সত্যিকারের গণতন্ত্র নবায়ন ও পুনরুজ্জীবিত করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের জন্য এখন এক ঐতিহাসিক সুযোগ রয়েছে। এমনটি মনে করেন জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে এখন গভীরভাবে সংস্কার, সত্য ও ন্যায়ের একটি প্রক্রিয়া শুরু করা প্রয়োজন, যেন উন্নয়নের সুফল সব মানুষ ভোগ করতে পারে।
মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে দেওয়া এক বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের কথা তুলে ধরে ভলকার তুর্ক বলেন, অন্যান্য সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, মাদরাসা, কলেজ ও স্কুলের শিক্ষার্থী, সারা দেশের মানুষের সঙ্গে আপনারা ন্যায়বিচার ও সমতার পক্ষে দাঁড়ানোর দুর্দান্ত সাহস দেখিয়েছেন। আজ এখানে কথা বলতে পেরে সত্যিই নিজেকে সম্মানিত বোধ করছি।
তিনি বলেন, আমি আপনাদের সাহসিকতা, সংহতি এবং মানবাধিকারের প্রতি অঙ্গীকারের গল্পে অনুপ্রাণিত, যেখানে ছাত্ররা আহত বিক্ষোভকারীদের সাহায্য করেন, রিকশাচালকেরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আন্দোলনকারীদের সহযোগিতা করেন। নারী শিক্ষার্থীরা তাদের ছাত্রাবাসের তালা ভেঙে প্রতিবাদ করতে রাস্তায় নামেন এবং লাখ লাখ মানুষকে অনুপ্রাণিত করেন।
জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক এ হাইকমিশনার বলেন, আজ এখানে আমাদের উপস্থিতি বাংলাদেশের জন্য একটি নতুন সূচনা, শিক্ষার্থীদের সাহসের প্রমাণ এবং তাদের আত্মত্যাগের একটি স্মারক। আসুন তাদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে কিছুক্ষণের জন্য নীরবতা পালন করি।
ভলকার তুর্ক বলেন, মানবাধিকার ও আইনের শাসন আপনাদের রোডম্যাপ ও দিকনির্দেশক হতে পারে। কারণ, আপনারা অতীতের সহিংসতা পেছনে ফেলে এক নতুন সমাজ ও ভবিষ্যতের দিকে এগোচ্ছেন।
এ সময় অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খান উপস্থিত ছিলেন। জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক মঙ্গলবার বাংলাদেশে দুই দিনের সফরে আসেন।