নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার কমে পাঁচ শতাংশের নিচে নেমেছে।
দেশে গত একদিনে আরও ২৯৬ জন কোভিড রোগী শনাক্ত হয়েছেন, করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে আরও তিনজনের।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, সোমবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৫ হাজার ৯২৯টি নমুনা পরীক্ষা করে এই ২৯৬ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে। আগের দিন রোববার ২১৬ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছিল।
সোমবার নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার কমে পাঁচ শতাংশের নিচে নেমেছে। শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ৪ দশমিক ৯৯ শতাংশ। আগের দিন শনাক্তের হার ৫ দশমিক ১০ শতাংশ ছিল।
নতুন রোগীদের নিয়ে দেশে শনাক্ত মোট কোভিড রোগীর সংখ্যা বেড়ে ২০ লাখ ৭ হাজার ৬৩১ জন হয়েছে। তাদের মধ্যে ২৯ হাজার ৩০৭ জনের মৃত্যু হয়েছে করোনাভাইরাসে।
গত ২৪ ঘণ্টায় ৬৩৮ জন কোভিড রোগীর সেরে ওঠার তথ্য দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তাদের নিয়ে এ পর্যন্ত সুস্থ হলেন ১৯ লাখ ৪৮ হাজার ৬৬৫ জন।
নতুন শনাক্ত ২৫৩ জনের মধ্যে ১২১ জনই ঢাকা জেলার বাসিন্দা। দেশের ৬৪ জেলার মধ্যে ৩৮ জেলায় গত এক দিনে নতুন রোগী ধরা পড়েছে।
মৃতদের দুজন রাজশাহী ও সিলেট বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন। তাদের একজন পুরুষ ও দুজন নারী।
আগের সপ্তাহের তুলনায় গত সপ্তাহে শনাক্ত এবং মৃত্যু দুটোই কমেছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত সপ্তাহে সারাদেশে ২ হাজার ৭৮ জন রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এর আগের সপ্তাহে এই সংখ্যা ছিল ৩ হাজার ৪৮২ জন। শনাক্ত কমেছে শতকরা ৪০ দশমিক ৩ শতাংশ।
গত সপ্তাহে ১৩ জনের মৃত্যুর কথা জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। পূর্ববর্তী সপ্তাহে ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল করোনাভাইরাসে। সে হিসাবে আগের সপ্তাহের চেয়ে ৪৮ শতাংশ মৃত্যু কম হয়েছে।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়ে ২০২০ সালের ৮ মার্চ। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ব্যাপক বিস্তারের মধ্যে গত বছরের ২৮ জুলাই দেশে রেকর্ড ১৬ হাজার ২৩০ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়।প্রথম রোগী শনাক্তের ২৮ মাস পর বৃহস্পতিবার শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ২০ লাখ ছাড়ায়।
প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ২০২০ সালের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ২০২১ সালের ৫ অগাস্ট ও ১০ অগাস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যুর খবর আসে, যা মহামারীর মধ্যে এক দিনের সর্বোচ্চ সংখ্যা।
বিশ্বে করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মারা গেছে ৬৪ লাখ ১৮ হাজারের বেশি মানুষ। বিশ্বজুড়ে আক্রান্ত ছাড়িয়েছে ৫৮ কোটি ৪৬ লাখের বেশি।