বিএনপি নেতারা খালেদা জিয়ার জন্ম তারিখ নিয়ে ছিনিমিনি খেলছেন বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
সোমবার বিকালে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে তিনি বলেন, “মির্জা ফখরুল ইসলাম সাহেবরা খালেদা জিয়ার জন্মতারিখ নিয়ে ছিনিমিনি খেলছেন। একজন মানুষের ছয়টা জন্মতারিখ হওয়া মানে তার জন্মতারিখ নিয়ে ছিনিমিনি খেলা, তারা সেটাই করছেন।”
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জন্মদিন সংক্রান্ত সকল নথি আগামী ৬০ দিনের মধ্যে দাখিলের নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট। সকল মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, পররাষ্ট্র সচিব, নির্বাচন কমিশনের সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এ সংক্রান্ত এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের ভার্চুয়াল হাই কোর্ট বেঞ্চ রোববার রুলসহ এ আদেশ দেয়।
হাছান মুহমুদ বলেন, “সেটি নিয়ে মির্জা ফখরুল সংবাদ সম্মেলনে যে বক্তব্য রেখেছেন সেগুলো হাই কোর্টের প্রতি অশ্রদ্ধা প্রদর্শন, আইন-আদালতের প্রতি অসম্মান। তিনি সেখানে কিছু আপত্তিকর কথাও বলেছেন। তিনি বলেছেন, একটি নির্দিষ্ট দিনে কেউ জন্ম নিতে পারবে না সেটা বলে দিলেই হয়। এটি প্রচণ্ড আপত্তিকর।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী জানান, মেট্রিক পরীক্ষার ফলাফলে খালেদার জন্মতারিখ ১৯৪৬ সালের ৫ সেপ্টেম্বর, বিয়ের সনদে ১৯৪৪ সালের ৫ অগাস্ট, সরকারি নথিতে ১৯৪৭ সালের ১৯ অগাস্ট, বর্তমান পাসপোর্টে ১৯৪৬ সালের ৫ অগাস্ট এবং সম্প্রতি করোনা টেস্টে জন্মের তারিখ উল্লেখ আছে ১৯৪৬ সালের ৮ মে।
তিনি বলেন, “মির্জা ফখরুলের কাছে প্রশ্ন একজন মানুষ কয়বার জন্মায়? আপনারা বেগম খালেদা জিয়াকে ৫-৬ বার জন্মতারিখ দিয়ে কেন বারবার জন্মগ্রহণ করালেন? ওনার কোনো সরকারি নথিতে জন্মতারিখ ১৫ অগাস্ট উল্লেখ নেই। অথচ বিএনপির পক্ষ থেকে খালেদার জন্ম তারিখ বলে কেক কাটা হয়। প্রকৃতপক্ষে ১৫ অগাস্ট কেক কাটা হয় সেদিনের হাত্যাকাণ্ডে সমর্থন দেওয়ার জন্য, হত্যাকারীদের উৎসাহ দেওয়ার জন্য এবং উপহাস করার জন্য।”