পঞ্চমবারের মতো জাতিসংঘ সদর দপ্তরে আন্তর্জাতিক আবহে উদযাপন করা হলো আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস।
বাংলাদেশ, ব্রাজিল, কানাডা, মিশর, জর্ডান, লিথুনিয়া ও নিউজিল্যান্ড এবং জাতিসংঘ সচিবালয় ও ইউনেস্কোর সহ-আয়োজনে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়।
কোভিড-১৯ এর বিধি-নিষেধ জনিত কারণে ২২ ফেব্রুয়ারি ইভেন্টটি ভার্চুয়ালভাবে অনুষ্ঠিত হয় যা জাতিসংঘ ওয়েভ টেলিভিশন সরাসরি সম্প্রচার করে।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সভাপতি ভলকান বজকির অনুষ্ঠানটিতে অংশগ্রহণ করেন এবং বক্তব্য রাখেন। সহ-আয়োজক দেশসমূহের স্থায়ী প্রতিনিধি ছাড়াও অনুষ্ঠানটিতে আরও বক্তব্য রাখেন জাতিসংঘের বহুভাষিক সমন্বয়কারী ও জেনারেল অ্যাসেম্বিলি ও কনফারেন্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল এবং জাতিসংঘের বৈশ্বিক যোগাযোগ বিভাগের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল।
এছাড়া ইউনেস্কো মহাপরিচালকের ভিডিও বার্তা এবং নিউইয়র্ক সিটি মেয়রের বার্তা উপস্থাপন করা হয় ভার্চুয়াল এই ইভেন্টটিতে। স্প্যানিস ভাষাভাষী বন্ধু-দেশগুলোর পক্ষে এ সভায় বক্তব্য রাখেন জাতিসংঘে নিযুক্ত পর্তুগালের স্থায়ী প্রতিনিধি।
অনুষ্ঠানটিতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন এবং সঞ্চালনা করেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা। যে সকল প্রবাসী বাংলাদেশিরা বাংলাভাষাকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা করার জন্য প্রথম উদ্যোগ নিয়েছিলেন তাদেরকে ধন্যবাদ জানান বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি।
প্রবাসী বাংলাদেশিরা উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে সেসময়ের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইউনোস্কোর সঙ্গে সরকারিভাবে যোগাযোগ স্থাপন এবং বিষয়টি এগিয়ে নিতে যে বিচক্ষণ ও সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছিলেন তা গভীর কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন তিনি।
পৃথিবীর বিলুপ্তপ্রায় ভাষাসমূহের সংরক্ষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করেছেন মর্মেও উল্লেখ করেন রাষ্ট্রদূত ফাতিমা। বাংলা ভাষাকে জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘে যে প্রস্তাব রেখেছেন তা পুনরুল্লেখ করেন তিনি।