খেলাধুলা

টাইব্রেকারে ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ

বদলি গোলরক্ষক হিসেবে মাঠে নামার ছয় মিনিটের মাথায় হজম করেন গোল। যার ফলে পিছিয়ে থাকা ভারত ফেরে সমতায়।

কিন্তু ৯০ মিনিট শেষে অবিচ্ছিন্নই থাকে দুই দল, খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে। যেখানে দুই পেনাল্টি ঠেকিয়ে নায়ক বনে যান গোলরক্ষক মোহাম্মদ আসিফ। বাংলাদেশও তাই ভারতকে টাইব্রেকারে ৪-৩ ব্যবধানে হারিয়ে পৌঁছে যায় সাফ অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে।

নেপালের আনফা কমপ্লেক্সে দ্বিতীয় সেমিফাইনালে নির্ধারিত ৯০ মিনিটের খেলা শেষ হয় ১-১ ব্যবধানে। শুরুতে অবশ্য এগিয়ে যায় বাংলাদেশই। ম্যাচের ৩৬ মিনিটে ডেডলক ভাঙেন আসাদুল মোল্লা। বাঁ প্রান্ত দিয়ে কোনাকুনি শটে ভারতের জালে বল ঢোকাতে চেয়েছিলেন রাব্বি হোসেন রাহুল। তা অবশ্য ঠেকিয়ে দেন ভারতের গোলরক্ষক প্রিয়াংশ দুবে। কিন্তু ফিরতি শটে ঠিকই জালের ঠিকানা খুঁজে নেন আসাদুল। তার গোলে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় বাংলাদেশ।

দ্বিতীয়ার্ধের মাঝামাঝি সময়ে বল ঠেকাতে গিয়ে গগমসার গোয়ারির সঙ্গে সংঘর্ষ বাঁধে বাংলাদেশ গোলরক্ষক মেহেদী হাসান শ্রাবণের। মাঠে বেশ কিছুক্ষণ সেবা-শুশ্রূষা নেওয়ার পর হাসপাতালে পাঠানো হয় তাকে। তাই অনেকটা বাধ্য হয়েই বদলি গোলরক্ষক হিসেবে নামতে হয় আসিফকে। থিতু হওয়ার আগেই গোল হজম করে বসেন তিনি। ৭৫ মিনিটে নাওবা মেইতেই পাঙ্গামবামের কাটব্যাক থেকে ভারতকে সমতায় ফেরান অধিনায়ক রিকি মিতেই হাওবাম।

শেষেও অবশ্য নাটক কম ছিল না। যোগ করা সময়ের পঞ্চম মিনিটে ভারতীয় গোলরক্ষকের পথ আটকানোয় লাল কার্ড দেখেন বাংলাদেশের কামাকাই মারমা। ৯০ মিনিট শেষে ব্যবধান ১-১ থাকলে খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে। আসিফও পেয়ে যান শাপমোচনের সুযোগ। প্রথম পেনাল্টিতেই ভারতের থাংলালসুন গাংতের নেওয়া শট ডান দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে ঠেকিয়ে দেন তিনি। পরের তিনটি শট অবশ্য আটকাতে ব্যর্থ হন এই গোলরক্ষক। তবে শেষ পেনাল্টি নিতে আসা আকাশ তিরকের শট বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে রুখে দেন তিনি। রুখে দেন ভারতের ফাইনালে যাওয়ার পথও।

বাংলাদেশ অবশ্য একটি শট কম নিয়েছে। তবে চারটি শটের প্রতিটিতেই গোল এনে দেন- পিয়াস আহমেদ নোভা, মইনুল ইসলাম মইন, শাকিল আহাদ তপু ও আশরাফুল হক আসিফ। ফাইনালে আগামী ২৮ আগস্ট স্বাগতিক নেপালের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *