জিনজিয়াং প্রদেশে উইগুর ও অন্য সংখ্যালঘু মুসলমান জনগোষ্ঠীর ওপর দীর্ঘদিন ধরে নির্যাতন-নিপীড়ন চালাচ্ছে চীন।
এ বিষয়টি বরাবরই অস্বীকার করে আসছে চীন এবং দাবি করে আসছে, বন্দিশিবিরগুলো মূলত কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র।
তবে এবার বিভিন্ন দেশ একসঙ্গে উইগুর মুসলিম সম্প্রদায়ের মানবাধিকার নিশ্চিত করতে চীনের এ কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানোয় দেশটির ওপর চাপ বাড়ছে।
যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, জাপানসহ আরও অনেক দেশ প্রতিবাদ করায় বিপাকে পড়েছে চীন। এসব দেশের পক্ষ থেকে জার্মানির জাতিসংঘের রাষ্ট্রদূত ক্রিস্টোফ হেউসজেন বলেন, জিনজিয়াংয়ে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টি নিয়ে ভীষণ উদ্বিগ্ন দেশগুলো।
তিনি বলেন, জিনজিয়াংয়ে নিরপেক্ষ পরিদর্শকদের যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হোক যেন তারা সেখানকার পরিস্থিতি সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানতে পারে। জিনজিয়াংয়ে প্রায় ১০ লাখ উইগুরকে বন্দি করে রাখা হয়েছে এবং তাদের মানবিক এবং ধর্মীয় স্বাধীনতা লঙ্ঘন করা হচ্ছে। তাদের কড়া নজরদারিতে রাখা হয়েছে, তাদের দিয়ে জোরপূর্বক কাজ করানো হচ্ছে এবং উইগুর নারীদের বন্ধ্যা করে দেওয়া হচ্ছে।
জাতিসংঘে উপস্থাপিত জার্মানির ওই বিবৃতিতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইউ) সদস্য দেশগুলো ছাড়াও কানাডা, হাইতি, হন্ডুরাস, অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডসহ মোট ৩৯টি দেশ প্রত্যক্ষভাবে সমর্থন দেয়।
একাধিক কূটনীতিক হুঁশিয়ারি জানিয়ে বলেছেন, জিনজিয়াংয়ে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা না করলে অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিকভাবে বিপাকে পড়বে চীন।