দেশের সীমান্তবর্তী ভারতীয় রাজ্যগুলোতে এবং দেশের অভ্যন্তরে বৃষ্টিপাত কিছুটা কমায় উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের নদ-নদীর পানিও কমছে। ফলে সিলেট, কুড়িগ্রামসহ উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতি উন্নতি হতে পারে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র শুক্রবার (০১ জুলাই) এমন পূর্বাভাস দিয়েছে।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুজ্জামান ভূঁইয়া জানিয়েছেন, ব্রহ্মপুত্র নদের পানি সমতল স্থিতিশীল আছে, অপরদিকে যমুনা নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে। উভয় নদীর পানি সমতল শনিবার পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে। দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সব প্রধান নদ-নদীর পানি সমতল হ্রাস পাচ্ছে, যা একই সময় পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। অপরদিকে গঙ্গা-পদ্মা নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা রোববার পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।
এই অবস্থায় শনিবার নাগাদ কুড়িগ্রাম, সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোণা, কিশোরগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে।
এদিকে একদিনের ব্যবধানে দু’টি নদীর পানি বিপৎসীমার নিচে চলে এসেছে। বর্তমানে সাতটি নদ-নদীর পানি আটটি পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
ধরলার পানি কুড়িগ্রামে বিপৎসীমার ৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে, ব্রহ্মপুত্রের পানি হাতিয়ায় ২১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে, সুরমার পানি কানাইঘাটে ৬৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে, কুশিয়ারার পানি অমলশীদে ৮৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে ও শেওলায় ৩২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে, পুরাতন সুরমার পানি দিরাইতে ১৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে, বাউলাই নদীর পানি খালিয়াজুড়িতে বিপৎসীমার ৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে এবং সোমেশ্বরীর পানি কলমাকান্দায় বিপৎসীমার ৩৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
পাউবো জানিয়েছে, বিভিন্ন নদ-নদীতে তাদের পর্যবেক্ষণাধীন ১০৯টি পয়েন্টের মধ্যে শুক্রবার পানির সমতল বেড়েছে ৬১টিতে, কমেছে ৪১টিতে, অপরিবর্তিত আছে সাতটিতে। বর্তমানে বন্যা আক্রান্ত জেলা ছয়টি।