আন্তর্জাতিক

এলিজি প্রাসাদে সালমান-ম্যাক্রোঁর দীর্ঘ করমর্দন

ফ্রান্স সফর করছেন সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। তাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ।

ফ্রান্সে পা রাখার পর সালমানকে ম্যাক্রোঁর সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ করমর্দন করতে দেখা গেছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, পশ্চিমা বিশ্বে বন্ধুত্ব বাড়াচ্ছেন সৌদি যুবরাজ। ম্যাক্রোঁর সঙ্গে তার আচরণ তা-ই ইঙ্গিত দিচ্ছে।

সংবাদমাধ্যম ফ্রান্স ২৪ জানায়, সালমান ফ্রান্সে আসার পর তাকে প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবন এলিজি প্যালেসে স্বাগত জানান ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। সালমান প্রাসাদে এলে দুজন দীর্ঘ সময় ধরে করর্মদন করেন।

সৌদি আরবের লেখক সাংবাদিক জামাল খাশোগির হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সমালোচিত সালমান। ফ্রান্সের কয়েকটি মানবাধিকার গোষ্ঠী বরাবর তার সমালোচনা করে আসছেন। এর মধ্যেই ফ্রান্স সফর করছেন সৌদির ডি ফ্যাক্টো শাসক। তাই সমালোচনার পারদ আরও বেশি চড়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গ্রিস সফর শেষে বৃহস্পতিবার ফ্রান্সে পৌঁছান সালামন। তিনি এলিজি প্যালেসে ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর দেওয়া নৈশভোজে অংশ নেবেন

সৌদি যুবরাজের সঙ্গে আলোচনায় অংশ নেবেন ম্যাক্রোঁ। এ সময় তিনি মানবাধিকারের বিষয়টি তুলে ধরবেন। তেল উৎপাদন ও ইরানের পরমাণু চুক্তি নিয়েও সালমানের সঙ্গে আলোচনা করবেন ম্যাক্রোঁ।

দুই নেতার বৈঠকের পর আলোচনার বিষয় নিয়ে এলিজি প্যালেস থেকে বিবৃতি প্রকাশের সম্ভাবনা রয়েছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন ২০১৮ সালে খাশোগি হত্যাকাণ্ডের পর সালমানের ফ্রান্স সফর ভালোভাবে নিচ্ছে না মানবাধিকার সংস্থাগুলো। তার আমন্ত্রণটি গভীরভাবে অনুপযুক্ত। কিন্তু তিনি আসার পর ম্যাক্রোঁ তাকে যেভাবে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন, একই সঙ্গে তাদের করমর্দনের বিষয়টি এমনভাবে ফলাও হয়েছে; বোঝা যাচ্ছে দুজনের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বেশ জোরালো হবে।

ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের কারণে সম্ভাব্য বিদ্যুতের ঘাটতি নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। এ ছাড়া রিয়াদের শীর্ষ আঞ্চলিক শত্রু ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিতে লাগাম টেনে ধরা ও জ্বালানি সরবরাহ নিয়ে তাদের মধ্যে কোনো চুক্তি হতে পারে বলেও বিশ্লেষকরা ধারণা করছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *