরমধ্যে সশস্ত্র বাহিনীর ৬ হাজার ২৪১ জন এবং পুলিশ সদস্য ৫০১ জন। সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে সেনাবাহিনীর ৫ হাজার ৩০৮ জন, নৌবাহিনীর ৩৪৫ জন এবং বিমান বাহিনীর ৫৮৮ জন শান্তিরক্ষী কর্মরত আছেন। বর্তমানে জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনে নিয়োজিত বাংলাদেশি মহিলা শান্তিরক্ষীর সংখ্যা ২৮৪ জন। এদের মধ্যে সেনাবাহিনীর ১১৯ জন, নৌবাহিনীর পাঁচ জন, বিমানবাহিনীর ১০ জন ও পুলিশের ১৫০ জন রয়েছেন।

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশ বর্তমানে সর্বোচ্চ শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশ। এ পর্যন্ত শান্তিরক্ষা মিশনে কর্তব্যরত অবস্থায় বাংলাদেশের ১৫৯ জন শান্তিরক্ষী মৃত্যুবরণ করেছেন। তার পরও জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা-মিশনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীরা। তারা সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর জনগণের সঙ্গে মিশে গেছেন। বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের ভূমিকায় প্রশংসিত হয়ে সিয়েরালিওন তাদের দেশের প্রধান ভাষা বাংলা করতে চেয়েছিল। কিন্তু তাদের সংবিধান অনুযায়ী করতে না পারায় দেশটির দ্বিতীয় ভাষা এখন বাংলা। ১৯৮৮ সাল থেকে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে অদ্যাবধি বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীর সর্বোচ্চ পেশাদারি মনোভাব, আনুগত্য ও সাহসিকতার পরিচয় দিয়ে চলেছেন। তাদের অনন্য অবদানের জন্য আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে এবং আমাদের শান্তিরক্ষীরা শান্তিরক্ষা-মিশনে একটি মর্যাদাপূর্ণ অবস্থান নিশ্চিত করতে সক্ষম হয়েছে।

এদিকে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে কর্তব্যরত অবস্থায় আত্মোত্সর্গকারী আট বাংলাদেশিসহ বিশ্বের ৪৪টি দেশের ১২৯ জন শান্তিরক্ষীকে সর্বোচ্চ ত্যাগের জন্য দ্যাগ হ্যামারশোল্ড মেডেল প্রদান করেছে জাতিসংঘ। নিউইয়র্ক স্থানীয় সময় অনুযায়ী বৃহস্পতিবার জাতিসংঘ সদর দপ্তরে আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষী দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ পদক দেওয়া হয়। পদকপ্রাপ্তদের মধ্যে বাংলাদেশের ৮ জন শান্তিরক্ষী রয়েছেন, যা একক দেশ হিসেবে সর্বোচ্চ। ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের মাধ্যমে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেজ বাংলাদেশসহ ৪৪টি দেশের স্থায়ী প্রতিনিধিদের হাতে স্ব স্ব দেশের মেডেল তুলে দেন। কর্তব্যরত অবস্থায় আত্মোত্সর্গকারী বাংলাদেশের আট জন শান্তিরক্ষী হলেন- মালিতে নিয়োজিত মিনুস্মা মিশনের ওয়ারেন্ট অফিসার আবদুল মো. হালিম, কঙ্গোতে নিয়োজিত মনুস্কো মিশনের ওয়ারেন্ট অফিসার মো. সাইফুল ইমাম ভূঁইয়া, সার্জেন্ট মো. জিয়াউর রহমান, সার্জেন্ট এমডি মোবারক হোসেন ও ল্যান্স কর্পোরাল মো. সাইফুল ইসলাম, সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক-এ নিয়োজিত মিনুস্কা মিশনের ল্যান্স কর্পোরাল মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন ও সার্জেন্ট মো. ইব্রাহীম এবং দক্ষিণ সুদানে নিয়োজিত আনমিস্ মিশনের ওয়াসারম্যান নুরুল আমিন। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এই মেডেল গ্রহণ করেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা। ভার্চুয়াল এই অনুষ্ঠানটিতে আরো অংশগ্রহণ করেন মিশনের ডিফেন্স অ্যাডভাইজর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. ছাদেকুজ্জামান।

রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী

‘আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস-২০২১’ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।

বাণীতে রাষ্ট্রপতি বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও যথাযোগ্য মর্যাদায় আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস পালনের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই। এ উপলক্ষ্যে আমি জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা-মিশনে বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশের সকল শান্তিরক্ষীকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। বিশ্বশান্তি রক্ষার মহান দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে আত্মোত্সর্গকারী বীর শান্তিরক্ষী সদস্যদের আমি পরম শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি।

রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কারো সাথে বৈরিতা নয়’- জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অনুসৃত এ আদর্শ অনুসরণে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি পরিচালিত হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ আজ বিশ্বদরবারে শান্তি ও সম্প্রীতির এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে।’

বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা আমি গর্বভরে স্মরণ করছি এবং শান্তিরক্ষা-মিশনে কর্মরত বাংলাদেশের সকল সদস্যকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি। আমি গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি নিহত শান্তিরক্ষীদের—যারা বিশ্বশান্তির জন্য অকাতরে জীবন বিসর্জন দিয়ে বিশ্বদরবারে দেশের পতাকাকে সমুন্নত করেছেন। আমি তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ১৯৭৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সদস্যপদ লাভ করে এবং ২৫ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলায় প্রদত্ত তার ঐতিহাসিক ভাষণে বিশ্বের সর্বত্র শান্তিপ্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের অব্যাহত সমর্থনের দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। তখন থেকেই বাংলাদেশ বিশ্বের শান্তিপ্রিয় ও বন্ধুপ্রতীম সকল রাষ্ট্রের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে চলছে এবং বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় জাতিসংঘের অধীনে পরিচালিত সকল শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে আসছে।

কর্মসূচি

বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও যথাযোগ্য মর্যাদায় এ বছর দিবসটি পালন করা হচ্ছে। আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষী দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য হলো ‘স্থায়ী শান্তির পথ :শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য তারুণ্যের শক্তি ব্যবহার’। আজ সকালে শান্তিরক্ষীদের স্মরণের মাধ্যমে দিবসের কর্মসূচি শুরু হবে এবং বেলা ১১টায় সেনাকুঞ্জে আয়োজিত অনুষ্ঠানে শহিদ শান্তিরক্ষীদের নিকটাত্মীয় এবং আহত শান্তিরক্ষীদের জন্য সংবর্ধনা এবং জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের ওপর বিশেষ উপস্থাপনার আয়োজন করা হবে। সেনাকুঞ্জে শহিদ শান্তিরক্ষীদের নিকটাত্মীয় এবং আহত শান্তিরক্ষীদের জন্য সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ভিটিসির মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বিটিভি ওয়ার্ল্ড সংবর্ধনা অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচারের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। এছাড়া সকালে ‘শান্তিরক্ষী দৌড়-২০২১’ অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রধান অতিথি থাকবেন। দিবসটির তাত্পর্য তুলে ধরার লক্ষ্যে বিশেষ জার্নাল ও জাতীয় দৈনিকসমূহে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশিত হবে এবং বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতারসহ বিভিন্ন বেসরকারি চ্যানেলে বিশেষ টকশো প্রচারিত হবে। শান্তিরক্ষায় বাংলাদেশের কার্যক্রমের ওপর নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ অন্যান্য বেসরকারি চ্যানেলে ইতিমধ্যে প্রচারের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সেনাকুঞ্জে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে মন্ত্রিপরিষদের সদস্যগণ, তিন বাহিনী প্রধানগণ, সংসদ সদস্যবৃন্দ, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার (পিএসও), পুলিশের মহাপরিদর্শক, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ, বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বসহ ঊর্ধ্বতন সামরিক ও অসামরিক কর্মকর্তাগণ উপস্থিত থাকবেন।

আন্তর্জাতিক

গত এক সপ্তাহ ধরেই দাউ দাউ করে জ্বলছিল সিঙ্গাপুরের পতাকাবাহী জাহাজ এক্স-প্রেস পার্ল। শ্রীলংকা উপকূলে বিশাল এই পণ্যবাহী জাহাজটিতে আগুন লেগে গিয়েছিল। এবার সেই জাহাজের তেল আর ধ্বংসাবশেষ ভেসে এসে সয়লাব হল সমুদ্র সৈকত।

শ্রীলংকার পশ্চিম উপকূলের জনপ্রিয় পর্যটনস্থল ‘নেগোম্বো’র সৈকত ধ্বংসাবশেষে ছেয়ে যাওয়ার ছবি নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। এক্স-প্রেস পার্ল বহন করছিল বিভিন্ন রাসায়নিক ও প্রসাধন সামগ্রী। আট দিন ধরে জাহাজটি আগুনে পুড়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।

দূর্ঘটনার কারণে সম্ভাব্য পরিবেশ বিপর্যয় ঠেকাতে উদ্ধার বিশেষজ্ঞ ও ভারতীয় নৌবাহিনীর সাথে মিলে আগুন নেভানোর কাজ করছে শ্রীলংকার নৌবাহিনী। তবে ঘুর্ণিঝড় ইয়াসের কারণে উত্তাল সমুদ্রে উদ্ধারকাজ ঠিকমত চালানো যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।

জাহাজটি ডুবে গেলে শত শত টন তেলের কারণে বিপর্যয়ের মুখে পড়বে সাগরের নিচের জীব-বৈচিত্র্য। শ্রীলংকা বন্দর কর্তৃপক্ষ চেয়ারম্যান দয়া রত্নায়েক বিবিসি-কে জানান, আগুন এখন নিয়ন্ত্রণে এলেও প্রচণ্ড উত্তপ্ত থাকার কারণে জাহাজটির কাছে যেতে পারছে না উদ্ধারকারীরা।

শ্রীলংকার নৌবাহিনী জাহাজটিকে আরও গভীর সমুদ্রে নিয়ে যেতে চায় জানিয়ে রত্নায়েক বলেন, আগে বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে জাহাজটির গড়ন পরীক্ষা করে জানাতে হবে আদৌ সেটি গভীর সমুদ্রে নেওয়া সম্ভব কি না।
পর্যটন ছাড়াও নেগোম্বোর অন্যতম প্রধান আয়ের উৎস মাছ শিকার। তাই বিপুল পরিমাণ তেল সমুদ্রে ছড়িয়ে পড়লে ক্ষতিগ্রস্ত হবে এলাকাটির অর্থনীতি। এ মুহুর্তে এলাকাটিতে মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি আছে।

সৈকতে এরই মধ্যে তেল ছড়িয়ে গেলেও এ মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে ধ্বংসস্তুপ। বিশেষ করে প্লাস্টিকের গুড়া। শ্রীলংকার পশ্চিম উপকূলজুড়ে অন্যান্য শহরেও ছড়িয়ে গেছে এই প্লাস্টিক।

সেনারা সৈকত পরিষ্কারের কাজে নেমেছেন। তারা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন এবং একাজে কয়েক সপ্তাহ লেগে যেতে পারে বলে জানিয়েছেন শ্রীলংকার সামুদ্রিক পরিবেশ সুরক্ষা কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান।

আন্তর্জাতিক

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় সান জোসের একটি রেল ইয়ার্ডে বন্দুকধারীর এলোপাতাড়ি গুলিতে অন্তত ৮ জন নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। এঘটনার পর পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে হামলাকারী নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় পুলিশ।

স্থানীয় সময় বুধবার (২৬ মে) ভোরে শহরটির ট্রানজিট সার্ভিস ভ্যালি ট্রান্সপোর্টেশন অথরিটিতে (ভিটিএ) এ ঘটনা ঘটে। সান্তা ক্লারা কাউন্টি শেরিফ বিভাগের পাশেই এই রেল ইয়ার্ডটি অবস্থিত।

পুলিশের মুখপাত্র রাসেল ডেভিস বলেন, বন্দুকধারী সহ রেল ইয়ার্ডের আটজন কর্মচারী নিহত হয়েছেন এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। আহতরা চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে। হামলাকারী ওই ব্যক্তি রেলের সাবেক কর্মী বলে ধারনা করছে পুলিশ।

সান জোসে’র মেয়র স্যাম লাইকার্ডো বিষয়টি নিশ্চিত করে এক টুইট বার্তায় জানান, ট্রানজিট সার্ভিস ভ্যালি ট্রান্সপোর্টেশন অথরিটিতে এক বন্দুকধারী অতর্কিত হামলায় বেশকয়েকজন আহত হয়েছে। তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

ট্রানজিট সার্ভিস ভ্যালি ট্রান্সপোর্টেশনে কর্মরত এক কর্মচারীর মা কেটিভিইউ টেলিভিশনকে জানান, যে তার ছেলের ভাষ্যমতে একটি ইউনিয়ন সভার সময় এই গুলি চালানো হয়েছিল এতে বেশ কয়েকজন আহত এবং নিহত হয়েছে , তবে এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষ এখনো নিশ্চিত করেনি।

এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে এবং দ্রুত বিস্তারিত ঘটনা জানানো হবে।

আন্তর্জাতিক

অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ শক্তিহীন হয়ে মিলিয়ে যাচ্ছে, পিছনে রেখে যাচ্ছে তাণ্ডবের ক্ষয় চিহ্ন।ঠিক তখনই শুরু হলো আরেকটি ঝড়ের প্রহর গোনা। ইয়াসের পর ধেয়ে আসবে ঘূর্ণিঝড় ‘গুলাব’।

ভারত মহাসাগর, আরব সাগর কিংবা বঙ্গোপসাগরে জন্ম নেবে এই ঘূর্ণিঝড়। সমুদ্র অশান্ত হবে। ফুঁসবে। বিশাল বিশাল ঢেউ আছড়ে পড়বে। কিন্তু কোন সাগর? কোন উপকূল? তা এখনও নিশ্চিত নয়।

দক্ষিণ এশিয়ার পরবর্তী সাগর দানবের জন্মই এখনও হয়নি। গুলাব নাম রেখেছে পাকিস্তান। উর্দু, ফারসি, হিন্দিতে গুলাব অর্থাৎ গোলাপ। সেই গোলাপ ঝড় ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, মায়ানমার, মালদ্বীপ, থাইল্যান্ড ও সংলগ্ন কিছু উপকূলীয় দেশের কোন দিকটি বেছে নেবে তা নির্ভর করছে সৃষ্টিকর্তার উপরে।