রাজনীতি

আ.লীগ কখনো একদলীয় শাসন কায়েম করেনি: ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আওয়ামী লীগ কখনো একদলীয় শাসন কায়েম করেনি। পঁচাত্তরের বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ যে দল গঠন করা হয়েছিল সেটা একদল নয়, সেটা ছিল জাতীয় দল। সব দলের সমন্বয়ে ওটা ছিল জাতীয় দল৷

মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে আওয়ামী লীগের পক্ষে শহীদ মিনারে ফুলেল শ্রদ্ধা জানানো শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আমি আবারও বিএনপিকে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, জাতীয় দল বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগে যোগদানের জন্য বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান বাকশালের চেয়ারম্যান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে দরখাস্ত দিয়েছিলেন। সেই দলের প্রতিষ্ঠাতা দরখাস্ত করে যে দলে যোগ দিয়েছিল, সে দল নিয়ে কটাক্ষ করার কোনো অধিকার নেই বিএনপির।’

তিনি বলেন, আজকে সাম্প্রদায়িক ও জঙ্গিবাদী অপশক্তি আবারও মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার চেষ্টা করছে। তাদের পৃষ্ঠপোষক হচ্ছে বিএনপি। এই অপশক্তি, অগ্নি সন্ত্রাসীদের রুখতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তিকে শেখ হাসিনার নেতৃত্ব ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

সেতুমন্ত্রী বলেন, আজকের এই দিনটি সারা দুনিয়ার ৩৫ কোটি বাংলা ভাষা-ভাষীর এক অহংকারের দিন। বিশেষ করে, বাঙালি জাতির জন্য একুশে ফেব্রুয়ারি গর্বের দিন। আজকে আমাদের সবচেয়ে বড় অহংকার, পৃথিবীর সব দেশে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হচ্ছে। অর্থচ প্রায় ৩০ কোটি বাংলা ভাষা-ভাষী মানুষের মায়ের ভাষা, মাতৃভাষা, এই ভাষা জাতিসংঘের দাপ্তরিক স্বীকৃতি আজ পর্যন্ত পায়নি। আমরা আবারও দাবি জানাবো জাতিসংঘের কাছে। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে আমাদের মাতৃভাষা দিবস পালিত হচ্ছে, কিন্তু মাতৃভাষা বিশ্বের অন্যতম সেরা ভাষা হিসেবে অফিশিয়াল স্বীকৃতি পাবে, এটাই আমরা আশা করছি।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ কখনো একদলীয় শাসন কায়েম করেনি। ৭৫ এ কৃষক, শ্রমিক নিয়ে আওয়ামী লীগ যে দল গঠন করেছিল, সেটা একদলীয় নয়। এটা ছিল জাতীয় দল। সব দলের সমন্বয়ে ওটা চলে জাতীয় দল। আমি আবারও বিএনপিকে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, জাতীয় দল বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগে যোগদানের জন্য বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান বাকশালের চেয়ারম্যান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে দরখাস্ত করে সেদিন যোগ দিয়েছিলেন। যেই দলে জিয়াউর রহমান দরখাস্ত করে যোগ দিয়েছিল, সেই দলকে কট্টাক্ষ করার কোনো অধিকার বিএনপির নেই।

তিনি আরও বলেন, যারা একুশের চেতনায় বিশ্বাস করে না, তারা একাত্তরের চেতনায়ও বিশ্বাস করে না। একাত্তর আর একুশের চেতনা একই চেতনা।

এ সময় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আবদুস সবুর, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, সংস্কৃতিক বিষয়ক অসীম কুমার উকিল, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, উপ প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল আউয়াল শামীম, উপ দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজি, তারানা হালিম প্রমুখ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *