বিনোদন

দীর্ঘদিন ধরেই সিনেমা নিয়ে পর্দায় নেই বিদ্যা সিনহা মিম। ২০২২ সালের আলোচিত ‘পরাণ’ সিনেমার পর তাকে আর সেভাবে দেখা যায়নি। এরপর তার অভিনীত ‘দামাল’ নামে একটি সিনেমা মুক্তি পেলেও এর রেসপন্স খুব একটা সুবিধাজনক ছিল না।

বলা যায়, এরপর থেকে সিনেমা নিয়ে মিম রয়েছেন আলোচনার বাইরে। তবে বিজ্ঞাপন ও ফটোশুটের কাজে তিনি নিজেকে ব্যস্ত রেখেছেন। এ দুটি কাজ নিয়ে খবরের শিরোনামও হয়েছেন। কিন্তু এরমাঝে আর নতুন সিনেমায় যুক্ত হওয়ার খবর দেননি এ অভিনেত্রী।

সর্বশেষ ‘দিগন্তে ফুলের আগুন’ নামে একটি সিনেমার শুটিং করেছেন তিনি। শহীদ বুদ্ধিজীবী শহীদুল্লাহ কায়সারের জীবন নিয়ে নির্মিত এ সিনেমায় তিনি অভিনয় করেছেন পান্না কায়সারের চরিত্রে। এটি পরিচালনা করেছেন ওয়াহিদ তারেক। দেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের ঘটনার পর সিনেমাটি কবে মুক্তি পাবে বা আদৌ পাবে কিনা এ নিয়ে রয়েছে সংশয়।

মিম বলেন, ‘সিনেমাটির শুটিং শেষ। কিছু প্যাচ ওয়ার্কের কাজ বাকি আছে। সেগুলো আগামী ১৬ ও ১৭ জুলাই করা হবে। সেজন্য প্রস্তুতিও নিচ্ছি। তারপরই পুরো কাজ সম্পন্ন হবে।’

এ নিয়ে প্রত্যাশার কথা জানিয়ে অভিনেত্রী বলেন, ‘সিনেমাটি নিয়ে অনেক বেশি আশাবাদী, তাই মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছি। অনেক সুন্দর একটি গল্প। প্রত্যাশা করছি দর্শকরা প্রেক্ষাগৃহে এসে দেখবেন।’

অর্থাৎ এ সিনেমা দিয়ে আবারও ক্যামেরার সামনে দাঁড়াচ্ছেন অভিনেত্রী। সিনেমার বাইরে ওয়েব সিরিজেও অভিনয় করেছেন মিম।

নতুন ওয়েব সিরিজ কিংবা সিনেমার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘নতুন নতুন কাজের প্রস্তাব পাচ্ছি। কিন্তু গল্প, চরিত্র মনের মতো হলেই নতুন কাজ করব।’ এদিকে দিন কয়েক আগে শ্রীলঙ্কায় ভ্রমণ করেছেন মিম।

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সব মিলিয়ে ১০ দিন ছিলাম শ্রীলঙ্কা। এবারের ভ্রমণটা অনেক আনন্দের। সেই সঙ্গে অনেক স্মৃতিময় হয়ে থাকবে। কেননা, শ্রীলঙ্কার এত সুন্দর সুন্দর জায়গা ঘুরেছি, দ্বিতীয়বার আর না গেলেও হবে।’

রাজনীতি

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, জরুরি অবস্থা ঘোষণা কোনো পরিস্থিতিতেই যেন রাজনৈতিকভাবে ব্যবহৃত না হয়, সেটা নিশ্চিত করার বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলো একমত হয়েছে।

সোমবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমির দোয়েল হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বিতীয় পর্যায়ের দশম দিনের আলোচনার শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফকালে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- কমিশনের সদস্য ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন, ড. আইয়ুব মিয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।

সভায় অধ্যাপক আলী রীয়াজ জানান, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের আজ (সোমবার) জরুরি অবস্থা ঘোষণা ও উপজেলা পর্যায়ে অধস্তন আদালত সম্প্রসারণ- এ দুটি বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। বিদ্যমান সংবিধানের ১৪১ নং অনুচ্ছেদে জরুরি অবস্থা ঘোষণার বিষয়টি আছে, যা নিয়ে অতীতে খুব বেশি আলোচনার সুযোগ ছিল না। আজ (সোমবার) এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি নিয়েও আলোচনা হয়েছে।

তিনি জানান, পূর্ববর্তী আলোচনাগুলোর পরিপ্রেক্ষিতে ঐকমত্য কমিশন হতে জরুরি অবস্থা ঘোষণার বিষয়ে সংশোধিত প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এই প্রস্তাব নিয়ে পরবর্তী সভায় অধিক আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে। ভবিষ্যতের আলোচনায় সুস্পষ্টভাবে বলা যাবে এ ব্যাপারে কতটুকু একমত হওয়া গেছে।

আজকের আলোচনায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), গণঅধিকার পরিষদ, গণসংহতি, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টিসহ ৩০টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা ।

আন্তর্জাতিক

মিয়ানমারে দুটি বিদ্রোহী গোষ্ঠীর মধ্যে চলমান তীব্র সংঘর্ষের কারণে গত চার দিনে প্রায় ৪,০০০ মানুষ ভারতে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মিজোরামের কর্মকর্তারা। খবর এএফপির।

মিজোরামের স্বরাষ্ট্র সচিব ভানলালমাউইয়া বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানান, এই শরণার্থীরা দীর্ঘ ঘন বনাঞ্চল পাড়ি দিয়ে মিয়ানমার থেকে ভারতে প্রবেশ করেছেন। অনেকের আত্মীয়স্বজন ভারতের মাটিতে থাকেন। তাই তারা তাদের কাছেই থাকছেন। অন্যদের কমিউনিটি হলগুলোতে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে।

রাজ্যটি ইতিমধ্যেই মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা ৩০,০০০-এর বেশি শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছে। ২০২১ সালে সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখলের পর থেকেই দেশটিতে রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধ চলছে।

মিজোরামের এক সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, গত চার দিনে আনুমানিক ৪,০০০ মানুষ ভারতে ঢুকেছে।

পুলিশ জানায়, মিয়ানমারের যে দুটি চিন বিদ্রোহী গোষ্ঠীর মধ্যে লড়াই চলছে, তারা উভয়েই সামরিক শাসনের বিরোধী। এই সংঘর্ষ মূলত ‘চিনল্যান্ড’ নামক এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে।

পুলিশ কর্মকর্তা আরও বলেন, সীমান্তের অন্য পাশে পরিস্থিতি এখনো উত্তেজনাপূর্ণ, তাই আমরা তাদের ফিরে যেতে বলিনি।

এএফপি বলছে, ভারত সরকার চীনের প্রভাব মোকাবিলায় মিয়ানমারের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারে আগ্রহী, ফলে তারা এখনো সরাসরি দেশটিতে সেনা অভ্যুত্থানের নিন্দা করেনি।

জাতীয়

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কোন দল কত শতাংশ ভোট পেতে পারে, তা নিয়ে তরুণদের ওপর জরিপ পরিচালনা করেছে সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিং (সানেম) এবং একশনএইড বাংলাদেশ। তাদের জরিপে দেখা যায়, নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি ৩৮ দশমিক ৭৬ শতাংশ ভোট পাবে বিএনপি। এরপরে জামায়াতে ইসলামী ২১ দশমিক ৪৫ শতাংশ এবং জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ১৫ দশমিক ৮৪ শতাংশ ভোট পাবে।

চলতি বছরের ২০ মে থেকে ৩১ মে পর্যন্ত এ জরিপ পরিচালনা করা হয়। দেশের আটটি বিভাগের প্রতিটি থেকে দুটি জেলা এবং প্রতি জেলার দুটি করে উপজেলা থেকে তরুণদের বাছাই করা হয়। এতে ১৫ থেকে ৩৫ বছর বয়সী দুই হাজার তরুণের (নারী ও পুরুষ) মতামত নেওয়া হয়েছে।

তরুণদের মতে, যদি কার্যক্রম নিষিদ্ধ এবং নিবন্ধন স্থগিত থাকা আওয়ামী লীগ যদি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার সুযোগ পায় তাহলে ১৫ দশিমক ৮৪ শতাংশ ভোট পাবে। এছাড়া দেশের অন্যান্য ইসলামিক দল ৪ দশমিক ৫৯ শতাংশ ভোট পেতে পারে।

এই জরিপে অংশগ্রহণকারী তরুণদের ৭৬ দশমিক ৭৮ শতাংশ আগামী নির্বাচনে ভোট দেবেন বলে ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। এখনো সিদ্ধান্ত নেননি ৫ দশমিক ৯ শতাংশ, ভোট দেবেন না বলে জানিয়েছেন ৪ দশমিক ১৪ শতাংশ। আর ১৩ দশমিক ৯৮ শতাংশ এখনো ভোটার হননি।

জরিপের ফলাফল নিয়ে সানেমের নির্বাহী পরিচালক সেলিম রায়হান বলেন, কেবল ১৫ থেকে ৩৫ বছর বয়সী তরুণদের দৃষ্টিভঙ্গি বোঝার জন্য এই জরিপ পরিচালনা করা হয়েছে। এখানে যে মতামত এসেছে, তা শুধু বাছাই করা ওই তরুণদের মতামত। এটাকে দেশের পুরো জনগোষ্ঠীর বা অন্যান্য বয়সের মানুষের মতামত হিসেবে বিবেচনা করা উচিত হবে না। বিশেষ করে রাজনীতির মতো সংবেদনশীল বিষয়গুলোতে তা কখনোই করা সংগত হবে না।

জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের পরবর্তী সময়ে কর্মসংস্থান, শিক্ষা ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে তরুণদের ভাবনা সম্পর্কিত এ জরিপটি সোমবার প্রকাশ করা হয়। রাজধানীর মহাখালীর ব্র্যাক সেন্টার ইনে জরিপের ফলাফল তুলে ধরেন সানেমের গবেষণা সহযোগী সাফা তাসনিম। অনুষ্ঠানে তরুণদের বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিরা আলোচনায় অংশ নেন।

তরুণদের রাজনৈতিক সচেতনতার পেছনে সামাজিক মাধ্যমের ভূমিকা উঠে এসেছে জরিপে। অন্তত ৮৭ দশমিক ৪ শতাংশ তরুণ সামাজিক মাধ্যম থেকে রাজনীতির তথ্য পান।

জরিপের একটি প্রশ্ন ছিল বাংলাদেশের প্রচলিত রাজনৈতিক দলগুলোর চেয়ে তরুণ নেতৃত্বের দলগুলোর রাজনীতিতে কোনো ইতিবাচক পরিবর্তনের আশা করেন কি না। এতে ৪২ শতাংশের বেশি তরুণ আশাবাদী বলে জানান।

এছাড়া এই তরুণদের দলগুলো তরুণদের চাহিদা ও প্রয়োজনকে উপস্থাপন করতে পারছে কি না, সে প্রশ্নের জবাবে জরিপে দেখা যায়, নিশ্চিত নন ৪০ দশমিক ২৪ শতাংশ তরুণ এবং ৩০ শতাংশের বেশি তরুণ বলেছেন, এ দলগুলো তরুণদের চাহিদা ও প্রয়োজন কিছুটা উপস্থাপন করতে পারছে।

রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে ৬০ শতাংশ তরুণ পৃষ্ঠপোষকতা, স্বজনপ্রীতি ও রাজনৈতিক সহিংসতার অবসান বিষয়ক সংস্কার চান। তরুণদের প্রায় ৫১ দশমিক ৭৭ শতাংশ মনে করেন, ধর্মভিত্তিক রাজনীতি বাংলাদেশের উন্নয়নের জন্য সহায়ক। আর সহায়ক নয় বলে মনে করেন ৪৮ দশমিক ২৩ শতাংশ তরুণ। ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলগুলোর ক্রমবর্ধমান উত্থান নিয়ে উদ্বিগ্ন বলে জানিয়েছেন ৩৮ দশমিক ৩ শতাংশ তরুণ। একেবারে উদ্বিগ্ন নন বলে জানিয়েছেন ১১ দশমিক ৪ শতাংশ। আর ৩০ শতাংশ বলেছেন কখনো কখনো উদ্বিগ্ন বা এ বিষয়ে মতামত নেই।

কত সময়ের মধ্যে ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল বাংলাদেশের ক্ষমতায় আসবে—এর উত্তরে ৩৯ শতাংশের বেশি বলেছেন, তারা জানেন না এবং সাড়ে ২২ শতাংশ বলেছেন, কখনোই না। অন্যদিকে ১১ শতাংশের বেশি বলেছেন, পাঁচ বছরের মধ্যে ক্ষমতায় আসবে।

জরিপের ফলাফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে একশনএইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ কবির বলেন, রাজনীতিতে যেসব তরুণ আসেন তারা সুযোগ–সুবিধা পাওয়ার আশায় নাকি সত্যিকারের পরিবর্তন বা আদর্শ নিয়ে আসেন, তার ওপর অনেক কিছু নির্ভর করে। তিনি আরও বলেন, গণ–অভ্যুত্থানের নেতৃত্ব সব সময় তরুণেরাই দিয়েছেন, কিন্তু নীতিনির্ধারণে গিয়ে আর এই তরুণেরা থাকেন না।

অনুষ্ঠানে সানেমের নির্বাহী পরিচালক সেলিম রায়হান বলেন, সবকিছু মিলিয়ে যে নতুন বাংলাদেশের কথা চিন্তা করা হচ্ছে সেখানে এই সময়টুকুকে কতটা কাজে লাগানো যাচ্ছে তা দেখতে হবে। পরিবর্তনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ অংশীজনেরা যদি সুযোগের সদ্ব্যবহার না করে তাহলে বড় কোনো পরিবর্তন হবে না। জুলাই অভ্যুত্থানের আশা বাস্তবায়িত হবে না।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের যুগ্ম সচিব মুহাম্মদ মুনীরুজ্জামান ভূঁঞা এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ কুদ্দুছ আলী সরকার।

খেলাধুলা

মিয়ানমারে ইতিহাস গড়েছেন বাংলাদেশের নারী ফুটবল দল। বাছাইপর্বে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে প্রথমবারের মত এশিয়ান কাপের টিকিট কেটেছেন তারা। তাদের জন্য ৫০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া।

এর আগে রোববার দিবাগত রাতে দেশে ফিরেই জমকালো সংবর্ধনা পেয়েছেন আফঈদারা।

ক্রীড়া মন্ত্রণালয় অর্থ পুরস্কারের ঘোষণা দিলেও বাফুফে আগের দেড় কোটি টাকার বোনাস এখনও দিতে পারেনি। এমনকি মধ্যরাতে ক্লান্ত দলকে হাতিরঝিলে নিয়ে অভিনব সংবর্ধনা দিয়েও এ নিয়ে কিছু জানাতে পারেনি। শুধু মিষ্টি ও ফুল দিয়ে দায়িত্ব শেষ করেছে।

মিয়ানমারে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে তিন ম্যাচের সবকটি জিতে নেয় বাংলাদেশ। এর মধ্যে বাহরাইন এবং তুর্কমেনিস্তানকে সমান ৭-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। আর প্রতিবেশি মিয়ানমারকে হারিয়েছে ২-১ ব্যবধানে।

এর মাধ্যমে আগামী বছরের মার্চে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠেয় নারী এশিয়ান কাপের মূলপর্বে জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশের মেয়েরা।

আন্তর্জাতিক

ইরান-ইসরাইলের মধ্যে ১২ দিনের যুদ্ধ চলাকালে ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসউদ পেজেশকিয়ানকে হত্যার চেষ্টা করেছিল ইসরাইল। এমন চাঞ্চল্যকর দাবি করেছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট। মার্কিন মিডিয়া ব্যক্তিত্ব তাকার কারলসনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন। খবর এএফপির।

পেজেশকিয়ান বলেন, তারা চেষ্টা করেছিল। তারা সেই অনুযায়ী কাজ করেছিল, কিন্তু ব্যর্থ হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, এ হত্যাচেষ্টার পেছনে যুক্তরাষ্ট্র ছিল না। এটি ছিল ইসরাইল। আমি একটি বৈঠকে অংশ নিচ্ছিলাম। যেখানে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হচ্ছিল, তারা সেই জায়গাটিতে বোমাবর্ষণের চেষ্টা করেছিল।

তবে তিনি এই হামলার নির্দিষ্ট সময় উল্লেখ করেননি। গত মাসে ইরান ও ইসরাইলের মধ্যে ১২ দিনের যুদ্ধ সংঘটিত হয়।

ইরান-ইসরাইল সম্পর্ক বর্তমানে চরম উত্তেজনাপূর্ণ। এমন প্রেক্ষাপটে প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ানের এ বক্তব্য আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

এ যুদ্ধে ইরানের বেশ কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিকে হত্যা করেছে ইসরাইল। দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনিকেও হত্যার কথা বলেছিল যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইল। তবে শেষমেশ তাকে হত্যা করতে পারেনি।

রাজনীতি

২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতেই ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আয়োজন করবে অন্তর্বর্তী সরকার— এমনটাই আশা করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

সোমবার (৭ জুলাই) সকালে সিলেটে হজরত শাহজালাল (র.)-এর মাজার জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, নির্বাচনের মাধ্যমেই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও দেশের সঠিক পথে অগ্রযাত্রা সম্ভব।

তিনি বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলন, বিশেষ করে জুলাইয়ের রক্তাক্ত গণঅভ্যুত্থান যে নতুন পথ দেখিয়েছে, তা বাস্তবায়নে কাজ করতে হবে সবাইকেই।

বিগত ১৫ বছরে দেশে বিএনপির ৬০ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা, হাজারো প্রাণহানি ঘটেছে বলেও দাবি করেন মির্জা ফখরুল।

সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপির সহযোগিতায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সুস্থতার জন্য দোয়া ও এক আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ করতেই সকাল ৯টায় সিলেটে পৌঁছান বিএনপি মহাসচিব।

রাজনীতি

নির্বাচনের জন্য ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নেই’ বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার।

তিনি জানিয়েছেন, জামায়াতে ইসলামী নির্বাচন পেছাতে চায় না, নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ চায়।

সোমবার (৭ জুলাই) বেলা ১২টার দিকে ১৯ জুলাই অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় সমাবেশের কেন্দ্র সোহরাওয়ার্দী উদ্যান পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন৷

গোলাম পরওয়ার বলেন, সরকারের ভূমিকায় জনগণ নিরপেক্ষ নির্বাচন নিয়ে আশ্বস্ত নয়। নির্বাচনের লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নেই, জামায়াতে ইসলামী নির্বাচন পেছাতে চায় না, বরং নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ চায়।

জামায়াত সেক্রেটারি বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করা, পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত করা এবং প্রয়োজনীয় সংস্কার ও বিচার দৃশ্যমান করার জনদাবিগুলো সরকারের সামনে উপস্থাপন করতে ১৯ জুলাই জাতীয় মহাসমাবেশের আয়োজন করতে যাচ্ছে জামায়াত।

এ সময় তিনি দেশের সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে সমাবেশে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানান।

অর্থনীতি

বাংলাদেশের অর্থনীতি সচল রাখার পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন প্রবাসীরা।তাদের পাঠানো রেমিট্যান্সের ওপর ভর করে শক্তিশালী ভিত গড়চ্ছে দেশের অর্থনীতি। গত বছর গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে দেশে পটপরিবর্তনের পর প্রত্যেক মাসেই রেমিট্যান্সের প্রবাহ ঝলক দেখাচ্ছে।

সেই ধারাবাহিকতায় সদ্যসমাপ্ত জুনের মতো চলতি মাস জুলাইয়েও প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্সের ইতিবাচক প্রবাহ অব্যাহত রয়েছে। জুলাই মাসের প্রথম ৬ দিনে দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহ উল্লেখযোগ্যভাবে ১৫.৩৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৪২৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে।

সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুসারে, গত বছরের একই সময়ে দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহ ছিল ৩৭১ মিলিয়ন ডলার।

প্রবাসী বাংলাদেশিরা ২০২৪-২৫ অর্থবছরে রেকর্ড ৩০.৩৩ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন, যা দেশের ইতিহাসে এক অর্থবছরে প্রাপ্ত সর্বোচ্চ পরিমাণ।

এটি পূর্ববর্তী অর্থবছরের (অর্থবছর ২০২৩-২৪) প্রাপ্ত ২৩.৯১ বিলিয়ন ডলারের তুলনায় ২৬.৮০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

জাতীয়

মুর্শিদাবাদ শহরের জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র হাজার দুয়ারী আর ইমামবাড়া থেকে কিছুটা এগিয়ে গেলে রাস্তার পাশেই একটা ভগ্নপ্রায় সিংহদরজা। লাল ইট বেরিয়ে এসেছে, কোথাও ভেঙেও পড়েছে।

সিংহদরজাটা পেরিয়ে ভেতরে ঢুকলেই কেমন যেন গা ছম ছম করে ওঠে– বিশেষ করে একটা পুরনো নীল রঙের বোর্ডে চোখ পড়লে মনে হয় যেন টাইম মেশিনে চেপে পিছিয়ে গিয়েছি ২৬৮ বছর আগে।

যেন দেখতে পাচ্ছি ১৭৫৭ সালের জুলাইয়ের এক বা দুই তারিখে এই সিংহদরজা দিয়ে ভেতরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে এক তরুণ বিধ্বস্ত বন্দিকে। তার নানা উপাধি। কখনো সম্বোধন করা হয়, বা কয়েকদিন আগেও করা হতো মনসুর-উল-মুলক, কখনো বা হিবুত জং বলে।

তার পুরো নাম অবশ্য মীর সৈয়দ জাফর আলি খান মির্জা মুহাম্মদ সিরাজউদ্দৌলা। ছোট করে বললে, নবাব সিরাজউদ্দৌলা। আর যে সিংহদুয়ার দিয়ে বন্দি সিরাজউদ্দৌলাকে ভেতরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, লোকমুখে আড়াইশো বছরেরও বেশি সময় ধরে সেটির নাম ‘নিমকহারাম দেউরি’। কেন এরকম একটা নামকরণ হলো- সেটা আন্দাজ করা কঠিন হবে না, যদি জানতে পারেন যে ওই প্রাসাদটি কার।

‘নিমকহারাম দেউরি’

পলাশীর যুদ্ধের পর থেকে মীর জাফরের প্রাসাদকে স্থানীয় মানুষ নিমকহারাম দেউরি বলেই ডাকেন। কিছু ইতিহাসবিদ মনে করেন সিরাজউদ্দৌলাকে হত্যা করা হয়েছিল এই প্রাসাদেই, আবার ভিন্ন মতও আছে। সেই মতটা হলো গঙ্গার পশ্চিম তীরে সিরাজের প্রাসাদ– মনসুরগঞ্জ প্রাসাদেই বন্দি সিরাজকে নিয়ে আসা হয়েছিল এবং সেখানেই মীর জাফরের পুত্র মীরণের নির্দেশে তাকে হত্যা করা হয়।

এ বিষয়ে লালবাগ কলেজের ইতিহাসের অধ্যাপক ফারুক আবদুল্লাহ বলেন, সিরাজউদ্দৌলাকে হত্যা করার পরে তার শরীর টুকরো করে ফেলা হয় এবং হাতির পিঠে চাপিয়ে সেই দেহখন্ডগুলো মুর্শিদাবাদ শহরে ঘোরানো হয়েছিল। মীর জাফরের বংশধরদের কাছ থেকেই জানা গেছে, এখন যেখানে সরাইখানা এলাকা, সেখানে যখন ওই হাতিটি নিয়ে যায় সিপাহীরা, সেখানকার মানুষ রুখে দাঁড়িয়েছিলেন।

অধ্যাপক ফারুক বলেন, একটা জনরোষ তৈরি হয়েছিল, যার মোকাবিলা করতে সাহস দেখাননি সিপাহীরা। দেহখণ্ডে ভরা বস্তাটি তারা একটি কুয়োতে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যান। সেই থেকেই ওই এলাকাটি সিরজউদ্দৌলা বাজার বলে পরিচিত ছিল। কিন্তু এখন আর তার কোনো অস্তিত্ব নেই।

আবার মীর জাফরের বংশধরদের অনেকে বিশ্বাস করেন পারিবারিকসূত্রে পাওয়া আরেক কাহিনী। সেটা হলো- মীরণের নির্দেশে নয়, সিরাজকে গুলি করে হত্যা করেছিল দুই ব্রিটিশ সৈনিক।

এই ইতিহাসবিদের কথায়, আমি এটাও ওই পরিবারের বয়োজ্যেষ্ঠদের কাছেই শুনেছি যে, সিরাজকে বন্দি করার পরে সম্ভবত মীর জাফর ইংরেজদের চালটা ধরতে পেরেছিলেন এবং তিনিই মীরণকে পাঠিয়েছিলেন, যাতে সিরাজ পালিয়ে যেতে পারেন। সেখানে পাহারায় ছিল দুই ব্রিটিশ সিপাহী। তারা এই পরিকল্পনাটা জেনে ফেলে এবং সঙ্গে সঙ্গেই গুলি করে মেরে ফেলে সিরাজউদ্দৌলাকে।

মীর জাফরের বংশধরেরা কোথায়?

মীর জাফরের বংশধরেরা অনেকেই ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছেন মুর্শিদাবাদসহ বিশ্বের নানা জায়গাতেই। মীর জাফরদের বংশধরদের এখনো নবাব, ছোটে নবাব বলে ডাকা হয়। লালবাগের কেল্লা নিজামতের ভেতরেও থাকেন ওই বংশের বেশ কয়েকজন।

ছোটে নবাব বলে পরিচিত সৈয়দ মুহাম্মদ রাজা আলি মির্জা বলছিলেন, আমাদের ফ্যামিলির তিন হাজারের মতো সদস্য আছেন। অনেকে এখানেই থাকেন, কেউ ইংল্যান্ড, আমেরিকা বা বাইরে চলে গেছেন। তবে তাদের সবার বাড়ি এখানে রয়েছে।

আলি মির্জা আরও দাবি করছিলেন, পাকিস্তানের চতুর্থ ও শেষ গভর্নর জেনারেল এবং প্রথম প্রেসিডেন্ট ইস্কান্দার আলি মির্জাও তাদেরই পরিবারের সদস্য এবং মীর জাফরের বংশধর। এই কেল্লা নিজামতেই তার জন্ম, পরে যুক্তরাজ্যে সামরিক প্রশিক্ষণ নিয়ে ব্রিটিশ ইন্ডিয়ান আর্মিতে যোগ দিয়েছিলেন ইস্কান্দার মির্জা।

ইমাম হাসান ও ইমাম হোসাইনের বংশধর মীর জাফর

মীর জাফরের পূর্বপুরুষরা আরব থেকে এসেছিলেন বলে জানা যায়। মীর জাফরের বংশধরেরা দাবি করেন যে তারা ইমাম হাসান ও হোসাইনের উত্তরপুরুষ।

বেশ কয়েকটি প্রামাণ্য ইতিহাস গ্রন্থেও মীর জাফরের বংশ পরিচয়ের তথ্য পাওয়া যায়। এর মধ্যে যেমন আছে ১৯০৫ সালে প্রকাশিত পূর্ণচন্দ্র মজুমদারের লেখা ‘মসনদ অফ মুর্শিদাবাদ’, তেমনই আছে বাংলায় সমকালীন মুসলমানদের নিয়ে লেখা খন্দকার ফজলে রাব্বির আকর গ্রন্থ ‘হাকিকত মুসলমান-ই-বেঙ্গালাহ’-ও। পূর্ণচন্দ্র মজুমদারের বইটিতে তাদের বংশতালিকাও পাওয়া যায়।

ইতিহাসবিদ রজতকান্ত রায় বলছিলেন, মীর জাফর বাংলার মুঘল অশ্বারোহী বাহিনীর বকশী ছিলেন, অর্থাৎ ইংরেজিতে যাকে বলে পে মাস্টার জেনারেল বা প্রধান সেনাপতি। তার পরেই ছিলেন রায় দুর্লভরাম সোম। তিনি ছিলেন বিদেশি, আরব বিদেশি– নাজাফ থেকে এসেছিলেন।

রজতকান্ত রায় বলছেন, তিনি যখন সেনাবাহিনীতে যোগ দেন, তখন সাধারণ অশ্বারোহী ছিলেন। তারপরে ধীরে ধীরে তার পদোন্নতি হয় বিশেষ করে আলিবর্দি খাঁয়ের সময়ে। রায় দুর্লভ ছিলেন নিজামত দেওয়ান আর মীর জাফর ছিলেন বকশী। আলিবর্দি খাঁ এদের দিয়ে শপথ করিয়ে নিয়েছিলেন যে তারা সিরাজের পক্ষে থাকবে যে কোনও যুদ্ধে।

পলাশীর ‘বিশ্বাসঘাতক’

ভারতের, বিশেষ করে বাঙালীদের একটা বড় অংশ জেনে এসেছেন যে মীর জাফরের ষড়যন্ত্রের জন্যই পলাশীর যুদ্ধে ক্লাইভের বাহিনীর কাছে পরাজিত হয়েছিলেন সিরাজউদ্দৌলা। তবে মীর জাফরের বংশধরেরা সেকথা বিশ্বাস করেন না।

তারই বংশধর, সৈয়দ মুহাম্মদ বাকের আলি মির্জার কথায়, যুদ্ধটা হল কিসের জন্য– কে নির্দেশ দিয়েছিল! মীর জাফর ভাবলেন যে আমি প্রধান সেনাপতি, কিন্তু যুদ্ধের নির্দেশটা কে দিল!

তিনি বলছেন, ট্রেচারি বলা হয় – কী ট্রেচারি করেছিলেন তিনি? যুদ্ধ হচ্ছে কিন্তু তিনি ভাগ নিলেন না – সেইজন্যই উনাকে বিশ্বাসঘাতক বলা হয়। যুদ্ধে অংশ না নেওয়ার জন্য যদি বিশ্বাসঘাতক হয়ে যায়, সেটা তো মানা যায় না। আজ পর্যন্ত তো কেউ প্রমাণ করতে পারল না যে উনি গদ্দারি করেছেন।

এই দাবি যেমন অনেক ইতিহাসবিদ মানেন না, তেমনই সাধারণ মানুষের বড় অংশই মীর জাফরকে এখনও বিশ্বাসঘাতক বলেই মনে করেন আর তা নিয়ে গত ২৬৮ বছর ধরেই নানা বিদ্রূপ শুনতে হয় তার বংশধরদের।

সৈয়দা তারাৎ বেগম, মীর জাফরের অষ্টম প্রজন্মের বংশধর সৈয়দা তারাৎ বেগম বলছিলেন, মীর জাফরকে নিয়ে ইংরেজরা তো খেলা করল– একটা গোটা বংশকে নিয়ে খেলা করল। দেশের মানুষ সেটা বুঝতে না পেরে মীর জাফরকে একটা শিখণ্ডী খাড়া করে উনাকে বিশ্বাসঘাতক করে দিল।

তার প্রশ্ন, এখন কেন নতুন ভাবে আপনারা জানতে চাইছেন – যদি ট্রেইটার হয়ে থাকে, তাহলে ট্রেইটার। এখনও পর্যন্ত এই পরিবারের খারাপ কোনো কাজ হলে লোকে বলে মীর জাফরের বংশধর আর ভাল কিছু করলে বলে এটা মুর্শিদাবাদের লোক।

মীর জাফরকে বিশ্বাসঘাতক বলা হয়ে থাকে তিনি ব্রিটিশদের পক্ষ নিয়েছিলেন বলে, তবে সেই ব্রিটিশ বনিকরা কিন্তু তাকেও সরিয়ে দিয়েছিল মসনদে বসার বছর তিনেকের মধ্যেই।

তার জামাই মীর কাশিমকে নবাব বানায় ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি, যদিও তিন বছর পরে আবারও মীর জাফরকে ফিরিয়ে আনা হয় বাংলার মসনদে।

জীবনের শেষ দিন – ১৭৬৫ সালের পাঁচই ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মীর জাফরই ছিলেন বাংলার নবাব। প্রাসাদের সামনেই তাদের পারিবারিক কবরস্থানে শায়িত আছেন মীর জাফর।