জাতীয়

জোর করে বিবৃতি দেয়ার বিষয়টি গুজব : ডিবি প্রধান

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশিদ বলছেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছয় সমন্বয়ককে বিবৃতি দিতে জোর-জবরদস্তি করার যে অভিযোগ উঠেছে, সেটি গুজব।

তিনি বলেন, ‘নিরাপত্তা ও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের ডিবি হেফাজতে আনা হয়েছে। তারা ভালো আছেন। রোববার রাতে তাদের পরিবারের সদস্যরাও এসে তাদের দেখে গেছেন। শিগগিরই তাদের ছেড়ে দেয়া হবে।’

আজ সোমবার রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ের প্রধান ফটকে সাংবাদিকদের ডিবি প্রধান এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘কোটা সংস্কার আন্দোলন বন্ধে জোর করে ছয় সমন্বয়কদের দিয়ে বিবৃতি দেওয়ার অভিযোগটি গুজব। যারা এই গুজবটি ছড়িয়েছেন তাদের প্রতি অনুরোধ- গুজব ছড়াবেন না। ডিবি একটি আস্থার জায়গা। সেখানে কাউকে আটকে রাখা হয় না। জোর করে বিবৃতি নেওয়া হয় না। তারা বরং অনুভব করেছেন যে, সরকার তো সব দাবি মেনেই নিয়েছে। যে কারণে তারা তাদের আন্দোলন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।’

তিনি বলেন, ‘আমরাও তো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছি, ছাত্র ছিলাম। এই ছয় সমন্বয়ককে নিরাপত্তার স্বার্থে আমরা এখানে এনেছি। তারা আমাদের সঙ্গে আছে। এই সমন্বয়কারীদের ঘিরে অনেক গুজব চলছে। আমরা তাদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছি। পরিবার ও সমন্বয়কদের নিরাপত্তাহীনতার কারণে আমরা তাদের নিয়ে আসছি। তাদের পরিবার কিন্তু বলেছে যে, ওরা ভাল আছে। ওদের পরিবার কাল রাতে এসেছিল। আজকেও ডিবিতে এসেছে। তারা নিজেরাও দেখেছেন ওরা কেমন আছে।’

হারুন বলেন, ‘পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে আমরা মনে করি, যদি কোনও ব্যক্তি নিরাপত্তাহীনতা বোধ করেন, আমাদের কাছে আসেন, তাহলে আমাদের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে তাদের দেখভাল করা। সেটাই আমরা করছি।’

তাদের পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘গতকাল রাতেও পরিবারের লোকজন ডিবিতে এসেছে, দেখা করেছে। আজও দেখা করেছে, কথা বলেছে, সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে। ওরা যে ভালো আছে সেজন্য ধন্যবাদ দিয়েছেন।’

সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘আপনারা জানেন এই কোটাবিরোধী আন্দোলনটা করেছিল কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। তাদের ভেতরে ঢুকে একটি গোষ্ঠী ও জামায়াত-বিএনপি চক্র ধ্বংসাত্বক কর্মকান্ড করেছে। পুলিশ সদস্যকে ঝুলিয়ে হত্যা, মানুষ হত্যা করেছে।

রাষ্ট্রীয় স্থাপনাগুলোতে আগুন লাগিয়েছে। আমরা মনে করি, যদি আবারও চক্রান্তকারীরা ঘোলা পানিতে মাছ ধরার চেষ্টা করে, তাহলে এই সমন্বয়কদের নিরাপত্তাহীনতা তৈরি হতে পারে। সেজন্য তাদের নিরাপত্তার বিষয়টি আমাদের দেখা দরকার।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *