আবারও ভারতের মুকেশ আম্বানি এশিয়ার শীর্ষ ধনী।
আদানি গ্রুপের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দরপতন বুধবারও অব্যাহত থাকায় এবার এশিয়ার শীর্ষ ধনীর মুকুট হারালেন গৌতম আদানি।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, সার্বিকভাবে আদানি গ্রুপের মূলধন কমে সাত হাজার ৬৮০ কোটি মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। আর ফোর্বস ম্যাগাজিনের সেরা ধনীর তালিকায় প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার গৌতম আদানি নেমে গেছেন ১৫তম স্থানে।
আট হাজার ৩৬০ কোটি মার্কিন ডলারের সম্পদ নিয়ে তালিকায় নবম স্থানে উঠে এসেছেন রিলায়েন্স ইন্ডাসট্রিস লিমিটেডের প্রধান মুকেশ আম্বানি। সেইসঙ্গে ফিরে পেয়েছেনে এশিয়ার শীর্ষ ধনীর মুকুট। গত বছর মুকেশ আম্বানিকে হঠিয়েই এশিয়ার শীর্ষ ধনী হয়েছিলেন গৌতম আদানি।
সপ্তাহখানেক আগে আমেরিকার অর্থলগ্নি বিষয়ক গবেষণা প্রতিষ্ঠান হিন্ডেনবার্গের একটি গবেষণা প্রতিবেদ প্রকাশ পাওয়ার পর থেকে আর্থিক বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে আদানি গ্রুপ। ওই সময়ও গৌতম আদানি বিশ্বের তৃতীয় ধনী ছিলেন।
কিন্তু হিন্ডেনবার্গের প্রতিবেদন প্রকাশের পর হু হু করে তার বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ারের দরপতন শুরু হয়।
হিন্ডেনবার্গের প্রতিবেদনে কী এমন ছিল যা আদানিকে তৃতীয় থেকে পঞ্চদশে ঠেলে নামিয়েছে?
হিন্ডেনবার্গের প্রতিবেদনে অভিযোগ করা হয়, আদানি গ্রুপ তাদের স্টক ও সম্পদের হিসাবের বিষয়ে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে তাদের সম্পদের পরিমান ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে দেখিয়েছে। গত এক দশক ধরে আদানি গ্রুপ এই জালিয়াতি করছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
যদিও আদানি গ্রুপ ওইসব অভিযোগ অস্বীকার করে সেগুলোকে ভিত্তিহীন বলেছে।
আদানি এন্টারপ্রাইজের শেয়ারকে গৌতম আদানির ব্যবসার ইনকিউবেটর হিসেবে বর্ণনা করা হয়। যেটির শেয়ারের দাম বুধবার ৩০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।
অন্যদিকে, আদানি পাওয়ারের শেয়ার ৫ শতাংশ এবং আদানি টোটাল গ্যাসের শেয়ারের দাম এদিন ১০ শতাংশ কমে গেছে।
আদানি ট্রান্সমিশন ৬ শতাংশ এবং আদানি পোর্টস অ্যান্ড স্পেশাল ইকোনোমিক জোনের শেয়ারের ২০ শতাংশ পতন হয়েছে।
হিন্ডেনবার্গের প্রতিবেদন প্রকাশের পর সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আদানি টোটাল গ্যাস। ফ্রান্সের অন্যতম বৃহৎ জ্বালানি প্রতিষ্ঠান টোটাল এবং আদানি গ্রুপের যৌথ উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠানটি প্রায় দুই হাজার ৭০০ কোটি মার্কিন ডলার হারিয়েছে।