আইন মোতাবেক জেলে পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) প্রতিষ্ঠাতা কারাবন্দি ইমরান খান। সেইসঙ্গে যথাযথ জেল সুবিধা নিশ্চিত করার জন্য প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি এবং প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী।
শনিবার ইমরান তার আইনজীবী আজহার সিদ্দিকীর লেখা একটি চিঠির মাধ্যমে এ আহ্বান জানান।
দেশটির জুডিশিয়াল অ্যাক্টিভিজম প্যানেলের প্রধান আজহার সিদ্দিকী জানিয়েছেন, চিঠিতে পিটিআই প্রধানকে আইন অনুযায়ী বাধ্যতামূলক সুযোগ-সুবিধাগুলো দেওয়া হচ্ছে না এবং তার শুভাকাঙ্ক্ষীদের সঙ্গে দেখা করতেও দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ জানানো হয়েছে।
চিঠিতে এই বলে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, ইমরান খানের সঙ্গে লোকজনের দেখা করায় বাধা দেওয়া হচ্ছে কেন? সেইসঙ্গে কারাগারে তাকে মৌলিক সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। যদি এই শর্তগুলো পূরণ না করা হয়, তবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিষয়টি উচ্চ আদালতে নিয়ে যাবেন বলেও জানান এই আইনজীবী।
শুক্রবার আদালতে হাজিরা দেওয়ার সময় ইমরান খান দেশটির প্রধান বিচারপতি (সিজেপি) কাজী ফয়েজ ইসার প্রতি তার আস্থার অভাব প্রকাশ করেন। এ সময় ইমরান খান অনশনে যাওয়ার ইচ্ছার কথাও ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, ‘আমি আমার আইনজীবীদের সঙ্গে আলোচনা করে অনশনের চূড়ান্ত তারিখ ঘোষণা করব।’
একই দিনে কারাবন্দি পিটিআই প্রতিষ্ঠাতা ঘোষণা করেন যে, তার দল শেহবাজ শরীফ সরকারের সর্বদলীয় সভায় অংশ নেবে।
রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগার থেকে সাংবাদিকদের ইমরান খান বলেন, ‘আমার দল সর্বদলীয় সম্মেলনে অংশগ্রহণ করবে এবং সরকার কী বলে তা শুনবে’।
পিটিআই প্রতিষ্ঠাতা হুশিয়ারি দিয়ে বলেন, সন্ত্রাস বিরোধী পদক্ষেপ দেশকে আরও অস্থিতিশীলতার দিকে নিয়ে যাবে।
প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফের সরকার নতুন যে সামরিক অভিযানের কথা বলছে, তার নাম দেওয়া হয়েছে ‘আযম-ই-ইসতেহকাম’। উর্দুভাষায় এই শব্দের প্রচলিত অর্থ হচ্ছে স্থিতিশীলতা৷ আলোচিত এই সামরিক অভিযান কতদিন ধরে চলবে তা নিশ্চিত করেনি দেশটির কর্তৃপক্ষ।
সামরিক অভিযান শুরুর আগেই এর বিপক্ষে দাঁড়িয়েছেন জেলবন্দি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। গত সপ্তাহে ইমরান জানিয়েছেন যে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল এবং দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে সামরিক অভিযানের বিপক্ষে তিনি৷ এরপরও এই অভিযান সম্পর্কে শেহবাজ শরীফ সরকারের সর্বদলীয় সভায় অংশ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন ইমরান। সূত্র: এক্সপ্রেস ট্রিবিউন