জাতীয়

‘ঘেরে মাছ ধরতে নিষেধ করায়’ আওয়ামী লীগ নেতাকে ‘পিটিয়ে হত্যা’

নিহতের ভাতিজার অভিযোগ, ঘের থেকে বাড়ি ফেরার পথে পরিচিত কয়েকজন তার চাচাকে লোহার রড, হাতুড়ি ও লাঠিসোঁটা দিয়ে পিটিয়ে ফেলে রেখে যায়।

বাগেরহাটে ঘেরে মাছ ধরতে নিষেধ করায় এক আওয়ামী লীগ নেতাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

শনিবার বিকালে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

দুপুরে পিরোজপুর-বাগেরহাট আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে মেরিন ইনস্টিটিউটের সামনে তার ওপর হামলা হয় বলে বাগেরহাট মডেল থানার ওসি কেএম আজিজুল ইসলাম জানান।

নিহত আনারুল শেখ (৫৫) ওরফে আনা বাগেরহাট পৌর শহরের বাসাবাটি এলাকার প্রয়াত আব্দুল গনি শেখের ছেলে। তিনি ৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ছিলেন বলে দলটির পৌর শাখার সভাপতি শেখ বশিরুল ইসলাম জানান।

নিহতের ভাতিজা মুরাদ শেখ অভিযোগ করে সাংবাদিকদের বলেন, “ বাগেরহাট সদর উপজেলার বৈটপুর এলাকায় আমাদের ২১ বিঘার একটি মাছের ঘের আছে। শনিবার সকালে ছোট চাচা আনারুল শেখ সেখানে গিয়ে দেখেন, কিছু লোক ঘেরে নেমে মাছ ধরছেন। মাছ ধরতে নিষেধ করলে তারা আমার চাচাকে গালিগালাজ করেন। এ কথা আমাকে ফোনে জানালে আমি তাকে বাড়ি চলে আসতে বলি। তিনি বাড়ি ফেরার পথে পরিচিত কয়েকজন চাচাকে মেরিন ইনস্টিটিউটের সামনে লোহার রড, হাতুড়ি এবং লাঠিসোঁটা দিয়ে পিটিয়ে ফেলে রেখে যায়।

“পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।”

হত্যায় জড়িতদের বিচার দাবি করেন নিহতের স্বজনরা।

এদিকে, আনারুল শেখের মৃত্যু খবরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও আওয়ামী লীগ নেতারা তার বাড়িতে যান। তারা এ হত্যার সঙ্গে জড়িতদের শাস্তির দাবি জানান।

রাতে নিহতের বাড়িতে যান বাগেরহাটের পুলিশ সুপার কেএম আরিফুল হক।

হামলার ঘটনায় জড়িতদের ধরতে পুলিশের অভিযান চলছে বলে জানা তিনি।

বাগেরহাট থানার ওসি কেএম আজিজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, “ঘটনায় জড়িতদের নাম-পরিচয় আমরা জানতে পেরেছি। তাদের ধরতে পুলিশের একাধিক দল অভিযানে নেমেছে।”

শিগগির তাদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার আশ্বাস দেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *