বিনোদন

কানের লাল গালিচায় হেঁটে সুখবর দিলেন বাংলাদেশের প্রিয়তী

ফ্রান্সের সমুদ্র তীরবর্তী শহর কানে বসেছে ৭৭তম উৎসব। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শিল্পী-কুশলীদের নিয়ে পদচারণায় আয়োজনটি এরই মধ্যে জমে উঠেছে।

কয়েক দিন আগেই জানা গিয়েছিল আবারের আসরে হাজির হয়েছেন বাংলাদেশি মেয়ে ও সাবেক মিস আয়ারল্যান্ড মাকসুদা আখতার প্রিয়তী। এবারই প্রথম নয়, গত কয়েক বছর ধরে নিয়মিত কান উৎসবে অংশ নিচ্ছেন প্রিয়তি।

এবার কান সফরটা তার জন্য একটু বিশেষ। কেননা তিনি এখন অন্তঃসত্ত্বা। বেবিবাম্প নিয়েই হেঁটেছেন কানের মর্যাদাপূর্ণ লাল গালিচায়। এর ফাঁকে কথা বলেছেন বাংলাদেশি সাংবাদিক জনি হকের সঙ্গে।

এ সময় কান উৎসবের অভিজ্ঞতা নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি খুব এক্সাইটেড ছিলাম, কারণ আমার অনাগত সন্তানকে নিয়ে রেড কার্পেটে হাঁটব। এজন্য সচেতন থেকেছি, নিজেকে ফিট রেখেছি। ফিট থেকেই কানে অংশ নিতে চেয়েছিলাম। সেই সঙ্গে চেয়েছি, কান থেকেই আমার মাতৃত্বের খবরটি যেন সবাই জানে। সেটাই হলো, এজন্য বেশ আনন্দিত।’

প্রিয়তী জানান, ‘লাল গালিচায় হাঁটার জন্যই কানে আসতে চান নাকি উৎসবটির অভিজ্ঞতা নিতে, আগে সেটা ভাবতে হবে। কারণ কান উৎসবের যে বিশালতা, সেটা বুঝতে বুঝতেই দুই-তিনবার এখানে আসতে হবে। আর এখানে আসার অভিজ্ঞতা অসাধারণ। কারণ পুরো বিশ্বের সিনেমা অঙ্গনের মানুষেরা একত্রিত হন। কেউ যদি শুধু লাল গালিচায় হাঁটার জন্যই আসতে চান, তাহলে কিছু বলতে পারব না। তবে কানের অভিজ্ঞতা নেওয়ার জন্য আমি সবাইকে আহ্বান জানাই।’

নিজের অভিজ্ঞতার ঝুঁলি থেকে প্রিয়তী বললেন, আমি যখন প্রথম কানে এসেছিলাম, তখনই কিন্তু রেড কার্পেটে হাঁটিনি। এসেছিলাম উৎসবটির বিভিন্ন দিক বোঝার জন্য, শেখার জন্য। আমি চলচ্চিত্রপ্রেমী, আয়ারল্যান্ডের সিনেমা ও বিভিন্ন উৎসবের সঙ্গে যুক্ত। তো সিনেমার প্রতি আমার ভালোবাসা আছে। সেই জায়গা থেকেই এখানে আসি এবং আস্তে আস্তে মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ তৈরি করি। এরপর যখন আমার একটা পরিচিতি আসে, তখনই আমি লাল গালিচায় হাঁটা শুরু করেছি।’

প্রিয়তি স্থায়ীভাবে বসবাস করেন আয়ারল্যান্ডে। সেখানকার সিনেমা ও মডেলিং জগতে কাজ করেন তিনি। সেই সুবাদেই কানে ছুটে যান প্রতি বছর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *