জাতীয়

জলবায়ু পরিবর্তন ঠেকালেও বাঁচার উপায় নেই: সতর্কবার্তা বিজ্ঞানীদের

এইসব প্রযুক্তি বড় পরিসরে জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষেত্রে যে অর্থপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারবে, তার প্রমাণ এখনও মেলেনি।

বেশ কিছু প্রযুক্তি কোম্পানি সম্ভবত ভেবে বসে আছে, তারা বিভিন্ন নতুন টুল দিয়ে আবহাওয়া থেকে কার্বন ডাইঅক্সাইড শোষণ করে জলবায়ু পরিবর্তনের মতো ঘটনা ঠেকাতে পারবে। কিন্তু আসলেই কি তাই?

তবে, বহুল প্রচলিত ধারণা হচ্ছে, আমাদের গ্রহটি এরইমধ্যে উত্তপ্ত অবস্থায় আছে এবং একে দ্রুত শীতল করা গেলে তা গুরুতর ক্ষতি এড়াতে সহায়ক হবে। এই নতুন গবেষণাটি ওই ধারণায় স্রেফ পানি ঢেলে দিয়েছে। সম্প্রতি বিজ্ঞানভিত্তিক জার্নাল নেচার-এ প্রকাশিত এই গবেষণায় সতর্ক করা হয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তনের বেশিরভাগ ক্ষতি হয় সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বেড়ে যাওয়ার কারণে, যা ঠেকানো সম্ভব নয়।

এর ফলে, বিভিন্ন দেশের সরকার ও কোম্পানিগুলোর জীবাশ্ম জ্বালানী থেকে দূষণ হ্রাসের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ গ্রিন হাউজ গ্যাস নির্গমন বন্ধ বা ধারণ করার চেয়েও জরুরী বিষয় হয়ে উঠেছে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে প্রযুক্তি সাইট ভার্জ।

“জলবায়ু পরিবর্তন এমন পরিণতি নিয়ে আসে, যা আর বদলানো সম্ভব নয়। বৈশ্বিক উষ্ণায়নের প্রতি ডিগ্রি তাপমাত্রা বৃদ্ধির প্রতি ক্ষেত্রেই এটা প্রযোজ্য,” গবেষণাপত্রটি প্রকাশ পাওয়ার আগে সংবাদকর্মীদের বলেছেন এই গবেষণার প্রধান লেখক ও জলবায়ুর প্রভাব নিয়ে গবেষণা করা সংগঠন ‘ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর অ্যাপ্লায়েড সিস্টেমস অ্যানালাইসিস’-এর প্রধান কার্ল-ফ্রেডরিখ শ্লেউসনার।

বিভিন্ন স্টার্টআপ কোম্পানি এমন বেশ কয়েকটি প্রযুক্তি বিকাশে কাজ করছে, যেগুলো বিভিন্ন শীর্ষ দূষণকারী ব্যবস্থা থেকে কার্বন ডাইঅক্সাইড নির্গমন কমিয়ে আনার চেষ্টা করছে। এর মধ্যে রয়েছে বাতাস, সমুদ্র থেকে শুরু করে পাথর বা কংক্রিট থেকে কার্বন ডাইঅক্সাইড পরিশোধন।

এইসব প্রযুক্তি বড় পরিসরে জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষেত্রে যে অর্থপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারবে, তার প্রমাণ এখনও মেলেনি।

মাইক্রোসফট ও গুগলের মতো টেক জায়ান্টরা কার্বন সরিয়ে ফেলার এইসব উদিয়মান কৌশলের সবচেয়ে বড় সমর্থক।

এমনকি তারা ‘নেট জিরো’ বা ‘নেট নেগেটিভ’ কার্বন নির্গমনে পৌঁছানোর লক্ষ্যে অঙ্গীকারও করেছে। কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোয় এআই ডেটা সেন্টার তৈরির কারণে কার্বন নির্গমন বেড়ে গেছে।

আর, গ্রিন হাউজ গ্যাস নির্গমন না করেই এইসব কোম্পানির কার্যক্রম চালানোর মতো যথেষ্ট নবায়নযোগ্য শক্তির যোগান দেওয়া এখনও সম্ভব হয়ে ওঠেনি।

এদিকে, প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো কার্বন সরিয়ে ফেলার লক্ষ্যে বিভিন্ন চুক্তি করছে যাতে এর থেকে সৃষ্ট জলবায়ু দূষণের প্রভাব কমিয়ে ফেলা যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *