জাতীয়

কার গুলিতে কত হতাহত, আমরাও প্রকাশ করব: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

কোটা আন্দোলন ঘিরে সহিংসতায় ঘটনায় কার গুলিতে কতজন হতাহত হয়েছে সেটা আমরাও প্রকাশ করব বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।

তিনি বলেন, শিশু-কিশোরদের সামনে রেখে তাদের পেছনে ছিল আসল ব্যক্তিরা।

তারা আগুন ধরিয়েছে, মানুষ হত্যা করেছে। চরম ধৈর্যের সঙ্গে আমাদের পুলিশ বাহিনী তাদের মোকাবিলা করেছে।
বুধবার (৩১ জুলাই) সন্ধ্যায় সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

কোটা আন্দোলন ঘিরে সহিংসতায় ঘটনায় পেছন থেকে পরামর্শ না দিলে এতো ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড ঘটতো না জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, সব হতাহতই কী পুলিশের গুলিতে হয়েছে? আমরাও প্রকাশ করবো কার গুলিতে কতজন হতাহত হয়েছে।

জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধির বৈঠকে কী বিষয়ে কথা হয়েছে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, তারা জিজ্ঞাসা করেছেন আর কতদিনের মধ্যে অবস্থা স্বাভাবিক হবে। আমরা বলেছি, ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে। অল্পসময়ের মধ্যেই আমরা কাভার করতে পারবো। কারফিউ তুলে নিতে পারব, সামরিক বাহিনী ব্যারাকে ফিরে যাবে।

তিনি বলেন, দুয়েকজন কিশোর নিহত হওয়ার কথা তারা জানতে চেয়েছিলেন। আমরা একটি কিশোরের কথা জানালাম, তার বয়স কত, এখনো সার্টিফিকেট পাইনি, স্কুল থেকে বলা হয়েছে সাড়ে সতেরো। কিন্তু সেই ছেলেটি যে অন্যায় করেছে, সেটা জঘন্য। যাত্রাবাড়ীতে পুলিশ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সে জড়িত ছিল। তার ভিডিও অন্যান্য যে কথোপকথন প্রকাশ করা হয়েছে, তাতেই আমরা তাকে শনাক্ত করতে পেরেছি। সে তো পুলিশ হত্যা করেছেই, পরে তাকে দড়ি দিয়ে ঝুলিয়ে রেখেছে। এই কাজ শেষ করে সে যার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত, তাকে ফোন করে জানিয়েছে যে পুলিশ হত্যা করতে পেরেছি, তাকে ঝুলিয়ে দিয়েছি। অপরপ্রান্ত থেকে তাকে শাবাশ দেওয়া হয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, এই কিশোরকে আমরা কোথায় নেব, তার কাছেই প্রশ্ন রেখেছি। তাকে কিশোর সংশোধনাগারে রাখা হয়েছে, আইন অনুসারে তার ব্যবস্থা হচ্ছে। আর প্রাণহানির বিষয়ে বলেছি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন, তাদের দেখতে গিয়েছেন, তাদেরকে কিছু নগদ টাকা সাহায্য করেছেন। আমরা মনে করি, এই ঘটনা পুলিশ বা নিরাপত্তা বাহিনী ইচ্ছা করে কিংবা কারও প্ররোচনায় করেনি। তারা জানমাল ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষায় গুলি চালাতে বাধ্য হয়েছে। পুলিশ পরিস্থিতি অত্যন্ত ধৈর্যের সঙ্গে মোকাবিলা করেছে।

জাতিসংঘের প্রতিনিধি কী প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তিনি কিছু বলেননি। তিনি আরেকটি প্রশ্ন করেছেন যে সেনাবাহিনী জাতিসংঘ লেখা এপিসি ভেহিকল ব্যবহার করেছে। আমি বলেছি, এটা জাতিসংঘ থেকে ফেরত এনেছে। সেনাবাহিনী তাড়াহুড়ো করে সেটা বের করেছে। যখন দৃশ্যমান হয়েছে, সঙ্গে সঙ্গে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। যখনই তাদের নজরে এসেছে, তখনই সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

তদন্তের আগ্রহের বিষয়ে জানতে চেয়েছে কিনা; জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের একজন সদস্যের একটি বিচারবিভাগীয় তদন্ত কমিশন ছিল। আমরা সংখ্যা বাড়িয়ে আরও শক্তিশালী করেছি। তদন্ত শুধু তাদেরই না, পুলিশেরও তদন্ত হবে। কেন পুলিশ গুলি করতে বাধ্য হল, সেই তদন্ত হবে। কেউ ভুল করে থাকলে সেটাও আমরা দেখবো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *