আন্তর্জাতিক

কী হলে উত্তেজনা থামবে জানাল রাশিয়া

ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, ইউক্রেন ন্যাটো জোটে যোগদানের বিষয়টি প্রত্যাখান করলে তাদের উদ্বেগ কমবে। লন্ডনের ইউক্রেন রাষ্ট্রদূতের বক্তব্যের জবাবে তিনি এই মন্তব্য করেন।

এর আগে সোমবার— ইউক্রেনে রাশিয়া যেকোনো দিন হামলা করতে পারে, এমন উদ্বেগের মধ্যে কিয়েভের লন্ডন রাষ্ট্রদূত ভাদিম প্রিস্টাইকো বলেন, যুদ্ধ প্রতিরোধের জন্য তার দেশ ন্যাটো জোটে যোগদানের  বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করবে। তার এই কথার অর্থ, রাশিয়ার আক্রমণ বন্ধের জন্য ইউক্রেন আপাতত ন্যাটো জোটে যোগদান করবে না।

যদিও ইউক্রেনের এই কূটনীতিক সোমবার তার বক্তব্যের আলাদা ব্যাখা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, রাশিয়ার সঙ্গে ইউক্রেন বিভিন্ন বিষয়ে আপস-মীমাংসার জন্য প্রস্তুত। তবে এসবের সঙ্গে ন্যাটোতে যোগদানের কোনো সম্পর্ক নেই।

কিয়েভের লন্ডন রাষ্ট্রদূত ভাদিম প্রিস্টাইকোর বক্তব্যের পর ইউক্রেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওলেগ নিকোলেঙ্কো তার দেশের অবস্থান স্পষ্ট করেন। তিনি বলেন, ইউক্রেনের ন্যাটো জোটে যোগদানের সম্ভাব্য বিষয়টি দেশের সংবিধানে রক্ষিত আছে। সংবিধানের বাইরে গিয়ে কোনো কিছু করা হবে না।

এদিকে ইউক্রেনের লন্ডন রাষ্ট্রদূত ভাদিম প্রিস্টাইকোর বক্তব্যের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকোভ বলেন, কিয়েভের বৈদেশিক নীতির পরিবর্তন হয়ে থাকতে পারে।

ইউক্রেনের এমন উদ্যোগে ক্রেমলিন সন্তুষ্ট হবে কী-না— এমন প্রশ্নের জবাবে পেসকভ বলেন, নিঃসন্দেহে। এটা হলে রাশিয়ার উদ্বেগের যথাযথ জবাব মিলবে।

রাশিয়া বলছে, ইউক্রেনে ন্যাটোর ক্রমবর্ধমান অস্ত্র সরবরাহ এবং সামরিক প্রশিক্ষণ তাদের উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ কারণে ইউক্রেন সীমান্তে প্রায় এক লাখ সেনা মোতায়েন করেছে রাশিয়া।

যদিও রাশিয়া বলছে. ইউক্রেনে কোনো হামলার পরিকল্পনার নেই তাদের।

তবে পশ্চিমা কিছু দেশ সতর্ক করে বলেছে, সামরিক অভিযান চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে রাশিয়া। যুক্তরাষ্ট্র আরও এক ধাপ এগিয়ে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, রাশিয়া যেকোনো সময় হামলা চালাতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *