বাহরাইনের মানামায় অনুষ্ঠিত নিরাপত্তা বিষয়ক শীর্ষ সম্মেলনে ইসরায়েলের তীব্র সমালোচনা করেছেন সৌদি আরবের রাজপুত্র তুর্কি বিন আল ফয়সাল।
আল জাজিরা জানায়, রোববার (৬ ডিসেম্বর) মানামা ডায়ালগ শীর্ষ সম্মেলনে অনলাইনে উপস্থিত ছিলেন ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
রাজপুত্র তুর্কি বলেন, ‘নিরাপত্তা বিষয়ক অতি তুচ্ছ অভিযোগের ভিত্তিতে তরুণ, বৃদ্ধ, নারী-পুরুষসহ সবাইকে বন্দি শিবিরে আটক করে রাখে ইসরায়েল। যারা কোনো সুবিচারের নিশ্চয়তা ছাড়াই বন্দিজীবন পার করছে। ’
ইসরায়েলের ‘উচ্চ নৈতিক নীতিমালার প্রতি শ্রদ্ধাশীল’ থাকার চিন্তাধারা পরিবর্তন করে ‘পশ্চিমা সম্রাজ্যবাদী’ শক্তির অধীনে থাকা ফিলিস্তিনিদের জীবনযাপনের বর্ণনা দেন রাজপুত্র তুর্কি আল ফয়সাল।
ইসরায়েল সেনাদের হত্যাকাণ্ড ও বসতি উচ্ছেদের সমালোচনা করে তিনি আরও বলেন, ‘ইসরায়েলের সেনারা যাদের মন চায় তাদের ঘর ধ্বংস করছে এবং যাকে ইচ্ছা তাকে হত্যা করছে। ’
অত্যন্ত কঠিন ভাষায় তিনি আরও বলেন, ‘অতি ক্ষুদ্র অস্তিত্ব নিয়ে হুমকিতে থাকা দেশ, যাকে চারপাশের রক্তপিপাসুরা অস্তিত্বহীন করতে মরিয়া, অথচ তারা বলে, সৌদি আরবের সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে তারা বেশ আগ্রহী। ’
অবশ্য ইসরায়েল বিষয়ে সৌদি প্রিন্স আনুষ্ঠানিক কোনো অবস্থানের কথা জানাননি। ইসরায়েল বিষয়ে তার অবস্থানকে সৌদি বাদশাহ সালমানের অবিকল রূপ বলে আখ্যায়িত করা হয়। অবশ্য সৌদি যুবরাজ মুহাম্মাদ বিন সালমান ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে বেশ তৎপর।
প্রিন্স তুর্কি আল ফয়সাল দুই দশকের বেশি সময় ধরে সৌদি আরবের আরবের গোয়েন্দা প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এরপর তিনি সৌদি রাষ্ট্রদূত হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে কাজ করেন।