অভিনেত্রী অ্যাঞ্জেলিনা জোলি শুক্রবার সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ইনস্টাগ্রামে যোগ দিয়েছেন। এই মাধ্যমে যোগ দেওয়ার পরই হু হু করে বাড়তে থাকে তার ফলোলার। মাত্র তিন ঘণ্টার মধ্যে তিনি পেয়েছেন ২১ লাখেরও বেশি ফলোয়ার। যা ইনস্টাগ্রামের যোগ দেওয়ার পর সবচেয়ে দ্রুত মিলিয়ন ফলোয়ার হওয়ার রেকর্ড। এতে তিনি পেছনে ফেলেছেন রুপার্ট গ্রিন্ট এবং স্যার ডেভিড অ্যাটেনবরোকে।
সোমবার এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তার ফলোয়ার সংখ্যা ৭৭ লাখ। পোস্ট দিয়েছেন মাত্র দুটি। অ্যাঞ্জেলিনা জোলি জানিয়েছেন, তিনি এই মাধ্যমকে মানবাধিকার রক্ষার জন্যই ব্যবহার করবেন।
একটি হাতে লেখা চিঠির ছবি পোস্ট করেছেন ব্র্যাড পিটের প্রাক্তন স্ত্রী। চিঠিটি জনৈক আফগান কন্যা অ্যাঞ্জেলিনাকে লিখেছেন। সেই চিঠিতে মেয়েটি জানিয়েছে, আফগানিস্তানে বসবাস করা কতটা বিপজ্জনক। এই চিঠির সঙ্গেই অন্য একটি ছবি পোস্ট করেছেন তিনি। সেখানে সাতজন মহিলাকে ক্যামেরার দিকে পিছন ফিরে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে। কিন্তু ইনস্টাগ্রামে যোগ দেওয়ার জন্য কেন আফগানিস্তানকেই বেছে নিলেন অ্যাঞ্জেলিনা? তার উত্তরও দিয়েছেন অভিনেত্রী। তিনি ইনস্টাগ্রামে লিখেছেন, ‘এই মুহূর্তে আফগানিস্তানের মানুষ সোশ্যাল মিডিয়ায় মতামত প্রকাশ করতে পারছেন না। তাই আমি ইনস্টাগ্রামে তাদের এবং বিশ্বের অগণিত মানুষ, যাঁরা তাঁদের অধিকারের জন্য লড়াই করছেন তাঁদের কথা তুলে ধরতে এলাম।’
ইনস্টাগ্রামে চিঠিটি শেয়ার করে অ্যাঞ্জেলিনা জোলি লেখেন, ‘এটি একটি চিঠি যা আমি আফগানিস্তানের এক কিশোরীর কাছ থেকে পাঠানো হয়েছিল।এই মুহূর্তে, আফগানিস্তানের মানুষ সোশ্যাল মিডিয়ায় যোগাযোগ করার এবং স্বাধীনভাবে নিজেদের প্রকাশ করার ক্ষমতা হারাচ্ছে।” তিনি যোগ করেছেন: “তাই আমি তাদের গল্প এবং বিশ্বব্যাপী যারা তাদের মৌলিক মানবাধিকারের জন্য লড়াই করছে তাদের কণ্ঠ শেয়ার করতে ইনস্টাগ্রামে এসেছি।”
ঞ্জেলিনা জোলি আফগান শরণার্থীদেরকে ‘বিশ্বের সবচেয়ে যোগ্য ব্যক্তি’ বলে অভিহিত করেন এবং বলেন যে তাদের বোঝার মতো আচরণ করা দেখতে ‘অসুস্থ’।
তিনি লিখেছেন, ‘এতো সময় এবং অর্থ ব্যয় করা, রক্তপাত হওয়া এবং কেবলমাত্র এখানে আসার জন্য প্রাণ হারানো, এটি বোঝা প্রায় অসম্ভব।’ তিনি আরও বলেন, “কয়েক দশক ধরে আফগান শরণার্থীদের – বিশ্বের সবচেয়ে সক্ষম ব্যক্তিদের মধ্যে কীভাবে বোঝার মতো আচরণ করা হয় তাও অসুস্থ।
উল্লেখ্য, ৯/১১ এর দু’সপ্তাহ আগে আফগানিস্তানে শরণার্থীদের সঙ্গে দীর্ঘ সময় কাটিয়েছিলেন অ্যাঞ্জেলিনা। সেই দেশের মানুষের শোচনীয় অবস্থাকে কাছ থেকে দেখেছিলেন ‘সল্ট’ ছবির এই অভিনেত্রী।