রাজনীতি

ঢাকা দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদককে শোকজ

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবিরকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার আওয়ামী লীগের বিভাগীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের নির্দেশে দপ্তর থেকে এই কারণ দর্শানোর চিঠি হুমায়ুন কবিরের কাছে হস্তান্তর করা হয়। হুমায়ুন কবির তিনি নিজেই আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে গিয়ে শোকজ নোটিশ গ্রহণ করেন।

আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জানা গেছে, কেন্দ্রীয় নেতাদের সামনে লালবাগ থানার সম্মেলনে বিশৃঙ্খলার ঘটনা এবং কেন্দ্রীয় নির্দেশ উপেক্ষা করে চকবাজার থানা আওয়ামী লীগের সম্মেলন করায় তাকে এই শোকজ করা হয়েছে। হুমায়ুন কবিরকে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে ওই নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

এদিকে লালবাগ থানা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে বিশৃঙ্খলা ও হট্টগোলের পর চকবাজার থানা আওয়ামী লীগের সম্মেলনও পণ্ড হয়েছে। রাজধানীর নবকুমার ইনস্টিটিউটসংলগ্ন মাঠে শুক্রবার বেলা তিনটায় এ সম্মেলন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত হয়নি। মহানগরের কিছু নেতা এবং থানা-ওয়ার্ডের নেতাকর্মীরা উপস্থিত হলেও সম্মেলনে যাননি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কোনো নেতা। এমনকি মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকও সেখানে উপস্থিত ছিলেন না।

এ ব্যাপারে ঢাকা দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ যুগান্তরকে বলেন, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম (ঢাকা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত) আমাকে ফোন করে সম্মেলন স্থগিত করার নির্দেশনা দেন। আমি বিষয়টি সাধারণ সম্পাদককে জানাই। তিনি সম্মেলন স্থগিত করেননি। তিনি বলেছেন, সম্মেলন করবেন। তবে সম্মেলনে কেন্দ্রীয় নেতারা কেউ আসেননি।

জানা গেছে, লালবাগ ও চকবাজার থানা নিয়ে ঢাকা-৭ আসন। এ আসনের সংসদ-সদস্য (এমপি) প্রার্থীদের নিয়ে নানা দল ও কোন্দল রয়েছে। এ আসনের বর্তমান এমপি হাজী সেলিম। এখানে আরও মনোনয়ন প্রার্থীরা হলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির প্রমুখ। মঙ্গলবার লালবাগ থানা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে কেন্দ্রীয় নেতাদের সামনেই এসব নেতার কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় মারামারি ও হট্টগোল হয়। মঞ্চে ধাক্কাধাক্কি এবং নেতাকর্মীদের অশ্লীল গালিগালাজের ঘটনাও ঘটে। চকবাজারের সম্মেলনেও অনাকাক্সিক্ষত কিছু ঘটতে পারে এমন শঙ্কায় সম্মেলন স্থগিতের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল।

এদিকে সম্মেলনের দাওয়াত কার্ডে অতিথি হিসেবে যেসব কেন্দ্রীয় নেতার নাম ছিল তারা হলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, কামারুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, কেন্দ্রীয় সদস্য মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, আইনবিষয়ক সম্পাদক কাজী নজিবুল্লাহ হিরু, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া।

তবে তারা কেউ না গেলেও নগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা সম্মেলনস্থলে উপস্থিত হয়েছিলেন। সম্মেলনের মঞ্চ প্রস্তুত ছিল। লাগানো হয়েছিল ব্যানারও। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর সম্মেলন হয়নি। সম্মেলনের মাঠে আসা নেতাকর্মীদের মধ্যে কয়েক দফা হট্টগোল হয়েছে। চেয়ার ছোড়াছুড়ি ও ধাওয়া-পালটা ধাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *