সংক্রমণ কমার ধারায় দেশে দৈনিক শনাক্ত রোগীর হার নেমে এসেছে ওমিক্রনের দাপট শুরুর আগের পর্যায়ে, জানুয়ারির পর প্রথমবারের মত দৈনিক মৃত্যু নেমে এসেছে এক জনে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, বুধবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ১৬ হাজারের বেশি নমুনা পরীক্ষা করে ৩২৩ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। তাতে নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার হায়েছে ১ দশমিক ৯৭ শতাংশ।
এর আগে গত বছরের ২৭ ডিসেম্বর নমুনা পরীক্ষা অনুযায়ী শনাক্তের হার ছিল ১ দশমিক ৫৮ শতাংশ। পরদিন শনাক্তের হার ২ শতাংশের ঘর ছাড়ায়, করোনাভাইরাসের অতি সংক্রামক ধরন ওমিক্রন এই হারকে জানুয়ারির শেষ দিকে নিয়ে যায় রেকর্ড ৩৩ শতাংশে। ফেব্রুয়ারি থেকে শনাক্তের পাশাপাশি মৃত্যুর সংখ্যাও কমতে শুরু করে।
বাংলাদেশ কোভিডে মৃত্যুহীন দিন দেখেছিল সর্বশেষ গতবছরের ৯ ডিসেম্বর। আর সর্বশেষ ১ জনের মৃত্যুর খবর এসেছিল ৮ জানুয়ারি। এরপর রোগী বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মৃত্যুও বাড়তে থাকে।
তবে ওমিক্রনে মৃত্যু হয়েছে ডেল্টার সময়ের চেয়ে অনেক কম। গত ৮ ফেব্রুয়ারি ৪৩ জনের মৃত্যুই সংক্রমণের এবারের ঢেউয়ে সর্বোচ্চ। ডেল্টার সময় আড়াইশ ছাড়ানো মৃত্যুও বাংলাদেশ দেখেছে।
নতুন রোগীদের নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৯ লাখ ৪৮ হাজার ৪৭১ জন। তাদের মধ্যে ২৯ হাজার ৯৭ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে করোনাভাইরাস।
সরকারি হিসাবে গত এক দিনে সেরে উঠেছেন দুই হাজার ৮২৪ জন। তাদের নিয়ে এ পর্যন্ত ১৮ লাখ ৫২ হাজার ৭৭০ জন সুস্থ হয়ে উঠলেন।
মহামারীর মধ্যে সার্বিক শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ১৪ দশমিক ৩৪ শতাংশ। আর মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৯ শতাংশ
গত এক দিনে শনাক্ত রোগীদের মধ্যে ২৩৮ জনই ঢাকা বিভাগের বাসিন্দা,যা মোট আক্রান্তের ৭৩ শতাংশের বেশি।
যে ১ জনের মৃত্যু হয়েছে তিনি পুরুষ। তিনি ছিলেন সিলেট বিভাগের বাসিন্দা। তার বয়স ছিল ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ২০২০ সালের ৮ মার্চ। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ব্যাপক বিস্তারের মধ্যে গত বছরের ২৮ জুলাই দেশে রেকর্ড ১৬ হাজার ২৩০ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়।
প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ২০২০ সালের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ৫ অগাস্ট ও ১০ অগাস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যুর খবর আসে, যা মহামারীর মধ্যে এক দিনের সর্বোচ্চ সংখ্যা।
বিশ্বে করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মারা গেছে ৬০ লাখ ১৫ হাজারের বেশি মানুষ। বিশ্বজুড়ে আক্রান্ত ছাড়িয়েছে ৪৪ কোটি ৯৮ লাখের বেশি।