স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের অংশ হিসাবে ২৭ মার্চ চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রে শ্রদ্ধা নিবেদন করবে বিএনপি।
শুক্রবার সকালে ঢাকার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন দলটির সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
তিনি বলেন, “এই কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রকে আমরা মনে করি মুক্তিযুদ্ধের সূচনালগ্নের একটা কেন্দ্র, ঐতিহাসিক একটি ঘটনা।… এই ঐতিহাসিক স্থানটিকে আমরা মূল্যায়ন করে ২৭ মার্চ জাতীয় কমিটি শ্রদ্ধা নিবেদন করার জন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”
মোশাররফ বলেন, ওই দিন দুপুর ২টায় বিএনপি মহাসচিবসহ স্থায়ী কমিটি, জাতীয় কমিটি এবং দল ও অঙ্গসংগঠনের নেতারা কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রে শ্রদ্ধা জানাবেন।
২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসে ঢাকাসহ সারাদেশে শোভাযাত্রা করবে বিএনপি। সকালে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে এবং শেরেবাংলা নগরে দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন বিএনপির নেতাকর্মীরা।
করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে সুবর্ণজয়ন্তীতে না হওয়া দলীয় কর্মসূচিগুলো চালিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়ে মোশাররফ বলেন, “আমাদের সুবর্ণজয়ন্তীর বিভিন্ন কর্মসূচি গত দুই সপ্তাহ ধরে পালন করছি। আগামীতেও তা অব্যাহত থাকবে। কারণ অনেক কর্মসূচি ২৬ মার্চের মধ্যে আমরা সমাপ্ত করতে পারছি না।”
২০২১ সালের ১ মার্চ বিএনপি স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনে বছরব্যাপী কর্মসূচি শুরু করে। ২ মার্চ পতাকা উত্তোলন, ৩ মার্চ স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠ, ৭ মার্চ রেসকোর্সে শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণ, ৯ মার্চ পল্টন ময়দানে মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ভাষণ, ৭ জুলাই জেডফোর্স গঠনসহ বিভিন্ন বিষয়ভিত্তিক আলোচনা সভা, রচনা, স্বরচিত কবিতা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, স্বেচ্ছায় রক্তদান ও ফ্রি স্বাস্থ্য সেবা, মুক্তিযুদ্ধের বই মেলাসহ নানা কর্মসূচি পালন করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে খন্দকার মোশাররফ বলেন, “মুক্তিযুদ্ধে এবং মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ৫০ বছরের ঘটনাবলীর প্রকৃত ইতিহাস জনগণের সম্মুখে তুলে ধরতে আমরা এসব কর্মসূচি পালন করেছি। কেননা, আমরা লক্ষ্য করেছি মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে বর্তমান সরকার তাদের সুবিধামত করে প্রচার করছে এবং বিকৃত ও মিথ্যা প্রচার দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে।
“আমরা সেজন্য মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস ও বিষয়ভিত্তিক ঘটনাগুলো তুলে ধরছি জনগণের সামনে। আমরা বিশ্বাস করি, যে জাতি তার সঠিক ইতিহাস জানে না, সেই জাতি টেকসইভাবে উন্নতি করতে পারে না।”
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব আবদুস সালাম, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের রিয়াজ উদ্দিন নসু, শায়রুল কবির খান সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।