জাতীয়

করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে আরও ৪১ জনের মৃত্যু

দেশে গত এক দিনে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে আরও ৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে; সংক্রমণ ধরা পড়েছে আরও ১ হাজার ৭৬৫ জনের মধ্যে।

দৈনিক শনাক্ত ও মৃত্যুর এই সংখ্যা ৩ সপ্তাহের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর আগে গত ৬ মে ১ হাজার ৮২২ জন আক্রান্তের খবর দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। আর একদিনে ৫৬ জনের মৃত্যুর খবর এসেছিল ৯ মে।

গত কয়েক দিন ধরে সংক্রমণ ও মৃত্যু সংখ্যা কিছুটা কম থাকলেও আবার তা বাড়তে শুরু করেছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় নতুন আক্রান্তদের নিয়ে দেশে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে ৮ লাখ ২ হাজার ৩০৫ জন হয়েছে। আর করোনাভাইরাসে মৃতের মোট সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১২ হাজার ৬৬০ জন।

সরকারি হিসাবে, আক্রান্তদের মধ্যে একদিনে আরও ১ হাজার ৭৭৯ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। তাদের নিয়ে মোট সুস্থ হয়েছেন ৭ লাখ ৪২ হাজার ১৫১ জন।

বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গতবছর ৮ মার্চ; তা আট লাখ পেরিয়ে যায় এ বছর ৩১ মে। সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যে গত ৭ এপ্রিল রেকর্ড ৭ হাজার ৬২৬ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়।

প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর গত বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ বছর ১১ মে তা ১২ হাজার ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ১৯ এপ্রিল রেকর্ড ১১২ জনের মৃত্যুর খবর দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

বিশ্বে শনাক্ত কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা ইতোমধ্যে ১৭ কোটি ৭ লাখ ছাড়িয়েছে। মৃত্যু হয়েছে সাড়ে ৩৫ লাখের বেশি মানুষের।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৫০৩টি ল্যাবে ১৮ হাজার ২৫০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ৫৯ লাখ ৬৫ হাজার ৭৬৩টি নমুনা।

মঙ্গলবার নমুনা পরীক্ষা অনুযায়ী শনাক্তের হার ৯ দশমিক ৬৭ শতাংশ। এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৪৫ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯২ দশমিক ৫০ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫৮ শতাংশ।

গত এক দিনে যারা মারা গেছেন, তাদের ২৬ জন পুরুষ আর নারী ১৫ জন। তাদের ২৮ জন সরকারি হাসপাতালে, ১০ জন বেসরকারি হাসপাতালে এবং ৩ জন বাড়িতে মারা যান।

তাদের মধ্যে ২৪ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি, ১০ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৩ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছর, ২ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছর এবং ১ জনের বয়স ছিল ১০ বছরের কম।

মৃতদের মধ্যে ১৫ জন ঢাকা বিভাগের, ১১ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ৬ জন রাজশাহী বিভাগের,৪ জন খুলনা বিভাগের, ২ জন বরিশাল বিভাগের এবং ৩ জন সিলেট বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।

এ পর্যন্ত মৃত ১২ হাজার ৬৬০ জনের মধ্যে ৯ হাজার ১৩৯ জন পুরুষ এবং ৩ হাজার ৫২১ জন নারী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *