অর্থনীতি

কোনো ষড়যন্ত্রই বাংলাদেশের উন্নয়ন ব্যাহত করতে পারবে না: পরিকল্পনামন্ত্রী

পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মানান বলেছেন, কোনো ষড়যন্ত্রই বাংলাদেশের উন্নয়ন ব্যাহত করতে পারবে না। দেশের উন্নয়নে শেখ হাসিনা নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। দেশের অগ্রযাত্রায় আমারা গর্বিত। শুক্রবার রানীগঞ্জ সেতুর কাজ পরিদর্শনকালে এসব কথা বলেন তিনি।

এসময় তিনি বলেন, রানীগঞ্জ সেতুর কাজ ভালো হচ্ছে। সিলেট-ঢাকা ৪ লেন সড়ক নির্মাণের উদ্যোগকে যুগান্তকারী উদ্যোগ।

এদিকে সিলেট বিভাগের স্বপ্নের এবং দীর্ঘতম রানীগঞ্জ সেতুর কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। সুনামগঞ্জ জেলার প্রবাসী অধ্যুষিত জগন্নাথপুর উপজেলায় সিলেট বিভাগের বৃহৎ সেতুটি এখন দৃশ্যমান হয়ে উঠায় এলাকারও দৃশ্যপট পাল্টে গেছে। দৃষ্টি নন্দন পর্যটন সমৃদ্ধ দৃশ্যপটের রূপ লাভ করা সেতুর আশপাশের জমিরও দাম বেড়ে গেছে। প্রকৌশলীরা আশা করছেন আগামী জুনে এর কাজ শেষ হলে তা যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হবে।

পাগলা-জগন্নাথপুর-রানীগঞ্জ-আউষকান্দি আঞ্চলিক মহাসড়কের ৩০ কিলোমিটারের মাথার এই সেতু‘র কাজ শুরু হয় ১০১৬ সালের ডিসেম্বরে। সুনামগঞ্জ- ৩ আসনের এমপি ও পরিকল্পনা মন্ত্রী আবদুল মান্নানের প্রচেষ্টায় রাণীগঞ্জ সেতুর কাজ শুরু হয়। প্রকৌশলীরা বলেন, আগামী জুনে এর কাজ শেষ হবে। সেতুটি চালু হলে প্রান্তিক জেলা সুনামগঞ্জের সঙ্গে রাজধানী ঢাকার দূরত্ব কমবে ৫২ কিলোমিটার। এছাড়া হাওর প্রধান সুনামগঞ্জ জেলার সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার অভূতপূর্ব উন্নয়ন হবে। অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে নবদীগন্তের সূচনা হবে। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন গত ২০১৬ সালের ডিসেম্বর থেকে সেতুর কাজ শুরু হয়। কাজ শেষ হওয়ার নির্ধারিত মেয়াদ ছিল ২০১৮ সালের জুন মাসে। কিন্তু বন্যা সহ নানা জটিলতায় কাজের মেয়াদ পিছিয়ে পড়ে।

জগন্নাথপুর উপজেলার রানীগঞ্জ ইউনিয়নের রানীগঞ্জ বাজার ও পাইলগাঁও গ্রামের মধ্যবর্তী স্থানে কুশিয়ারা নদীর উপর ৭০২ দশমিক ৩২ মিটার দীর্ঘ সেতুর নির্মাণ কাজ এখন পুরোদমে চলছে। ১শ ৫৫ কোটি ২৬ লাখ ৮৬ হাজার ৪৭ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিতব্য সেতুটি পিসি গার্ডার এবং বক্স গার্ডারের সমন্বয়ে তৈরী হচ্ছে। এই সেতুর প্রস্ত ১০ দশমিক ২৫ মিটার। ১৫ টি প্যানের এই সেতুতে ১৪ টি পিয়ার রয়েছে। এপ্রোচ সড়কের দৈর্ঘ্য আড়াই কিলোমিটার।

স্থানীয়রা বলেছেন, দীর্ঘকাল ধরে কুশিয়ারার উপর রানীগঞ্জে সেতু নির্মাণের স্বপ্ন দেখছেন তারা। এখন নির্ধারিত সময় ২০২১ সালের ৩০ জুনের মধ্যে যেন এই সেতুর উপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে রাজধানী ঢাকায় যাতায়াত করা যায় সেই দাবী তাদের। রানীগঞ্জের বাসিন্দারা বলেন, এই সেতু কেবল রানীগঞ্জ এলাকা নয়। পুরো সুনামগঞ্জ জেলার যোগাযোগ ব্যবস্থার চিত্র পাল্টে দেবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *