খুলনা সিটি করপোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে ৩৯৭ কোটি টাকার একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছে সরকার।
মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রকল্পটি অনুমোদন পায়।
এছাড়া দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় আম্পান এবং এর পরে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত যোগাযোগ অবকাঠামো মেরামতে প্রায় ছয় হাজার কোটি টাকার একটি প্রকল্পও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাড়ি গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে যোগ দেন। বৈঠকের অন্যান্য মন্ত্রী প্রতিমন্ত্রী ও সংশ্লিষ্ট সচিবরা শেরে বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে ছিলেন।
বৈঠকের সিদ্ধান্ত ভার্চুয়াল এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের জানানো হয়, যাতে পরিকল্পনা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আসাদুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
‘খুলনা সিটি কর্পোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্প নিয়ে পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য মো. মামুন-আল-রশিদ বলেন, “এ প্রকল্পটির মাধ্যমে জলাবদ্ধতা দূরীকরণে খুলনা শহরের ভিতরের কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য সেকেন্ডারি ডাম্পিং পয়েন্ট নির্মাণ করা হবে। শহরের বর্জ্য দ্রুত সংগ্রহ করে ডাম্পিং পয়েন্টে অপসারণ করতে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি কেনা হবে।”
এছাড়াও প্রকল্পটির মাধ্যমে ড্রেনে ভাসমান ময়লা নেটের মাধ্যমে নির্দিষ্ট জায়গায় ধরে রেখে পরে অপসারন, ময়ূর নদীসহ ২২টি খালের মধ্যে কচুরীপানা ও ভাসমান ময়লা অপসারণের পাশপাশি পরিবেশের উন্নয়নের জন্য শহরের স্যানিটেশন ব্যবস্থার উন্নয়ন করা হবে।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে গৃহীত ৩৯৩ কোটি ৪০ লাখ টাকা ব্যয়ের এ প্রকল্পটি খুলনা সিটি কর্পোরেশন বাস্তবায়ন করবে। এই ব্যয়ের মধ্যে খুলনা সিটি কর্পোরেশন ৭৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার জোগান দেবে, বাকী অর্থ দেবে সরকার তার নিজস্ব তহবিল থেকে।
পরিকল্পনা সচিব বলেন, বৈঠকে এ প্রকল্পটিসহ মোট ৭ হাজার ৫০৫ কোটি ২৯ লাখ ব্যয়ের ৫টি উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ৭ হাজার ৪২৬ কোটি ৬১ লাখ টাকা দেওয়া হবে।
ঘূর্ণিঝড়-বন্যার ক্ষত মেরামতে ৬ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প
‘ঘূর্ণিঝড় আম্পান ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পল্লী সড়ক অবকাঠামো পুনর্বাসন’ প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে ৫ হাজার ৯০৫ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর।
অনুমোদিত অন্য প্রকল্প
>> ‘যমুনা নদীর ডানতীরের ভাঙন হতে গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি উপজেলাধীন গোবিন্দি এবং হলদিয়া এলাকা রক্ষা’ প্রকল্প। ব্যয় ৭৯৮ কোটি ৫৩ লাখ টাকা।
>> ‘গুরুত্বপূর্ণ পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প: বরিশাল, ঝালকাঠি ও পিরোজপুর জেলা’ প্রকল্প। ব্যয় ৩০৫ কোটি টাকা।
>> ‘শেখ হাসিনা সাংস্কৃতিক পল্লী নির্মাণ’ প্রকল্প। ব্যয় ১০২ কোটি ৭৭ লাখ টাকা।