রাজনীতি

এখনকার আলোচনায় ইসি গুরুত্বপূর্ণ নয়: সংলাপ শেষে মঞ্জু

নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনে রাষ্ট্রপতির সংলাপে অংশ নিলেও বর্তমান পরিস্থিতিতে ইসি গুরুত্বপূর্ণ নয় বলে মনে করছেন জাতীয় পার্টি-জেপির চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু।

সোমবার বঙ্গভবন থেকে বেরিয়ে আসার পর সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি বলেন, “নির্বাচন এখন যে পর্যায়ে পৌঁছে গেছে, নির্বাচন কমিশন খুব বেশি একটা গুরুত্ব বহন করে না।”

কে এম নূরুল হুদা নেতৃত্বাধীন বর্তমান ইসির মেয়াদ ফুরিয়ে আসায় নতুন ইসি গঠনে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ধারাবাহিক আলোচনা করছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

এর ধারাবাহিকতায় সোমবার সাদ সদস্যের প্রতিনিধি দল নিয়ে বঙ্গভবনে সংলাপে যান ইসিতে নিবন্ধিত দল জেপির চেয়ারম্যান মঞ্জু।

তার সঙ্গে ছিলেন দলের মহাসচিব শেখ শহিদুল ইসলাম, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সাদেক সিদ্দিকী, এ এইচ সালাউদ্দিন মাহমুদ, মফিজুল হক বেবু, এজাজ আহমেদ মুক্তা, নাজমুন নাহার বেবি।

মঞ্জু সাংবাদিকদের বলেন, অনেক বিষয় নিয়ে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে আলোচনা হলেও ঘুরে-ফিরে এসেছে নির্বাচন।

“কীভাবে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন করা যায়, কীভাবে বড় বড় দলগুলোকে নির্বাচনে আনা যায়। এই বিষয়গুলো আমাদের আলাপ-আলোচনায় প্রচ্ছন্নভাবে ছিল।”

মঞ্জু বলেন, “আমরা বরঞ্চ মহামান্য রাষ্ট্রপতিকে বলেছি, সার্চ কমিটি আসলো কোথা থেকে? তা তো সংবিধানে নাই। আমরা আমাদের আলাপ-আলোচনায় যেটাই বেশি জোর দিয়েছি সেটা হল- সংবিধানে যা আছে, সেই মাফিক চলেন।”

রাষ্ট্রপতির কাছে নির্বাচন কমিশন আইন করার প্রস্তাব দিয়েছেন কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, “দেখেন আইনটা হয়নি ৫০ বছরেও। আইন করতে আর কতক্ষণ লাগে? আমাদের দেশ যখন স্বাধীন হল, সেখানে উদ্দেশ্য-আদর্শ কী ছিল… হতাশ হলে তো চলবে না।”

বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়েও মঞ্জু বলেন, “আমাদের ধৈর্য ধারণ করতে হবে। বাংলাদেশকে ট্র্যাকে আনা, রাজনৈতিকভাবে… অধৈর্য হলে হবে না। কারণ এই দেশটা সৃষ্টি হয়েছে সম্পূর্ণ ভিন্নভাবে। যেটা ভারত বিভক্তির মতো নয়।”

সংলাপ শেষে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন সাংবাদিকদের বলেন, “তারা (জেপি) সংবিধান অনুযায়ী আইন প্রণয়ন এবং নির্বাচন কমিশন গঠনের প্রস্তাব করেন। এছাড়া সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনকে নির্বাহী বিভাগের সহযোগিতা নিশ্চিত করার প্রস্তাব করেন।

“তারা আমলানির্ভর না হয়ে সমাজের সর্বজন শ্রদ্ধেয় ও গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিদের নিয়ে বাছাই কমিটি ও নির্বাচন কমিশন গঠনের প্রস্তাব করেন।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *