রাজনীতি

করোনার অজুহাতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করেছে সরকার

করোনার অজুহাতে সরকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বুধবার স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবুর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত এই ভার্চুয়াল আলোচনা সভা এ অভিযোগ করেন তিনি।

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

শিক্ষা ব্যবস্থা একেবারে ধ্বংস করে দিয়েছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, আপনারা দেখেছেন, ঢাকার ভিকারুননিসা নূন স্কুল ও কলেজের মতো একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একজন সন্ত্রাসী ও দলবাজ মহিলাকে অধ্যক্ষ করা হয়েছে। আমরা দেখলাম যে, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের যাদেরকে উপাচার্য নিয়োগ দেয়া হলো তারা দুনীর্তি করছে, নিয়োগ দুর্নীতি করছে। এভাবে তারা শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে ফেলেছে এবং এই করোনার অজুহাতে তারা শিক্ষা বন্ধ করে দিয়েছে।

‘স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে তো পুরোপুরি ভেঙে চুরমার হয়ে গেছে। ব্যাংকিং সেক্টারকে গিলে ফেলেছে। তারা আমাদের সমস্ত অর্জনগুলোকে ধবংস করছে।’

ফখরুল বলেন, আমরা দেখলাম যে, এই করোনায় তারা কিভাবে পুরো বিষয়টাকে উদাসীনতা, অযোগ্যতা, ব্যর্থতা দিয়ে জনগণের জীবন-জীবিকাকে বিপন্ন করে ফেলেছে। এখন মানুষকে এতো বেশি তারা প্রতারণা করে, এতো মিথ্যা কথা বলে, এতো ভাওতাবাজী করে। দেখেন- টিকাই এখন পর্যন্ত পুরো সংগ্রহ হলো না এবং এখন পর্যন্ত তিন কোটি টিকাই আনতে পারলো না ভারত থেকে। তারা এখন বলছে যে, ইউনিয়ন পর্যায়ে টিকা দেবে। এগুলো জাতিকে বিভ্রান্ত করা ছাড়া আর কিছু নয়। এই সরকার এই একটা জিনিস খুব ভালো পারে অবলীলায় গোয়েবসীয় পদ্ধতিতে মিথ্যা প্রচার করতে থাকে এবং সেই মিথ্যাকে সত্য প্রমাণিত করতে থাকে।

বর্তমান সংকট উত্তরণে আন্দোলনের বিকল্প নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা এই অবস্থার পরিবর্তন চাই। সেজন্য আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, বেগম খালেদা জিয়া, যিনি বন্দি হয়ে আছেন। তাদের নেতৃত্বে আজকে দল সংগঠিত হচ্ছে। আমাদেরকে আন্দোলনে যেতে হবে এবং এই ভয়াবহ যে দানব আমাদের বুকের ওপর চেপে বসে আছে সেই দানবকে সরিয়ে দিতে হবে।

স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভুঁইয়া, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, কেন্দ্রীয় নেতা ফজলুল হক মিলন, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *