২০১৯ সালের শেষদিকে চীনে প্রথম হানা দেয় করোনাভাইরাস তথা কোভিড-১৯। এর মাঝেই ২০২০ ও ২০২১ সালকে বরণ করে নেয় বিশ্ব। আজ ২০২২ সালের প্রথম দিন। এখনও নির্মূল হয়নি ঘাতক করোনা।
এর মধ্যেই বাংলাদেশসহ অনেক দেশ নানা আয়োজনে বরণ করছে বছরের প্রথম দিন। অনেক দেশ আবার করোনার ভয়াবহতার কাছে হার মেনে সীমাবদ্ধ করেছে নিয়মিত আয়োজন।
গ্রিনিচ মান মন্দিরে সবার চেয়ে (১২+) এগিয়ে থাকার কারণে বর্ষবরণের উৎসব প্রথম শুরু হয় নিউজিল্যান্ডে। দেশটির অকল্যান্ড শহরে আয়োজন করা হয় বর্ণিল অনুষ্ঠান। তবে করোনার কারণে সেখানে এবারও ফোটেনি আতশবাজি।
তবে অস্ট্রেলিয়ার সিডনি শহর তাদের পুরানো ঐতিহ্য ধরে রেখেছে। ঘটা করে আতশবাজি ফুটিয়ে বিদায় জানিয়েছে ২০২১ সালকে। যা দেখতে ভিড় জমায় হাজার হাজার মানুষ।
করোনার ভয়াবহতা কমলেও সম্প্রতি ভাইরাসটির নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের ভয়ে ইংল্যান্ডের লন্ডন, ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসসহ বিশ্বের অনেক জায়গাতে নতুন বছরকে বরণ করতে আতশবাজির আনন্দ আয়োজন বাতিল করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রে নিউ ইয়র্কের টাইমস স্কয়ারে গোল্ডেন বল পতনের আয়োজন এবারও আছে। কিন্তু সেই আয়োজনের কাউন্টডাউনে উপস্থিত মানুষের সংখ্যা এবার অনেক কম থাকছে। শর্তসাপেক্ষে অল্পসংখ্যক মানুষ উপস্থিত থাকতে পারবেন এই আয়োজনে। তবে হতে হবে ভ্যাকসিনেটেড। মাস্ক পরাও করা হয়েছে বাধ্যতামূলক।
বড়দিনের কারণে করোনার রেকর্ড সংক্রমণ হয়েছে ইংল্যান্ডে। তাই লন্ডনের ট্রাফালগার স্কয়ারে বর্ষবরণের অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে। ওমিক্রন আতঙ্কে ফ্রান্স প্রশাসন বর্ষবরণে জনসমাগম নিষিদ্ধ করেছে। ইতালির কয়েকটি শহরেও আরোপিত হয়েছে নিষেধাজ্ঞা।
করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশ ভারত। তাই ওমিক্রন নিয়ে হেলাফেলা করতে চায় না মোদি প্রশাসন। থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষ্য কঠোর স্বাস্থ্যবিধি জারি করা হয়েছে বিভিন্ন রাজ্যে। রাত্রিকালীন কারফিউও জারি রয়েছে। চীনেও কয়েকটি জায়গায়ও আছে কড়াকড়ি।
তবে ২০২১ সালের শেষদিকে সবচেয়ে বড় সুখবর পেয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ওমিক্রনের ধাক্কা কমে আসায় দেশটিতে হঠাৎ করেই তুলে নেয়া হয়েছে রাত্রিকালীন কারফিউ। দেশটি জানিয়েছে, করোনার ভয়াবহতা তারা কাটিয়ে উঠতে পেরেছে।
এদিকে কড়া নিরাপত্তায় ঢাকাসহ সারা দেশে উদযাপন করা হয় ইংরেজি নতুন বছরের প্রথম প্রহর। আতশবাজির সঙ্গে উড়ানো হয় ফানুস। ঢাকার বাসা-বাড়ির ছাদ ও বিভিন্ন ক্লাবে আয়োজন করা বিভিন্ন অনুষ্ঠানের।
এদিকে নানা আয়োজনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপন করা হয়েছে। সেখানে সপরিবারে যোগ দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। তিনি উপস্থিত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তিনি কুশল বিনিময় করেন।
শিক্ষার্থীরা আতশবাজি এবং ফানুস উড়ান। শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন কর্মকর্তা কর্মচারীর পরিবারের সদস্যরাও উদযাপনে যোগ দেন।