বলিউড অভিনেত্রী আরিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় অতিরিক্ত মদপানের ফলে বেসামাল হয়ে মৃত্যুকোলে ঢোলে পড়েন। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক প্রতিবেদনে জানা যায় এ কারণেই মৃত্যু হয়েছে তার। তদন্তে পুলিশ আরিয়ার ঘর থেকে ওয়াইনের বোতল ও পানমশলার প্যাকেট উদ্ধার করেছে।
জানা যায়, ওয়াইনের সঙ্গে মধু মিশিয়ে, এমনকি তার সঙ্গে ভদকা এই তিনটি একসঙ্গে মিলিয়ে মদ পান করতেন আরিয়া। মৃত্যুর দিনের রাতে ডিনারের পর মদপান করে বেসামাল হয়ে পড়ে যান তিনি। এর ফলেই তার মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আরিয়া প্রখ্যাত সেতারবাদক পণ্ডিত নিখিল বন্দ্যোপাধ্যায়ের মেয়ে। কলকাতাতে জন্ম নেয়া আরিয়ার আসল নাম দেবদত্তা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে তিনি আরিয়া নামেই পরিচিতি পান। শাস্ত্রীয় সঙ্গীতে স্নাতকোত্তর শিক্ষা লাভ করেছিলেন অভিনেত্রী আরিয়া।
হিন্দুস্তান টাইমস ও আনন্দবাজার পত্রিকার খবর অনুযায়ী, শুক্রবার সকালে শেষবারের মতো অভিনেত্রী আরিয়া বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখা গিয়েছিল। সকাল ১০টা নাগাদ পরিচারিকা চন্দনা দাস এসে ডাকাডাকি করেও অভিনেত্রীর সাড়া পাননি। সন্দেহ হওয়ায় প্রতিবেশীদের খবর দেন পরিচারিকা। পরে পুলিশ এসে অভিনেত্রীর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে।
পুলিশের ভাষ্য, যোধপুর পার্কের একটি বহুতল ভবনের তিনতলার ফ্ল্যাটের বিছানায় তার দেহ পড়েছিল। নাকে রক্তের দাগ দেখা গেছে। ভেতর থেকেই ঘরের দরজা বন্ধ ছিল। তার নাকে ও মুখে বমির বর্জ্য মিলেছে। আরিয়ার শরীরে রক্ত থাকলেও আঘাতের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবে ময়নাতদন্তের পর বিষয়টি পরিষ্কার হবে। তবে অভিনেত্রী নেশাগ্রস্ত ছিলেন কি-না তা তদন্ত করা হচ্ছে।
বলিউডে তার প্রথম সিনেমা দিবাকর বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘লাভ সেক্স আওর ধোকা’ (২০১০) এবং পরের বছরই তিনি অভিনয় করেন বিদ্যা বালান অভিনীত ‘দ্য ডার্টি পিকচার’–এ। এরপর থেকে আর কোনো সিনেমায় তাকে অভিনয় করতে দেখা যায়নি।