রাজনীতি

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) আজ মোট চারটি উন্নয়ন প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে। প্রকল্পগুলোর মোট আনুমানিক ব্যয় ১,২২২.১৪ কোটি টাকা। জুলাই-আগস্টে শিক্ষার্থী-নেতৃত্বাধীন গণ-অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর চলতি অর্থবছরে (অর্থবছর-২৫) একনেকের দ্বিতীয় সভায় ও অন্তর্বর্তী সরকারের ১ম সভায় এই অনুমোদন দেওয়া হয়।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস রাজধানীর তেজগাঁও এলাকায় প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন।

রাজধানীর শেরেবাংলা নগর এলাকায় এনইসি সম্মেলন কক্ষে সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে পরিকল্পনা ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, সার্বিক ব্যয় ১,২২২.১৪ কোটি টাকার মধ্যে ৯৬৩.৮২ কোটি টাকা আসবে বাংলাদেশ সরকারের কাছ থেকে, প্রকল্প সহায়তা হিসাবে আসবে ১০০.১৬ কোটি টাকা এবং বাকি ১৫৮.১৬ কোটি টাকা সংশ্লিষ্ট সংস্থার নিজস্ব তহবিল থেকে সংগ্রহ করা হবে।

দু’টি নতুন অনুমোদিত প্রকল্প হল- ৫৮৮.৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘দুটি মূল্যায়ন কাম উন্নয়ন কূপ (সুন্দলপুর-৪ ও শ্রীকাইল-৫) এবং দুটি অনুসন্ধানী কূপ (সুন্দলপুর দক্ষিণ-১ ও জামালুর-১)’ এবং ৪০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ে টেকসই সামাজিক পরিষেবা প্রদান প্রকল্প (২য় পর্যায়)’ ।

এছাড়া আরও দুটি সংশোধিত প্রকল্প হল- ৭০.৬৩ কোটি টাকা অতিরিক্ত ব্যয়ে ‘বাখরাবাদ-মেঘনাঘাট-হরিপুর গ্যাস ট্রান্সমিশন পাইপলাইন, প্রথম সংশোধিত’ এবং ১৬৩.১১ কোটি টাকার অতিরিক্ত ব্যয়ে ‘তথ্য আপা: আইসিটি টুওয়ার্ডস ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রকল্পের মাধ্যমে নারীর ক্ষমতায়ন, (দ্বিতীয় পর্যায় ও দ্বিতীয় সংশোধিত)’। এ প্রকল্পের সময়সীমা এক বছরে কমিয়ে আনা হয়েছে।

উপদেষ্টা বলেন, এছাড়া তথ্য আপা প্রকল্পের শিরোনাম পরিবর্তন করা হবে।

বৈঠকে সংশ্লিষ্ট উপদেষ্টা ও সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে গত ২ জুলাই বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে পরিকল্পনা কমিশনে সর্বশেষ একনেক সভা অনুষ্ঠিত হয়।

জাতীয়

‘জুলাই শহিদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন’ থেকে ছাত্র–জনতার গণ-অভ্যুত্থানে শহিদদের পরিবার এবং আহত ব্যক্তিদের আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে। প্রাথমিকভাবে প্রত্যেক শহিদের পরিবারকে পাঁচ লাখ টাকা এবং আহত প্রত্যেক ব্যক্তিকে সর্বোচ্চ এক লাখ টাকা করে দেওয়া হবে।

বুধবার ফাউন্ডেশনের কার্যনির্বাহী কমিটির প্রথম সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়েছে।

রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় ফাউন্ডেশনের সভাপতি ও প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে এই সভা হয়।

পরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

এদিকে আগেই সিদ্ধান্ত আছে, আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসার খরচ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় দেবে।

এর আগে মঙ্গলবার ‘জুলাই শহিদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন’এ ১০০ কোটি টাকা অনুদান দেয় অন্তর্বর্তী সরকার। প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিল থেকে এই টাকা দেওয়া হয়।

আন্তর্জাতিক

ভারতজুড়ে লোকসভা ও বিধানসভা ভোট একই সঙ্গে করানোর প্রস্তাব কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার অনুমোদন পেয়েছে।

বুধবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে পাশ হয়েছে ‘এক দেশ এক ভোট’ নীতি কার্যকরের লক্ষ্যে সাবেক রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের নেতৃত্বাধীন কমিটির সুপারিশ। এর ফলে সংসদের অধিবেশনে এই নীতি কার্যকর করার লক্ষ্যে কেন্দ্র বিল পাশে সক্রিয় হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

এই প্রস্তাবে বলা হয়েছে, দেশের উন্নয়নের গতি অব্যাহত রাখা ও অর্থ অপচয় ঠেকাতে লোকসভা, বিভিন্ন রাজ্যের বিধানসভা ও পৌরসভা-পঞ্চায়েতের মতো স্থানীয় প্রশাসনের ভোট একই সঙ্গে করা উচিত। প্রস্তাব অনুযায়ী, ১০০ দিনের মধ্যে পর্যায়ক্রমে এই ভোট হয়ে গেলে ভারতের মতো গণতন্ত্রের দেশের বিপুল অর্থ সাশ্রয় হবে। উন্নয়নের কাজও ব্যাহত হবে না।

‘এক দেশ এক ভোট’ কার্যকরের বিষয়ে গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর কোবিন্দের নেতৃত্বে কমিটি গড়েছিল মোদি সরকার। লোকসভা ভোটের আগেই গত ১৪ মার্চ রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে গিয়ে একসঙ্গে লোকসভা এবং সব ক’টি বিধানসভার নির্বাচন করানোর সুপারিশ করে আট খণ্ডে বিভক্ত ১৮ হাজার পাতার রিপোর্টটি জমা দিয়েছিল কোবিন্দ কমিটি। সেখানে হাজির ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহসহ কমিটির অন্য সদস্যেরা।

রিপোর্টে বলা হয়, দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্টের বিচারপতি, আইনজীবী, নির্বাচন কমিশন ও সংবিধান বিশেষজ্ঞদের অভিমত নেওয়া হয়েছে।

তবে প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসসহ ১৫টি রাজনৈতিক দল এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছে। ‘এক দেশ এক ভোট’ নীতি চালু করতে গেলে আগে সংবিধান সংশোধন করা প্রয়োজন। সে জন্য দরকার বিলের পক্ষে দুই–তৃতীয়াংশের সমর্থন। সেই সমর্থন বিজেপি ও তার সহযোগীদের নেই। সংবিধানের সংশোধন রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত বিধানসভাতে পাস করানোও বাধ্যতামূলক।

অর্থনীতি

গ্যাসের দুটিসহ অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে চারটি উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন করা হয়। এ সময় একটি প্রকল্পের শুধুমাত্র মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।

বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ২২২ কোটি ১৪ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ৯৬৩ কোটি ৮২ লাখ, বৈদেশিক ঋণ সহায়তা থেকে ১০০ কোটি ১৬ লাখ এবং বাস্তবায়নকারী সংস্থা থেকে ১৫৮ কোটি ১৬ লাখ টাকা ব্যয় করা হবে।

পরে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়। সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন পরিকল্পনা ও অর্থ উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।

একনেকে অনুমোদিত প্রকল্পগুলো হলো-বাখরাবাদ-মেঘনাঘাট-হারিপুর গ্যাস সঞ্চালন পাইপলাইন নির্মাণ (সংশোধিত) প্রকল্প। এছাড়া দুটি মূল্যায়ন কাম উন্নয়ন কূপ (সুন্দলপুর-৪ ও শ্রীকাইল-৫) এবং দুটি অনুসন্ধান কূপ (সুন্দলপুর সাউথ-১ ও জামালপুর-১) খনন। তথ্য আপ: ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে নারীদের ক্ষমতায়ন-দ্বিতীয় পর্যায় (দ্বিতীয় সংশোধিত) এবং সর্বশেষটি হলো, পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় টেকসই সামাজিক সেবা প্রদান প্রকল্প (২য় সংশোধিত)।

এদিকে ব্যয় না বাড়িয়ে শুধু মেয়াদ বাড়ানোর জন্য উপস্থাপন হবে পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় টেকসই সামাজিক সেবা প্রদান প্রকল্প (দ্বিতীয় সংশোধিত)।

তবে একনেকে উপস্থাপনের জন্য মোট ৬টি প্রকল্প উপস্থাপনের কথা থাকলেও পুনরায় পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য দুটি প্রকল্প ফেরত দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

জাতীয়

প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি)-এর মহাপরিচালক (ডিজি) এবং বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) নিয়োগ দিয়েছে সরকার।

বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) পৃথক প্রজ্ঞাপনে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি) আইন, ২০১৮-এর ধারা ৯(২) অনুযায়ী ফারুক ওয়াসিফকে অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সাথে কর্ম-সম্পর্ক পরিত্যাগের শর্তে যোগদানের তারিখ থেকে পরবর্তী দুই বছর মেয়াদে পিআইবি মহাপরিচালক পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট আইন, ২০১৪ এর ধারা ১০(২) অনুযায়ী মুহাম্মদ আবদুল্লাহকে অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সাথে কর্ম-সম্পর্ক পরিত্যাগের শর্তে যোগদানের তারিখ থেকে পরবর্তী দুই বছর মেয়াদে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

এই নিয়োগের অন্যান্য শর্ত অনুমোদিত চুক্তিপত্র দ্বারা নির্ধারিত হবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।

রাজনীতি

রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ৭ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর বাসায় ফিরলেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। বুধবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে গুলশানের ভাড়া বাসা ‘ফিরোজা’য় পৌঁছান তিনি। মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে বাসায় নেওয়া হয়। ১২ সেপ্টেম্বর ভোরে অসুস্থবোধ করায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ম্যাডাম খালেদা জিয়া সব কিছু টেলিভিশনে দেখছিলেন। তখন উনি বলেছিলেন, এই দিনটা দেখার খুব প্রয়োজন ছিল। তবে তিনি বলেছিলেন, নেতাকর্মী ও দেশের মানুষ কেউ যেন নিজের হাতে আইন তুলে না নেন। প্রতিহিংসাপরায়ণ না হোন। আন্দোলনে যে ছেলেটির হাত চলে গেছে, পা-চোখ চলে গেছে, উনি ব্যক্তিগতভাবে মনে করেন তাদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের জন্য দল যাতে সবটুকু সামর্থ্য নিয়ে তাদের পাশে দাঁড়ায়। সরকার তো সরকারের মতো করবেই। এজন্য খালেদা জিয়া মহাসচিবসহ সিনিয়র নেতাদের পঙ্গু ও চক্ষু হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠিয়েছেন। চেয়ারপারসন এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নির্দেশে তাদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছি।

খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা জানতে চাইলে তিনি বলেন, কিছুটা সুস্থতাবোধ করছেন। ক্রনিক লিভার ডিজিজ এমন একটা ডিজিজ, সাময়িকভাবে কিছুদিন সুস্থ থাকেন, আবার কয়েকদিন পর অসুস্থ হয়ে যান। এজন্য তার স্থায়ী চিকিৎসার জন্য মালটি ডিসিপ্লিনারি অ্যাডভান্স সেন্টারে নেওয়া প্রয়োজন। এখন বাসায় চিকিৎসা চলবে।

ডা. জাহিদ বলেন, বাইরে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন দেখা দিয়েছে বিমানযাত্রার যে সময়। যখন সুস্থ মানুষও প্লেনে উঠে, উঠা ও নামার সময় যে স্ট্রেস তা উনি সহ্য করতে পারবেন কি পারবেন না সেটা দেখতে হবে। উনার শারীরিক সুস্থতা হচ্ছে এক নম্বর অগ্রাধিকার। এজন্য মেডিকেল বোর্ড যখনই প্রয়োজনবোধ করবে বাইরে পাঠানো যায়, আমরা তখনই নিয়ে যাবো। বিমানযাত্রা করার মতো সুস্থতা লাভ করলেই তাকে বিদেশে নেওয়া হবে।

বিদেশে নেওয়ার প্রস্তুতির বিষয়ে তিনি বলেন, আমাদের মেডিকেল প্রস্তুতি যেটা দরকার তা কমপ্লিট। আমেরিকা ও যুক্তরাজ্যের দুটি হাসপাতালেরই কনসালট্যান্ট থেকে শুরু করে সবকিছু ফাইনাল করে রেখেছি। আমরা কিভাবে নেব তাও ঠিক করে রেখেছি। আইনগত দিক যা আছে সে ব্যাপারে বর্তমান সরকারের সঙ্গেও কথা বলেছি। এখন বিষয়টি উনার শারীরিক সুস্থতার ওপর নির্ভর করছে।

জাতীয়

প্রায় ১১ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর বুধবার রাতে রাজধানীর আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল চলাচল শুরু হয়েছে। মেট্রোরেল পরিচালনাকারী কর্তৃপক্ষ ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। ফেসবুকে ডিএমটিসিএলের ভেরিফায়েড পেজেও এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, কারিগরি ত্র“টি সমাধানের পর রাত ৮টা ২৫ মিনিটে উত্তরা উত্তর থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। মেট্রোরেল চলাচলে যাত্রীদের সাময়িক অসুবিধার জন্য মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছে।

এর আগে বুধবার সকালে হঠাৎ মেট্রোরেলের আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশের চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ৪৩০ নম্বর পিলারের হেড ও ভায়াডাক্টের মাঝখানের একটি বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ায় চলাচল বন্ধ করতে বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ।

বিয়ারিং প্যাড ভূমিকম্প, ট্রেন চলাচলের কম্পন ও তাপে সম্প্রারিত পাতের ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে বলে জানান ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আবদুর রউফ। বিকালে তিনি জানান, মেট্রোরেল চলাচল বাধাগ্রস্ত হওয়ার পরপরই কারণ অনুসন্ধান করে মেরামতের কাজ শেষ পর্যায়ে। সন্ধ্যায় পুরোপুরি কাজ শেষ করে মেট্রোরেলের আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশে চলাচল শুরু হয়েছে।

দুপুরে সরেজমিন দেখা যায়, বুধবার দিনভর উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রোরেল চলাচল করেছে। আর আগারগাঁও থেকে মতিঝিল না যাওয়ায় যাত্রীরা চরম বিপাকে পড়েন। অনেককে হেঁটে নিজ নিজ গন্তব্যে যেতে দেখা গেছে। কাউকে আবার বাসে ওঠার চেষ্টা করতে দেখা গেছে। কেউবা সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল ও রিকশায়, ব্যাটারিচালিত রিকশায় চড়ে নিজ নিজ গন্তব্যে গেছেন। মেট্রোরেলের যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে দুর্ভোগের পাশাপাশি যাত্রীদের অতিরিক্ত ভাড়া গুনে যার যার গন্তব্যে যেতে হয়েছে।

মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বুধবার সকালে জানায়, অনিবার্য কারণবশত সকাল ৯টা ৪০ মিনিট হতে আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশের ট্রেন চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ রয়েছে। তবে উত্তরা উত্তর থেকে আগারগাঁও অংশের ট্রেন চলাচল অব্যাহত রয়েছে। আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশের ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হলে পুনরায় বার্তা দিয়ে জানানো হবে।

জাতীয়

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ফোনে কথা বলার পর অডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগ জ্যাকসন হাইটস ইউনিট কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. তানভীর কায়সারকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

গত ১২ সেপ্টেম্বর তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ফোনালাপের পর তার সেই অডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেন।

মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) নিউ ইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি রফিকুর রহমানের একটি লিখিত আদেশে মো. তানভীর কায়সারকে বহিষ্কার করা হয়। উক্ত বহিষ্কারাদেশে উল্লেখ করা হয় বার বার সতর্ক করা সত্ত্বেও তানভীর কায়সার দলের নীতি, আদর্শ, চেতনা ও মূল্যবোধ বিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকায় তাকে দলীয় সিদ্ধান্তে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

রফিকুর রহমান জানান, গত ১২ সেপ্টেম্বর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ফোনালাপের পর তানভীর কায়সার সেই অডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হেয় করেছেন। একজন দলীয় কর্মী হয়ে এমন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তির দলে থাকার কোনো অধিকার নেই। তাই গত সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) নিউ ইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সিদ্ধান্তে তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

এদিকে ঘটনার পর থেকে তানভীরের ফেসবুক আইডি বন্ধ রয়েছে। ফোনালাপে তিনি যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন নেতার নাম উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ওই নেতাদের সঙ্গে তিনি আন্দোলন করবেন। কিন্তু তিনি নিজেই বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের হাতে ‘নির্যাতিত’ দাবি করে যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয় নিয়েছেন বলে জানা গেছে।

তানভীর কায়সার ২০১৯ সালের ৪ জুন লস অ্যাঞ্জেলেস হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে ঢোকেন। তার ভিসাটি ছিল ভ্রমণ ভিসা। পরে ২০২০ সালের ৭ মে দেশটিতে রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন করেন।

তবে কোন সূত্রে শেখ হাসিনার সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করেছেন, সেটি এখনো জানা যায়নি।

প্রসঙ্গত, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর থেকে শেখ হাসিনার সঙ্গে অনেকেরই কথা বলার অডিও ফাঁস হচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কেউ কেউ বিষয়টিকে উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলেও মন্তব্য করছেন। তবে এসব কল রেকর্ড কীভাবে ফাঁস হচ্ছে তার কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যায়নি। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তানভীরের ফোনালাপ কীভাবে ফাঁস হলো এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীসহ প্রবাসীদের মনে নানা প্রশ্ন দেখা দেয়।

খেলাধুলা

রাত পোহালেই ভারতের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) চেন্নাইয়ের এম এ চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় সকাল ১০ টায় শুরু হবে প্রথম টেস্ট। এই টেস্টে কেমন হবে বাংলাদেশ একাদশ, এই প্রশ্ন এখন ঘুরপাক খাচ্ছে দেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের মনে।

পাকিস্তান সিরিজের দল থেকে ভারত সফরের টেস্ট দলে খুব বেশি পরিবর্তন আনা হয়নি। তাই একাদশেও খুব বেশি পরিবর্তন আসার সম্ভাবনা নেই।

পেস বিভাগের নেতৃত্বে থাকবেন তাসকিন আহমেদ। তার সঙ্গে আছেন হাসান মাহমুদ ও নাহিদ রানা। পাকিস্তান সিরিজে দারুণ পারফর্ম করেছেন তারা। প্রথম টেস্টের একাদশে এই তিন পেসারকেই দেখা যেতে পারে।

তবে উইকেট যদি স্পিনবান্ধব হয়, সেক্ষেত্রে একাদশে দেখা যেতে পারে তাইজুল ইসলামকে। তখন একাদশে জায়গা হারাতে পারেন রানা।

এছাড়া বাংলাদেশের একাদশে খুব একটা পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই। পাকিস্তান সিরিজের শেষ টেস্টের একাদশে যারা ছিলেন তাদের থাকারই সম্ভাবনা বেশি।

বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ

সাদমান ইসলাম, জাকির হাসান, নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), মুমিনুল ইসলাম, মুশফিকুর রহিম, লিটন দাস (উইকেটরক্ষক), সাকিব আল হাসান, মেহেদি হাসান মিরাজ, তাসকিন আহমেদ, হাসান মাহমুদ, নাহিদ রানা।

আন্তর্জাতিক

নবায়নযোগ্য জ্বালানির জন্য বাংলাদেশকে ৬০০ মিলিয়ন ইউরো দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে জার্মানি। বুধবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে এ প্রতিশ্রুতি দেন জার্মান রাষ্ট্রদূত আখিম ট্রোস্টার।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে জার্মানির দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্ক রয়েছে এবং সাম্প্রতিক বছরগুলিতে এটি এক বিলিয়ন ইউরোর সাহায্যে দেশের বৃহত্তম উন্নয়ন অংশীদারদের একটিতে পরিণত হয়েছে। জার্মানি ইতিমধ্যে বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানির জন্য ৫০ মিলিয়ন ইউরো সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছে।

আখিম ট্রোস্টার বলেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানির জন্য জার্মানি আট বছরের মধ্যে ৬শ’ মিলিয়ন ইউরো ঋণ দেবে। এটি একটি বিশেষ সুবিধা। কারণ কয়েকটি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ একটি যারা এই সহায়তা পেয়েছে।