জাতীয়

করোনা: মৃত্যু আরও ৬৯ , শনাক্ত কমে ১৩৫৯ জন

দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে আরও ৬৯ জনের মৃত্যু হয়েছে; এক দিনে সংক্রমণ ধরা পড়েছে আরও ১ হাজার ৩৫৯ জনের মধ্যে।

দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এর মধ্যেই এপ্রিলের শুরুতে দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা সাত হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছিল।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, রোববার সকাল পর্যন্ত শনাক্ত নতুন রোগীদের নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৭ লাখ ৬১ হাজার ৯৪৩ জন হয়েছে। আর দেশে করোনাভাইরাসে মৃতের মোট সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১১ হাজার ৫৭৯ জন।

সরকারি হিসাবে আক্রান্তদের মধ্যে আরও ২ হাজার ৬৫৭ জন গত এক দিনে সেরে উঠেছেন। সব মিলিয়ে সুস্থ হয়েছেন ৬ লাখ ৮৭ হাজার ৩২৮ জন।

বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গতবছর ৮ মার্চ; তা সাড়ে সাত লাখ পেরিয়ে যায় গত ২৭ এপ্রিল। সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যে গত ৭ এপ্রিল রেকর্ড ৭ হাজার ৬২৬ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়।

প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর গত বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ বছর ১ মে তা সাড়ে ১১ হাজার ছাড়িয়ে যায়।

এপ্রিলের তৃতীয় সপ্তাহে টানা চার দিন মৃত্যুর সংখ্যা ছিল একশর ওপরে; এর মধ্যে ১৯ এপ্রিল রেকর্ড ১১২ জনের মৃত্যুর খবর দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

বিশ্বে শনাক্ত কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা ইতোমধ্যে ১৫ কোটি ২২ লাখ ছাড়িয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ৩১ লাখ ৯৩ হাজারের বেশি মানুষের।

জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বিশ্বে শনাক্তের দিক থেকে ৩৩তম স্থানে আছে বাংলাদেশ, আর মৃতের সংখ্যায় রয়েছে ৩৭তম অবস্থানে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৪২০টি ল্যাবে ১৪ হাজার ৪২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ৫৪ লাখ ৯৮ হাজার ৯৭৯টি নমুনা।

২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ৯ দশমিক ৬০ শতাংশ, এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৮৬ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯০ দশমিক ২১ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫২ শতাংশ।

গত এক দিনে যারা মারা গেছেন, তাদের মধ্যে ৪৪ জন পুরুষ আর নারী ২৫ জন। তাদের ৪৮ জন সরকারি হাসপাতালে, ১৯ জন বেসরকারি হাসপাতালে এবং ২ জন বাসায় মারা যান।

তাদের মধ্যে ৪৪ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি, ১১ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছর, ৭ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছর, ২ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছর, ২ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছর, ১ জনের বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে এবং ১ জনের বয়স ১০ বছরের কম ছিল।

মৃতদের মধ্যে ৩৮ জন ঢাকা বিভাগের, ১৪ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ১ জন রাজশাহী বিভাগের, ৫ জন খুলনা বিভাগের, ৭ জন বরিশাল বিভাগের, ১ সিলেট বিভাগের, ২ জন রংপুর বিভাগের এবং ১ জন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।

দেশে এ পর্যন্ত মারা যাওয়া ১১ হাজার ৫৭৯ জনের মধ্যে আট হাজার ৪৩৪ জনই পুরুষ এবং তিন হাজার ১৪৫ জন নারী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *