জাতীয়

রাষ্ট্রপতি নির্বাচন প্রক্রিয়া পরিবর্তনের বিষয়ে সব রাজনৈতিক দল একমত হয়েছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।

বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান।

বৈঠকে মূলত সংবিধান ও রাষ্ট্রের মূলনীতি, প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ এবং নির্বাচনী এলাকা নির্ধারণ নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা থাকলেও, আগের দিনের অসমাপ্ত রাষ্ট্রপতি নির্বাচন সংক্রান্ত আলোচনাটিও এদিন পুনরায় তোলা হয়।

অধ্যাপক আলী রিয়াজ বলেন, রাষ্ট্রপতি নির্বাচন কীভাবে হবে তা চূড়ান্ত না হলেও বর্তমান বিধান পরিবর্তনে সবার একমত হয়েছেন।

তিনি আরও জানান, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ক্ষেত্রে ভোটার কারা হবেন, তা নির্ধারণের জন্য সংসদের কাঠামো স্পষ্ট হওয়া জরুরি বলে আলোচনায় উঠে এসেছে।

এদিন জাতীয় সংসদে দ্বি-কক্ষবিশিষ্ট কাঠামোর প্রস্তাবেও অধিকাংশ রাজনৈতিক দলের সমর্থন রয়েছে বলে জানান তিনি। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে সর্বোচ্চ দুই মেয়াদ নির্ধারণের বিষয়েও বেশিরভাগ দল সম্মত হয়েছে।

অধ্যাপক আলী রিয়াজ বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো আমাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন যে যেহেতু রাষ্ট্রপতি নির্বাচন ব্যবস্থার সঙ্গে সংসদের ধরন জড়িত, তাই সংসদ কেমন হবে তা নির্ধারণ করাই এখন অগ্রাধিকার। অধিকাংশ রাজনৈতিক দল সংসদ দ্বি-কক্ষবিশিষ্ট হওয়া উচিত বলে মত দিয়েছে।

তবে এখনো এসব বিষয়ে চূড়ান্ত একমত হয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা স্পষ্ট করতে চাই, অধিকাংশ রাজনৈতিক দল দ্বি-কক্ষবিশিষ্ট সংসদের পক্ষে মত দিয়েছে। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে এখনো ঐকমত্য হয়নি। প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ নিয়েও একই অবস্থা- বেশিরভাগ রাজনৈতিক দল দুই মেয়াদের কথা বলেছে, তবে চূড়ান্ত ঐকমত্য গড়তে আরও আলোচনা প্রয়োজন।

তিনি আরও জানান, রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত নিয়ে কেউ দ্বিধান্বিত নয়। আলোচনা সৌহার্দপূর্ণ পরিবেশেই চলছে। যেসব বিষয়ে ঐকমত্য হবে না, সেগুলো জাতীয় সনদে স্বচ্ছতার সঙ্গে উল্লেখ করা হবে। আমরা জানি সব বিষয়ে ঐকমত্য সম্ভব নয়, তবে তা হলে ভালো হতো। তারপরও দলগুলোর পক্ষ থেকে ঐকমত্য গঠনে সর্বাত্মক সহযোগিতা রয়েছে।

আগামী রোববার (২২ জুন) রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে অমীমাংসিত বিষয়গুলোতে ঐকমত্য গড়ার প্রচেষ্টায় আবারও কমিশন আলোচনায় বসবে।

জাতীয়

পাঁচজন সচিবকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।

বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) রাতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত ৫টি পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

অবসরে যাওয়া পাঁচজন হলেন—জাতীয় পরিকল্পনা ও উন্নয়ন একাডেমির মহাপরিচালক (সচিব) সুকেশ কুমার সরকার, জাতীয় উন্নয়ন প্রশাসন একাডেমির রেক্টর (সচিব) মো. সহিদ উল্যাহ, ভূমি আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান মুহম্মদ ইবরাহিম, বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ডের মহাপরিচালক কাজী এনামুল হাসান, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (সচিব) মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিনকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে।

পৃথক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, তাদের চাকরিকাল ২৫ বছর পূর্ণ হয়েছে এবং সরকার জনস্বার্থে সরকারি চাকরি থেকে অবসর করা প্রয়োজন মর্মে বিবেচনা করে বিধায় তাদের সরকারি চাকরি থেকে অবসর দেওয়া হয়েছে।

তারা বিধি অনুযায়ী অবসরজনিত সুবিধাদি পাবেন বলেও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনগুলোতে জানানো হয়েছে।

অর্থনীতি

ছাত্র-জনতার আন্দোলনের বছর ২০২৪ সালে (১২ মাস) সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশিদের আমানত বেড়েছে ৩৩ গুণ। এতে ব্যাংকটিতে আমানত বেড়ে দাঁড়িয়েছে সাড়ে ৮ হাজার কোটি টাকা।

বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) সুইজারল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুইস ন্যাশনাল ব্যাংক (এসএনবি) বিশ্বের সব দেশের সঙ্গে ২০২৪ সালে তাদের দেশের ব্যাংকগুলোর দায় ও সম্পদের পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে। গত এক যুগ ধরে বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করে আসছে সুইস ন্যাশনাল ব্যাংক। যদিও নির্দিষ্ট গ্রাহকের তথ্য প্রকাশ করছে না ব্যাংকটি।

২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর শেষ হওয়া বছরের প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশটির ব্যাংকগুলোতে বাংলাদেশিদের আমানত এখন ৫৮ কোটি ৯৫ লাখ সুইস ফ্রাঁ। প্রতি ফ্রাঁ ১৪৯ টাকা ৬৯ পয়সা হিসাব করলে ৮ হাজার ৮৩৪ কোটি টাকা। অথচ আগের বছর, অর্থাৎ ২০২৩ সালে এটি ছিল মাত্র এক কোটি ৭৭ লাখ সুইস ফ্রাঁ। বাংলা টাকায় ২৬৪ কোটি টাকার মতো। এক বছরে আমানত বেড়েছে ৩৩ গুণ বা ৮ হাজার ৫৭০ কোটি টাকা। রিপোর্টে অবশ্য এই উলম্ফনের কোনো কারণ উল্লেখ নেই।

২০২১ সাল পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে বেড়েছে বাংলাদেশিদের আমানত। ২১ সালে আমানত বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ৮৭ কোটি ১১ লাখ সুইস ফ্রাঁতে। যা ইতিহাসে সর্বোচ্চ। এরপর নজিরবিহীন গতিতে অর্থ তুলে নেন বাংলাদেশিরা। দুই বছরে ১১ হাজার কোটি টাকা কমে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে যায় আমানত। দুই বছর টানা যে আমানত কমেছে, তা হঠাৎ এত বেড়ে যাওয়ায় প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। উত্তর অনুসন্ধানে প্রাথমিকভাবে সামনে আসে, শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলন এবং ক্ষমতা হারানোর ভয়ে নিরাপদে অর্থ সরিয়ে নেয়ার বিষয়টি।

সুইস কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানায়, যদি কোনো বাংলাদেশি, নাগরিকত্ব গোপন রেখে অর্থ জমা রেখে থাকেন, তবে ওই টাকা এই হিসাবে অন্তর্ভূক্ত হয়নি। গচ্ছিত রাখা স্বর্ণ বা মুল্যবান সামগ্রীর আর্থিক মূল্যমানও হিসাব করা হয়নি প্রতিবেদনে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, সুইজারল্যান্ডে গোপনীয়তা কমতে থাকায়, অনেক ধনী এখন অবৈধ টাকা জমা রাখার জন্য ঝুকছেন, লুক্সেমবার্গ, কেম্যান আইল্যান্ড, ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ড কিংবা বারমুডার মতো ট্যাক্স হ্যাভেনের দিকে।

আন্তর্জাতিক

ইসরাইলের আগ্রাসনের পাল্টা জবাবে গত কয়েক দিনে একাধিক পালায় ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইরান। যার নাম দেওয়া হয়েছে অপারেশন ট্রু প্রমিস থ্রি। বিশ্লেষকদের মতে, ইরান এখনও পর্যন্ত তার সর্বাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেনি, তবুও ইসরাইলের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কার্যত অকার্যকর হয়ে পড়েছে।

১৩ জুন ইসরাইল ইরানের উপর একতরফাভাবে হামলা চালায়, যার লক্ষ্য ছিল ইরানের পারমাণবিক, সামরিক ও আবাসিক স্থাপনা। এতে শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা, বিজ্ঞানী ও বহু বেসামরিক মানুষ নিহত হন।

এর প্রতিক্রিয়ায় ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) এরোস্পেস ফোর্স ১৩টি ধাপে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। বিশ্লেষকরা ইরানের হামলার ১০টি গুরুত্বপূর্ণ কৌশল চিহ্নিত করেছেন। তাসনিম নিউজ এজেন্সির প্রতিবেদনে তা তুলে ধরা হয়েছে:

দিন-রাতের অনিয়মিত হামলা: নির্দিষ্ট সময়ের পরিবর্তে দিনে-রাতে যেকোনো সময় আঘাত হানায় ইসরাইল প্রতিরোধে অপ্রস্তুত।
ভ্রান্তি তৈরির কৌশল: আসল ও ভুয়া হামলার সংমিশ্রণে ইসরাইলের বিমান প্রতিরক্ষা বিভ্রান্ত হয়েছে।

বিভিন্ন অস্ত্রের ব্যবহার: একসঙ্গে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও আত্মঘাতী ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছে।

আধুনিক প্রতিরক্ষা ভেদ: THAAD, Iron Dome ও David’s Sling-এর মতো অতি উন্নত প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও ব্যর্থ হয়েছে।

অনিয়মিত ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ: বিভিন্ন ধরনের ও বিভিন্ন গতির ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার ইসরাইলের প্রতিরোধ ব্যাহত করেছে।

চমকপ্রদ লক্ষ্যবস্তু: ইরান প্রতিনিয়ত নতুন নতুন লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানছে, যা ইসরাইলের কাছে অপ্রত্যাশিত।

সীমাহীন হামলা ক্ষেত্র: হামলা কেবল একটি নির্দিষ্ট অঞ্চলে সীমাবদ্ধ নয়, বরং পুরো দখলকৃত ভূখণ্ডে বিস্তৃত।

উন্নত তথ্যভান্ডার: ইরানের কাছে সেনা ঘাঁটি, তেল শোধনাগার ও অবকাঠামোর বিশদ টার্গেট লিস্ট রয়েছে।

ভয় দেখানো: ইরান স্পষ্ট করে দিয়েছে, দখলকৃত ফিলিস্তিনের কোনো এলাকাই আর নিরাপদ নয়। এর মাধ্যমে ইসরাইলিদের ভীতসন্ত্রস্ত রাখছে ইরান।

নতুন অস্ত্র গোপন: ইরান এখনো তার সবচেয়ে আধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেনি, ভবিষ্যতেও ইসরাইলকে চমকে দিতে চায়।

আন্তর্জাতিক

ইরানের বিরুদ্ধে হামলার পরিকল্পনা নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘গোপন সম্মতি’ রয়েছে বলে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদনে দাবি করা হলেও তা পুরোপুরি অস্বীকার করেছেন তিনি। খবর আল-জাজিরার।

নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যাল-এ পোস্ট করে ট্রাম্প বলেন, ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল ইরান নিয়ে আমার ভাবনা সম্পর্কে কিছুই জানে না!

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, ট্রাম্প প্রশাসন ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে হামলার পরিকল্পনায় নীতিগত সম্মতি দিলেও চূড়ান্ত অনুমোদন স্থগিত রেখেছে এ আশায় যে, তেহরান হয়তো তার পারমাণবিক কর্মসূচি পরিত্যাগ করবে।

তবে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে ট্রাম্প বৃহস্পতিবার বলেন, আমাকে সবাই এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করছে। কিন্তু আমি এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেইনি। দেখা যাক কী হয়।

এদিকে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু দাবি করেছেন, প্রায় প্রতিদিনই তার সঙ্গে ট্রাম্পের ফোনালাপ হয়। তাদের মধ্যে সম্পর্ক ‘অত্যন্ত মধুর’।

ইসরাইলের একটি ক্ষতিগ্রস্ত হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। নেতানিয়াহু বলেন, ট্রাম্পের দৃঢ়তা ও স্পষ্ট বার্তা—ইরান পারমাণবিক অস্ত্র বানাতে পারবে না—এই সংকল্প খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং সেটা নিশ্চিত করতে হলে ইরানকে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ বন্ধ করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, তিনি (ট্রাম্প) তাদের আলোচনার সুযোগ দিয়েছেন, কিন্তু তারা তাকে ধোঁকা দিয়েছে। ডোনাল্ড ট্রাম্পকে কেউ ধোঁকা দিয়ে পার পেতে পারে না।

মার্কিন সেনা হস্তক্ষেপের সম্ভাবনা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে নেতানিয়াহু বলেন, এটি প্রেসিডেন্টের সিদ্ধান্ত, তবে তারা ইতিমধ্যেই আমাদের অনেক সহায়তা করছে।

এবার মিসাইল ছুড়ল উত্তর কোরিয়া

রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ের সুনান থেকে উত্তর-পশ্চিম দিকে ১০টি মাল্টিলঞ্চার মিসাইল ছুড়েছে উত্তর কোরিয়া। বৃহস্পতিবার সকালে তারা এ মিসাইলগুলো ছুড়েছে বলে জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনী।

তবে মিসাইল ছোড়ার ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু জানায়নি দক্ষিণ কোরীয়রা। উত্তর কোরিয়া যেসব মাল্টিলঞ্চার মিসাইল নিক্ষেপ করেছে সেগুলো স্বল্পপাল্লার ব্যালিস্টিক মিসাইল হিসেবে বিবেচনা করে দক্ষিণ কোরিয়া। জাতিসংঘের নিরাপত্তা কাউন্সিলের রেজ্যুলেশন অনুযায়ী, উত্তর কোরিয়া ব্যালিস্টিক মিসাইল ব্যবহার করতে পারবে না। তবে দেশটি এসব নিষেধাজ্ঞার তোয়াক্কা করে না।

ইরানের ওপর ইসরাইলের সাম্প্রতিক হামলাকে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে উত্তর কোরিয়া। দেশটির সরকারি বার্তা সংস্থা কেসিসিএনএ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এ হামলা মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে সর্বাত্মক যুদ্ধের আশঙ্কা তৈরি করছে।

উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, ইসরাইলের এ ধরনের আচরণ ইরানের সার্বভৌমত্বের গুরুতর লঙ্ঘন এবং মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ।

এতে আরও বলা হয়, বিশ্ব আজ যে গুরুতর পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, তা স্পষ্ট করে যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা শক্তিগুলোর পৃষ্ঠপোষকতায় ইসরাইল মধ্যপ্রাচ্যের জন্য ক্যান্সারের মতো এক সত্তা এবং বৈশ্বিক শান্তি ও নিরাপত্তার প্রধান হুমকি।

গত ১৩ জুন ইসরাইল ইরানের রাজধানী তেহরানে ব্যাপক বিমান হামলা চালায়। এতে বেশ কয়েকটি সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনায় ক্ষয়ক্ষতি হয় এবং ইরানের একাধিক শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা ও পরমাণু বিজ্ঞানী নিহত হন। এর পাল্টা জবাবে ইরান ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে ইসরাইলের বিভিন্ন স্থানে হামলা চালায়।

এই পাল্টাপাল্টি হামলা এখন পর্যন্ত টানা সাত দিন ধরে চলছে।

বিনোদন

বিতর্কিত গায়ক মাইনুল আহসান নোবেলকে ‘জাতীয় বেদয়াদব’ হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন শ্রোতানন্দিত গায়ক রবি চৌধুরী।

সম্প্রতি ‘বেয়াদব’ শিরোনামের একটি গান প্রকাশ করেন রবি, যেখানে ইঙ্গিতপূর্ণভাবে সমালোচনা করা হয়েছে কিছু নতুন প্রজন্মের শিল্পীদের। গানটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে রবি লিখেছেন, ‘নোবেল গ্রেফতার হয়ে আবারও প্রমাণ করলো, সত্যিই সে জাতীয় বেয়াদব।’

এ গায়ক তার স্ট্যাটাসে আরও লেখেন, ‘নতুন প্রজন্মের আরও যারা বেয়াদব আছেন, যারা সিনিয়রদের সম্মান করেন না তাদের গায়ে লাগবে এই গান। কিচ্ছু করার নেই। সময় থাকলে শুনে দেখুন। গায়ক গায়িকা না হয়ে সবাই শিল্পী হও।’

রবি চৌধুরীর শেয়ার করা এ গানের শুরুতে তিনি বলেন, ‘আমার এই গান আধুনিক জাতীয় বেয়াদবদের জন্য, যারা শিল্পী নামের কলঙ্ক’।

‘কেউ কি আছেরে ভাই, গুরুর কাছে গান শিখতে চাই/ গান বাজনা শেখার সাথে আদব কায়দাও শেখা চাই’ -এমন কথার গানে তিনি গায়কদের কেমন হওয়া উচিত, এখনকার শিল্পীদের আচার ব্যবহার কেমন তা তুলে ধরেছেন। গানটি রবি চৌধুরী তার ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ করেছেন।

এদিকে গায়ক মাইনুল আহসান নোবেলের সঙ্গে ধর্ষণ মামলার বাদী ইডেন মহিলা কলেজের সাবেক শিক্ষার্থীর রেজিস্ট্রি কাবিনামামূলে বিয়ে সম্পাদনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত। উভয়ের সম্মতি সাপেক্ষে এ বিয়ে সম্পাদন করে আদালতকে অবগত করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয় কারা কর্তৃপক্ষকে।

বুধবার (১৮ জুন) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নাজমিন আক্তারের আদালতে নোবেলের আইনজীবী একটি আবেদন করেন। আবেদনে বলা হয়, মামলার আসামি নোবেল গত ২০ মে হতে জেলহাজতে আটক আছেন। যেহেতু বাদী ও আসামির মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হওয়ায় বাদী মামলাটি দায়ের করেছেন, মামলার বাদী ও আসামি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে ইচ্ছুক; সেহেতু জেলহাজতে আসামি ও বাদীর বিয়ের অনুমতি প্রদান করা একান্ত আবশ্যক। শুনানি শেষে আদালত আবেদনটি মঞ্জুর করেন।

ঈদের দিন কারাগারে গলা ছেড়ে গাইলেন নোবেল

ঈদের দিন কারাগারে গলা ছেড়ে গাইলেন নোবেল

বাংলাদশের সংগীতাঙ্গনের সবচেয়ে বিতর্কিত নাম মাইনুল আহসান নোবেল। দেশের সংগীত পরিমণ্ডলে রাজসিক আবির্ভাবের পর একের পর এক বিতর্কিত কাণ্ডে নিজের জায়গা খুইয়েছেন তিনি। এখন নারী নির্যাতনের এক মামলায় তার ঠাঁই হয়েছে ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে।

শনিবার (৭ জুন) ঈদুল আজহা উপলক্ষে কেরানীগঞ্জের এই কারাগারে অনুষ্ঠিত হয়েছে বিশেষ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সেখানে কারাবন্দি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী মইনুল আহসান নোবেল। তিনি মঞ্চে উঠে গেয়েছেন নগর বাউল জেমসের গান; মাতিয়েছেন বন্দিদের।

ঈদের দিনে জেলের বন্দিদের জন্য গান গেয়ে হয়তো ‘আশা’ দেখিয়েছেন নোবেল। বন্দি মানুষগুলোর জন্যও হয়তো ঈদ হতে পারে আনন্দের। তবে, গায়ক নোবেল নিজেকে পরিশুদ্ধ করে ফিরে আসবে গানের জগতে, এমনটাই হয়তো চাইবেন তার ভক্তরা।

ঈদের দিন বিকাল সাড়ে তিনটায় কারা কর্তৃপক্ষের আয়োজনে বন্দিশালার মাঠে আয়োজিত হয় এই বিশেষ অনুষ্ঠান।

মঞ্চে নোবেল ‘অভিনয়’, ‘ভিগি ভিগি’, ‘সেই তুমি কেন এত অচেনা হয়ে গেলে’সহ তার জনপ্রিয় কয়েকটি গান পরিবেশন করেন। নোবেলের কণ্ঠে গাওয়া এসব গান শুনে অন্য বন্দিরাও আবেগ-উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠেন। গানে গানে তৈরি হয় এক ভিন্নরকম উৎসবমুখর পরিবেশ।

উল্লেখ্য, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নোবেলের মারধরের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। পরে ভুক্তভোগীর পরিবার তাকে চিনতে পেরে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ কল করে। এরপর গত ১৯ মে রাত সাড়ে ৯টার দিকে ডেমরা থানা পুলিশ ভিকটিমকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় ভিকটিমের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ডেমরা থানায় একটি নারী নির্যাতন মামলা রুজু করা হয়।

থানা সূত্র জানায়, মামলাটির তদন্তের সময় ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ ও প্রযুক্তির সহায়তায় ঘটনার সাথে জড়িত কণ্ঠশিল্পী নোবেলকে গ্রেফতার করা হয়।

খেলাধুলা

টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের নতুন চক্রের সূচনালগ্নে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম টেস্টে ওপেন করবেন কি না, তা এখনই প্রকাশ করতে চাইছেন না বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। প্রতিপক্ষকে চমকে দিতে এই ‘ধোঁয়াশা’ তৈরি রাখা তার কৌশলের অংশ।

গল টেস্টের আগেরদিন সংবাদ সম্মেলনে শান্ত বলেন,

“আমার ব্যাটিংটা কোন জায়গায় হবে, সেটা কালই (ম্যাচের দিন) জানাতে চাই। আমি চাই না প্রতিপক্ষ আগে থেকেই ধারণা পাক। একাদশ ঠিক হবে কম্বিনেশনের ওপর নির্ভর করে। ”

তবে তার ওপেনিং করার সম্ভাবনা একরকমভাবে মেহেদী হাসান মিরাজের খেলার ওপর নির্ভর করছে। জ্বরে ভোগা এই অলরাউন্ডার খেলতে পারবেন কি না, তা এখনও নিশ্চিত নয়।

“মিরাজের শরীর এখনও পুরোপুরি ভালো হয়নি। উন্নতি করছে ঠিকই, তবে তার উপস্থিতির ওপর আমাদের কম্বিনেশন নির্ভর করছে,”— বলেন শান্ত।

২০২৫-২৭ চক্রের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ শ্রীলঙ্কা-বাংলাদেশ সিরিজ দিয়েই শুরু হচ্ছে। অতীত নয়, ভবিষ্যতের দিকেই চোখ শান্তর।

“আগের সিরিজ বা জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ম্যাচ নিয়ে ভাবা ঠিক হবে না। শেষ ম্যাচে আমরা দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছিলাম, সেটিই আমাদের অনুপ্রাণিত করবে,”— বলেন তিনি।

নতুন প্রতিপক্ষ, নতুন কন্ডিশনে ভালো কিছু করার আশা অধিনায়কের কণ্ঠে স্পষ্ট।

“কিছু খেলোয়াড়ের শ্রীলঙ্কায় খেলার অভিজ্ঞতা আছে, যদি সেটা কাজে লাগাতে পারি, তাহলে ভালো ফল আসবে। তবে আগে ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে, বিশেষ করে ব্যাটিং বিভাগে। ”

নিজেদের সেরাটা খেলতে পারলে ভালো সূচনা সম্ভব, এমন আত্মবিশ্বাসও প্রকাশ করেছেন শান্ত—

“টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ খুব গুরুত্বপূর্ণ। শুরুটা ভালো হলে দলের জন্য ইতিবাচক হবে। যে দল পেয়েছি, যদি সেরাটা দিতে পারি, ভালো কিছু করা সম্ভব। ”

বিনোদন

জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক বাংলাদেশে রাজনৈতিক দল ও সংগঠন নিষিদ্ধের সুযোগ রেখে আইন সংশোধন করায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

তিনি বলেছেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলো সংলাপের মাধ্যমে অগ্রগতি করছে, এটি উৎসাহব্যঞ্জক।

আমি সংস্কারের ক্ষেত্রে অর্থবহ পরিবর্তনের আহ্বান জানাই, যাতে অবাধ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি হয়। তবে সাম্প্রতিক যে আইনি পরিবর্তনের মাধ্যমে রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের সব কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে, তা নিয়ে আমি উদ্বিগ্ন। ’
সোমবার (১৬ জুন) সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় ৫৯তম মানবাধিকার পরিষদে উত্থাপিত বার্ষিক প্রতিবেদনে এ উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন ভরকার তুর্ক।

তিনি বলেন, ‘এই ধরনের পদক্ষেপ অযৌক্তিকভাবে মানুষের সংগঠনের অধিকার, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা এবং সমাবেশের স্বাধীনতাকে বাধাগ্রস্ত করছে। ’

সম্প্রতি সন্ত্রাসী কার্যক্রমে জড়িত ব্যক্তি বা সত্তার (সংগঠন) যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার বিধান যুক্ত করে সন্ত্রাসবিরোধী (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ জারি করে অন্তর্বর্তী সরকার। এই অধ্যাদেশের আলোকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং এর সব অঙ্গসংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাকর্মীদের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার কার্যসম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়।

এ ছাড়া আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনও সংশোধন করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। সংশোধনী অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল কোনো রাজনৈতিক দল, তার অঙ্গসংগঠন বা সমর্থক গোষ্ঠীকে শাস্তি দিতে পারবে।

রাজনীতি

বিতর্কিত তিন জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনে জড়িত সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনারগণ ও নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিবদের ভূমিকা তদন্তে অবিলম্বে একটি কমিটি গঠনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।

আজ সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের এক বৈঠক শেষে এ সংক্রান্ত নির্দেশ দেন প্রধান উপদেষ্টা ও কমিশন প্রধান প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. ইফতেখারুজ্জামান, সফর রাজ হোসেন ও ড. মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব সিরাজ উদ্দিন মিয়া ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।

বৈঠকে কমিশন সদস্যগণ জুলাই সনদ তৈরির কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেন। কমিশনের সহ-সভাপতি প্রফেসর আলী রীয়াজ বলেন, ‘বেশ কিছু বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে। খুব শিগগিরই সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে সনদ চূড়ান্ত করে ফেলা সম্ভব হবে।’

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘সবাই জুলাই সনদের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। আমি আশা করি আগামী জুলাই মাসের মধ্যে আমরা এটি জাতির সামনে উপস্থাপন করতে পারব।’

বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা তাঁর লন্ডন সফরের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে বলেন, ‘লন্ডনে বাংলাদেশি কমিউনিটির যাদের সঙ্গেই দেখা হয়েছে তারা সংস্কার নিয়ে জানতে চেয়েছেন। বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা খুব আগ্রহী। তারা বিস্তারিতভাবে ঐকমত্য কমিশনের কাজ নিয়ে আমার সঙ্গে আলোচনা করেছেন, মতামত দিয়েছেন। যেখানেই গেছি সেখানকার প্রবাসী বাংলাদেশিরা আমাকে জিজ্ঞেস করছেন, ‘আমরা আগামী নির্বাচনে ভোট দিতে পারব তো?’ আমাদের প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিতের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে। পোস্টাল ব্যালট এবং আর কী কী অপশন আছে সেগুলো নিয়ে ভাবতে হবে, সংশ্লিষ্টদের সাথে আলোচনায় বসতে হবে।’

বৈঠকে নির্বাচন কমিশন সংস্কার কমিশন প্রধান বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘সকল রাজনৈতিক দল একমত হয়েছে যে, অতীতের তিনটি বিতর্কিত নির্বাচন আয়োজনে কর্মকর্তাদের ভূমিকা তদন্ত ও জবাবদিহিতার আওতায় আনা প্রয়োজন।’

জাতীয়

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, গত দেড় দশকে সংঘটিত গুমের ঘটনাগুলোর তদন্তে জাতিসংঘের যেকোনো ধরনের সহযোগিতা বাংলাদেশ আন্তরিকভাবে গ্রহণ করবে।

তিনি বলেন, ‘আমি চেয়েছিলাম, জাতিসংঘ আমাদের চলমান তদন্ত প্রক্রিয়ায় সম্পৃক্ত হোক। এতে প্রক্রিয়াটি আরও শক্তিশালী হবে।’

সোমবার ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় জাতিসংঘের গুম বা নিখোঁজ বিষয়ক ওয়ার্কিং গ্রুপের (ডব্লিউজিআইডি) ভাইস-চেয়ারপারসন গ্রাজিনা বারানোস্কা এবং সদস্য আনা লোরেনা ডেলগাদিয়ো পেরেজ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি একথা বলেন।

জাতিসংঘের কর্মকর্তারা গুমের ঘটনা প্রতিরোধে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গৃহীত উদ্যোগ, বিশেষ করে আন্তর্জাতিক গুম প্রতিরোধ সনদে (আইসিপিপিইডি) বাংলাদেশের সংযুক্তির প্রশংসা করেন। তবে এ ক্ষেত্রে এখনো অনেক কিছু করার রয়েছে বলেও মন্তব্য করেন।

তাঁরা গুমের ঘটনা তদন্তে সরকার গঠিত তদন্ত কমিশনের কাজ এবং প্রতিশ্রুতিকেও সাধুবাদ জানান।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সরকার ডিসেম্বর পর্যন্ত কমিশনের মেয়াদ বাড়াচ্ছে।

তিনি বলেন,‘তাঁদের নানাভাবে হুমকি দেয়া হলেও কমিশন গুরুত্বপূর্ণ কাজ করছে। তাঁরা যখন সর্বশেষ প্রতিবেদন জমা দিল, আমি বলেছিলাম, দর্শনার্থীদের জন্য একটি ‘ভয়ের জাদুঘর’ থাকা উচিত। আপনাদের সহযোগিতা আমাদের প্রয়োজন। আমাদের সহায়তা ও একসঙ্গে কাজ করার দরকার।’

তিনি আরও বলেন, “আমরা অত্যন্ত আনন্দিত যে ১৩ বছর পর আমরা জাতিসংঘের একটি দলকে এখানে স্বাগত জানাতে পারছি। আমরা চাই আপনারা আমাদের কমিশনের কাজকে সহায়তা করুন এবং তাদের সঙ্গে যুক্ত থেকে দিকনির্দেশনা ও শক্তি জোগান।”

বারানোস্কা জানান, ২০১৩ সাল থেকে তাঁরা বাংলাদেশে গুম ইস্যুতে কাজ করার চেষ্টা করছেন এবং তদন্ত কমিশন গঠনের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ধন্যবাদ জানান।

তিনি বলেন,‘তদন্ত কমিশন ও এর কাজ আপনার সরকারের এক বিশাল প্রতিশ্রুতি। এজন্য আপনাদের ধন্যবাদ। এটি আমাদের জন্য এক বিশাল সম্মান।’

তিনি আরও জানান, তাঁরা ঢাকার বাইরে গিয়ে ভুক্তভোগী, নাগরিক সমাজ ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সঙ্গেও বৈঠক করবেন।