শেষ দিনে ইনিংস হার এড়াতে ৭ উইকেট হাতে রেখে আরও ১০৫ রান করতে হবে বাংলাদেশকে।
শাহজাইব খানের সেঞ্চুরিতে পাকিস্তান বড় লিড নেওয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসে ঘুরে দাঁড়ানোর আভাস দিয়েছে বাংলাদেশ। আশিকুর রহমান, শাহরিয়ার সাকিবদের দারুণ ব্যাটিংয়ে ভালোই জবাব দিচ্ছে স্বাগতিক যুবারা।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে একমাত্র যুব টেস্টের তৃতীয় দিন শেষে দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১৬৬ রান। ইনিংস হার এড়াতে তাদের করতে হবে আরও ১০৫ রান।
প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের ১৪৯ রানের জবাবে শাহজাইবের ১৭৪ রানের সৌজন্যে ৪২০ রান করে পাকিস্তান। পায় ২৭১ রানের লিড।
বাংলাদেশের পক্ষে বল হাতে ৫ উইকেট নেন লেগ স্পিনার ওয়াসি সিদ্দিকি। পরে ব্যাট হাতে লড়াই জমান আশিকুর, সাকিবরা। দারুণ ব্যাটিংয়ে ৭৯ রান করেন আশিকুর।
দিনের শুরুতেই দুই উইকেট নিয়ে চারশর আগে পাকিস্তানকে থামানোর সম্ভাবনা জাগায় বাংলাদেশ। তৃতীয় ওভারে দারুণ ইনসুইং ডেলিভারিতে ওবাইদ শহিদকে ফিরিয়ে দেন ইকবাল হোসেন। পরের ওভারে আমির হাসানকে আউট করেন এই ডানহাতি পেসার।
তবে শেষ উইকেটে মোহাম্মদ ইসমাইলকে সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশের হতাশা বাড়ান আলি আসফান্দ। এই জুটিতে আসে ৪৫ রান। চারশ পেরিয়ে যায় পাকিস্তান।
চল্লিশে পা রেখে ওয়াসির ঝুলিয়ে দেওয়া ডেলিভারি দূর থেকে খেলতে গিয়ে ক্যাচ আউট হন আসফান্দ। শেষ হয় পাকিস্তানের প্রথম ইনিংস।
২৭১ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতেই ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। তৃতীয় ওভারে ইসমাইলের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন মাজহারুল ইসলাম। প্রথম ইনিংসের মতো এবারও রানের খাতা খুলতে পারেননি এই বাঁহাতি ওপেনার।
বাংলাদেশের হয়ে যু্ব টেস্টে দুই ইনিংসেই শূন্য (পেয়ার) রানে ফেরা প্রথম স্বীকৃত ব্যাটসম্যান তিনি। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ২০০৪ সালে ডানহাতি পেসার নাজমুল হোসেন ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২০১৮ সালে লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন এই তিক্ত স্বাদ পান।
শুরুর ধাক্কা সামলে দ্বিতীয় উইকেটে ধৈর্য্যের পরীক্ষা দেন আশিকুর ও আদিল বিন সিদ্দিক। দুজন মিলে ২২০ বলে যোগ করেন ৬৯ রান।
দ্বিতীয় সেশনের শেষ ওভারে সাদামাটা এক ডেলিভারিতে শেষ হয় আদিলের প্রতিরোধ। ওয়াহাজ রিয়াজের খাটো লেংথের ডেলিভারি ব্যাক ফুটে খেলতে গিয়ে ফিরতি ক্যাচ দেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। ৫ চারে ১০৫ বলে তিনি করেন ২৬ রান।
এরপর অধিনায়ক সাকিবকে নিয়ে শেষ সেশনে দলকে এগিয়ে নেন আশিকুর। আমিরের বলে দারুণ এক কাভার ড্রাইভে চার মেরে ১৫৯ বলে নিজের ফিফটি পূরণ করেন ডানহাতি ওপেনার।
অন্য প্রান্তে সাকিবও দেন দৃঢ়তার পরিচয়। আশিকুরের সঙ্গে তার জুটিতে আসে ১৮০ বলে ৯০ রান।
দিনের শেষ ভাগে আশিকুরের আলগা শটে ভাঙে এই জুটি। শেষ হয় তার ২০১ বলে ১০ চার ও ২ ছক্কার ইনিংস।
নাইটওয়াচম্যান একান্ত শেখকে নিয়ে বাকি সময় কাটিয়ে দেন ৪৭ রানে অপরাজিত সাকিব।
সংক্ষিপ্ত স্কোর (তৃতীয় দিন শেষে):
বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল ১ম ইনিংস: ১৪৯
পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দল ১ম ইনিংস: ১২৮.১ ওভারে ৪২০ (আগের দিন ৩৬৪/৭) (ওবাইদ ৬৭, আসফান্দ ৪০, আমির ০, ইসমাইল ১৪*; একান্ত ১৯-২-৮০-১, ইকবাল ২৮-৮-৮১-৪, পারভেজ ২৫-৭-৫৩-০, মাহফুজুর ২৮-৬-৯১-০, ওয়াসি ২৫.১-৭-৮৬-৫, জাকারিয়া ৩-০-১৪-০)
বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল ২য় ইনিংস: ৭০ ওভারে ১৬৬/৩ (আশিকুর ৭৯, মাজহারুল ০, আদিল ২৬, সাকিব ৪৭*, একান্ত ৫*; ইসমাইল ১২-১-৫১-১, আমির ১২-৫-২০-০, আসফান্দ ১৮-৭-২৮-০, ইবতিসাম ১২-৪-৩১-০, আরাফাত ১৩-৬-১৬-১, ওয়াহাজ ৩-১-২০-১)