আন্তর্জাতিক

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ১৭ ফিলিস্তিনি নিহত

এ হামলায় নিহতদের অধিকাংশই একই পরিবারের সদস্য এবং তাদের মধ্যে ৮ শিশু ও চারজন নারী রয়েছেন।

ফিলিস্তিনের ছিটমহল গাজার মধ্যাঞ্চলীয় শহর জাওয়াইদায় ইসরায়েলের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় অন্তত ১৭ ফিলিস্তিনি নিহত ও আরও বহু আহত হয়েছেন।

গাজার স্বাস্থ্য কমর্কর্তারা জানিয়েছেন, শনিবারের এ হামলায় নিহতদের অধিকাংশই একই পরিবারের সদস্য এবং তাদের মধ্যে আট শিশু ও চারজন নারী রয়েছেন।

নিহতদের প্রতিবেশী আবু আহমেদ হাসান বলেন, “তারা তাদের বিছানায় ঘুমিয়ে ছিলেন, তখন তিনটি ক্ষেপণাস্ত্র তাদের বাড়িতে আঘাত হানে। সেখানে কোনো ধরনের সামরিক তৎপরতা ছিল না।”

ওই বাড়ির মালিক একজন পরিচিত বণিক ছিলেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

রয়টার্সের মন্তব্যের অনুরোধে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তারা এমন একটি এলাকায় সামরিক লক্ষ্যে আঘাত হেনেছে যেখান থেকে তাদের সেনাদের ওপর রকেট ছোড়া হচ্ছিল। সেখান থেকে বেসামরিকদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল তারা। তবে যে ঘটনাটি ঘটেছে সেটি পর্যালোচনা করে দেখছে তারা।

শনিবার সামাজিক মাধ্যম এক্স এ আরবিতে করা এক পোস্টে ইসরায়েলের সামরিক মুখপাত্র গাজার মধ্যাঞ্চলের কয়েকটি অংশের বাসিন্দাদের সরে নির্ধারিত মানবিক এলাকায় চলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

তিনি জানিয়েছিলেন, ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা ওই এলাকাগুলো থেকে রকেট ছুড়ছে আর সামরিক বাহিনী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।

জাওয়াইদার নিকটবর্তী মাগাজি এলাকাও ওই নির্দেশিত এলাকার মধ্যে পড়েছে। তবে জাওয়াইদার কোনো এলাকা থেকে লোকজনকে সরে যেতে বলা হয়েছে কি না বা ওই এলাকার লোকজন ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর এ ধরনের কোনো নির্দেশনা পেয়েছিলেন কিনা তাৎক্ষণিকভাবে তা যাচাই করতে পারেনি রয়টার্স।

মাগাজির বাসিন্দারা জানিয়েছেন, হাজার হাজার মানুষ এলাকাটি থেকে সরে যাচ্ছেন।

ইসরায়েলি বাহিনী মানবিক জোন হিসেবে ঘোষণা করেছিল তাতে খান ইউনিস শহরের দক্ষিণাংশের দুটি অংশও আছে, কিন্তু এখন সেই অংশ দুটোকে বিপজ্জনক বলে মনে করছে তারা। ওই অংশ দুটো থেকে ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা নিয়মিতভাবে রকেট ছুড়ছে এমন অভিযোগ করে শুক্রবার সেখান থেকে সবাইকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী।

জাতিসংঘের মানবিক বিষয়ক সমন্বয়কের দপ্তর (ওসিএইচএ) বলেছে, ইসরায়েলের শুক্রবারের আদেশে প্রায় এক লাখ ৭০ হাজারেরও বেশি বাস্তুচ্যুত মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *