খেলাধুলা

কষ্টের ফল পেলেন তাসকিন

চতুর্থ দিন গেছে উইকেটহীন। গতকাল ম্যাচের পঞ্চম দিনে হন্যে হয়ে উইকেট খুঁজছিল বাংলাদেশ দল। দিনের শুরু থেকেই পাল্লেকেলের রানপ্রসবা উইকেটে গতির ঝড় তুলেছেন তাসকিন আহমেদ। প্রচণ্ড গরমের মধ্যেও নাকাল বল, স্লোয়ার বাউন্ডার তথা নিজের সর্বোচ্চটুকু উজাড় করে সব অস্ত্র প্রয়োগের চেষ্টা করেছেন তিনি। তার প্রাণান্ত চেষ্টা সফলতার মুখ দেখে দিনের পঞ্চম ওভারে। অফ স্ট্যাম্পের বাইরের বলটা ধনাঞ্জয়া ডি সিলভার ব্যাটে লেগে স্ট্যাম্পে আঘাত হানে।

দুই হাত প্রসারিত করে উড়তে থাকা তাসকিনের মুখ থেকে বের হলো, ‘আলহামদুলিল্লাহ’। করুনারত্নে-ধনাঞ্জয়ার ৩৪৫ রানের জুটি ভেঙেই থামেননি তিনি। নিজের পরের ওভারে লঙ্কান অধিনায়ক করুনারত্নেকেও ফেরত পাঠান দ্রুতগতির এ পেসার।

শুধু গতকালই নয়, চার বছর পর টেস্ট খেলতে নেমে ক্যান্ডিতে ক্যারিয়ার সেরা বোলিং করেছেন তাসকিন। বিরুদ্ধ কন্ডিশনে ৩০ ওভার বোলিং করেছেন, ৬ মেডেনসহ ১১২ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়েছেন তিনি। ম্যাচে বাংলাদেশের সেরা বোলার ২৬ বছর বয়সি এ পেসার।

ম্যাচ শেষে তাসকিনের প্রচেষ্টার প্রশংসা করেছেন অধিনায়ক মুমিনুল হক। গতকাল সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, ‘বোলিংয়ে তাসকিন অসাধারণ চেষ্টা চালিয়েছে। ও অনেক চেষ্টা করেছে। আমি তাসকিনের বোলিং খুবই উপভোগ করেছি। ওর বোলিং দেখে মনে হচ্ছে না, এই টেস্ট নিয়ে ও মাত্র ছয়টা টেস্ট খেলেছে। তো কোনোভাবেই মনে হয়নি ছয় টেস্ট ম্যাচ খেলা খেলোয়াড়।’

গত বছর করোনাকালে ফিটনেস নিয়ে কঠোর পরিশ্রম করেছিলেন তাসকিন। যার ধারাবাহিকতা ধরে রেখে নিউজিল্যান্ড সফরে দুর্দান্ত বোলিং করেছেন। মুমিনুল মনে করেন, কষ্টের ফল পেয়েছেন তাসকিন। অধিনায়ক বলেন, ‘আমার মনে হয় এটা কষ্টের ফল। সত্যি কথা বলতে ও অনেক চেষ্টা করেছে। যখন দলের দরকার তখন এসেছে। এই কন্ডিশনে এত লম্বা সময় বল করাও কঠিন। আমি খুবই খুশি ওর পারফরম্যান্সে।’

ছয় টেস্টে ১০ উইকেট তাসকিনের। ক্যান্ডিতে রাহী, এবাদতরা নিষ্প্রভ থাকায় তার বোলিংই ছিল বাংলাদেশের বড় অবলম্বন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *