আন্তর্জাতিক

আশ্রমে দিনের পর দিন ধর্ষণ, ‘ধর্মগুরুর’ যাবজ্জীবন

২০১৩ সালের ধর্ষণের একটি মামলায় এবার ভারতের স্বঘোষিত ধর্মগুরু আসারাম বাপুর (৮১) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে।

মঙ্গলবার গুজরাটের একটি আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। এ মামলায় সোমবারই তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের।

দণ্ডপ্রাপ্ত আসারাম বর্তমানে যোধপুর কারাগারে রয়েছেন। ২০১৩ সালে এক কিশোরীকে ধর্ষণের দায়ে তিনি কারাবন্দি রয়েছেন।

আশ্রমের এক সাবেক শিষ্যা আসারামের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করেছিলেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই মামলা চলছিল এতদিন।

আসারামের বিরুদ্ধে ধর্ষণ, জোর করে আটকে রাখা, নারীদের সঙ্গে অপরাধমূলক কাজ করা, মারধর করা, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের অভিযোগ রয়েছে।

তবে সেশন কোর্টের বিচারপতি ডিকে সোনি আসারামের স্ত্রী লক্ষ্মীবেন, তাদের মেয়ে ও চার শিষ্যকে অভিযোগ থেকে রেহাই দিয়েছেন।

রায় প্রসঙ্গে আসারামের আইনজীবী সিবি গুপ্তা জানিয়েছেন, গুজরাট হাইকোর্টে সেশন কোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানানো হবে। প্রায় সাড়ে ৯ বছর ধরে ট্রায়াল চলেছে। ৫৫ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছিল।

এদিকে ২০১৩ সালের ৬ অক্টোবর আসারামসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে আমেদাবাদের একটি থানায় অভিযোগ করা হয়েছিল। ২০০১-২০০৬ সাল পর্যন্ত সুরাটের এক নারী আসারামের আশ্রমে থাকতেন। সেই সময় তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। পরে তিনি আশ্রম থেকে পালিয়ে যান।

এদিকে ২০১৪ সালের জুলাই মাসে তার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। নির্যাতিতা নারীর বোনকে ধর্ষণ ও জোর করে আটকে রাখার অভিযোগ উঠে আসারামের ছেলের বিরুদ্ধে। সেই ছেলে নারায়ণ সাইকেও যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছিলেন সুরাটের দায়রা আদালত।

এদিকে ২০১৩ সালে আশ্রমের মধ্যেই এক কিশোরীকে ধর্ষণ করেন আসারাম। এরপর তাকে ইন্দোর থেকে গ্রেফতার করা হয়। যোধপুরের একটা আদালত তাকে এরপর দোষী সাব্যস্ত করেছিল। এবার ফের অপর ধর্ষণের মামলাতেও দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল তাকে। সেখানে যাবজ্জীবন হলো তার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *