রাজধানীর উত্তরায় ঢাকা-ময়মনসিংহ রোডে বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের গার্ডারের চাপায় একটি প্রাইভেটকারের ৫ যাত্রীর নিহতের ঘটনায় ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির সদস্যরা হলেন- মহাসড়ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব নীলিমা আক্তার, সওজের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী সবুজ উদ্দিন খান ও ডিএমপির এডিসি মনজুর মোর্শেদ।
এর আগে সোমবার (১৫ আগস্ট) বিকেলে উত্তরার আড়ং শো-রুমের সামনে এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- গাড়ির মালিক রুবেল (৫০), ফাহিমা (৪২), ঝর্না (২৮), দুই শিশু জান্নাত (৬) ও জাকারিয়া (২)। আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে নবদম্পতি হৃদয় (২৬) ও রিয়া মনিকে (২১)।
হতাহতদের স্বজনদের সূত্রে জানা গেছে, বর হৃদয়ের বাবা নিহত রুবেল হোসেন গাড়ি চালাচ্ছিলেন। নিহত ফাহিমা কনে রিয়া মনির মা। এছাড়াও নিহত ঝরনা হৃদয়ের খালা। শিশু দুটির মা ঝরনা।
ঢাকা উত্তরা পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মোহসীন বলেন, ‘আহত দুইজনকে উদ্ধার করে উত্তরা ক্রিসেন্ট হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তারা আশঙ্কামুক্ত।’
তিনি বলেন, ‘ক্রেন দিয়ে একটি গার্ডার উপরে তোলার সময় নিচে পড়ে যায়। গার্ডারটি একটি প্রাইভেটকারের ওপরে পড়ে।’
জানা গেছে, নবদম্পতি হৃদয় ও রিয়া মনির বিয়ে হয় গত শনিবার। ঢাকায় সেই বিয়ের অনুষ্ঠান শেষে তারা আশুলিয়া ফিরছিলেন।