রাজধানীর চন্দ্রিমা উদ্যানে পুলিশের লাঠিপেটা, কাঁদুনে গ্যাস ও রাবার বুলেটে অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এছাড়া বিএনপির নেতা-কর্মীদের ছোড়া ইট-পাটকেলে তিন পুলিশ কর্মকর্তাসহ আরও একাধিক পুলিশের সদস্য আহত হয়েছেন।
সোমবার (১৭ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উদ্যানে জিয়ার সমাধিতে শ্রদ্ধা জানাতে যান ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির নবগঠিত কমিটির নেতারা। তার কিছুক্ষণ পরই পুলিশের সংঘর্ষে জড়ায় বিএনপির নেতাকর্মীরা। এ সময় পুলিশের তিনজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আহত হন। তারা হলেন তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মো. শহীদুল্লাহ, মোহাম্মদপুর জোনের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) মৃত্যুঞ্জয় দে সজল ও শেরে বাংলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)। সংঘর্ষে বিএনপিরও বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
সংঘর্ষের কারণ জানতে চাইলে ওসি জানে আলম জানান, ‘বিএনপির কর্মীরা জিয়ার সমাধিতে ফুল দিতে এসে অনেক ভিড় ও হুড়োহুড়ি করছিলেন। করোনা পরিস্থিতির কারণে তাদের শৃঙ্খলভাবে ও কম লোক নিয়ে সমাধি জিয়ারত করার অনুরোধ করা হয়েছিল। তখনই তারা বিশৃঙ্খলা শুরু করে দেন। আমাদের লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুড়ে মারেন, হামলা চালান। তখন বাধ্য হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আমরা টিয়ার শেল নিক্ষেপ করি।’
জিয়ার সমাধিতে শ্রদ্ধা জানাতে সকাল ৯টা থেকে বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা ছোট ছোট জটলা বেঁধে চন্দ্রিমা উদ্যানে আসা শুরু করেন। সকাল ১০টা ২০ মিনিটের দিকে বেশ কিছু মিছিল ও মোটরসাইকেলের শোডাউন এসে থামে চন্দ্রিমা উদ্যানের গেটে।
এ সময় পুলিশ নেতা-কর্মীদের ভেতরে প্রবেশে বাধা দেয়। পুলিশ সদস্যরা বলেন, করোনার সময় জটলা করা যাবে না। ভেতরে ঢোকার অনুমতি নেই।
তার কিছুক্ষণ পরই পেছন থেকে কিছু নেতা-কর্মী পুলিশ সদস্যদের লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুড়তে শুরু করেন। পুলিশও তখন লাঠিচার্জ শুরু করে। প্রায় আধা ঘণ্টা এই সংঘর্ষ চলে।