খেলাধুলা

আগ্রাসী ব‍্যাটিংয়ে বাংলাদেশের দারুণ সেশন,লিড ১৮৫/৪

ক‍্যারিবিয়ানদের শেষ ২ উইকেট দ্রুত নেওয়ার পর আগ্রাসী ব‍্যাটিংয়ে সেশন নিজেদের করে নিল বাংলাদেশ।

চা-বিরতিতে যাওয়ার সময় ২০ ওভারে সফরকারীদের রান ২ উইকেটে ১১০। সেশনের শেষ দিকে মেহেদী হাসান মিরাজ ও সাদমান ইসলাম নিজেদের একটু গুটিয়ে না নিলে রান হতে পারতো আরও বেশি।

প্রথম ইনিংসে লিড নেওয়া বাংলাদেশ এখন এগিয়ে ১২৮ রানে। ৭ চারে ৭২ বলে ৪৪ রানে ব‍্যাট করছেন সাদমান। ২২ বলে ৫ চারে মিরাজের রান ২৬। তৃতীয় উইকেটে তাদের জুটিতে ৬৩ রান এসেছে ৬২ বলে।

ভীষণ বাজে সিরিজের শেষ ইনিংসেও ব‍্যর্থ মাহমুদুল হাসান জয়। প্রথম ওভারেই ফেরেন তরুণ এই ওপেনার। তিনে নেমে আক্রমণাত্মক ব‍্যাটিংয়ে সুর বেঁধে দেন শাহাদাত হোসেন। তার দেখানো পথ ধরে হেঁটে লিড বাড়াচ্ছেন মিরাজ। তাকে দারুণ সঙ্গ দিচ্ছেন সাদমান।

২৯ বলে জুটির পঞ্চাশ

পাল্টা আক্রমণে দ্রুত রান তুলছে বাংলাদেশ। ক্রিজে গিয়েই বোলারদের উপর চড়াও হয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। শুরুতে একটু সময় নেওয়া সাদমান ইসলামও খেলতে শুরু করেছেন শট।

দুই জনের জুটি পঞ্চাশ ছুঁয়েছে কেবল ২৯ বলে!

পরের ওভারে লেগ বাই থেকে ১ রানে বাংলাদেশের রান স্পর্শ করেছে একশ।

১৬ ওভারে সফরকারীদের রান ২ উইকেটে ১০৩।

নাহিদের ৫ উইকেটে বাংলাদেশের লিড

ষষ্ঠ টেস্টে এসে প্রথমবার পাঁচ উইকেটের স্বাদ পেলেন নাহিদ রানা। গতিময় এই পেসারের ক‍্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে প্রথম ইনিংসে লিড নিল বাংলাদেশ।

এক সময়ে ১ উইকেটে ৮৫ রানের দৃঢ় ভিত গড়া ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১৪৬ রানে গুটিয়ে দিলেন নাহিদ। গতি, আগ্রাসন, নিয়ন্ত্রণ আর বুদ্ধিদীপ্ত বোলিংয়ের পসরা সাজিয়ে ৬১ রানে ২২ বছর বয়সী পেসার নিলেন ৫ উইকেট।

প্রথম ইনিংসে ১৬৪ রান করা বাংলাদেশ পেল ১৮ রানের লিড।

কিমার রোচকে এলবিডব্লিউ করে নিজের পঞ্চম উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি স্বাগতিকদের ইনিংসের ইতি টানেন নাহিদ। অফ স্টাম্প ঘেঁষে করা ডেলিভারির লাইনে যেতে পারেননি ব‍্যাটসম‍্যান। আম্পায়ার এলবিডব্লিউ দেওয়ার পর রিভিউ নেন তিনি। কিন্তু কাজ হয়নি। ইম্প‍্যক্ট ছিল আম্পায়ার্স কল, বল লাগত অফ স্টাম্পে।

প্রথম তিন ব‍্যাটসম‍্যানের পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের আর কেউ যেতে পারেননি দুই অঙ্কে। দ্বিতীয় উইকেটের পর তাদের আর কোনো জুটির রান যায়নি ১৫ পর্যন্ত।

সংক্ষিপ্ত স্কোর (দ্বিতীয় দিন শেষে):

বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ১৬৪

ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১ম ইনিংস: (আগের দিন ৭০/১) ৬৫ ওভারে ১৪৬ (ব্র‍্যাথওয়েট ৩৯, লুই ১২, কার্টি ৪০, হজ ৩, আথানেজ ২, গ্রেভস ২, দা সিলভা ৫, আলজারি জোসেফ ৭, রোচ ৮, শামার জোসেফ ৬, সিলস ৮*; হাসান ১১-৪-১৯-২, তাসকিন ১৪-৭-২০-১, নাহিদ ১৮-১-৬১-৫, তাইজুল ১৭-৭-২৪-১, মিরাজ ৫-১-১৫-১)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *