পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন তাসখন্দে ‘মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়া ঃ আঞ্চলিক সংযোগ, চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের সময় উজবেকিস্তানের প্রেসিডেন্ট শাহভকত মিরজাইয়েভের সাথে বৈঠক করেছেন।
গতকাল অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে ড. মোমেন উজবেক প্রেসিডেন্টকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে শুভকামনা ও শুভেচ্ছা জানান।
বৈঠকে আন্তর্জাতিক, আঞ্চলিক বিষয়, বাংলাদেশ ও উজবেকিস্তানের মধ্যে বহুমুখী সহযোগিতার ক্ষেত্র আরো সম্প্রসারণ এবং সম্ভাবনা বিষয়ে আলোচনা হয়।এছাড়া দু’দেশের মধ্যে সহযোগিতার নতুন নতুন ক্ষেত্র, মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতা আরো গভীরতর করার বিষয়ে আলোচনা হয়।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী উজবেক প্রেসিডেন্টকে বাংলাদেশের যুব সমাজের কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত করেন। তিনি জানান, বাংলাদেশে রুবাদের কার্যক্রম অনেক বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাদের সন্ত্রাসী ও গণতন্ত্র বিরোধী করমকান্ডের বিরুদ্ধে সংহত হতে বলা হয়েছে। বর্তমান দেশের অর্থনেতিক ও রাজনৈতিক উন্নয়নে যুবসমাজ বড় ভূমিকা পালন করছে বলে উল্লেখ করেন।
ড. মোমেন এ বছরের ডিসেম্বরে সুবিধাজনক সময়ে বাংলাদেশ সফর করতে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদের আমন্ত্রণ পত্র উজবেক প্রেসিডেন্টকে হস্তান্তর করেন। উজবেক প্রেসিডেন্ট আনন্দের সাথে এ পত্র গ্রহণ এবং বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতিকে ধন্যবাদ জানিয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, এ বছরের ডিসেম্বরে তার কর্মসূচি দেখে যত শিগগির সম্ভব বাংলাদেশ সফরের চেষ্টা করবেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ এবং উজবেকিস্তানের মধ্যে সরাসরি যাত্রীবাহি বিমান চলাচল ঢাকা-তাসখন্দের মধ্যে সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারে বলে উল্লেখ করেন। উজবেক প্রেসিডেন্ট সরাসরি যাত্রীবাহি বিমান চলাচলের বিষয়টি তারা পরীক্ষা করে দেখবেন বলে আশ্বস্ত করেন। ড. মোমেন ঢাকায় সে দেশেরদূতাবাস চালুর বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বৈঠকে উপস্থিত উজবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে অনুরোধ জানান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আঞ্চলিক সংযোগ শক্তিশালী করার উদ্যোগ নেয়ায় উজবেক প্রেসিডেন্টের প্রশংসা করেন। উজবেক প্রেসিডেন্ট সম্মেলনে অংশ নেয়ায় পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান এবং বলেন, তার এ প্রশংসা আরো সামনের দিকে এগিয়ে যেতে তাকে অনুপ্রেরণা যোগাবে।