আন্তর্জাতিক

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, গ্রিস আরও ৬টি দেশে দূতাবাস খোলার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম।

বুধবার স্থানীয় সময় রাত ১০টা ৩০ মিনিটে এথেন্সে ‘নভোটেল এথেন্স’ হোটেল বলরুমে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ কমিউনিটি ইন গ্রিস আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

গ্রিসের রাজধানী এথেন্সে নবম ‘আওয়ার ওশান কনফারেন্সে’ যোগদানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সেখানে সফরে রয়েছেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের যে ভাষণ আমাদের মুক্তিযুদ্ধের অবিচ্ছেদ্য অংশ, সেই ৭ মার্চও বিএনপি পালন করে না। এতেই স্বাধীনতা-মুক্তিযুদ্ধে বিএনপি কতটুকু বিশ্বাস আছে তার প্রমাণ মেলে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘১৯৭১ সালে মুজিবনগর সরকারের অধীনে অন্যান্য সেক্টর কমান্ডারদের মতোই ৪০০ টাকা মাসিক বেতনের কর্মচারি ছিলেন জিয়াউর রহমান। অথচ পরিতাপের বিষয়, সেই বিএনপি মুজিবনগর সরকারের শপথ গ্রহণ দিবস ১৭ এপ্রিল পালন করে না।’

মুজিবনগর দিবস স্মরণে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল তৎকালীন কুষ্টিয়া জেলার বৈদ্যনাথতলা অর্থাৎ বর্তমান মেহেরপুর জেলার মুজিবনগরে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকারের শপথ গ্রহণের আগের মধ্যরাতে দেশি-বিদেশি

সাংবাদিকদের কলকাতা প্রেসক্লাবে সমবেত হতে বলা হয়। গোপনীয়তার মধ্যে তাদেরকে পরদিন সকালে মুজিবনগরে পৌঁছানো হয় যেখান থেকে তারা সংবাদ পরিবেশন করেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

এ সময় গ্রিস প্রবাসী বাংলাদেশিদের আইনানুগ ও পরিশ্রমী জীবনের জন্য নিজেরও গ্রিক পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রশংসার কথা জানিয়ে এই সুনাম অক্ষুন্ন রাখতে ও সবাইকে বৈধ পথে রেমিটেন্স পাঠাতে আহবান জানান মন্ত্রী হাছান মাহমুদ।

গ্রিস আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ ত্রিশটিরও বেশি সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও  আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।

গ্রিস আওয়ামী লীগ সভাপতি আব্দুল মান্নান মাতুব্বরের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো. বাবুল হাওলাদারের সঞ্চালনায় বাংলাদেশ দূতাবাসের চার্জ দ্য এফেয়ার্স মোহাম্মদ খালেদ, বাংলাদেশ কমিউনিটি ইন গ্রিস নেতৃবৃন্দের মধ্যে গোলাম মওলা, হাজী আব্দুল কুদ্দুস, আব্দুল খালেক মাতুব্বর, আহসান উল্লাহ হাসান, শেখ আল আমিন, আব্দুল কুদ্দুস মাতুব্বর, রায়হান খান, মিজানুর রহমান আলফা প্রমুখ সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে যোগ দেন।

রাজনীতি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের পোল্ট্রি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের উন্নয়নে বেসরকারি খাতকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে নিজেদেরই নিজস্ব খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।

তিনি বলেন, “আমি চাই বেসরকারি খাত এগিয়ে আসুক। বেসরকারী খাতকেই উদ্যোক্তা হিসেবে দেখতে চাই। তাদের সবরকম সহযোগিতা করতে চাই। এর ফলে আমার দেশের মানুষের কর্মসংস্থান বাড়বে। আমরা তাই চাই।”

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের (বিআইসিসি) পাশে শেরে বাংলানগরের পুরাতন বাণিজ্য মেলা মাঠে আয়োজিত দুই দিনব্যাপী ‘প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী-২০২৪’ এর উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির ভাষণে একথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা বেসরকারী খাতকেই বেশি উৎসাহিত করতে চাই। তাদেরকেই বেশি সুবিধা দিতে চাই। কারণ এগুলো সব সরকারিভাবে হয় না। এটা বেসরকারি খাতে হলে তাতে কর্মসংস্থানেরও সৃষ্টি হয়। আমাদের শিক্ষিত যুবসমাজ এক্ষেত্রে এগিয়ে আসুক সেটাই আমরা চাই।

তাঁর সরকারের দেয়া সুযোগ-সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে যুব সমাজকে উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে ওঠার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, শুধু একটা পাস করে চাকরির পেছনে না ছুটে যুব সমাজ যদি নিজের উদ্যোগে একটু ব্যবসা-বাণিজ্য করে তাহলে কিন্তু আমরা যথেষ্ট এগিয়ে যেতে পারবো। এসব ক্ষেত্রে আমাদের যুব সমাজকে এগিয়ে আসার জন্য আরো উৎসাহিত করতে হবে। যাতে কখনো আমাদের কারো উপর নির্ভরশীল হতে না হয়। খাদ্য নিরাপত্তার সাথে সাথে আমাদের নিজস্ব পুষ্টির ব্যবস্থা আমরা নিজেরাই করতে পারি সে বিশ্বাস আমার আছে।

প্রধানমন্ত্রী উৎপাদন বৃদ্ধিতে গবেষণার উপর গুরুত্ব আরোপ করে বলেন, এক্ষেত্রে আমাদের গবেষণা আরও বাড়াতে হবে। আজ আমরা ৪০ ভাগের উপরে পেঁয়াজ উৎপাদন করতে পারি। আমরা কারো মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে চাই না। প্রতিটি পণ্য আমরা নিজেরাই উৎপাদন করব। তার সরকার খামারিদের সব ধরনের সহযোগিতা দিয়ে উৎসাহিত করে যাচ্ছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো. আব্দুর রহমানের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সেলিম উদ্দিন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ইমরান হোসেন দেশের ডেইরি খাতের প্রতিনিধি হিসেবে এবং বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রি সেন্ট্রাল কাউন্সিলের (বিপিআইসিসি) যুগ্ম আহ্বায়ক মশিউর রহমান পোল্ট্রি খাতের প্রতিনিধি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।

শুরুতে প্রাণিসম্পদ খাতে বর্তমান সরকারের অগ্রগতি ও অর্জনের ওপর একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এবং প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের এ আয়োজনের এবারের প্রতিপাদ্য হচ্ছে- “প্রাণি সম্পদে ভরবো দেশ, গড়বো স্মার্ট বাংলাদেশ।” উদ্বোধন শেষে প্রধানমন্ত্রী প্রদর্শনীর বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকার একটি প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। যেসব পশু পালন করা হয় তা স্বাস্থ্যসম্মতভাবে পালনের ব্যবস্থা নিতে হবে। মাছ, হাঁস-মুরগি, পশু পালন এবং উৎপাদন ও প্রক্রিয়াজাতকরনও স্বাস্থ্যসম্মত ভাবে করতে হবে। এটাও গুরুত্বপূর্ণ। এ বিষয়ে আরো যতœবান হতে হবে। দেশের চাহিদা মিটিয়ে হালাল মাংস রপ্তানির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের সুযোগ আমাদের রযেছে।

সরকার প্রধান বলেন, অনেক দেশ হালাল মাংস আমাদের থেকে ক্রয় করতে চায়। সেই সুযোগ আমাদের নিতে হবে। আর সে জন্য আমাদের পশু পাখিগুলোকে স্বাস্থ্য সম্মতভাবে লালন পালন ও নিয়ম মেনে জবাই করতে হবে এবং প্যাকেটজাত করার ক্ষেত্রে নিয়ম মেনে হচ্ছে কিনা সে বিষয় আমাদের বিবেচনায় নিতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এভাবে যদি করতে পারি তাহলে দেশের মানুষের চাহিদা মিটিয়ে আমরা বিদেশেও রপ্তানি করতে পারবো।
তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যে কিছু কিছু রপ্তানি হচ্ছে। কিন্তু আরো বেশি রপ্তানি করার সুযোগও আমাদের আছে, অনেক দেশের কাছ থেকে আমরা সেই অনুরোধও পাচ্ছি।’

প্রধানমন্ত্রী পশু জবাইয়ের ক্ষেত্রে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের উপর গুরুত্বারপ করে বলেন, আমরা যাতে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারি সেজন্য কিছু আধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন বুচার হাউস (কসাই খানা) আমাদের তৈরি করা দরকার। বিশেষ করে কোরবানির সময় রাস্তাঘাটে যেখানে সেখানে ফেলে পশু জবাই করা আমাদের বন্ধ করতে হবে। সুনির্দিষ্ট একটি স্থান থাকবে যেখানে পশু জবাই হবে এবং যার যার চিহ্নিত পশু সে নিয়ে যাবে। তাহলে পুরো প্রক্রিয়া যেমন স্বাস্থ্যসম্মত হবে তেমনি পশুর পরিত্যক্ত অংশ এবং চামড়া যথাযথভাবে কাজে লাগানো যাবে। না হলে চামড়ার মান নষ্ট হয় তেমনি অনেক কিছুই অপচয় হয়ে যায়।

তিনি বলেন, পশুর কেবল মাংসই আমাদের প্রয়োজন হয় না এর হাড়, রক্ত, চামড়া এমনকি বর্জ্যও আমাদের কাজে লাগে। আমরা যদি এগুলো যথাযথভাবে সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াজাত করে ব্যবহার করতে পারি তাহলে আমাদের অনেক কাজে আসতে পারে। এগুলো যথাযথভাবে সংরক্ষণ এবং কাজে লাগানোর ব্যবস্থা আমাদের করতে হবে । এ ব্যাপাওে সংশ্লিষ্টদেওর ব্যবস্থা নেয়ারও পরামর্শ দেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, এ বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয়া দরকার বলে আমি মনে করি এবং সংশ্লিষ্ট মহল এ উদ্যোগ নেবেন বলে আমি আশা করি।

তিনি বলেন, তার সরকার ৪৭০ টি উপজেলায় ভ্রাম্যমান পশু চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছে।

এই ভেটেরনারী সেক্টরটার দিকে আরও দৃষ্টি দেয়া দরকার উল্লেখ করে তিনি আটটি বিভাগ ও ৬৪ টি জেলায় ভেটেরনারী ফার্ম, পশু চিকিৎসালয় ও সংরক্ষণাগার গড়ে তোলার উপরও জোর দেন।

তিনি বলেন, ধান চালের পাশাপাশি পশু সম্পদ সংরক্ষণাগার গড়ে তুলে কোন সম্পদই যেন অপচয় না হয় সেদিকে লক্ষ্য রেখে এগুলোকে যেন আমাদের আর্থিক কাজে আমরা ব্যবহার করতে পারি সেদিকে দৃষ্টি দিতে হবে।

মৎস্য ও পশু পাখির খাদ্যও যেন নিরাপদ হয় এবং এগুলো যাতে পরবর্তীতে মানবদেহে কোন রোগের সৃষ্টি করতে না পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখার ওপরও তিনি গুরুত্ব দেন।

বাংলাদেশে ফার্মাসিউটিক্যাল শিল্প অনেক দূর এগিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন ,আমরা পশু পাখির জন্য নিজেরাই নানা রকম ভ্যাকসিন তৈরি করে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে পারি।

শেখ হাসিনা বলেন, এটা দুর্ভাগ্যের বিষয় যে বাংলাদেশ বিস্তীর্ণ সমুদ্রসীমা অর্জন করলেও এখনও গভীর সমুদ্র থেকে সম্পদ আহরণ করতে পারেনি।

তিনি বলেন,“আসলে আমরা এই উদ্দেশ্যে কোনো উদ্যোক্তা পাচ্ছি না। এটাই বাস্তবতা।”

তিনি ১৯৯৮ সালের প্রলংকারি বন্যার উল্লেখ করে বলেন, তাঁর সরকারের প্রচেষ্টায় বীজ ও কীটনাশকসহ প্রয়োজনীয় কৃষি সামগ্রি কৃষকের দোড়গোড়ায় পৌঁছে দেয়ায় এরপরই বাম্পার ফসল উৎপাদন হয়। যেখানে বিভিন্ন বিদেশি মিডিয়া বলেছিল এক কোটি মানুষ এই বন্যায় না খেতে পেয়ে মারা যাবে সেখানে একটি মানুষও না খেয়ে মরেনি। অথচ তিরি সরকার প্রধান হিসেবে সংসদে যখন দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ন হবার ঘোষণা দিলেন তখন বিরোধি দলীয় নেত্রী খালেদা জিয়ার উপস্থিতিতে তার সাবেক অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমান সংসদে দাঁড়িয়ে বলেন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়া ভাল না, তাহলে বিদেশি সাহায্য পাওয়া যাবেনা। আসলে এটা হচ্ছে নীতির বিষয়। তারা দেশকে অন্যে মুখাপেক্ষী করেই রাখতে চায়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকার প্রতি ইঞ্চি অনাবাদি জমি চাষের আওতায় আনার মাধ্যমে সার্বিক উৎপাদন বাড়ানোর প্রচেষ্টা চালানোর পাশাপাশি পরিত্যক্ত চরাঞ্চলে মহিষ, ভেড়া হাঁস-মুরগি চাষে উৎসাহিত করছে।

তিনি বলেন, এমনকি ভাষানচরে য়ে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছি সেখানেও প্রচুর ভেড়া ও মহিষ লালন পালন হচ্ছে। হাঁস-মুরগি প্রতিপালন ও মাছের চাষ হচ্ছে। আমরা এভাবে উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছি। আমাদের যেটুকু মাটি ও সম্পদ রয়েছে তা ব্যবহার করেই আমরা স্বয়ং সম্পূর্ণ হতে পারব। জনগণ মৎস, পশু ও হাঁস মুরগি পালনে আরো এগিয়ে আসবেন এবং আমাদের খামারগুলো আরো উন্নত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

জাতীয়

মোহাম্মদপুর জাপান গার্ডেন সিটিতে দুই বছর পর আবারো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আগামী ৩রা মে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ।

উক্ত নির্বাচনে দুটি প্যানেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে , একটি হল সালাম-মুফদি পরিষদ অন্যটি ডাঃ নজরুল-শাহানূর পরিষদ ।

উল্লেখ্য একটি পরিষদ নির্বাচন কমিশন গঠন বিষয়ে আপত্তি করে হাই কোর্টে মামলা করে , বিশ্বস্ত সুত্রে জানা যায় কোর্ট তত্বাবধায়ক বডি গঠন করে নির্বাচন পরিচালনার বিষয়ে ব্যবস্তা নিতে সমাজসেবা মন্ত্রনালয়ের সচিবকে নির্দেশনা প্রদান করেন কিন্তু সমাজ সেবার কোনো পদক্ষেপ এখনো পর্যন্ত জাপান গার্ডেন সিটিতে দৃশ্যমান হয়নি।

এবিষয়ে জাপান গার্ডেন সিটির ফ্ল্যাট মালিদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ করা যাচ্ছে ।

জাতীয়

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, জনগণের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন জাতীয় সংসদে পাশ করার প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়া হবে।

১৭-১৮ এপ্রিল দুইদিনের কুমিল্লা সফরের শেষ দিনে আজ কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রান্তিক অঞ্চলের স্বাস্থ্য প্রসঙ্গে সামন্ত লাল সেন বলেন, প্রান্তিক এলাকায় জরুরি স্বাস্থ্য সেবা বা অন্যান্য স্বাস্থ্য সেবা উন্নত হলে সারা দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নয়ন হবে। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত হলে শহরের ওপর চাপ কমবে। প্রান্তিক এলাকায় জরুরি স্বাস্থ্য সেবাসহ সকল প্রকার স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী চান্দিনায় পুন:নির্মিত কমিউনিটি ক্লিনিকের উদ্বোধন এবং ৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল পরিদর্শন, কুমিল্লা সদর হাসপাতাল ও ৩১ শয্যাবিশিষ্ট বুড়িচং হাসপাতাল পরিদর্শন এবং শেষে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে বার্ন ইউনিটের ইন্টেন্সিভ কেয়ার ইউনিট (আইসিইউ) উদ্বোধন করেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলমের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় কুমিল্লা-৬ আসনের সংসদ সদস্য আ.ক.ম বাহাউদ্দিন বাহার, কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন মেয়র ডা. তাহসিন বাহার সূচনা, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মুহাম্মদ ওয়াহিদুজ্জামান ও স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. টিটো মিঞা প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

খেলাধুলা

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) খেলছেন মোস্তাফিজুর রহমান। বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রিকেট লিগও বলা হয়ে থাকে এটিকে। যেখানে খেলতে গিয়ে লোভনীয় পারিশ্রমিকের পাশাপাশি বিশ্বসেরা তারকা ক্রিকেটারদের সঙ্গে এক ড্রেসিংরুমে অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ মেলে।

আইপিএলে বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে এবার একমাত্রা আছেন মোস্তাফিজ। এবারের আসরে খেলা হচ্ছে না সাকিবের। তবে আলো ছড়াচ্ছেন এই পেসার।

জাতীয় দলের ব্যস্ততার কারণে আইপিএলের মাঝ পথেই তাকে দেশে ফিরতে হবে। তবে মোস্তাফিজের দেশে ফেরার আগে তাকে নিয়ে একটি বক্তব্য দিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) ক্রিকেট অপারেশন্স প্রধান জালাল ইউনুস। যেখানে তিনি বলেছিলেন— আইপিএলে মোস্তাফিজের শেখার কিছু নেই।

বুধবার তিনি বলেন, ‘মোস্তাফিজকে আইপিএলে খেলে শেখার কিছু নেই। তার লার্নিং প্রসেস এখন শেষ। বরং মোস্তাফিজ থেকে শিখতে পারে আইপিএলের অনেক খেলোয়াড়। এতে বাংলাদেশের কোনো লাভ হবে না।’

জালাল ইউনুসের সেই বক্তব্য মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। এবার বিষয়টি নিয়ে পোস্ট করলেন দেশসেরা কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। মোস্তাফিজকে নিয়ে জালালের বক্তব্যসংবলিত একটি গণমাধ্যমের ফটোকার্ড নিজের ফেসবুকে শেয়ার করে লিখেছেন— এর চেয়ে ভালো কিছু আশা করিনি। এর পর অনেকটা খোঁচা মেরে বলেন, দুর্দান্ত চিন্তাভাবনা। সঙ্গে কয়েকটি হাসির ইমোজি যুক্ত করে দেন।

এর পর আরও লিখেছেন, ‘আমার শোনা সেরা জোকস। আল্লাহ মাফ করো।’

জাতীয়

চলতি বছরেই চট্টগ্রাম জেলার বিভিন্ন উপজেলার প্রায় ২৫ শতাংশ ভাটায় পরিবেশবান্ধব ব্লক ইট তৈরি নিশ্চিত করতে ইটভাটা মালিকদের নির্দেশ দিয়েছেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সকাল ১১টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ‘ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০১৩ অনুসরণ ও পোড়ানো ইটের পরিবর্তে ব্লক ব্যবহারের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় করণীয় সভায় ইটভাটা মালিক-সমিতির নেতাদের এ নির্দেশনা দেন তিনি।

তিনি বলেন, জেলার বিভিন্ন উপজেলায় যে সকল ইটভাটা রয়েছে সেগুলোর মধ্যে কিছু কিছু ভাটায় ম্যানুয়ালি ও অটো পদ্ধতির পাশাপাশি ব্লক ইট তৈরি করা হচ্ছে। ভাটায় ব্লক ইট তৈরি করলে অন্য ইটভাটার মতো পরিবেশ দূষণ করবে না।

বায়ু দুষণ রোধসহ পরিবেশবান্ধব ব্লক ইট তৈরির কনোন বিকল্প নেই। যাদের একাধিক ইটভাটা রয়েছে চলতি বছরের মধ্যেই তাদের কমপক্ষে ২৫ শতাংশ ভাটায় ব্লক ইট তৈরি করে সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে ইট তৈরির কার্যক্রম ধীরে ধীরে বন্ধ করে দিতে হবে। কৃষি জমির উর্বরতা বৃদ্ধি ও আশানুরূপ ফসল ফলানোর লক্ষ্যে টপসয়েল কর্তন থেকে বিরত থাকতে হবে। এ বিষয়ে জাতির পিতার সুযোগ্য কন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুস্পষ্ট নির্দেশনা মানতে হবে এবং বাসযোগ্য পৃথিবী গড়তে ব্লক ইট তৈরির বিষয়টি বাস্তবায়ন করতে হবে।

জেলা প্রশাসক বলেন, নতুন করে আর কোনো ইটভাটার লাইসেন্স দেওয়া হবে না। যেগুলো আছে সেগুলো থেকে পর্যায়ক্রমে কমিয়ে এনে পরিবেশবান্ধব ইটভাটাগুলো রাখা হবে। চাহিদা থাকলে ব্লক ইটের সরবরাহ বাড়বে। প্রকৃত ও বৈধ ইটভাটা মালিকরা যাতে কোনো আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন না হয় সে লক্ষ্যে গণপূর্ত, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল, সড়ক ও জনপথ (সওজ), শিক্ষা ও স্বাস্থ্য প্রকৌশলসহ বিভিন্ন সরকারী প্রতিষ্ঠান ও দপ্তর এবং সিপিডিএল ও স্যানমারসহ বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগের মাধ্যমে ব্লক ইটের চাহিদাপত্র নিয়ে ইটভাটা মালিক পক্ষকে জানিয়ে দেওয়া হবে।

আগামী মাসে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মহোদয়কে নিয়ে ইটভাটা ব্যবসা নিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার বাস্তবায়নে চট্টগ্রামে একটি সভা আহ্বান করা হবে। সিটি মেয়র, সিডিএ চেয়ারম্যান, উপজেলা চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র ও জেলা-উপজেলা ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতির নেতাদের থেকে একজন করে প্রতিনিধিকে সভায় আমন্ত্রণ জানানো হবে।

ইটভাটা মালিকদের প্রশ্নের জবাবে বালি সরবরাহ বিষয়ে জেলা প্রশাসক বলেন, কর্ণফুলী নদীসহ রাউজান, রাঙ্গুনিয়া ও অন্যান্য এলাকার বিভিন্ন ছোট-বড় খালে বালির অভাব নেই। এখনো যে পরিমাণ বালি আছে তাতে আগামী ৫ বছরেও আশা করি কোনো সমস্যা হবে না, আপনারা আবেদন করেন, সরকার নির্ধারিত মূল্যে বালির ব্যবস্থা হবে।

সভায় পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. ফেরদৌস আনোয়ার বলেন, ব্লক ইট তৈরির ছাড়পত্রের জন্য ইটভাটা মালিকগণ প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট দিয়ে আবেদন করলে তা শুনানি শেষে দ্রুততার সাথে দেওয়া হবে। কোনো ধরনের বেগ পেতে হবে না। ছাড়পত্র পেলে বিদ্যুৎ সংযোগও দ্রুত সময়ে পাওয়া যাবে। জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর এ ব্যাপারে সহযোগিতা করবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

সভায় চট্টগ্রাম জেলা ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতির সভাপতি ও রাউজান পৌরসভার মেয়র মো. জমির উদ্দিন পারভেজ বলেন, দূষণবিহীন ইটভাটায় ব্লক ইট তৈরি করতে গিয়ে মালিক পক্ষ যাতে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সে বিষয়ে সরকারের নজরদারি প্রয়োজন। পরিবেশ দুষণ করে আমরা কেউ ইট তৈরি করতে চাই না। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা মেনেই পরিবেশবান্ধব ইট তৈরি করতে আমরা বদ্ধপরিকর।

তিনি আরও বলেন, নদীগুলো ভরাট হয়ে যাচ্ছে। এগুলোতে ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে বালি উত্তোলন করা যাবে। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসনের সহযোগিতা প্রয়োজন। ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০১৩ অনুসরণ ও বাস্তবায়ন করতে সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন।

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানের সভাপতিত্বে ও সিনিয়র সহকারী কমিশনার রাজীব হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় আরও বক্তব্য দেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আবদুল মালেক, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) একেএম গোলাম মোর্শেদ খান, পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. ফেরদৌস আনোয়ার, চট্টগ্রাম জেলা ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতির সভাপতি ও রাউজান পৌরসভার মেয়র মো. জমির উদ্দিন পারভেজ, সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলম তালুকদারসহ বিভিন্ন উপজেলা ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতির সভাপতি ও সম্পাদকেরা।

রাজনীতি

উপজেলা পরিষদ নির্বাচন স্থানীয় এমপি-মন্ত্রীদের প্রভাবমুক্ত রাখতে কঠোর অবস্থানে আওয়ামী লীগ। প্রার্থী হতে পারবেন না তাদের (এমপি-মন্ত্রীদের) পরিবারের সদস্য বা নিকটাত্মীয়রা। যারা প্রার্থী হয়েছেন তাদের সরে দাঁড়াতে কেন্দ্র থেকে দেওয়া হচ্ছে নির্দেশনা।

ইতোমধ্যে প্রভাবশালী কয়েকজন এমপিকে সতর্কও করা হয়েছে। তাদের মধ্যে আছেন, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা ও সাবেক মন্ত্রীও। এ বিষয়ে দলীয় সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কঠোর নির্দেশনার কথাও জানানো হয়েছে তাদের। নির্দেশনা উপেক্ষিত হলে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারিও দিচ্ছেন দলের বিভাগীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা। আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন-অবাধ, সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কেউ যেন নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করতে না পারে সে বিষয়ে শুরু থেকে কঠোর বার্তা দেওয়া হচ্ছে দলের পক্ষ থেকে।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বৃহস্পতিবার ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগের সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের বিভাগীয় দায়িত্ব পাওয়া কয়েকজন নেতার সঙ্গে অনির্ধারিত বৈঠক করেন। এতে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, এসএম কামাল হোসেন, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বরাত দিয়ে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের তাদের এ বিষয়ে নির্দেশনার কথা জানান। একই সঙ্গে সাংগঠনিক সম্পাদক ও দপ্তরকে সারা দেশে মন্ত্রী-সংসদ সদস্যদের স্বজন ও পরিবারের সদস্য যারা নির্বাচন করছেন, সেই তালিকা তৈরির নির্দেশনাও দেন তিনি।

আওয়ামী লীগের দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, সাধারণ সম্পাদকের কাছ থেকে দলীয় সভাপতির নির্দেশনা পাওয়ার পরেই দলটির দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদকরা নিজ নিজ বিভাগের মন্ত্রী ও সংসদ-সদস্যদের দলের এ নির্দেশ জানাতে শুরু করেছেন। বৈঠক সূত্র জানায়, নির্বাচনে হস্তক্ষেপ না করার জন্য দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক, শাজাহান খান এবং নোয়াখালীর এমপি একরামুল করিম চৌধুরীসহ বেশ কয়েকজনকে তাৎক্ষণিক ফোন করে দলীয় সিদ্ধান্তের কথা জানান দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদকরা। এ সময় তাদের পরিবারের সদস্য বা নিকটাত্মীয় যারা প্রার্থী হয়েছেন তাদের নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর জন্যও বলা হয়।

জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, নির্বাচনের পরিবেশ সুষ্ঠু শান্তিপূর্ণ রাখতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমরা চাই অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন। নির্বাচনকে কোনোভাবেই প্রশ্নবিদ্ধ করার সুযোগ কাউকে দেওয়া হবে না। এটা আমাদের দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ।

তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যেই বিভাগীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা কাজ শুরু করেছেন। কয়েকজনকে ফোন করে নির্দেশনার কথা জানানো হয়েছে। পর্যায়ক্রমে বাকি যারা আছেন তাদেরও দলীয় সভাপতির এই নির্দেশনার কথা জানানো হবে। এই নির্দেশনা না মানা দলের নীতিনির্ধারণী সিদ্ধান্ত অমান্য করা এবং দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ বলেই বিবেচনা করা হবে।

একই বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল বলেন, দলের সভাপতি শেখ হাসিনার বরাত দিয়ে সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের আমাদের এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন। নেত্রী বলেছেন, যারা এমপি-মন্ত্রী তাদের সন্তানসহ স্বজনরা যেন এই নির্বাচনে প্রার্থী না হয়। এ ব্যাপারে নেত্রীর পক্ষ থেকে বার্তাগুলো তাদের জানাতে বলা হয়েছে। আমরা নিজ নিজ বিভাগে সবাইকে বার্তা পৌঁছে দিচ্ছি।

সূত্র জানায়, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দলীয় মনোনয়ন দিচ্ছে না। নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক ও প্রতিযোগিতাপূর্ণ করতে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এছাড়া শুরু থেকেই এমপি-মন্ত্রীদের নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার বা প্রার্থীদের সমর্থন না দেওয়ার নির্দেশনাও দিয়েছিল আওয়ামী লীগ। কিন্তু দলের কোনো নির্দেশনাই তোয়াক্কা করছিল না তারা। উলটো নিজের পছন্দের প্রার্থীদের পাশাপাশি স্থানীয় এমপি-মন্ত্রীদের অনেকেই তাদের আত্মীয়-স্বজন বা পরিবারের সদস্যদের প্রার্থী করার উদ্যোগ নেন। তাদের পক্ষে প্রকাশ্যে বা গোপনে মাঠেও নামেন অনেকেই। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের নির্বাচন থেকে সরে যেতে হুমকি, তুলে নেওয়া এবং প্রচারণায় বাধা দেওয়াসহ নানা অভিযোগও উঠে কয়েকজন প্রভাবশালী এমপির বিরুদ্ধে।

এ কারণে দলের তৃণমূলে চেইন অব কমান্ড ক্ষতিগ্রস্ত হয়। দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে বিভক্তি দেখা দেয়। ঘটে সংঘর্ষের ঘটনাও। কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কাছে অভিযোগও জমা পড়ে। এমন প্রেক্ষাপটে দলীয় সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশনা দিয়েছেন, যেসব এমপি-মন্ত্রী পরিবারের সদস্যরা নির্বাচন করছেন-তারা নির্বাচন করতে পারবেন না।

এবার চার পর্বে উপজেলা নির্বাচন হচ্ছে। প্রথম পর্বে ১৫০টি উপজেলায় ভোট হবে ৮ মে। এরপর ২১ মে দ্বিতীয় এবং ২৯ মে তৃতীয় ধাপের ভোট অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া তফশিল না হলেও ৫ জুন চতুর্থ ধাপের ভোট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মন্ত্রী ও সংসদ-সদস্যদের বিষয়ে দলীয় এই সিদ্ধান্ত উপজেলা নির্বাচনের চার পর্বের জন্যই প্রযোজ্য বলে আওয়ামী লীগের দলীয় সূত্র জানিয়েছে। জানা গেছে, যারা নিকটাত্মীয়দের দিয়ে নির্বাচন করাচ্ছেন, তাদের তালিকা করা হচ্ছে। প্রয়োজনে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কেউ দলীয় নির্দেশনা না মানলে তাদের বিরুদ্ধে সংগঠনের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিনোদন

অভিমান ভুলে আবারও একসঙ্গে পর্দায় ফিরছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী রাফিয়াত রশিদ মিথিলা ও তাহসান খান। ‘বাজি’ শিরোনামের সাত পর্বের ওয়েব সিরিজে দেখা যাবে তাদের।

সিরিজটি নির্মাণ করছেন ‘মাটির প্রজার দেশ’খ্যাত নির্মাতা ও প্রযোজক আরিফুর রহমান।

সিরিজটি নিয়ে নির্মাতা ও অভিনয়শিল্পীরা মুখ না খুললেও নির্মাতার ঘনিষ্ঠ সূত্রের খবর, এই সিরিজে অভিনয়ের আগে বেশ কয়েক মাসের প্রস্তুতি পর্ব সেরেছেন তাহসান-মিথিলা। এই দুই জনপ্রিয় শিল্পী ছাড়াও আরও কয়েকজন জনপ্রিয় তারকাকে দেখা যাবে সিরিজটিতে।

সূত্রটি আরও জানায়, ইতোমধ্যে সাত পর্বের সিরিজটির প্রথম ধাপের শুটিং হয়ে গেছে। একটি চার তারকা মানের হোটেলে মাস দু-এক আগে এই শুটিং হয়। পরের ধাপের শুটিংয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছেন নির্মাতারা।

আসন্ন ঈদুল আজহায় দেশের একটি ওটিটি প্ল্যাটফর্মে সিরিজটি মুক্তি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সিরিজটিতে একজন ক্রিকেটারের চরিত্রে অভিনয় করছেন তাহসান। আর মিথিলাকে দেখা যাবে সাংবাদিকের চরিত্রে।

তাহসান খান ও রাফিয়াত রশিদ মিথিলা দীর্ঘদিনের প্রেমের পর ২০০৭ সালের ৩ আগস্ট বিয়ে করেছিলেন। বিয়ের ১১ বছর পর ২০১৭ সালের মে মাসে আনুষ্ঠানিক বিচ্ছেদ হয় তাহসান ও মিথিলার।

২০১৯ সালের শেষ দিকে মিথিলা পশ্চিমবঙ্গের পরিচালক সৃজিত মুখার্জিকে বিয়ে করে সংসার করছেন কলকাতায়। অন্যদিকে তাহসান বিয়ে না করলেও ব্যস্ত আছেন গান ও অভিনয় নিয়ে। অবশ্য একমাত্র মেয়ে আইরা তেহরীম খানকে নিয়ে দুজনের বন্ধুত্ব এখনো অটুট। বিচ্ছেদের পরেও পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের জন্য তারা প্রশংসিত।

রাজনীতি

নীতিগত কারণে দলীয় শৃঙ্খলা ইস্যুতে হার্ডলাইনে বিএনপি। এজন্য উপজেলা পরিষদের প্রথম দফার নির্বাচনে যারা দলীয় পদে থেকে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন, তাদেরকে প্রত্যাহারের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় সাংগঠনিক ও সহসাংগঠনিক সম্পাদকরা প্রার্থীদের সঙ্গে কথা বলে দলের এমন নির্দেশনার কথা জানান। একই সঙ্গে কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে ভোটে অংশ নিলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও প্রার্থীদের স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়। জানানো হয়, ভোটে গেলে শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে আজীবন বহিষ্কার করা হবে।

এছাড়াও বৃহস্পতিবার রাতে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সঙ্গে বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদকদের ভার্চুয়াল বৈঠক হয়। সেখানে বাকি ধাপের উপজেলা নির্বাচনে যাতে দলীয় কোনো নেতা অংশ না নেন, সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সাংগঠনিক সম্পাদকদের নির্দেশ দেয় হাইকমান্ড। নির্দেশনা পেয়ে তারা কাজও শুরু করেছেন।

এছাড়া দলীয় কোন্দল নিরসন, নেতায়-নেতায় দ্বন্দ্ব-গ্রুপিং, বিভাজন ও সিনিয়র নেতাদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য রোধেও কঠোর হচ্ছে বিএনপি। মূল দল ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনে বিশৃঙ্খলাকারী নেতাদের লাগাম টেনে ধরতে চায় দলটি। একই সঙ্গে নেতাকর্মীদের জবাবদিহির আওতায় আনতে চায় হাইকমান্ড। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে এসব তথ্য।

আসন্ন উপজেলা নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি ও তাদের মিত্র রাজনৈতিক দলগুলো। নেতারা জানান, নির্দেশনা অমান্যকারী নেতাদের বিষয়ে কোনো ধরনের ছাড় না দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে দলীয় ফোরামে। ইতোমধ্যে এমন সিদ্ধান্ত পৌঁছে দেওয়া হয়েছে তৃণমূলে। পাশাপাশি নির্বাচনে প্রার্থী হতে ইচ্ছুক পদধারী নেতাদের দেওয়া হয়েছে সতর্কবার্তা।

কেউ যেন সরকারের ‘পাতানো ফাঁদে’ জড়িয়ে উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে, সেজন্য তৃণমূলের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ বাড়িয়েছেন কেন্দ্রীয় নেতারা। এমন পরিস্থিতিতে কেউ নির্বাচনে অংশ নিলে কিংবা প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, দলীয় শৃঙ্খলার বিষয়টি বিএনপির গঠনতন্ত্রেই বলা আছে। কেউ দলীয় নির্দেশনা অমান্য করলে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উপজেলা নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিএনপি উপজেলা নির্বাচনে যাবে না, এটা অনেক আগে থেকেই বলা আছে। এটি দলীয় নীতিনির্ধারণী ফোরামের সিদ্ধান্ত। এমন বার্তা নেতাকর্মীদের জানানো হয়েছে। শুধু নির্বাচন ইস্যুতে নয়, দলের যে কোনো সিদ্ধান্ত ভঙ্গ হলে গঠনতন্ত্র মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

দলীয় সূত্র জানায়, প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে যেসব পদপদবিধারী নেতা মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন, তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন কেন্দ্রীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা। নির্বাচনে অংশ না নিতে তাদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি দলীয় নির্দেশনা অমান্য করে মনোনয়ন দাখিলের কারণও জানতে চাওয়া হচ্ছে। মনোনয়নপত্র দাখিল করলেও অনেকেই দলের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে নিজ অবস্থান থেকে সরে আসার ইচ্ছা পোষণ করেছেন। তবে কেউ কেউ বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন না। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মনোনয়ন প্রত্যাহার না করলে নেতাদের বহিষ্কার করবে-এমন বার্তা সংশ্লিষ্ট জেলার নেতাদের কাছে স্পষ্ট করা হয়েছে।

এদিকে ঢাকা বিভাগের গাজীপুর ও মানিকগঞ্জের কয়েকটি উপজেলায় মনোনয়নপত্র দাখিলকারী নেতাদের সঙ্গে বৃহস্পতিবার বিএনপির সাংগঠনিক নেতারা যোগাযোগ করেন। তাদেরকে নির্বাচন থেকে সরে আসার অনুরোধ জানানো হয়েছে। একইভাবে অন্যান্য উপজেলার নেতাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করছে বিএনপি। একই বিষয়ে সাংগঠনিক নেতাদের সঙ্গে এদিন রাতে বৈঠক করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

সূত্রমতে, দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিএনপির পদধারী নেতারা কেউ যেন অংশ না নেন, সেজন্য প্রতিনিয়ত দলের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতাদের কাউন্সেলিং করা হচ্ছে। বিভাগ, জেলা ও উপজেলার শীর্ষ নেতারা বিষয়টি তদারকি করছেন।

কেন্দ্রীয় নেতারা বলছেন, উপজেলা নির্বাচনে বিএনপির অসংখ্য যোগ্য প্রার্থী রয়েছেন। তবে দলীয় সিদ্ধান্তকে তৃণমূলের বিএনপি নেতারা সাধুবাদ জানিয়েছেন। তারাও মনে করছেন জাতীয় নির্বাচন বর্জনের পর সরকারের অধীনে অন্য কোনো নির্বাচনে অংশ নেওয়ার যৌক্তিকতা নেই। অতীতেও যারা বিভিন্ন সময়ে নির্দেশনা অমান্য করে নির্বাচন করেছেন, তারা দল থেকে বহিষ্কার হয়েছেন। এবার সেই অভিজ্ঞতার আলোকে কেউ দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করতে চান না। বিচ্ছিন্নভাবে কিছু বহিষ্কৃত ও সাবেক নেতারা অংশ নিতে পারে। সেক্ষেত্রেও তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।

এদিকে বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনগুলোয় দলীয় কোন্দল, নেতায়-নেতায় দ্বন্দ্ব, গ্রুপিং, বিভাজন ও সিনিয়র নেতাদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যের জেরে দলটিতে বেড়েছে বিশৃঙ্খলা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভুয়া অ্যাকাউন্ট খুলে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাদের নামে চালানো হচ্ছে নানা অপপ্রচার। এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য দিয়েছে সংশ্লিষ্ট একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র। সূত্র বলছে, এসব ঘটনায় বিব্রত কেন্দ্রীয় নেতারা। এসব অপপ্রচারকারীকে শনাক্তকরণের জন্যও কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতাকে দায়িত্ব দিয়েছে হাইকমান্ড।

বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ বলেন, ‘উপজেলা নির্বাচনে বিএনপির যারা প্রার্থী হয়েছেন, তাদের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ করেছি। তাদের সাফ বলে দেওয়া হয়েছে, দল যেখানে নির্বাচনে যাবে না, সেখানে তারা যেন নির্বাচন থেকে সরে আসেন, দলীয় শৃঙ্খলা মেনে চলেন। অন্যথায় বিএনপি সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেবে। তবে অনেকেই বিষয়টি ভেবে দেখবেন বলে জানিয়েছেন। আশা করি, প্রথম ধাপের নির্বাচনে যারা ইতোমধ্যে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন, তারা তা প্রত্যাহার করে নেবেন।’

তিনি বলেন, ‘দলীয় শৃঙ্খলার বিষয়ে বিএনপি খুবই কঠোর। এজন্য তৃণমূলের অন্য নেতাদের সঙ্গেও যোগযোগ রাখছি। যাতে প্রথম ধাপের মতো দ্বিতীয় কিংবা তৃতীয় ধাপেও দলের কেউ যেন মনোনয়ন দাখিল না করেন।’

প্রসঙ্গত, চার ধাপে ৪৫০-এর বেশি উপজেলায় নির্বাচন হবে। প্রথম ধাপে ৮ মে ১৫০টি উপজেলা পরিষদে ভোটগ্রহণ হবে। এসব উপজেলায় মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষদিন ছিল ১৫ এপ্রিল। ২২ এপ্রিল মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন।

বিএনপির দায়িত্বশীল নেতারা আশা করছেন, এর মধ্যেই পদধারী নেতারা মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করবেন। কুমিল্লা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া বলেন, তার সাংগঠনিক বিভাগ সরাইল, মেঘনা ও মতলব উপজেলায় মনোনয়নপত্র জমাদানকারী তিন নেতা ইতোমধ্যে তা প্রত্যাহার করবেন বলে লিখিতভাবে জানিয়েছেন।

আন্তর্জাতিক

প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ সফরে ঢাকা আসছেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি। আগামী ২২ এপ্রিল সোমবার তিনি বাংলাদেশে আসছেন।

কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, কাতারের আমিরের এই সফরে ১০টি চুক্তি এবং সমঝোতা স্মারক সই হবে। এই চুক্তিগুলোর মধ্যে ব্যবসা ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি, বন্দি বিনিময়, দ্বৈত কর প্রত্যাহার ও শুল্ক বিষয়ে পারস্পরিক সহযোগিতা।

সমঝোতা স্মারকের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ থেকে কাতারে জনশক্তি রপ্তানি, ধর্মীয় বিষয়ে সহযোগিতা, বন্দর ব্যবস্থাপনায় কাতারের প্রতিষ্ঠান মাওয়ানির যুক্ত হওয়া, উচ্চশিক্ষায় সহযোগিতা ও ক‚টনীতিকদের প্রশিক্ষণ।

জানা গেছে, ইরান-ইসরাইলের সাম্প্রতিক সংঘাতের এই সময়ে কাতারের আমিরের এই সফরে আলোচনায় গুরুত্ব পাবে মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতি।

কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানিয়েছে, কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির আসন্ন সফর উপলক্ষ্যে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে দুই পক্ষের ক‚টনীতিকরা কাজ করছেন।

আসন্ন সফরকে সামনে রেখে গত সোমবার দোহা থেকে একটি অগ্রবর্তী দল ঢাকায় আসে। তারা আমিরের সফর উপলক্ষ্যে নিরাপত্তাসহ সার্বিক বিষয়ে খোঁজ-খবর নেন এবং গত মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বৈঠক করেন।

প্রসঙ্গত, ২০০৫ সালে কাতারের তৎকালীন আমির শেখ হামাদ বিন খলিফা আল থানি বাংলাদেশে এসেছিলেন।