সিরিজের ৩য় ও শেষ ম্যাচে কাল স্বাগতিক জিম্বাবুয়ের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। ২ ম্যাচ জিতে এরইমধ্যে সিরিজ জিতে নিয়েছে টাইগাররা। শেষ ম্যাচে জিতে স্বাগতিকদেরকে হোয়াইটওয়াশ করতে চাইবে রাসেল ডোমিঙ্গো বাহিনী। অন্যদিকে নিজেদের মাটিতে অন্তত একটি ম্যাচ জিতে সম্মান বাঁচাতে চাইবে আফ্রিকানরা। হারারে স্পোর্টস গ্রাউন্ডে ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় দুপুর দেড়টায়।
আইসিসির ওয়ানডে সুপার লিগের ম্যাচ হওয়ায় প্রতিটি ম্যাচেই থাকছে ১০টি পয়েন্ট। পরবর্তী বিশ্বকাপের আগে যেটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সে হিসেবেই প্রতিটি ম্যাচকে টার্গেট করে এগোচ্ছে বাংলাদেশ। খোয়াতে চায় না একটি পয়েন্টও।
১ম ম্যাচে দলের বিপদের মুহূর্তে হাল ধরেছেন ওপেনার লিটন দাস। বল হাতে ৫ উইকেট নিয়ে ম্যাচ জেতাতে নেতৃত্ব দিয়েছেন সাকিব আল হাসানও। ২য় ম্যাচটা সম্পূর্ণ তার একার কৃতিত্বে জিতেছে বাংলাদেশ। একপর্যায়ে যখন জয় অসম্ভব মনে হচ্ছিলো তখনই একপ্রান্ত আগলে ঠান্ডা মাথায় দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান সাকিব।
যদিও সাকিব-লিটন ছাড়া বাংলাদেশের আর কোন ব্যাটসম্যান এখন পর্যন্ত সিরিজে নিজেদের সামর্থ্যের পরিচয় দিতে পারেননি। হাঁটুর ইনজুরি নিয়ে খেলা অধিনায়ক তামিম ইকবাল ২ ম্যাচেই ব্যর্থ। মুশফিকবিহীন মিডল অর্ডারের হাল ধরতে পারেননি মিঠুন ও মোসাদ্দেক। মাহমুদউল্লাহ কিংবা আফিফ আশা জাগালেও, বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। লম্বা ব্যাটিং লাইনআপ হলেও মেহেদি মিরাজ ব্যাট হাতে ব্যর্থ। শেষ ম্যাচে সাকিবকে সঙ্গ দিয়ে ব্যাটিংয়ে নিজের সামর্থ্যের প্রমাণ দিয়েছেন সাইফউদ্দিন। জিম্বাবুয়ে অপেক্ষাকৃত সহজ প্রতিপক্ষ হওয়ায় ম্যাচ বের করে নিতে পারছে বাংলাদেশ। তবে ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতা ঠিকই কপালে ভাঁজ ফেলছে টিম ম্যানেজমেন্টের।
জিম্বাবুয়ে দলে সাকিব-মাহমুদউল্লাহদের মতো অভিজ্ঞ ক্রিকেটার নেই। একেবারে তরুণ একটি দল নিয়েও তারা বেশ সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছে মাঠে। বিশেষ করে জিম্বাবুইয়ানদের ফিল্ডিং নজরকাড়া। ব্যাটিংয়েও ২য় ম্যাচে তারা বেশ সাবলীল খেলেছে। মিডল অর্ডারে সব ব্যাটসম্যান স্কোরবোর্ডে অবদান রেখেছেন। শেষ ম্যাচে তাদের লক্ষ্য থাকবে অন্তত একটি জয় নিয়ে হোয়াইটওয়াশ এড়ানো।
টানা ১৮ ম্যাচে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে অপরাজিত বাংলাদেশ। শেষ ম্যাচেও একই লক্ষ্য নিয়ে নামবেন সাকিব-তামিম-রিয়াদরা।