অনেকটা হুট করেই নারী ফুটবল দলের দায়িত্ব ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন। নিজের সিদ্ধান্তে একদমই অনড় তিনি।
চলতি মাস শেষেই ছাড়বেন দায়িত্ব। তবে তার দায়িত্ব ছাড়ার খবরে অনেকটাই অবাক বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। বিশেষ করে নারী ফুটবল কমিটির চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ ঘুণাক্ষরেও টের পাননি ছোটন পদত্যাগ করবেন।
নারী ফুটবলে বয়সভিত্তিক থেকে শুরু জাতীয় দল পর্যন্ত যত সাফল্য, তার সবগুলোই এসেছে ছোটনের হাত ধরে। গত সেপ্টেম্বরে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশকে শিরোপা এনে দেন ৫৪ বছর বয়সী এই কোচ। এমন একজনকে হারাতে চায় না বাফুফে। তাই তাকে ধরে রাখার চেষ্টা করা হবে বলে জানিয়েছেন কিরণ।
তিনি বলেন, ‘অবশ্যই আমরা রাখতে চাই, রাখতে চাইব না কেন? তিনি দীর্ঘদিন ধরে মেয়েদের সঙ্গে কাজ করছেন, মেয়েদের তিনি নিজের সন্তানের মতো দেখেন। উনাকে আমরা রাখব না কেন? অবশ্যই রাখব। ’
মৌখিকভাবে বললেও এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগপত্র জমা দেননি ছোটন। কিরণ বলেন, ‘দেখুন আপনাদের মতো আমিও সংবাদমাধ্যমে দেখেছি বা শুনেছি, যেটা বলেন। আজ আমি ছোটন ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলেছি এবং ছোটন ভাই আমাকে যেটা বলেছেন, তিনি মূলত অনেক ক্লান্ত। সেই কারণে তিনি কাজ করতে চাচ্ছেন না, থাকতে চাচ্ছেন না। আমি বিষয়টা বাফুফে প্রেসিডেন্টকে (কাজী সালাউদ্দিন) জানিয়েছি। এখন যা করার ফেডারেশন সিদ্ধান্ত নেবে। তিনি (ছোটন) আমাদের আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগপত্র দেননি। আমার সঙ্গে যতটুকু কথা হয়েছে, সেটা প্রেসিডেন্টকে জানিয়েছি। ’
সেপ্টেম্বরে সাফ জয়ের পর আর মাঠেই নামেনি জাতীয় নারী ফুটবল দল। অর্থ সংকটের কারণে অলিম্পিক বাছাই খেলার জন্য দল পাঠানো হয়নি। এছাড়া সাম্প্রতিক ফিফা উইন্ডোগুলোতে কোনো ম্যাচ ছাড়াই কাটাতে হয়েছে সাবিনা-সানজিদাদের। এর মাঝেই অবসরের সিদ্ধান্ত নেন তিন ফুটবলার। কিরণ জানালেন আগামী জুলাইয়ে আবারও মাঠে নামবে জাতীয় দল।
তিনি বলেন, ‘আমাদের খেলা জুলাই মাসে হবে। যখন-তখন তো আমরা খেলতে পারব না। আমাদের ফিফা উইন্ডোতে খেলতে হয়। জুলাইতে আমাদের মঙ্গোলিয়ার সঙ্গে খেলা আছে। ’
‘সেই উইন্ডোগুলোতে আয়োজন করতে পারিনি, কারণ আমরা যেই দলগুলোকে চিঠি দিয়েছিলাম। তারা কেউ বাংলাদেশে আসতে চায়নি এবং আমাদের হোস্ট করতে চায়নি। সে কারণেই হয়নি। ’