টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি) অর্জনের লক্ষ্যগুলো বাস্তবায়নে বিশ্বের যে তিনটি দেশ এগিয়ে আছে, তার মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ। জাতিসংঘের সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট সলিউশনস নেটওয়ার্কের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
সম্প্রতি প্রকাশিত এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৫ সালে শেষ হওয়া এমডিজির (সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্য) পর শুরু হয়েছে এসডিজি বাস্তবায়ন। এই উন্নয়ন লক্ষ্য বাস্তবায়নে শুরু থেকে ভালো করছে পূর্ব ও দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো। বিশেষ করে বাংলাদেশ, আফগানিস্তান ও আইভরি কোস্ট এই লক্ষ্যগুলো অর্জনের সূচকে শুরু থেকে উন্নতি হচ্ছে।
এসডিজির এবারের সূচকে বাংলাদেশের সার্বিক স্কোর ৬৩ দশমিক ৫ শতাংশ। গত বছর এ স্কোর ছিল ৬৩ দশমিক ২৬ শতাংশ। ২০১৫ সালে যখন এসডিজি গৃহীত হয়, তখন বাংলাদেশের স্কোর ছিল ৫৯ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ। বিশ্বের ১৬৫টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১০৯। বাংলাদেশ এ ক্ষেত্রে ভারত ও পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে আছে। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে ভুটান।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, দক্ষিণ এশিয়ায় ৭৫তম স্থানে রয়েছে ভুটান। দেশটির স্কোর ৭০। মালদ্বীপ রয়েছে ৭৯তম অবস্থানে (স্কোর ৬৯.৩), ৮৭তম অবস্থানে রয়েছে শ্রীলঙ্কা (স্কোর ৬৮.১), ৯৬তম অবস্থানে রয়েছে নেপাল (স্কোর ৬৬.৫)। বাংলাদেশের অবস্থান ১০৯তম। এর পরে রয়েছে ভারত ১২০তম অবস্থানে (স্কোর ৬০.১), পাকিস্তান ১২৯তম অবস্থানে (স্কোর ৫৭.৭) এবং ১৩৭তম স্থানে রয়েছে আফগানিস্তান (স্কোর ৫৩.৯)।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া কোভিড-১৯ মহামারির কারণে এসডিজি উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ২০১৫ সালে এসডিজি গৃহীত হওয়ার পর এই প্রথম এর সূচকের স্কোর আগের বছরের চেয়ে কমে গেছে। কোভিড মহামারির কারণে বিশ্বব্যাপী দারিদ্র্য হার বেড়ে যাওয়া এবং বেকারত্ব বৃদ্ধির করণে এমনটি হয়েছে।
এবারের তালিকায় সবচেয়ে ভালো অবস্থানে আছে ফিনল্যান্ড। দেশটির স্কোর ৮৫ দশমিক ৯ শতাংশ। তালিকায় এর পরে রয়েছে সুইডেন (৮৫.৬), ডেনমার্ক (৮৪.৯), জার্মানি (৮২.৫) ও বেলজিয়াম (৮২.২)। আর সবচেয়ে পিছিয়ে থাকা মধ্য আফ্রিকা প্রজাতন্ত্রের স্কোর ৩৮ দশমিক ২৭ শতাংশ। এর উপরে রয়েছে দক্ষিণ সুদান ও চাদ। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্কোরের দিক দিয়ে যে তিন দেশের অবনমন ঘটেছে, সেগুলো হলো ভেনেজুয়েলা, টুভালু ও ব্রাজিল।