ওলামা লীগে ধর্মের নামে ‘ধর্ম ব্যবসা’ চলবে না বলে সতর্ক করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। টাউট-বাটপার যাতে সংগঠনে অনুপ্রবেশ করতে না পারে সেদিকেও সজাগ থাকার নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি।
সোমবার (২০ মে) বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ওলামা লীগের প্রথম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন ওবায়দুল কাদের।
ওলামা লীগ নেতাদের উদ্দেশ্যে ওবায়দুল কাদের বলেন, ওলামা লীগে চাঁদাবাজদের স্থান নেই। ধর্মের নামে ধর্ম ব্যবসা চলবে না। আওয়ামী লীগের সাঙ্গে কাজ করতে হলে আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ মেনে চলতে হবে। আমাদের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সৎ রাজনীতিকে অনুসরণ করতে হবে। ফ্রি স্টাইলে যা খুশি বলবেন, এ রকম লোকের আমাদের দরকার নেই।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ওলামা লীগের ইতিহাস আওয়ামী লীগের জন্য খুব সুখকর নয়। অতীতে যা দেখেছি, কারো সঙ্গে কারো মিল নেই। নেতায় নেতায় বিভেদ। দলের আদর্শ পরিপন্থী সাম্প্রদায়িক বক্তব্য দিতে দেখেছি অনেককে। আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের কেউ এটা উচ্চারণ করবে সেটা আমি আশা করি না। নেতায় নেতায় বিভেদ আর চাই না। সত্যিকারের ওলামা দিয়ে গঠন করতে হবে। কোনো টাউট-বাটপার যেনো অনুপ্রবেশ করতে না পারে সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।
তিনি বলেন, ওলামা লীগের যেখানে সম্মেলন সেখানেই কমিটি গঠন করতে হবে। দেরি হলে কলহ বাড়ে, মতভেদ বাড়ে। শেষ পর্যন্ত সে কমিটি অনিশ্চয়তায় পড়ে যায়। আমাদের দলের শৃঙ্খলা মেনে ওলামা লীগ করতে হবে। দলবিরোধী কোনো কাজ করলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা থেকে কেউ রেহাই পাবে না। কোনো বিশৃঙ্খলা সহ্য করা হবে না। বঙ্গবন্ধু থেকে শেখ হাসিনা আমাদের পবিত্র ধর্ম ইসলামের জন্য ও বিকাশে যে অবদান রেখেছেন, যে সব প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন বাংলাদেশে অন্য কোনো শাসক সে তুলনায় কিছুই করেননি।
ওলামা লীগের সভাপতি মাওলানা কে এম আব্দুল মমিন সিরাজীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও পর রাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ, ধর্ম সম্পাদক সিরাজুল মোস্তফা, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সহসভাপতি হেদায়েতুল ইসলাম স্বপন, ওলামা লীগের ও সাধারণ সম্পাদক আমিনুল হক প্রমুখ।