অর্থনীতি

আগামী অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৫.১ শতাংশ: বিশ্বব্যাংক

আগামী ২০২১-২২ অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক ১ শতাংশ পারে বলে বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। মঙ্গলবার বিশ্বব্যাংকের গ্লোবাল ইকোনমিক প্রসপেক্টস প্রতিবেদনে এই পূর্বাভাস দেওয়া হয়।

করোনার দ্বিতীয় ধাক্কা ইতিমধ্যে পড়তে শুরু করেছে উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের অর্থনীতিতে করোনার দ্বিতীয় ধাক্কা ইতিমধ্যে পড়তে শুরু করেছে। দেশব্যাপী চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। তাই আগামী অর্থবছরের ৫ দশমিক ১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি স্বাভাবিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড, নিয়ন্ত্রিত মূল্যস্ফীতি ও তৈরি পোশাকের রপ্তানি বৃদ্ধির ওপর নির্ভরশীল বলে মনে করে বিশ্বব্যাংক।

এদিকে চলতি বিদায়ী অর্থবছরে (২০২০-২১) জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৩ দশমিক ৬ শতাংশ হতে পারে বলে মনে করছে। এই প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাসে কোনো পরিবর্তন আনেনি বিশ্বব্যাংক। গত জানুয়ারি মাসে প্রকাশিত গ্লোবাল ইকোনমিক প্রসপেক্টস প্রতিবেদনে বিশ্বব্যাংক বলেছিল, এ বছর ১ দশমিক ৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হতে পারে। পরে গত মার্চ মাসে প্রকাশিত ‘সাউথ এশিয়া ইকোনমিক ফোকাস স্প্রিং ২০২১: সাউথ এশিয়া ভ্যাকসিনেটস’ প্রতিবেদনে এই পূর্বাভাস বাড়িয়ে ৩ দশমিক ৬ শতাংশে উন্নীত করে বিশ্বব্যাংক।

আগামী অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৫.১ শতাংশ: বিশ্বব্যাংক

অর্থনীতিতে ব্যাপক অনিশ্চয়তা আছে উল্লেখ করে গত মার্চ মাসের প্রতিবেদনে বিশ্বব্যাংক বলেছিল, বাংলাদেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে। অর্থনীতির এই পুনরুদ্ধার ভঙ্গুর এবং করোনার নতুন ঢেউ শঙ্কা তৈরি করছে। অর্থনীতিতে ব্যাপক অনিশ্চয়তা আছে। করোনা মহামারি পরিস্থিতি কোন দিকে যায়, তা যেমন অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করেছে। আবার পরিবর্তিত করোনা পরিস্থিতিতে সরকার কী ধরনের নীতি গ্রহণ করতে হয়, তাও আরেক ধরনের অনিশ্চয়তা।

করোনার দ্বিতীয় ধাক্কার কারণে রপ্তানি ও প্রবাসী আয় বাধাগ্রস্ত হতে পারে এমনটিই বলা হয়েছিলো।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ২০২১ সালে বিশ্বের গড় প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৫ দশমিক ৬ শতাংশ। গত ৮০ বছরের মধ্যে মন্দা–পরবর্তী সময়ে এত প্রবৃদ্ধি আর হয়নি। কারণ, বিশ্বের কয়েকটি বড় দেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াচ্ছে।

তবে উন্নয়নশীল দেশগুলো এখনও করোনা মহামারি নিয়ে হিমশিম খাচ্ছে ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

গত ৩ জুন জাতীয় সংসদে বাজেট ঘোষণা করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এসময় তিনি আগামী অর্থবছরে ৭ দশমিক ২ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য ঠিক করেছেন। তবে করোনা পরিস্থিতির কারণে আগামী অর্থবছরে এত প্রবৃদ্ধি হবে না বলে বিশ্বব্যাংক মনে করছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *